৭৫ বছরে আওয়ামী লীগ: অর্জন ও জনপ্রত্যাশা
২৩ জুন ২০২৪ ১২:৩৭
গণতান্ত্রিকভাবে জন্ম নেওয়া উপমহাদেশের সবচেয়ে প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল এবং বর্তমান ক্ষমতাসীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবার ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্য একটি বিশেষ দিন। কারণ, এই দিনে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ঐতিহ্যবাহী এই রাজনৈতিক দলটি।
১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ বিভক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। এরপর ১৯৪৮ সাল থেকে ঢাকায় মুসলিম লীগের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতেন মাওলানা আকরাম খান এবং খাজা নাজিমুদ্দিন। সোহরাওয়ার্দী ও আবুল হাশেম নেতৃত্বাধীন বঙ্গীয় প্রাদেশিক মুসলিম লীগের অনুসারী যে প্রগতিশীল নেতারা ছিলেন, তারা তখন সেখানে নিজেদের অবহেলিত মনে করছিলেন। তখন তারা মোঘলটুলিতে ১৫০ নম্বর বাড়িতে একটি কর্মীশিবির স্থাপন করেছিলেন। সেখানে তারা একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করার কথা চিন্তা করছিলেন। কলকাতা থেকে এসে শেখ মুজিবুর রহমান তাদের সঙ্গে যুক্ত হন। তখন টাঙ্গাইলে প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ পদত্যাগ করার কারণে শূন্য হওয়া একটি উপনির্বাচনে দুই দফায় মুসলিম লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছিলেন মাওলানা ভাসানী এবং শামসুল হক। কিন্তু তাদের দু’জনের নির্বাচনী ফলাফলই অবৈধ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
তখন তারাও এসে এই মুসলিম কর্মীদের সঙ্গে মিলে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করার কথা ভাবতে শুরু করেন। তারা একটি সভা ডাকেন। সেই সভা ডাকার প্রস্তুতি কমিটির সভাপতি ছিলেন মাওলানা ভাসানী আর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন ইয়ার মোহাম্মদ খান। কিন্তু সেই সভা করার জন্য কোনো অডিটোরিয়াম পাওয়া যাচ্ছিলো না। তখন ঢাকার টিকাটুলির কেএম দাস লেনের কাজী হুমায়ুন রশীদ তার মালিকানাধীন রোজগার্ডেনে সভা করার আহবান জানান।
সেখানেই ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন বিকেলে ২৫০-৩০০ লোকের উপস্থিতিতে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর প্রস্তাব অনুযায়ী সেই দলের নামকরণ করা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’। সেই সঙ্গে পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংগঠনটির নাম রাখা হয় ‘নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’, যার সভাপতি হলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।
নব্য গঠিত ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের’ সভাপতি হলেন মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। সহ-সভাপতি হলেন আতাউর রহমান খান, আলী আমজাদ খান, আহমেদ আলী খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আবদুস সালাম খান। সাধারণ সম্পাদক হলেন টাঙ্গাইলের শামসুল হক। ট্রেজারার হন ইয়ার মোহাম্মদ খান, যার মালিকানাধীন রোজগার্ডেনে প্রথম সভার আয়োজন হয়। তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান তখন কারাগারে আটক থাকলেও তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এভাবেই প্রথম ৪০ জনের কমিটি গঠিত হয়। তবে পরবর্তীতে তাদের অনেকে আর আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকেননি।
দলের নামের সঙ্গে মুসলিম শব্দটি থাকায় পরবর্তীতে কেউ কেউ আপত্তি করছিলেন। এ নিয়ে দলে বেশ একটি বিরোধ তৈরি হয়েছিল, যে মুসলিম শব্দটি থাকবে নাকি থাকবে না। তখন হিন্দু এবং মুসলিম আসনে আলাদাভাবে নির্বাচন হতো। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় একটা সমঝোতা হয়েছিল যে, এই দলটি একটি অসাম্প্রদায়িক দল হবে। ওই নির্বাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে ২২৩টি আসন পায় যুক্তফ্রন্ট, যা পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সঙ্গে কৃষক শ্রমিক পার্টি, পাকিস্তান গণতন্ত্রী দল, পাকিস্তান খেলাফত পার্টি আর নেজামে ইসলামী পার্টির সমন্বয়ে গঠিত হয়েছিল। আওয়ামী মুসলিম লীগ পেয়েছিল ১৪৩টি আসন।
