Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলােদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতি: প্রাসঙ্গিক দৃষ্টিভঙ্গি

ড. মিহির কুমার রায়
২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:২৫

এলকপ একটি স্বাধীন ,অরাজনৈতিক, অলাভ জনক বেসরকারি সংন্থা যা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০০ সালে বিশেষত: সমাজের দারিদ্র্র্, সুবিধাহারা প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে আলোর পথ দেখাতে যারা কেবল নলেজ ও সজাগতার অবহেলায় ন্যায় বিচারিক ও মানবাধিকার সুবিধা থেকে উপেক্ষিত যুগের পর যুগ।এই আলোহীন ও ক্ষমতাহীন লোকগুলোকে সমাজের মূল ধারায় নিয়ে আসার মানসে উদ্ভুদ্ধ হয়েই আজ থেকে ২৩ বছর আগে প্রাচ্যের অক্যফোর্ড বলে খ্যাত রাজধানীর কেন্দ্রে রমনায় অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক (বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত) ও সাবেক জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান উত্তরবঙ্গের জেলা শহর গাইবান্দার কৃতি সন্তান শিক্ষাবিধ অধ্যাপক ড: মিজানুর রহমান, যার দর্শন ছিল সমাজের প্রান্তিক দরিদ্র্য জনগোষ্ঠির আইনি সহায়তা তথা তাদের প্রতি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা।এই মহতি যাত্রায় সহযাত্রী হিসাবে থাকছে এলকপ দর্শনে লালিত একদল আইনের ছাত্র-শিক্ষক ও বিচারক যারা সরকারের বিভিন্ন স্থরে চাকুরীতে থেকে নিরন্তর গতিতে আইটি সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

এই সংন্থার প্রধান কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো -আইন তথা মানবাধিকার বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা, আইনি বিষযে প্রশিক্ষন -সেমিনার আয়োজন ও গবেষণা প্রকাশনা। এর মধ্যে বাংলাদেশ রিভিউ সিরিজ গবেষণা প্রকাশনাগুলো একাডেমিক পর্যায়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়।তাছাড়াও এলকপ বর্তমানে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে একটি গবেষণা প্রকল্প বাস্তবায়ণ করছে। তাছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাকিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এলকপের সংযোগ রয়েছে। যেমন- কমনওয়েলথ লিগ্যাল এডুকেশন এসোসিয়েশন, ইন্ডিয়ান লিগ্যাল ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউট অব লিগ্যাল এডভোকেসি ইত্যাদি।

বিজ্ঞাপন

এলকপ তার চলমান কর্মসূচীর অংশ হিসাবে গত ১৩ জুলাই, ২০২৩ ঢাকার সিকস সিটিজেন হােটেল, বাড়ি নং ১৯, রোডনং ৯৬, গুলশান-২ এ The Situation of Minorities in Bangladesh :Issues and Outlook শীর্ষক একদিনের একটি সেমিনারের আয়োজন করে। এলকপ-এর চেয়ারমান ও বাংলােদেশ জাতীয় মানবািধকার কমিশনের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট আইন বিষয়ক গবেষক অধ্যাপক ড: মিজানুর রহমানের স্বাগত ভাষণের মধ্য দিয়ে সকাল ১১ ঘটিকায় সেমিনারের কার্যক্রম শুরু হয় যা ছিল অত্যন্ত প্রানবন্ত ও আকর্ষনীয়- যা উপস্থিত সকল অংশগ্রহনকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

তিনি বলেন, অতীতে বিভিন্ন সময়ের চেয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালগু সম্প্রদায় বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হলেও বর্তমানে এ অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখন আর এখানে সংখ্যালগুদের কোনো নির্যাতন বা হয়রানি করা হয় না। দেশের সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে অনেক সোচ্চার, দেশের মানুষ এখন অনেক সহনশীল। তিনি বলেন, বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দু -মুসলিম-খ্রিস্টান-বৌদ্ধসহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষ সমমর্যাদার সঙ্গে বসবাস করছে। এখানে আমাদের ধর্ম, কৃষ্টি-কালচারের ভিন্নতা রযেছে। কিন্তু পারস্পরিক সম্পর্ক ও শ্রদ্ধাবোধের কোনো ভিন্নতা নেই। এখন সমাজের সব ক্ষেত্রে সকল ধর্মের মানুষের যথাযত অংশগ্রহণ রযেছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক গণতন্ত্রের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে একথা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে এ কথাও অনস্বীকার্য যে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক গণতন্ত্রে বাংলাদেশ এগিয়েছে অনেকদূর।

