সরকার পতনে সংগঠিত ষড়যন্ত্র
৩০ জুন ২০২৪ ১৬:০৬
কলম সবসময় তলোয়ারের চেয়ে শক্তিশালী ছিল, এমন প্রাচীন মতের সাথে কারো বিরোধিতা ছিল না। সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিবর্তনের উপায় হিসাবে সহিংসতার চেয়ে লিখিত ধারাভাষ্যের ভুমিকা ইতিহাসের প্রতিষ্ঠিত সাংস্কৃতিক শক্তি হিসাবে প্রমাণিত অস্ত্রও।
হাজার হাজার বছর ধরে লেখকশ্রেণি কিংবা আরো পরে সংবাদকর্মীবৃন্দ এক ধরণের রাজনৈতিক আবহে যেয়ে সাংস্কৃতিক মনবোধের সাথে সাংবাদিকতার শর্তও পূরণ করতো। অর্থাৎ, সবিশেষ অস্ত্রের রুপক বৈপরীত্যে থেকে এমনই কৃষ্টি, যা এক ধরণের অভিব্যক্তি নির্দেশ করে। যেন, দ্বান্দ্বিক একটি দৃষ্টিভঙ্গি এবং তা সমাধানের রাস্তা দেখিয়ে শুধু যুক্তি কিংবা ব্যাখা প্রদর্শন করে না, পাল্টে ফেলার সমীকরণ দাঁড় করিয়ে দেয়।
দুঃখ কিংবা কষ্টের সংবাদ এবার প্রেরণ করি। তা হল, আজকের সাংবাদিকতায় কালিকে পৃষ্ঠপোষকতা করা হয়। সংবাদমাধ্যমের রঙ সংযোজনের বৃদ্ধিতে ইলেক্ট্রনিক সাংবাদিকতায় মৌখিক ধারাভাষ্যের নেপথ্যেও নিউজ আউটলেট কিংবা সংবাদকর্মীকে ক্রয় করার হিড়িক আছে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় মুলধারার রাজনীতিকে উপড়ে ফেলার প্রাণান্ত চেষ্টার একটা উল্লেখযোগ্য অধ্যায়ের অপঅস্ত্র, বরাবরই সংবাদমাধ্যম। ফলত রাজনৈতিক পর্যায়ের দেশি ও বিদেশি অপশক্তি আমলা এবং সরকারী সংস্থার প্রভাবশালীদের মাধ্যমে পরিকল্পিত পন্থায় গুটি কয়েক সংবাদমাধ্যমের পৃষ্ঠপোষকতা করে তখন। একটি জনগণের দলকে নন্দিত থেকে নিন্দিত করার সকল কৌশল তারা গ্রহণ করে। নেপথ্যে মাস্টারমাইন্ড পঞ্চাশ বছর আগেও ছিল, এখনও আছে।
অপরদিকে পাঠকশ্রেণির বেশ বড় অংশ প্রতিবিপ্লবের আশায় দিন গুনতে থাকে। পিপলস লাভ কন্সপিরেসি থিওরিজ ! জনশ্রেণির একটা অংশ তখন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সামরিক ব্যক্তিবিশেষের ক্ষমতা গ্রহণের অনভিপ্রেত বিরাজনীতিকরণের উদ্যোগকেও স্বাগত জানায়। কারণ, নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক রেখে এমন করেই ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়, যাতে করে মানুষের শাসকশ্রেণির ওপর ঘৃণা জন্মায়। বলাবাহুল্য, তা সংবাদমাধ্যমের ওপর ভর করেই অযাচিত মিশনের প্রস্তুতি চলতে থাকে।
এদিকে প্রতিবেদনগুলো সাজানো হয় এমনভাবে, যাতে করে সাধারণ মানুষ মনে করতে পারে যে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল নয়, শীর্ষ রাজনীতিকদের স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি সব চলছে, তারা সাধারণ মানুষের কথা ভাবছে না। ইত্যাদি, ইত্যাদি — ব্যাস! অরাজনৈতিক শক্তি ক্ষমতার স্বাদ নিয়ে ফেলে তখন। এরপরে তারা কথিত গণতন্ত্রের নীতিপুষ্ট বিশিষ্টতাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে নিজেদেরকে গণতন্ত্রমনা দল হিসাবে ঘোষণাও করে। তেমন অভিযাত্রায় থেকে দুই সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ বাংলাদেশকে শাসনও করেছেন।
হালে, পূর্বেকার মত করে সরকার পতনের জন্য সংগঠিত ষড়যন্ত্রের জাল ফেলা হয়েছে বলে মনে করার সুযোগ আছে। বরাবরের মত করে বিচ্ছিন্নভাবে কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের উপর আস্থা রাখা হচ্ছে। অতি অবশ্যই তেমন দিকটি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো থেকে আদেশক্রমে অনুরোধ হিসাবে নয়। সংস্থাগত জায়গা থেকে তারা রাষ্ট্র ও সরকারের পক্ষে আছে বলে অনুমিত হয়। তবে বিচ্ছিন্নভাবে সংস্থাগুলোর প্রভাবশালী কর্মকর্তাবৃন্দ কোন একটি রাজনৈতিক অপশক্তির হয়ে সরকার দল আওয়ামী লীগ হটাও প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে বলে মত আমার। যা গেল প্রায় পনেরো বছরে দেখা যায় নি।
বাংলাদেশের মৌলবাদী শক্তি, জঙ্গিবাদের ধারকদের গতিবিধি সম্যক তথ্য সব সময়েই রাষ্ট্রকে প্রদান করার অনুশীলনে থেকেছি। ২০১৫-১৬ সালে অধ্যাপক আলী রিয়াজের তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তির স্বপ্ন কিংবা ফরহাদ মজহারদের কথিত ইসলামী বিপ্লব করার অন্তরায় বা বাঁধা হিসাবে আমার সাধারণ ভুমিকা ছিল বলে মনে করি। এমন কি শিশুতোষ পর্যায়ের ধারাভাষ্য হবে কি না বলতে পারব না — তবে এটা সত্যি যে, আজকের তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাতের সাথে একটি টক শোতে চরম বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন প্রয়াত অধ্যাপক পীয়াস করিম। এরপর অধ্যাপক পিয়াসকে লক্ষ্য করে ওই গভীর রাতেই একটি কলাম রচনা করি। লেখাটি প্রকাশের পরে বিকেলের দিকে অধ্যাপক পীয়াস মুঠোফোনে আমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁকে কিছু কথা বলি। নৈতিকতার শিক্ষা দিয়ে বেগম জিয়ার তাবেদারী করা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য উপযুক্ত কথামালায় সিক্ত হলে, তিনি নির্বাক হয়ে কথাগুলো শুনতে থাকেন। বলাবাহুল্য, সেদিনই অধ্যাপক পীয়াস করিম গ্রহান্তরীত হন!
লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, দেশের দু’একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেল ও দুই ততোধিক জাতীয় দৈনিক সেনাবাহিনী ও পুলিশ প্রশাসনের সাবেক শীর্ষ পদধারী ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে দুর্নীতি সমাচার ইস্যুতে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রস্তুতে অতি সচেষ্ট আছে। যার ফলশ্রুতিতে অন্যান্য সংবাদমাধ্যমও আর বসে নেই। এতে করে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও অসাধারণ পর্যায়ের সফল পুলিশ প্রশাসনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ তো হচ্ছেই, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মুখেও হাসি ফিরছে, ফিরছে বিএনপির মত নখদন্তহীন বুর্জোয়া শক্তির অকার্যকর নেতৃবৃন্দের ঠোঁটের কোণেও কটাক্ষের হাসি। তবে ক্ষতি যা হবার, ঘুরেফিরে আওয়ামী লীগের হয়েছে। রাজনৈতিক কর্মী তাঁরা না হলেও রাষ্ট্রের কর্মী হিসাবে ওই সকল কর্মকর্তাদের প্রতি মানুষের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালবাসা ছিল। যা এখন এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে, সরকার অজনপ্রিয় হয়ে ওঠার শংকায় আছে। এখানেই সেই মাস্টারমাইন্ড জিতে যাচ্ছে।
অন্যদিকে সম্প্রতি প্রবল ইমেজসম্পন্ন রাজনৈতিক নেতাকেও টার্গেট করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বদলে যাওয়া রাজশাহীর রুপকার এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে নিয়ে মিথ্যে, বানোয়াট, অর্থহীন পর্যায়ের কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এখানেও কোন একটি শক্তি সরকার পতনের জন্য ধীরে ধীরে ক্ষেত্র প্রস্তুতকরত এই প্রতিবেদন করার পেছনে ভুমিকা রেখেছেন বলে সূত্র দাবী করছে।
আঞ্চলিক পর্যায়ে শিবলী নোমান নামের এক ব্যক্তি, যাকে বিরাট অংকের অর্থ দিয়ে কারা এই প্রতিবেদন করিয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে। নোমান কে সংবাদকর্মী বলাই যাবে না, কারণ, সাংবাদিকতার সাধারণ শর্ত পূরণ করতেও তার অনীহা। বুক ফুলিয়ে তিনি নাকি উপমহাদেশের একটি দেশের ঢাকাস্থ দূতাবাস থেকে নিয়মিত মাসোহারা পান, আর তা দিয়েই তিনি চলেন, তা বলে বেড়াতে তিনি নাকি অভ্যস্ত! প্রশ্ন হল, এই নোমানদের পেছনে ছোটখাটো কোন শক্তি নেই। এদের পেছনে বাংলাদেশ বিরুদ্ধ বড় কোন শক্তি রয়েছে।
বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার পরিবারকে নিয়ে কথা বলা যায় না। যাবে না। উপরন্ত আওয়ামী লীগের পরিচ্ছন্ন ও সজ্জন চরিত্রের নেতাদের মধ্যে যেক’জন উল্লেখযোগ্য পর্যায়ের জাতীয় নেতা রয়েছেন, খায়রুজ্জামান লিটন তাঁর অন্যতম। তাঁর রাজনৈতিক জীবদ্দশায় এমন উদ্ভূত ঘটনা তিনি আর দেখেছেন কিনা, তা নিয়ে ভাবার অবকাশ রয়েছে। শিবলী নোমানের এমন ঔদ্ধত্যের পেছনে সরকার পতনের সংগঠিত ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা ও একটি ক্ষুদ্র পর্যায়ের আলামত হিসাবে দেখার সুযোগ আছে। জনশ্রেণিকে সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠানোর এমন অপচেষ্টাকে সহজভাবে নিলেও চলবে না। দায়িত্বশীল পর্যায়ের আইনি সংস্থাকে বলব, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।
সাংবাদিকতার সাথে জীবন ও পেশা, তেমন বাস্তবতার সাক্ষী হয়ে বলতে চাই যে, “সাংবাদিকতা তাদের জন্য অবৈধ হওয়া উচিত, যারা নিরপরাধ মানুষের জীবনকে আক্রমণ করে এবং লাভের জন্য মন্দকে রক্ষা করার লক্ষ্যে অস্তিত্বহীন পরিস্থিতির উদ্রেকে ভাসে। যদিও তারা কিছুই খুঁজে পায় না । কিন্তু, নির্মাণপটু।”
এদিকে হলুদ সাংবাদিকতাকেও ছাপিয়ে যায়, যখন তুমি গুপ্তচরবৃত্তি ও মিথ্যে তথ্য সরবরাহের মধ্যে বাস করে আত্মকেন্দ্রিক স্বার্থ ও অর্থ উদ্ধারের আয়োজনে ব্যস্ত থাকবে। সমাজের নোমানেরা নিকৃষ্ট সত্তা, যখন তিনি নগর হিসাবে এই দেশের শ্রেষ্ঠ শহর রাজশাহীকে নিয়ে প্রতিবেদন তৈরিতে মনোযোগি হন না। সফল নগরসেবক হিসাবে কিংবা রাজশাহী-কোলকাতা ট্রেন চলাচলের স্বপ্ন দেখার মানুষটিকে অভিনন্দন জানাতে কৃপণও থাকেন। মনে রাখতে হবে, “হলুদ সাংবাদিকতা বেগুনি হয়ে যায় যখন তৃতীয় পৃষ্ঠার শরণার্থী প্রথম পৃষ্ঠায় প্রদর্শিত হয়।”
একজন বিনয়ী, চিন্তাশীল, পরিচ্ছন্ন ও নম্র নাগরিক একজন গর্বিত রাষ্ট্রপতির চেয়ে ভাল। আবার সর্বশ্রেষ্ঠ নেতারাই সর্বশ্রেষ্ঠ সেবক। ষড়যন্ত্রকারী ছোট্ট প্রতিনিধি নোমানদেরকে বলতে চাই, সৈয়দ আশরাফের পর আওয়ামী লীগের যোগ্য নেতার নামই হল এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বিশ্বমানের দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার যোগ্য সৈনিক। উত্তরবঙ্গের সর্বশ্রেষ্ঠ সেবক কে নিয়ে যা করেছেন, মাশুল দিতে হবে। কার দেয়া প্রেসক্রিপশনে মজে গিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ক্ষতি কিংবা অতি সফল সরকারের পতনে কাজ করছেন, খুঁজে বের করা হবে। আমরা অবগত যে, “গরীবেরা স্বপ্ন দেখতে পারে। দুর্বলরা আশা করতে পারে। অসহায়রা চেষ্টা করতে পারে। আর নোমানদের মত ক্ষমতাহীনরা প্রতিবিপ্লব করতে যেয়ে রক্তপাতের রাজনীতি, অপকৌশলের ডার্টি পলিটিক্স করতে পারে।”
ডার্টি পলিটিক্সের অংশ হিসাবেই জনস্বার্থে রাজনীতি না করেও বিএনপি পুনরায় সময়কে কাজে লাগিয়ে মাঠে নামছে। পেছনে আছেন অর্থলগ্নিকারী হিসাবে নোবেল জয়ী সত্তা। কাজেই কালো টাকার যথেচ্ছ ব্যবহারে এখন বিএনপির নেতাকর্মীরা চাঙ্গা, নোমানের মত কথিত সাংবাদিকেরা চাঙ্গা, চাঙ্গা সেই আলী রিয়াজেরাও।
বিখ্যাত একটি মতবাদ আছে। তা হল, এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্ম হল পুঁজিবাদ। টাকা হল আমাদের দেবতা, লোভ হল আমাদের পুরোহিত। ব্যাংক হল আমাদের মন্দির এবং কেনাকাটা হল আমরা আমাদের উপাসনাকে কীভাবে কার্যত প্রকাশ করি ! — বাংলাদেশের প্রণীত সংবিধানে প্রকারন্তরে সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি কায়েমের কথা বলা হলেও ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষ থেকেই একশ্রেণির মানুষ গরীব বাঁচানোর কথিত লড়াইয়ে সামিল হয়ে বণিক শ্রেণির প্রতিনিধিত্ব বনে যান। পুঁজিবাদের রাজ্যে প্রবেশ করে তাদের ঘরে টাকা এলো, ব্যাংক হলো। সব হলো। রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিতেও তাঁর বা তাদের ইচ্ছে হলো। মূলধারার রাজনীতি করার সুযোগ না নিয়ে রাজনীতির বাঁকা পথে রওনা করে তাঁরা বাংলাদেশকে শাসন করতে চায়। হাতে রাখতে চায় তাঁরা নামধারী কথিত জাতীয়তাবাদী শক্তিকে। পশ্চিমাদের রাজনৈতিক স্বার্থ সংরক্ষণ করার সিদ্ধান্তে যেয়ে বাংলাদেশে বিরাজনীতিকরণের চেষ্টা তাই অব্যাহত রয়েছে। তেমন প্রতিবিপ্লব করতে হলে আওয়ামী লীগের মধ্যকার নেতাও তাদের দরকার। দরকার সচিবদের, সামরিক কর্মকর্তাদের আর নিউজ আউটলেটের কতিপয় সম্পাদক, প্রকাশক কিংবা অসৎ সংবাদকর্মীদেরকেও।
ভু রাজনীতির সাধারণ সংজ্ঞা প্রদান করতে যেয়ে বলা যায় যে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে রাজনৈতিক আচরণের ধরণ নিষ্পত্তি হয়ে স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বৈষয়িক ভবিষ্যদ্বাণী, যা অর্থবহ বৈদেশিক নীতি অধ্যয়নের মধ্য দিয়ে অর্জিত ভৌগলিক পরিবর্তনশীলতার পদ্ধতি। ২০২৫ সালের মাঝভাগ থেকে সারাবিশ্বে জলবায়ু মোকাবিলা ও প্রাকৃতিক সম্পদের ভাগ বাটোয়ারা থেকে বিশ্বনেতাদের ভু রাজনীতিতে ব্যস্ততা বাড়বে। বাংলাদেশ ও একজন শেখ হাসিনাকেও সময় বের করতে হবে। তখন এমন কিছু সিদ্ধান্ত দিতে হবে যে, বাংলাদেশের মিত্র রাষ্ট্রের সংখ্যা কমবে। প্রাসঙ্গিক বাস্তবতায় এখন থেকেই সেই হোমওয়ার্কের কাজ চলছে আওয়ামী লীগ বিরোধী শিবিরের। তারা সময় ও সুযোগের অপেক্ষায় আছে। আর এখন থেকেই তারা বাংলাদেশের মানুষকে বোঝাতে চাইবে যে, “আমরা সুখে নেই। সরকার দলের লোকেরাই কেবল ভাল আছে। “
সাধারণ মানুষকে ভাল রাখার ঝুঁকি নিতে জানেন শেখ হাসিনা। তিনি লড়ে যাচ্ছেন, যাবেন। যদিও দলটির হীরক জয়ন্তীর প্রাক্কালে অসংগঠিত মনে হল। ঠিক পরিপাটি নয়! এতে করে রাজনৈতিক অপশক্তি সুযোগ নিতে চাইছে। অসংগঠিত আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে একটি সংগঠিত ষড়যন্ত্র সত্যিই চলছে। দেশ ও বিদেশে।
লেখক: সাংবাদিক, গবেষক ও রাজনৈতিক ধারাভাষ্যকার
সারাবাংলা/এসবিডিই