আমরা কি সবাই নেংটা হয়ে যাচ্ছি
২১ জুন ২০২৪ ১৭:২৮
নেংটা শব্দটা খুবই বিব্রতকর একটা শব্দ। এর যথাযথ প্রয়োগ অপরিহার্য হয়ে পড়লে এর উপযুক্ত বিকল্প বা লাগসই প্রতিশব্দ পাওয়া দুষ্কর। সভ্য সমাজের সব কিছু আবার নেংটা বলে চালিয়ে দেওয়া যায় না। দিতে চাইলে তথাকথিত আধুনিক মানুষেরা, প্রগতিবাদীরা রে রে করে তেড়ে আসবে। আপনাকে কট্টরপন্থী, উগ্রবাদী ইত্যাদি ভারি ভারি শব্দযোগে জব্দ করে ছাড়বে। এই যে সেলিব্রেটি কালচারের নামে প্রায় উলঙ্গ বামাদের সদম্ভ উপস্থিতি প্রত্যক্ষ করা যায় সর্বত্র, তাদেরকে কিন্তু আমরা উলঙ্গও বলি না, নেংটাও বলি না। আমরা ধরেই নিয়েছি উলঙ্গতা ওদের সহজাত আর নেংটি বসন ওদের ভূষণ। মাঝপন্থীরা স্বল্পবসনা বলে আদর করে তাদেরকে সভ্যতার চাদরে ঢাকার চেষ্টা করে থাকেন। শ্রেণীতে ও প্রভাবে উপেক্ষাযোগ্য বিধায় রাস্তার ধারের পাগলদেরকে চট করে উলঙ্গ বা নেংটা বলে অভিহিত করতে আমাদের মুহুর্তকাল ভাবতে হয় না। আবার একই কিসিমের লোকের মধ্যে যদি আমরা তন্ত্রমন্ত্র বা কামেলিপনার আভাস পাই তখন তাকে পরম ভক্তি ভরে জলপান করাই, টাকা পয়সা হাতে ধরিয়ে দেই, তার ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত হাতকে মাথায় স্থাপন করে স্বর্গসুখ অনুভব করি। পরম শ্রদ্ধাভরে তাকে অবলীলা ক্রমে ‘নেংটা বাবা’ বলে সম্বোধন করে থাকি। তখন এই নেংটা আর সেই ‘নেংটা’ থাকে না।
আমাদের দেশে কোথায় যেন জামাই মেলার মত পাগলের মেলা বসে প্রতি বছর। সেখানে প্রায় শতভাগ পাগলই নেংটা থাকে। কারো স্বল্প বসন থাকলেও তা ঐ জননেন্দ্রিয় ঢাকার জন্য। সেটাকে আমরা নেংটি বলে থাকি। আমরা মানুষরা স্থান কাল পাত্র ভেদে একই শব্দকে নিয়ে একেক ধরণের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে থাকি। আমরা চাই, সভ্য সমাজে মানুষ কম বেশি যা-ই খাক, অন্তত পোষাকের আবরণে নিজেকে যেন শালীন করে রাখে। কিন্তু বাস্তব সত্য এই যে, আমরাও স্বল্পবসনা ও মোটামুটি খোলামেলা নারী দেহবল্লরী দেখে দর্শনসুখ পেতে চাই। যাতে করে অঙ্গের ভাঁজে ভাঁজে জলতরঙ্গের মত অর্কেস্ট্রার ঝংকার দ্রষ্টব্য হয়। তখন আমাদের সাহস ও খায়েস কোনটাই হয় না উলঙ্গ বা নেংটা শব্দযোগে তাদেরকে ভর্ৎসনা করতে। অথচ এই আমরাই কারো বিরুদ্ধে কোমর কেঁচে নামলে তাকে উলঙ্গ বা নেংটা করে ফেলতে চেষ্টার কোন ত্রুটি করি না। অতএব, নেংটা শব্দটা আমাদের কাছে সুবিধা অনুযায়ী প্রয়োগযোগ্য হাতিয়ার বিশেষ।
ছোটবেলায় নেংটা রাজার গল্প পড়েছি। নেংটা পাগলের কাণ্ড শুনেছি। নেংটি পড়া বাবার কথা শুনেছি। অনেককেই জনসমক্ষে নেংটা করে ফেলতেও দেখেছি। যাকে নেংটা করা হয় সে ইজ্জত রক্ষার তাদিগে পালানোর চেষ্টা করে থাকে। আর যারা অভ্যাসগত নেংটা তাদের এধরণের কোন সমস্যা নেই। তাদের কাপড় থাকলেই কি আর না থাকলেই কি? বরং কাপড় বা আবরণ তাদের কাছে যন্ত্রণাদায়ক ও অস্বস্তিকর বলেই মনে হয়। বিদেশে কিছু লোক আছে স্যুটেড বুটেড হয়ে থাকতে পছন্দ করে, কিন্তু বেশিরভাগ লোকই নেংটিটুকু পড়েই চলতে ফিরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে। বিদেশী মহিলাদের আবার পোষাক নিয়ে স্পর্শকাতরতা বেশি। যত কম পোষাক তত স্বাচ্ছন্দ্য, তত নির্ভার, ততোধিক স্বাধীন স্বাধীন আমেজ।
পর্দা নিয়ে এদেশে আবহমানকাল থেকে গভীর অনুশীলন হয়ে এসেছে। এটা ধর্ম নির্বিশেষে সবার কাছেই কমবেশি অবশ্য পালনীয় ছিলো। কালে কালে সভ্যতার সম্প্রসারণে ও অর্থনীতির আধিপত্যে পর্দা আলগা হতে শুরু করে। যারা এই পর্দাকে আকড়ে থাকতে চান তাদেরকে আমরা এখন পশ্চাৎপদ, গোড়া হিসেবে চিহ্নিত করে পৃথক করে ফেলেছি। তাই আজকাল চোখের পর্দা তো গেছেই দেহের পর্দাও যাচ্ছেতাই পর্যায়ে যেতে বসেছে।
উপক্রমণিকা হিসেবে নেংটা কীর্তন ঢের হয়েছে। এবার কাজের কথায় আসি। আমাদের জন্য সময়টা এখন খুব বাজে। আমরা সবাই এখন কমবেশি বেপোরোয়া হয়ে গেছি। আমাদের দেখার কেউ নাই, থামাবার কেউ নেই, তাই। যারা তথাকথিত দেখভালের দায়িত্বে আছেন সেইসব উপরস্থদের ভেতর-বাইরের পূর্ণাঙ্গ চিত্র আমাদের জানা। তারা নিজেরাও নেংটা, তাই আমাদের নেংটা হতে লজ্জা নেই, বাধাও নেই। এক্ষেত্রে রাজনীতিবিদদের রয়েছে অনেক সুবিধা। যখন যেখানে যেমন প্রয়োজন, তেমন করে কথা বলা আর সত্য-মিথ্যার মিশেল দিয়ে ঘিয়ে ভাজা মচমচে সুস্বাদুকর প্রতিশ্রুতি দেওয়া তাদের দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি। তারা ক্ষনিকেই কারো মাথায় হাত রাখেন, আবার সমীকরণ অনুযায়ী না চললে সংস্থাপিত সেই হাত চটজলদি সরিয়েও নেন। মায়াকান্না, উচ্চকণ্ঠ, বজ্রমুষ্ঠি, সোজা আংগুলে না হলে আংগুল বাঁকা করা আর গোল্লাছুট খেলা সবই তাদের পাশা খেলার কৌশল। পাবলিক এগুলো দেখে অভ্যস্ত। ক্ষমতা আরোহনের আগে তাদের সম্পদ না থাকলেও ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই জ্যামিতিক হারে তা কেবলই বৃদ্ধি পেতে থাকে। হায়ার জ্যামিতির এই প্রাথমিক উপপাদ্য সবার জানা। দেখার কেউ নেই; তাই যেনতেন প্রকারে ক্ষমতার টিকেট পেলেই হলো। চৌদ্দপুরুষের স্বর্গসুখ নিশ্চিত। এদের বসনে চাকচিক্য থাকলেও পাবলিক এদেরকে সাদা চোখে নেংটা হিসেবেই দেখে, জানে। বছর দুই আগে শ্রীলঙ্কার রাজনীতিবিদরা পড়েছিলেন পাবলিকের দৌড়ের মুখে। নেংটা করার সেই অভিযানে পাবলিকের স্বতঃস্ফূর্ততা দ্রষ্টব্য ছিলো। আমাদের দেশেও অবস্থাদৃষ্টে এখন মনে হচ্ছে পিতা তার নেংটাত্ব-র জন্য স্ত্রী, সন্তানের কাছে, আত্মীয়-পরিজনের কাছে মোটেই লজ্জিত না। তাদের পুত্র-কন্যারাও তাদের পিতার এ হেন অস্বাভাবিক বিত্ত অর্জনে মোটেই বিব্রত না। বরং গর্বিত। তাদের স্ত্রীরাও আহ্লাদিত ও যারপরনাই পতিভক্ত। আগে আমাদের একটা স্থানীয় সুশীল সমাজ ছিলো। এখন নেই। নেংটা হওয়ার প্রতিযোগিতায় সবাই কোশেশ করছে। তাই, সময় কোথায় সময় নষ্ট করার?
সরকারি আধিকারিকরা আজকাল নেংটা প্রতিযোগিতার হেভিওয়েট ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তারা এতকাল তলে তলে যাই করতেন তা নিয়ে পাবলিকের ঔৎসুক্য ছিলো না তেমন। এখন যা কেচ্ছাকাহিনী বেরোচ্ছে তাতে কারো জননেন্দ্রিয়টুকুও ঢাকা আছে কিনা তা নিয়েও সংশয় আছে। বিল গেটস, আদানী, আম্বানীদের প্রায় কাছাকাছি যাওয়ার প্রতিযোগিতায় তারা আজকাল ভীষণ বেপোরোয়া ও নেংটা। দেশে বিদেশে তাদের সম্পদের পাহাড় ও স্তুপীকৃত ডলারের পরিমাণ দেখে-শুনে চক্ষু বিস্ফারিত না হয়ে পারে না। তাদের বিরুদ্ধে যত্রতত্র জননেন্দ্রিয় ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। নেংটা হলেও আধিকারিকরা তা মানতে নারাজ। তারা প্রকাশ্যে এসে, সাংবাদিক ডেকে এনে বাগাড়ম্বর করেন, নিজেদেরকে প্রায় ভূমিহীন বলে প্রমাণে সচেষ্ট থাকেন। অথবা যা কিছু সম্পদ রিটার্ণে প্রদর্শন করা আছে তা তাদের জমিদার পিতামহের মাটির তলায় সিন্দুকে পুতে রাখা অঢেল সোনার মোহর আর জমিদার শ্বশুর মশায়ের ভালোবাসার নিদর্শন স্বরূপ প্রাপ্ত। তাদের গলা এতটাই চড়া যে ভাবটা এমন যেন সাফাই সাক্ষ্য দিলেই সব জলবৎ তরলং হয়ে যাবে। অথচ তারা এটা খেয়াল করেন না যে, এতে করে মিডিয়ার গোস্যা আরো বাড়ে। তারাও তখন ঝাঁপিয়ে পড়ে সাগর সিঞ্চন করে মনিমানিক্য তুলে আনতে। বলাবাহুল্য, তারা এখন নিজেদের নেংটিটুকু ঠিক আছে কিনা তা নিয়ে শীত কাঁপনে জর্জরিত।
মিডিয়া আগে থেকেই দেউলিয়া প্রায়। একমুখী ঢেঁড়া পেটাতে ও লেজুড়বৃত্তিতে তারা অষ্টপ্রহর ব্যস্ত। কোন নিউজ ইচ্ছেকৃত উস্কে দেওয়া, আবার কোন নিউজ সীলগালা করে চেপে যাওয়া আর অফলাইন-অনলাইনে বোঝাপড়ার সংস্কৃতিতে পড়ে তাদের আজ বিবস্র দশা। পাবলিক এদেরকে এভাবেই জানে, এভাবেই চিনে।
বুদ্ধিজীবী শ্রেণী আগে বেশ কেতাদুরস্ত ছিলো। কমপিটিটিভ মার্কেটে টিকে থাকার দৌড়ে তারাও আজ তাদের পরিচ্ছেদ পরিত্যাগ করে সামনের কাতারে দণ্ডায়মান। তারা আজ এতটাই উলঙ্গ যে তাদের কথাবার্তা শুনলেই পাবলিক বুঝতে পারে ‘ডাল মে কুচ কালা হ্যায়’। ব্যবসায়ীরা বরাবরই বাণিজ্যের পাটিগণিতটা ভালো বুঝে থাকেন। আজকাল এরা সি-িকেট আশ্রিত হয়ে কখনো ঘোষণা দিয়ে, কখনো বিশেষ বিশেষ পার্বন বা সময়কে পুঁজি করে বারবার প্রমাণ করে থাকেন যে তারা বর্তমানে কতটা নেংটা আছেন আর ভবিষ্যতে কতটা হতে পারেন। তাই, পাবলিক এগুলোতে আর গা করে না। আওয়াজও তুলে না। দেখার কেউ নাই, তাই।
শিল্পী-সাহিত্যিকরা স্বভাবগতভাবেই কিছুটা লাজুক প্রকৃতির হয়ে থাকেন। তারা বরাবরই অল্পে তুষ্ট হয়ে কর্মে নিষ্ঠ থাকতেন। এখন তার ঠিক উল্টো। এদের পুঁজি তাদের ফেস ভ্যালু আর উপর মহলের সর্বত্র অবাধ প্রবেশাধিকার। পদ, পদবী, পুরষ্কার – এই তিনের কাঙ্গাল সাহিত্যিক, শিল্পীরা এখন শিল্প ছেড়ে কলার পিছু পিছু দৌড়াদৌড়ি করছে। কলা পুষ্টিকর সন্দেহ নাই। কিন্তু আরাধ্য সেই কলা পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। নেংটিটুকুও যে তাদের গতরের সাথে নেই সেটাও তারা উপলব্ধি করতে পারছেন না। সেলিব্রেটি তকমাধারীদের অবশ্য নেংটানেংটি খেলা নিয়ে মাথাব্যথা নেই। তারা এতে অভ্যস্ত। আরো ধাতস্থ হতে প্রতিযোগিতায় লিপ্ত।
দেশে এখন কোন শিল্প চর্চা নেই, যাও আছে সেটা সিণ্ডিকেটের খপ্পরে। পরিবেশ উপযোগী তেমন সিনেমা হলের সংখ্যা খুবই কম। সিনেমার সংখ্যা আরো কম। নাটক পাড়ায় রাজ্যের খরা চলছে। চ্যানেলের আধিক্যে আর বিজ্ঞাপনের জোয়ারে চ্যানেলগুলোর দুর্দশার কথা সবার জানা। অনলাইন সেলিব্রেটিদের কথা তো আর বলে ব্যাখ্যা করে বোঝাবার দরকার নেই। আমরা যে কতটা নেংটা হয়ে গেছি তার পারফেক্ট প্যারামিটার হলো অনলাইন সেলিব্রেটি কালচার। এখন আবার নতুন উপদ্রব শুরু হয়েছে। এই সব সেলিব্রেটিরা এখন একে অপরের নেংটি নিয়ে টানাটানি করছে। পাবলিক এইসব উত্তেজক কাহিনী ও রমরমা দৃশ্য দেখে বেজায় উৎফুল্ল। এরা লাইভে এসে কান্না করলেও পাবলিক হাসে, উঁকি মেরে দেখে নাভীমূল দৃশ্যমান কিনা। আর হাসাহাসি করতে দেখলে মুগ্ধ হয়ে দেখে কি পরিমাণ নেংটা হলে এরকম কিছু করা সম্ভব!
আমাদের অবস্থা এখন বাস্তবেই এরূপ। প্রতিদিন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নেংটা হওয়ার এসব খবর চাউর হচ্ছে। তা নিয়ে টক অব দ্য কান্ট্রি সরগরম থাকছে, গসিপ হচ্ছে, পক্ষে-বিপক্ষে কথা চালাচালি হচ্ছে। তারপরেও কেউ গায়ে মাখছে না। সবারই বিশ্বাস দিনশেষে সাময়িক টেনশন আর কিছু ভোগান্তি ছাড়া তেমন কিছুই হবে না। কথাগুলো যতটা সহজে বলা যায়; এর দীর্ঘমেয়াদি পরিণতি ততটা সহজ না। বলছিলাম নেংটা দশা নিয়ে। নেংটাদের সংশ্রবে গেলে নেংটাকে আর নেংটা মনে না হওয়াই স্বাভাবিক। এ প্রসংগে একটা গানের কথা মনে পড়ে গেলো, বাবা তোমার দরবারে সব পাগলের খেলা। তবে কি আমরা সবাই নেংটা হতে যাচ্ছি?
অশান্ত ও অসুস্থ এ বাতাস একদিন থেমে যাবে। আমরা আবার একদিন শান্ত হবো, সুস্থও হবো। হয়ত এর জন্য আমাদেরকে চরম মূল্যও দিতে হবে। যারা যেখানে দেখভাল করার দায়িত্ব নিয়ে বসে আছেন, আল্লাহর ওয়াস্তে হয় সুচারুরূপে দায়িত্ব পালন করুন নয়ত জায়গা খালি করে নতুন রক্তকে সুযোগ দিন ঘুরে দাঁড়াবার। যার যার ধর্ম বিশ্বাসে শানিত হই, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত সামাজিক রীতিনীতির অনুসরণে ব্রতী হই। সমাজের কাছে দায়বদ্ধ হই। প্রতিষ্ঠান গুলোকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলি। শৃঙ্খলার চর্চা করি। ভালো দৃষ্টান্ত স্থাপনে উদ্যোগী হই। ত্যাগের মানসিকতা না থাকলেও যেন গ্রাসের জিহ্বা লকলক না করে। বিষয়গুলো খুবই বায়বীয় ও আকর্ষণীয় শব্দগুচ্ছ বলে মনে হতে পারে। তবে তা অর্জন মোটেই দু:সাধ্য নয়। প্রয়োজন সঠিক নেতৃত্ব, ঘুরে দাঁড়াবার প্রত্যয় ও তার যথাযথ অনুসরণ। সবার সুবোধ জাগ্রত হোক।
লেখক: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা
সারাবাংলা/এসবিডিই