এখন বাংলাদেশের মানুষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তারা পশ্চিমা তথা মার্কিন গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে থাকবে, নাকি দেশীয় পারিপার্শ্বিকতায় লালিত স্বদেশি বাংলাদেশি গনতন্ত্রের অনুশীলন নিয়ে পথ চলাকে সমৃদ্ধ করবে? ভূরাজনৈতিক ও কৌশলগতভাবে অতি লোভনীয় উদীয়মান অর্থনীতির এই দেশ কি বহিঃশক্তির খেলার মাঠে পরিণত হবে, নাকি বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় একাট্টা হয়ে নিজেদের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতিকার নিজেরাই করবে- যা নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই উদ্বোধনী বক্তব্যের পরপরই শুরু হয় সেমিনারের মুল সেশন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এলকপের রিসার্চ কনসালটেন্ট আরেফিন মিজান। আর মূল প্রবন্ধের উপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট রানা দাসগুপ্ত, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশ বৌদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ভ্যান থিরো সুনন্দ প্রিয় ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারন সম্পাদক সঞ্জিবনী ধ্রং।

এখানে উল্লেখ্য, উক্ত সেমিনারে অনান্যের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপিয় ইউনিয়ন, ভারত, নেপাল, ভুটান, মায়ানমারসহ বিভিন্ন দেশের স্থানীয় প্রতিনিধি, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সংবাদকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

প্রবন্ধকার ২৬টি স্লাইডের মাধ্যমে এক ঘন্টা বিশ মিনিটে তার উপস্থাপনা শেষ করেন যা ছিল তথ্য ভান্ডারে ভরপুর, যা যেকোনো সচেতন গবেষক কিংবা আইন পেশায় নিয়োজিত প্রাকটিশনারের দৃষ্ঠি আকর্ষণ করতে অনুগঠকের ভূমিকায় অবতীর্ন হতে সহায়ক হবে। উপস্থাপনার শুরুটি হয়েছিল বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বর্তমান পরিস্তিতি নিয়ে যেখানে ছিল হাজার বছরের এতিয্য, স্বাধিনতা সংগ্রাম ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। ইতিহাসের পাতায় লেখা রয়েছে বৃটিশ আমল এ (১৮৫৮-১৯৪৭) (1858-1947) Divine & Rule Policy, causing destruction of communal harmony and 1947 partition; পাকিস্তানি আমল (১৯৪৭-১৯৭১), Anti Hindu Riots (1947), mass atrocities against minorities, ১৯৭১ এ হিন্দু সম্প্রদায়কে টার্গেট করে নির্যাতন, যার ফলে ১ কোটি মানুষ শরনার্থী হয়ে ভারতের মাটিতে আশ্রয় লাভ, স্বাধীন বাংলাদেশে চার মূলনীতি যেমন সমাজতন্ত্র, গনতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম্মনিরপেক্ষতা ওপর ভিত্তি করে সংবিধান পণয়ন, ১৯৭৫ সালে আগষ্টের মধ্য রাতে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা, তারপর সামরিক জান্তা কর্তৃৃক ক্ষমতা দখল (১৯৭৬ থেকে ১৯৯০) -যা ছিল রাষ্ট্রীয় মূলনীতি ও সংখ্যালঘুদের জন্য ক্রান্তিকাল, প্রো-ইসলামিক নীতি, রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম, সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমাগত আক্রমন, সংখ্যালঘুদের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৭.৯৫ শতাংশে নেমে আসা, ১৯৯০ এর পর আক্রমনের ভয়াবহতা, ২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর Violence against minorities, on October 08, 2001,20/25 miscrients supported by BNP coalition Govt. attacked and raped Purnima Rani Sheel,daughter of Anil Sheel in Ullapara,Serajgonj ইত্যাদি স্মরর্নীয় ঘটনাগুলো উঠে আসে।

