Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

এপিআই কিভাবে ব্যাংকিং জগতে ভূমিকা রাখছে

মো. সাইফুল আলম তালুকদার
২৯ জুলাই ২০২৪ ১৬:৩৬

ডিজিটাল ব্যাংকিং বা ওপেন/উন্মুক্ত ব্যাংকিং নিয়ে যখন আপনি চিন্তা ভাবনা করবেন তখন ‘এপিআই’ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে আপনার সামনে দাঁড়ায়। এপিআই বর্তমানে সারা বিশ্বে ব্যাংকিং জগতে একটি আলোচিত নাম।

বিশেষ করে ডিজিটাল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিজিটাল লেন্ডিং (ডিজিটাল পন্থায় ঋণ প্রদান) করবার সময় এপিআই ঝুঁকি কমাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই এপিআই ইতোমধ্যে বৈশ্বিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনায় একটি অপরিহার্য উপাদান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ২০২৩ সালের একটি জরিপে প্রকাশিত হয়েছিল যে, ৮৮ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন, ২০১৯ সাল থেকে এপিআই ব্যাংকিং জগতে নতুন দিনের সূচনা করতে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এপিআই আসলে কী?

সংক্ষেপে, অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) হলো একটি সেট বা নিয়মাবলী যা নির্দিষ্ট করে কিভাবে সফটওয়্যার একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। একটি ফ্রন্ট-এন্ড অ্যাপ্লিকেশন এপিআইয়ের মাধ্যমে অন্য একটি দ্বিতীয় মাধ্যমকে তথ্য বা কার্যসম্পাদন করার অনুরোধ করতে পারে, যা পরবর্তীতে ওই দ্বিতীয় পক্ষ বা মাধ্যম প্রমাণীকরণ ও প্রক্রিয়াকরণ সহযোগে ব্যাক-এন্ডে অনুরোধটি সম্পন্ন করে এবং ফ্রন্ট-এন্ডে ফলাফল প্রকাশ করে।

ব্যাংকিং এপিআইগুলো কী কী প্রকারের হতে পারে?

ব্যাংকিং এপিআই বিভিন্ন প্রকারের হতে পারে, যা ব্যাংকিং সেবা এবং পণ্যের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ব্যবহৃত হয়। এই এপিআইগুলোকে প্রধানত কয়েকটি প্রকারে ভাগ করা যেতে পারে।

  • অভ্যন্তরীণ এপিআই: এটি বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সিস্টেমগুলো, যেমন গ্রাহকের বিবরণ, অ্যাকাউন্টের তথ্য, লেনদেনের ইতিহাস এবং মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে।
  • পার্টনার এপিআই: যা ঋণদাতার সিস্টেমগুলিকে অনুমোদিত তৃতীয় পক্ষের সিস্টেমগুলির সাথে সংযুক্ত করে, যেমন অনলাইন মার্চেন্টস, পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার, ব্যাংক, ফিনটেক, বিমাকারী, সম্পদ ব্যবস্থাপক ইত্যাদি।
  • ওপেন/উন্মুক্ত এপিআই: এটি তৃতীয় পক্ষ দ্বারা বিভিন্ন তথ্য ব্যবহার বা কার্যসম্পাদনের জন্য প্রকাশিত হয় এবং তার জন্য ব্যবহারের শর্তাবলী থাকে। এগুলোর আরও উদাহরণ হচ্ছে তৃতীয় পক্ষের পরিষেবা সংশ্লেষ, গ্রাহক সম্মতি ব্যবস্থাপনা, গ্রাহকের পরিচয় যাচাই, ক্রেডিট স্কোরিং ইত্যাদি তথ্য গ্রহণ এবং অন্তর্ভুক্ত করতে পারা।

এছাড়াও অনেক এপিআই আছে, যেগুলো ব্যাংক এবং গ্রাহকদের মধ্যে সহজ, দ্রুত এবং নিরাপদ আর্থিক লেনদেন নিশ্চিত করতে সাহায্য করে, সেই সঙ্গে নতুন উদ্ভাবনী ব্যাংকিং সেবা তৈরি করার সুযোগ করে দেয়।