যুক্তফ্রন্টের প্রধান তিন নেতা ছিলেন মাওলানা ভাসানী, একে ফজলুল হক এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। যদিও মাওলানা ভাসানী দলকে অসাম্প্রদায়িক করতে মুসলিম শব্দটি বাদ দেওয়ার জন্য জোর দিচ্ছিলেন, কিন্তু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী চাইছিলেন যে মুসলিম শব্দটি থাকুন। কারণ, তার ভয় ছিল এটা বাদ হলে পশ্চিম পাকিস্তানে জনপ্রিয়তা কমে যাবে।
১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ের পর ১৯৫৫ আওয়ামী মুসলিম লীগে যে কাউন্সিল হয়, সেখানে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয়া হয়। ফলে অমুসলিমরাও এই দলে যোগ দেয়ার সুযোগ পান। তবে পূর্ব-পাকিস্তান শব্দ দুইটি বাদ পড়ে ১৯৭১-এ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে। বাংলাদেশে স্বাধীনতা ঘোষণা করার পর থেকে প্রবাসী সরকারের সব কাগজপত্রে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নাম ব্যবহার হতে শুরু করে।
আওয়ামীলীগ ভাঙনের ইতিহাস:
১৯৫২ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক অসুস্থ হয়ে পড়লে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান শেখ মুজিবুর রহমান। পরের বছর ঢাকার মুকুল সিনেমা হলে পূর্ব-পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্মেলনে তাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। তবে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে মত-পার্থক্যের কারণে ১৯৫৭ সালে এই রাজনৈতিক দলটিতে ভাঙন দেখা দেয়।
সে সময়ে আওয়ামী লীগ ছিল পাকিস্তানের সরকারে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের কয়েকটি সামরিক চুক্তি হয়। সিয়াটো এবং সেন্টো সামরিক জোটে পাকিস্তান সদস্য ছিল। মাওলানা ভাসানী এবং দলের মধ্যে থাকা বামপন্থীরা চাপ দিচ্ছিলেন যাতে আওয়ামী লীগ মার্কিন সামরিক জোট থেকে বেরিয়ে আসে। সোহরাওয়াদীকে মার্কিন চুক্তির সমর্থক বলে মনে করা হতো। পাক-মার্কিন সামরিক চুক্তি বাতিলের দাবি করছিলেন মাওলানা ভাসানী, কিন্তু তাতে রাজি হননি প্রধানমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী।
ওই বিরোধের একটা পর্যায়ে এসে টাঙ্গাইলের কাগমারিতে দলের যে সম্মেলন হয়, সেখানে মাওলানা ভাসানীর প্রস্তাবটি ভোটাভুটিতে হেরে যায়। এরপর ১৮ই মার্চ পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন মাওলানা ভাসানী। সেই বছর ২৫শে জুলাই তিনি ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) গঠন করেন। আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে অনেক নেতা তার নতুন দলে যোগ দেন, যাদের মধ্যে ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইয়ার মোহাম্মদ খানও। তখন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হন মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ। সাধারণ সম্পাদক হিসাবে থাকেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
১৯৬৪ সালে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগ আবার পুনর্গঠন করা হয়। তখন আওয়ামী লীগের সভাপতি হওয়ার জন্য তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে অনুরোধ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কিন্তু মানিক মিয়া তাতে রাজি হননি, কারণ তিনি লেখালেখি-সাংবাদিকতা নিয়ে থাকতে চেয়েছিলেন। জাস্টিস মোহাম্মদ ইব্রাহিম নামের সাবেক একজন মন্ত্রীকেও অনুরোধ করা হয়েছিল, কিন্তু তিনিও সভাপতির দায়িত্ব নিতে রাজি হননি। তখন ১৯৬৪ সালের কাউন্সিল সভায় মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশকে পুরোপুরি সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক থেকে যান।
কিন্তু ১৯৬৬ সালে ছয় দফা কর্মসূচী ঘোষণা করার পর মাওলানা তর্কবাগীশসহ অনেকেই তার বিরোধিতা করেন। ওই বছর মার্চ মাসে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল মিটিংয়ে শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক হয়েছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ। যারা ছয় দফার বিরোধিতা করেছিলেন, তাদের অনেক নেতাই আওয়ামী লীগ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। সেই নেতৃত্বের হাত ধরেই বাংলাদেশ পরবর্তীতে সব ধরনের আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়।
এদেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে আওয়ামী লীগের ভূমিকা গৌরবোজ্জ্বল। ৫২-র ভাষা আন্দোলন, ৬২-র ছাত্র আন্দোলন, ৬৬-র ছয় দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর যুগান্তকারী নির্বাচন আর ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা আন্দোলন—সবখানেই আওয়ামী লীগের কার্যকরী ভূমিকা ছিল।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে অনেক চড়াইউৎরাই পেরিয়ে দীর্ঘ ৭৫ বছর ধরে একটা দল টিকে আছে তার স্বমহিমায়। এর অন্যতম কারণ যোগ্য নেতৃত্ব। নেতৃত্ব একটা দল টিকে থাকার প্রধান হাতিয়ার। আর যোগ্য ও সঠিক নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে গণমানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনের মাধ্যমে একটি দল যুগ থেকে যুগান্তরে টিকে থাকতে পারে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তার জ্বলন্ত উদাহরণ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে যোগ্য নেতৃত্বের উদাহরণ। বর্তমান আওয়ামীলীগের হাল ধরে রেখেছেন তার সুযোগ্যকন্যা বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রধান নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অতিক্রম করে এখন পর্যন্ত নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে পেরেছে এটা দলের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। ঐতিহ্যবাহী দলটির বর্তমান নেতৃত্বে আছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মতো নেতৃত্বে তার বিচক্ষণতা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তার ক্ষমতাকালীন সময়ে তাকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হয়েছে।
দেশী-বিদেশী অনেক ষড়যন্ত্র তিনি তার বিচক্ষণতায় প্রতিহত করেছেন। পদ্মা সেতু তার জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। যেখানে পুরো বিশ্ব বলেছিল পদ্মা সেতু সম্ভব না, সেখানে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা তা সম্ভব করে দেখিয়ে দিয়েছেন। পুরো বিশ্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তিনি নিজ দেশের অর্থায়ন ও সামর্থে পদ্মা সেতু করে দেখিয়েছেন। এটা আওয়ামী লীগের বড় অর্জন। যাতে পুরো বিশ্ব অবাক হয়েছিল।
আওয়ামী লীগের বর্তমান সময়ে দেশে অবকাঠামোগত উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো জনগুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে আরও উন্নয়ন প্রয়োজন। সর্বাগ্রে নিশ্চিত করা প্রয়োজন “মান”। তাছাড়া নাগরিকদের সার্বিক অধিকার নিশ্চিতকরণে এবং নাগরিকদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্যও কার্যকর পদক্ষেপ প্রয়োজন। বর্তমানে দুর্নীতি ও লুটপাট বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সব বিফলে যাচ্ছে এমন লাগামহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে। প্রায় সব খাতই এখন কমবেশি দুর্নীতিতে জর্জরিত। দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করতে পারাই এখন আওয়ামী লীগের বড় চ্যালেঞ্জ।
বঙ্গবন্ধু যেমন বলিষ্ঠ কন্ঠে অন্যায়, অনিয়ম, শোষণ, নির্যাতন, দুর্নীতি, অপনীতি, অপরাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকে গণতন্ত্র ও সুশাসনের জন্য জেল-জুলুম এবং লড়াই করে গণমানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে নিজের নাম অঙ্কিত করেছেন, “রাজনীতির কবি” অভিধায় ভূষিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও পিতার সে পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন রাষ্ট্র পরিচালক হিসেবে সে প্রত্যাশা আমাদের সবারই। তাছাড়া তাকে দলে অনুপ্রবেশেকারীদের সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। প্রকৃত ও ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করতে হবে, হাইব্রিডদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। “সর্ষের ভেতর ভূত” ঢোকার ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে। তার সুমহান নেতৃত্বে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ। গড়ে উঠুক “বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ”। ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আওয়ামী লীগের প্রতি শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
লেখক: কলামিস্ট
সারাবাংলা/এসবিডিই