সাঙ্গু সেতুতে টোল আদায় কেন অবৈধ হবে না?
৪ মে ২০২৪ ১৮:০৫
চট্টগ্রামের বাঁশখালী-আনোয়ারা সীমান্তে সাঙ্গু নদীর ওপর নির্মিত তৈলারদ্বীপ সেতুতে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ যেন নতুন কিছু নয়। সেতুটি নির্মিত হওয়ার পর থেকেই চলছে এই টোল আদায়ের নামে গলাকাটার মতো হিসেবনিকেশ। যা নিয়ে প্রায়শই দেখা যায় যানবাহন মালিক-শ্রমিকের মাঝে তীব্র ক্ষোভ।
ধারণা করা হয়, বাঁশখালী-চট্টগ্রাম পিএবি সড়কের তৈলারদ্বীপ সেতুটি উদ্বোধন হয় ২০০৬ সালের ২৯ আগস্ট। উদ্বোধনের পর থেকে এই সেতুর ওপর নির্ধারিত টোল ধার্য করা হলেও ইজারাদারগণ কৌশলে যানবাহন থেকে অতিরিক্ত টোল আদায় করতে থাকে।
এরমাঝে বেশ কয়েকবার এই টোল আদায় বন্ধে অনেক প্রতিবাদ থেকে শুরু করে আদালতে রিট পর্যন্ত করতে দেখা যায় স্থানীয়দের পক্ষ থেকে। এবিষয়ে আরো স্পষ্টতা হচ্ছে, সাবেক সাংসদ মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট মামলা করেন। পরে তিনি এটাও আশ্বস্ত করেছিলেন যে উচ্চ আদালতের আদেশের ভিত্তিতে চট্টগ্রাম-বাঁশখালী সড়কের তৈলারদ্বীপ সেতু টোলমুক্ত হচ্ছে। কিন্তু ২০১৭ সালের দিকে এ কথাটি তিনি বললেও এখনো তার কোনো বাস্তবিক বিহিত হয়নি।
প্রকৃতপক্ষে যানবাহন মালিক সমিতি আর স্থানীয়দের দাবী, বাঁশখালী-আনোয়ারা সীমান্তের তৈলারদ্বীপ সেতু টি নির্মাণে কোনো বৈদেশিক ঋণ বা অনুদানের প্রয়োজন হয়নি। সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে এ সেতুর নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়। সুতরাং স্বাভাবিক নিয়মেই এ সেতুতে কোনো টোল আরোপের সুযোগ নেই।
পাশাপাশি তারা মনে করেন যে, একই নদীতে একই সাইজের দোহাজারী ও খোদারহাট সেতু দুটিতে কোন ধরনের টোল আদায় করা না হলেও বাঁশখালী-আনোয়ারা সীমান্তের তৈলারদ্বীপ সেতুতে গলাকাটা টোল আদায় করছে ইজারাদার। এটা কি আমাদের উপর জুলুম না? এটা কতটুকু বৈধতার কাতারে পড়ে? এখন যেন এটিই তাদের মনে প্রশ্ন।
প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এই টোল আদায়ের নামে গলাকাটা সিস্টেম তা বরাবরই স্থানীয় জনগণ তথা যানবাহন মালিক সমিতির মাঝে একটা প্রশ্ন রেখেই যায় কেন প্রকাশ্যে এই অবৈধ সিস্টেম? এ সব বন্ধে কি কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার কেউ নেই?তাদের মনের কোণে এখনো একটি আক্ষেপ থেকে যায় যে তারা কি টোল আদায়ের ইজারাদার থেকে মুক্তি পাবে না? সমাধান কি হবে না এ বিষয়টির?
লেখক: শিক্ষার্থী
সারাবাংলা/এজেডএস