উপস্থাপক তার উপস্থাপনায় আরও উল্লেখ করেন, দুটি রিপোর্ট যেমন এমনেস্টি ইন্টারন্যাশনেল ও ইন্টারন্যাশনেল রিলিজিয়াস ফ্রিডম রিপোর্ট ২০০৫ যেখানে সংখ্যালঘুদের নিধনের ভয়াবহ কুৎসিৎ রূপ প্রতিফলিত হয়েছে। তাছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ের কিছুঘটনা যেমন ২০১৬ সালে নাসিরনগর ভাইওলেন্স, ২০২১ সালে সংগঠিত কুমিল্লায় দূর্গাপূজার ঘটনা, রামুর ঘটনা, সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্য আইনগত কাঠামো যা আছে এবং যাযা করা দরকার যেমন Enactment of Minority Protection Act, Formation of National Minority Council,Enactment of Elimination of Discrimination Act, Enactment of interstate Property Conversation Act, Implementing the Restoration of Vested Property Act, Proper Implemention of Hill Peace Accord & Hill Land Commission Act & amp; Formation of Separate Land Commission for Plain land Adivasies ইত্যাদি।

প্রবন্ধকারের উপস্থাপনা উপস্থিত আামন্ত্রিত অতিথীদের সার্বিক দেশের সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত হওয়ার এক বিরল সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছিল- যা প্রসংশার দাবি রাখে। এ ধরনের ব্যাতিক্রমি একটি সেমিনার যেখানে সংখ্যালঘুদের চিত্র প্রস্ফুটিত হয়েছে- যা বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসের বিরল ঘটনা।

তারপর মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশহ্রহণ করেন নির্ধারিত আলোচক বৃন্দ যেমন বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক এডভোকেট রানা দাসগুপ্ত, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও, বাংলাদেশ বৌদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ভ্যান থিরো সুনন্দ প্রিয় ও বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারন সম্পাদক সঞ্জিবনী ধ্র।

আডেভােকট রানা দাস গুপ্ত বলেন, বৃটিশ আমল থেক সংখালঘুেদর ওপর একটির পর একটি সহিংসতা ঘটেছে- যার কোন বিচার হয়নি কেবল সাময়িক কিছু পুলিশী পদক্ষেপ ছাড়া। সরকারের উচিত এর পছেনর সময়োচিত পদক্ষেক গ্রহন করে সংখালঘুে মোতায়েনের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নওয়া।

শ্রী রানা দাস গুপ্তের বক্তব্য ছিল অনেক দীর্ঘ যেখানে তিনি বেশ কিছু সুপারিশ উপস্থাপন করেন। যেমন- সংখালঘুেদর জন্য আলাদা মন্ত্রনালয় প্রতিষ্ঠা, সংখ্যালঘুদের স্বার্থবিরোধী সকল কালা আইন-কানুন প্রত্যাহার, সংখালঘুদের জন্য প্রো এ্যাকটিভ নীতিমালা প্রণয়ন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মতো হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃস্টান ঐক্য পরিষদেও অনুকুলে বাজেট বরাদ্দ ইত্যাদি।

বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও খ্রিস্টান সম্প্রদায় যাদের সংখ্যা (৪৯৫৪৭৬) মোট জনসংখ্যার ০.৩০%, তাদেও সমস্যা ও প্রতিকারের কথা তুলে ধরেন।