বিজ্ঞাপন
  • পেমেন্ট এপিআই: অনলাইন পেমেন্ট প্রক্রিয়াকরণ, তহবিল স্থানান্তর, বিল পরিশোধ ইত্যাদি।
  • অ্যাকাউন্ট এপিআই: ব্যালেন্স চেক, লেনদেনের ইতিহাস, হিসাব ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।
  • তহবিল স্থানান্তর এপিআই: দেশীয় স্থানান্তর, আন্তর্জাতিক স্থানান্তর, রিয়েল টাইম পেমেন্ট ইত্যাদি।
  • বিনিয়োগ এপিআই: পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপনা, স্টক লেনদেন, বিনিয়োগ পরামর্শ ইত্যাদি।
  • ঋণ এপিআই: ঋণের আবেদন, ঋণের সর্বশেষ অবস্থা নজরদারি, কিস্তির হিসাব ইত্যাদি।
  • জালিয়াতি সনাক্তকরণ এপিআই: পরিচয় যাচাইকরণ, প্রতারণামূলক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ, ঝুঁকি স্কোরিং ইত্যাদি।
  • গ্রাহক পরিষেবা এপিআই: গ্রাহক তথ্য হালনাগাদ, গ্রাহক সেবা মিথষ্ক্রিয়া, প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি।

এপিআই ব্যবহারের সম্ভাব্য সুবিধা

এপিআই ব্যবহার বাস্তবায়নের মাধ্যমে যে সুবিধাগুলো পাওয়া যেতে পারে তা কম খরচে সাশ্রয় থেকে শুরু করে উচ্চমূল্য কৌশলগত উদ্যোগ পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি ব্যবহারের কিছু উল্লেখযোগ্য সুবিধা এখানে তুলে ধরা হলো:

  • প্রক্রিয়াকরণ দক্ষতা বৃদ্ধি: এপিআই ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে এবং দ্রুত বিভিন্ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে, যা ম্যানুয়াল ত্রুটি হ্রাস করে এবং উল্লেখযোগ্য সময় বাঁচায়।
  • পণ্য উন্নয়ন: তৃতীয় পক্ষের তথ্য ব্যবহার করার সুযোগ, যা পূর্বে ঋণদাতার জন্য উন্মুক্ত বা তাদের নাগালে ছিল না। এর মাধ্যমে পণ্য উন্নয়ন চক্রটি ত্বরান্বিত করা যেতে পারে। ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের অন্যান্য অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে পণ্য অংশীদারিত্বগুলো এখন খুব সহজেই ঋণদাতার কার্যক্রমে সংযুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। এটি ডিজিটাল ফাইন্যান্স প্রদানকারীদের জন্য একটি ব্যাস (ব্যাংকিং-অ্যাজ-এ-সার্ভিস) ভিত্তিক ব্যবসায়িক মডেল অনুসরণ করে নির্দিষ্ট ঝুঁকি ও নিয়ন্ত্রকদের নিয়মানুযায়ী গ্রাহক বান্ধব পরিষেবা প্রদান করতে সক্ষম।
  • সহযোগিতা বৃদ্ধি: এপিআই ব্যাংকগুলোকে ফিনটেক কোম্পানি এবং অন্যান্য তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে সহজেই সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে, যা নতুন পণ্য ও সেবা উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি করে।
  • ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নতি সাধন: গ্রাহকরা তাদের হিসাব এবং লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করতে রিয়েল-টাইমে যখন প্রয়োজন প্রবেশ করতে পারেন, যা গ্রাহক সন্তুষ্টি দারুণভাবে বাড়ায়। শুধু তাই নয়, দীর্ঘ সময়ের জন্য তাদের গ্রাহক ধরে রাখতে সাহায্য করে।
  • বিপণন ক্ষমতা বাড়ানো: এপিআই চালিত তথ্য নতুন নতুন বিপণন ক্ষমতা অর্জন করে। উদ্যোগগুলো ক্রস-মার্কেটিং এবং বিক্রি বৃদ্ধির সম্ভাব্য উপায়ে পৌঁছাতে সাহায্য করে।
  • আন্তর্জাতিক সম্প্রসারণ: প্রতিটি অঞ্চলে আলাদা আলাদা নিয়ন্ত্রক সীমাবদ্ধতার উপর নির্ভর করলেও এপিআই ভৌগোলিক সীমারেখাকে অতিক্রম করে তার কাঙ্ক্ষিত সেলস পয়েন্টে পৌঁছে দিচ্ছে এমনকি তার নিজ দেশের বাইরেও বিক্রি বা সেবা পরিচালনার আওতা বৃদ্ধি করছে অনায়াসে।
  • খরচ সাশ্রয়: এপিআই অবকাঠামো, শ্রম, পদ্ধতিগত এবং শারীরিক ব্যবধান ঘুচিয়ে দিচ্ছে। মানব সম্পদকে বেশি বেশি মূল্য সংযোজনকারী কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত করছে।
  • কার্যক্ষেত্র বৃদ্ধি: উন্মুক্ত তথ্য অবকাঠামো ডিজিটাল ঋণদাতাকে তার গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদাগুলোকে সামঞ্জস্য রেখে পণ্যের লাইন ও ঋণ পোর্টফলিও বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

বিশ্বের কোন কোন বড় ব্যাংক এপিআই ব্যবহার করছে?

বিশ্বের অল্প কয়েকটি বড় ব্যাংকের উদাহরণ দেওয়া গেল যারা তাদের ব্যাংকিং কার্যক্রমে এপিআই সংশ্লেষ করেছে:

  • বিবিভিএ (স্পেন): তারা উন্মুক্ত এপিআই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিভিন্ন ফিনটেক কোম্পানির সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করেছে, যা গ্রাহকদের জন্য নতুন এবং উন্নত সেবা প্রদান করতে সাহায্য করছে। বিবিভিএ স্ট্রাইপের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা উন্নত করতে পদক্ষেপ নিয়েছে। উল্লেখ্য যে, যুক্তরাষ্ট্রের ফিনটেক কোম্পানি স্ট্রাইপের বর্তমান মূল্য ৭০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
  • সিটি (যুক্তরাষ্ট্র): তাদের এপিআই ডেভেলপার পোর্টাল চালু হয়েছে, যা ডেভেলপারদের নতুন অ্যাপ্লিকেশন এবং সেবা তৈরি করতে সাহায্য করেছে এবং গ্রাহকদের জন্য উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করেছে। সিটি ব্যাংক প্লেইড ফিনটেকের মাধ্যমে হিসাব পরীক্ষণ এবং তথ্য প্রবেশাধিকার ব্যবহার করে, যাতে গ্রাহকরা সহজে তাদের বিভিন্ন ব্যাংকের হিসেবে সংযোগ ঘটাতে পারেন।
  • এইচএসবিসি (যুক্তরাজ্য): এটি এপিআই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে গ্রাহকদের বিভিন্ন আর্থিক সেবা প্রদান করছে, যেমন রিয়েল-টাইম পেমেন্ট এবং ব্যালেন্স চেকিং করা। এইচএসবিসি এম্বারের সঙ্গে ফিনটেক এপিআই ব্যবহার করে তাদের ব্যবসায়িক গ্রাহকদের ডিজিটাল ব্যাংকিং পোর্টালের মাধ্যমে ট্যাক্স এবং একাউন্টিং পরিষেবাগুলোতে সরাসরি প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে, এই ধরনের সার্ভিসকে এমবেডেড ফাইন্যান্স বলে।
  • আইসিআইসিআই (ভারত): এপিআই ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ব্যবসা এবং ফিনটেক কোম্পানিগুলোকে বিভিন্ন সেবা প্রদান করে, যেমন তাৎক্ষণিক ঋণ অনুমোদন এবং পেমেন্ট সমাধান প্রদান।

আইসিআইসিআই পেটিএমের পেমেন্ট এবং ডিজিটাল ওয়ালেট সেবাগুলো ব্যবহার করে যাতে গ্রাহকরা সহজে এবং দ্রুত ডিজিটাল লেনদেন করতে পারে।

ওপেন/উন্মুক্ত এপিআইভিত্তিক ডিজিটাল ঋণদান সম্পর্কিত কতিপয় ধাপসমূহ

ওপেন/উন্মুক্ত এপিআই ভিত্তিক ডিজিটাল ঋণদানের প্রক্রিয়া বিভিন্ন ধাপের মাধ্যমে পরিচালিত হয়, যা গ্রাহকদের দ্রুত, সহজ এবং স্বচ্ছ ঋণ প্রদানের সুযোগ করে দেয়। নিচে উন্মুক্ত এপিআই ভিত্তিক ডিজিটাল ঋণদানের কতিপয় ধাপ উল্লেখ করা হলো:

১) স্বয়ংক্রিয় অনবোর্ডিং,

২) গ্রাহক যাচাইকরণ,

২) গ্রাহক তৃতীয় পক্ষের মোবাইল অ্যাপ বা সরাসরি ঋণদাতার কাছে ঋণ আবেদন জমা দেয়া,

৩) ঋণদাতা ওপেন এপিআইগুলোর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে গ্রাহকের তথ্য সংগ্রহ, বিশ্লেষণ ও ক্রেডিট স্কোর এবং ক্রেডিট ইতিহাস মূল্যায়ন শেষে স্বয়ংক্রিয় অ্যালগরিদম এবং মেশিন লার্নিং মডেল ব্যবহার করে ঋণ আবেদন অনুমোদন করা হয় এবং পরে ঋণের শর্তাবলী প্রস্তাব করেন,

৪) ঋণদাতার এপিআই ভিত্তিক অনুমোদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর গ্রাহক ঋণের শর্তাবলী গ্রহণ করেন,

৫) ঋণদাতা ঋণের অর্থ গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ছাড় করার পর প্রতিমাসে প্রদানকৃত কিস্তির অর্থ সংগ্রহ করেন,

৬) গ্রাহক ঋণের অর্থ গ্রহণ করেন এবং প্রতিমাসে যে কিস্তি পরিশোধ করতে হবে তা প্রদান করেন,

৭) গ্রাহক তৃতীয় পক্ষের অ্যাপের মাধ্যমে বা সরাসরি ঋণদাতার কাছ থেকে এপিআইর মাধ্যমে রিয়েল-টাইম ঋণ তথ্য যেমন বকেয়া ব্যালেন্স, বকেয়া কিস্তির মেয়াদ এবং পুনঃঅর্থায়ন বিকল্পগুলি অনুসন্ধান করতে পারে,

৮) ঋণ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনে স্বয়ংক্রিয় অর্থপ্রদান রিমাইন্ডার, পুনরুদ্ধার ব্যবস্থাপনা, গ্রাহকের সমস্যা সমাধান, সেবা প্রদান, চ্যাটবট এবং কাস্টমার সার্ভিস প্রদান।

নতুন দিনের সেবা প্রদানে কোনো বিষয়ে জরুরি দৃষ্টি দিতে হবে?

প্রায় ৭২ শতাংশ ‘জেনারেশন জেড’ তাদের আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য নিওব্যাংক অ্যাপের উপর নির্ভর করে। এই পরিসংখ্যানটি কেবলমাত্র গ্রাহকদের প্রত্যাশার প্রয়োজনীয় পরিবর্তনকে প্রদর্শন করে না, বরং ব্যাংকগুলোকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হওয়ার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরে। বর্তমানে, নিওব্যাংক অ্যাপগুলো সুনির্দিষ্ট ডিজিটাল অভিজ্ঞতা প্রদান করে যা ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল জীবনের সঙ্গে সহজে একীভূত হচ্ছে। এই ধারণাকে কেন্দ্র করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পাঁচটি বিষয়ে প্রথমেই নজর দিতে হবে:

  • ক্লাউড–উদ্ভাবনের জন্য গতিশীলতা, স্কেলিবিলিটি, দ্রুত নতুন পণ্য ও সেবা প্রবর্তন, খরচ সাশ্রয়, নিরাপত্তা বিধান, বিধি পরিপালন তথ্য মজুদ ও পুনরুদ্ধার, উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ব্যবহার, বৈশ্বিক যোগাযোগ এবং রিয়েল টাইম সংযোগের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী পে এজ ইউ গো মডেলে ক্লাউড ব্যবহার করতে হবে।
  • গ্রাহক–বিভিন্ন চ্যানেল এবং অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে গ্রাহকদের অন্তর্ভুক্তি, বিক্রয়, সেবা সম্পৃক্ত করতে হবে।‌
  • এপিআই ও বাস্তুতন্ত্র–বৃহৎ সংখ্যক উন্মুক্ত এপিআই ব্যবহার করে দ্রুত এবং অবিরামভাবে উদ্ভাবন বজায় রেখে গ্রাহক সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
  • অন্তর্দৃষ্টি–গ্রাহকদের প্রয়োজনীয়তা পূর্বানুমান করার জন্য এবং তাদের একটি নির্দিষ্ট পথে পরিচালিত করার জন্য তথ্য ব্যবহার উদ্যোগী হতে হবে।
  • স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা–ঐতিহ্যগত এবং উদীয়মান ব্যাংকগুলো প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রক্রিয়াগুলো সরলীকরণ, পুনঃকল্পনা এবং স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থায় এনে খরচ কমাতেই হবে যে কোনো মূল্যে।

লেখক: রিটেইল ব্যাংকার, বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি

সারাবাংলা/আইই

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর