নারীর স্বাধীনতা কবে?
২৮ জুন ২০২৪ ১৯:০৪
আধুনিক যুগে এসেও নারী স্বাধীনতা নিয়ে আন্দোলন করতে হয়। উন্নত নাগরিক মানব সভ্যতার সবচেয়ে লজ্জাজনক দিক বোধ হয় এটিই। জন্ম থেকে স্বাধীনতা পাওয়া মানুষটিকে অবলা বলে চিহ্নিত করে অদৃশ্য শিকল পরিয়ে দেয় এই সমাজ। তবে এই সমাজ কে, কাদের নিয়ে গঠিত তা-ই এখন প্রশ্নবিদ্ধ।
আমরা মুখে স্বাধীনতার কথা বলি ঠিকই, কিন্তু স্বাধীনতা কি তা আজও জানি না। আমাদের দেশে এখন অনেক নারীই শিক্ষিত। তবুও সকলেই প্রকৃতপক্ষে স্বাধীন নয়। আমরা কি সব সময় সব জায়গায় প্রতিবাদের মুখ খুলতে পারি না। এদেশে নারীরা প্রথমে তার পরিবার থেকেই বৈষম্যের স্বীকার হয়। শুরুতে বাবা, ভাইয়ের কড়া শাসন, এরপর স্বামীর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে অবশেষে স্ব-পুএ দ্বারা শাসিত হওয়াই অধিকাংশ বাঙালী নারীর জীবনচক্র।
সকলের সব সিদ্ধান্ত বিনাবাক্যে মেনে নেওয়াই যেন নারীর ধর্ম। তাহলে নারীর ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য প্রকাশের সুযোগ থাকে না, সকল ক্ষেত্রে স্বাধীনতা ও থাকে না।
আজকের সমাজ বিগত শতাব্দীর চেয়ে অনেক বেশি সভ্য, আধুনিক। তবুও নারীরা বিনা বাধায় তার ভাঈদের সমান পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকার পায় না। ২৫ বছরের অবিবাহিত ছেলের প্রতি সমাজের যে দৃষ্টিভঙ্গি, ২৫ বছরের অবিবাহিত মেয়ের দিকে সমাজ সেই সমদৃষ্টিভঙ্গি দেখায় না। তবুও নারীরাই পারে এগিয়ে যেতে। এগিয়ে দিতে গোটা সমাজ তথা বিশ্বকেও। আমি নারী। আমি পারি। রোজ সমাজের কটু কথার বোঝা নিয়ে এগিয়ে যাবো তবুও। আমার স্বাধীনতা আমিই নিশ্চিত করবো। আমি যা করতে চাই তা করতে পারাটাই আমার স্বাধীনতা।
স্বাধীনতা বলতে সচেতন ও আত্মনির্ভরশীল করে লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। জীবনের সকল সিদ্ধান্ত নিজে নিতে পারাটাই স্বাধীনতা। তাই সকল নারীর হয়ে এই সমাজকে বলা উচিৎ, কটু কথায় নারীকে শিকল পরাতে পারবেন না।
লেখক: শিক্ষার্থী
সারাবাংলা/এজেডএস