অপরদিকে বাংলাদেশ বৌদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ভ্যান থিরো সুনন্দ প্রিয় যাদের সংখ্যা (১০,০৭,৪৬৮) দেশের মোট জনসংখ্যার ০.৬১%, তাদের সমস্যা– সমাধানের কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারন সম্পাদক সঞ্জিবনী ধ্রং যাদের সংখ্যা (১৯,৮,১৯) মোট জনসংখ্যার ০.১২% , তাদের দাবি-দাওয়ার কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, আদিবাসী সংখ্যালঘুরা বিশেষত: পার্বত্য জেলা, ময়মনসিংহ বিভাগ, সিলেট বিভাগ, রাজশাহী বিভাগ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে এবং এখন বর্তমানে ২৭টি আদিবাসী/উপজাতি বাংলাদেশ জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। তাদের ভাষা, কৃষ্টি, সামাজিক আচরনের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে-যা অনাদরে অবহেলায় অস্তিস্তের সংকটে রয়েছে যার সঙ্গে মানবাধিকারের সম্পর্ক রয়েছে।

বর্তমান সরকার মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে খুবই আন্তরিক রয়েছে। যেমন- ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে এভিডেন্ট অ্যাক্ট ১৮৭২ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে সংগৃহীত হয়েছে র্অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত ও জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি, শিক্ষার অধিকার নিশ্চিতে এগিয়েছে বাংলাদেশ,বিচার বর্র্হিভূত হত্যাকান্ড হ্রাস পাওয়া, কমছে আইনশৃঙ্কলা বাহিনীর হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা, কমেছে কারা হেফাজতে মৃত্যুর সংখ্যা। এক কথায় সার্বিক বিবেচনায় মানবাধিকার পরিস্থিতি সন্তোষজনক রয়েছে।

নির্ধারিত আলোচকদের পরপরই রয়েছে মুক্ত আলোচনা পর্ব। সেই পর্বে মোট দেশী-বিদেশী মিলে আটজন অংশগ্রহন করেন। সেই আলোচকবৃন্দ এলকপের এই মহতি আায়োজনের প্রশংসা করেন এমন একটি সময়ে যখন দেশের সংখালঘুেদর সংখ্যা ক্রমানবতির দিকে যাচ্ছে। যদিও সরকার বর্তমান অবস্থার উন্নতির জন্য প্রশাসনিক তথা আইনি লড়াই নিরন্তর গতিতে চালিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই বলছেন, সংখালঘু কথাটির মধ্যেই কিছুটা পর্য্যাদপদতা রয়েছে, যা অনেক সময় করুণার উদ্যেগ বহন করে যা মানবাধিকারের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সংবিধানে বলা আছে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে দেশের নাগরিক সমঅধিকার ভুগ করবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন বিধায় সময় সময় মনে হয় আয় বৈষম্য অনেক ক্ষেত্রে দুর্বলশ্রেণীর দিকে আইন কথা বলে না যা এলকপের নীতিমালার সঙ্গে অনেকক্ষেত্রে সাংঘর্ষিক- যা কাম্য নয়। কেবল নারী নয়, মানুষ হিসাবে সমঅধিকার নিয়ে ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, নির্বিশেষে সংবিধান মতে সকলই বেঁচে থাকতে চায়- যা মানবাধিকারের মূলমন্ত্র।

এক বেলা সেমিনারের আলোচনার সারসংক্ষেপ তুলে ধরে সেমিনারের সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন, এই আালোচনা এবং এ থেকে প্রাপ্ত সুপারিশমালা সেমিনারের আলোচ্য বিষয়কে আরও সমৃদ্ধ করেছে -যা গবেষকদের নতুন করে ভাবনার খোরাক যোগাতে সাহায্য করবে। সেমিনারের শেষ পর্বে ধন্যবাদ প্র¯স্তব জ্ঞাপন করেন এলকপের নির্বাহী পরিচালক ব্যরিস্টার তাপস কাšিন্ত বাউল। তিনি বলেন৷ বিভিন্ন জাতীয়- আন্তর্জ্যাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দের উপস্থিতি এ অনুষ্ঠানকে সমৃদ্ধ করেছে যা আগামী দিনেও অব্যাহত খাকবে

লেখক: অর্থনীতিবিদ, উন্নয়ন গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী

সারাবাংলা/এসবিডিই

ড. মিহির কুমার রায় বাংলােদেশে সংখ্যালঘু পরিস্থিতি: প্রাসঙ্গিক দৃষ্টিভঙ্গি মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর