Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবেদন: খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি

ড. মিহির কুমার রায়
৬ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:০৮

খেলাপি ঋণের ঊর্ধ্বগতি দেশের ব্যাংক খাতের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ খাতে ছয় মাস ধরে খেলাপি ঋণের হার যেভাবে বেড়েছে, তাতে এটি এখন এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।এ সমস্যা ব্যাংক খাতের আর্থিক ভিত্তিকে দুর্বল করে তুলেছে। তারল্য সংকট বাড়িয়েছে। বিদ্যমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে শক্তিশালী ও সুনিয়ন্ত্রিত একটি ব্যাংক খাত গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে এ খাতে গ্রাহকদের আস্থা পুনরুদ্ধারে বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে সুশাসন প্রতিষ্ঠায়ও নেওয়া হয়েছে বেশকিছু পদক্ষেপ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত ‘বাংলাদেশ ব্যাংক ত্রৈমাসিক’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। এতে দেশের সার্বিক অর্থনীতি, আর্থিক খাত, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে হালনাগাদ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি প্রতি তিন মাস পর প্রকাশিত হওয়ার কথা থাকলেও বিদায়ী গভর্নরের সময়ে বিভিন্ন খাতের নেতিবাচক চিত্র আড়াল করতে অনেক দেরিতে প্রকাশ করা হতো।

বিজ্ঞাপন

নতুন গভর্নর দায়িত্ব নিয়ে অর্থনীতি ও ব্যাংক খাতসহ সব খাতের প্রকৃত চিত্র প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে এখন অর্থনীতির অনেক নেতিবাচক চিত্র বেরিয়ে আসছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারণে এবং আগস্ট-সেপ্টেম্বরে দেশের কিছু অংশে বন্যার কারণে আগামী ত্রৈমাসিকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কিছুটা মন্থর হতে পারে।এ ক্ষতি মোকাবিলা করে সামষ্টিক অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য অর্থনৈতিক সংস্কারসহ একটি ব্যাপক সংস্কার পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এ পদক্ষেপ আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, গত ডিসেম্বরে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের হার ছিল ৯ শতাংশ। গত মার্চে তা ১১ দশমিক ১১ শতাংশে উন্নীত হয়। জুনে তা আরও বেড়ে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, এক দশকের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। খেলাপি ঋণের এমন ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি উদ্বেগজনক।গত ১৫ বছরে ব্যাংক খাতে অনুসৃত অধিকাংশ আইন এমনভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে, যা মূলত ঋণখেলাপিদের স্বার্থ রক্ষা করেছে এবং খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলেছে। বিগত সরকারের সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণখেলাপিদের স্বার্থে যত সার্কুলার জারি করেছিল, তা-ও বাতিল করা দরকার। বস্তুত ঋণ প্রস্তাব অনুমোদনকালে যদি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা যায়, তাহলে সে ঋণ হিসাব পরবর্তীকালে খেলাপি হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।ব্যাংক কর্মকর্তারা যাতে অযোগ্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ঋণদান থেকে বিরত থাকতে পারেন, তেমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ঋণ প্রদানে কোনো ব্যাংক কর্মকর্তা দুর্নীতির আশ্রয় নেন কিনা, সেদিকেও কর্তৃপক্ষের জোরালো নজরদারি থাকতে হবে। সার্বিক সুশাসনের অভাবে ব্যাংক খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। অতীতে বড় ঋণখেলাপিরা নানাভাবে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এ সমস্যা বাড়িয়ে তুলেছেন। কোনো প্রভাব খাটিয়ে যাতে ঋণখেলাপিরা পার পেতে না পারেন, সেজন্য যা যা করণীয় সবই করতে হবে। খেলাপি ঋণ আদায়ে যত পদক্ষেপই নেওয়া হোক না কেন, ব্যাংক খাতের সুশাসন নিশ্চিত করা না হলে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে কিনা, সন্দেহ থেকেই যায়। এখন খেলাপি ঋন আদায়ে যে সকল বিষয় গুলো সুবিবেচনায় আনার প্রয়োজন রয়েছে তা হলো :

প্রথমতঃ ঋন বিতরন ও আদয়ে সমতা বিধান করা। ঋন বিতরন যদি স্বচ্ছতার সাথে উৎপাদন শীল খাতে হয় তাহলে আদয়ের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। এ ব্যাপারে ব্যাংকার কাষ্টমারের নৈতিকতার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। যারা অসধুতাকে অংশীদারিত্বের ভিত্তিেিত পরিচালিত করে তারাই উভয়ই সমান দোষী । এ ব্যাপারে প্রথমে ব্যাংকার দের সর্তক হতে হবে এবং পরিবর্তিতে গ্রহকদেরও এই পথ অনুসরন করতে হবে;

দ্বিতীয়ত: দেশের ৩৯ টি বেসরকারি ও ৪ টি সরকারি বানিজ্যিক ব্যাংক সাধারনত আর্থিক বাজারের অংশ হিসাবে স্বল্প মেয়াদে গৃহীতাদের ঋনের চাহিদা পূরন করার কথা। কিন্ত বাস্ততে দেখা যায় এই ব্যাংক গুলো দীর্ঘ মেয়াদে চার পাচ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ঋন দিয়েছে যার বেশির ভাগ খেলাপী ঋনে পরিনত হয়েছে। এখন বানিজ্যিক ব্যাংক গুলো নিয়মনীতি ভঙ্গ করে ঋন দেয়া এবং ঋন খেলাপী হওয়ার মত একটি যাতনাকে বয়ে বেড়াচ্ছে যার ফলাফল তারল্য সংকট, মুনাফার ঘাটতি ও ইমেজ সংকট। অথচ দীর্ঘ মেয়াদে বৃহদায়কার ঋন প্রদানের জন্য বিশেষায়িত ব্যাংক যেমন বাংলাদেশ ডেবোলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল), বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি), বেসিক ব্যাংক, রাকাব ইত্যাদি রয়েছে যারা সরকারি ব্যাংক হিসাবে সরকারের সাহায্য পুষ্ট হয়ে বেশি সময়ের অর্থয়নে অংশ নিতে পারে। এই অসংগতি গুলো দুর করা প্রয়োজন।

তৃতীয়ত; ব্যাংকিং খাতের বৃহদাকার ঋন গুলোর স্বচ্ছতার ভিত্তিতে মুল্যায়ন না হওয়ার অনেক অনাগ্রিধার কিংবা অলাভজনক খাতেও ঋন বিনিয়োগ হচেছ যা পরিবর্তিতে খেলাপী ঋনে পরিনত হয়। আবার রাজণৈতিক বিবেচনায় অনেক লোন মজ্ঝুর করা হয় যার বেশির ভাগ অনুৎপাদশীল খাতে চলে যায় যার পরিণতি হয় খেলাপী ঋন। এখন গনতান্ত্রীক সমাজে রাজনীতি সর্বক্ষেত্রে বিচরন করলেও অন্তত ব্যাংকিং এর মত সেবাধর্ম্মী আর্থিক খাতটিকে রাজনীতি মুক্ত রাখা যায় না কেন? এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকিং খাতের অভিবাবক হিসাবে তার সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারে না কেন?

চতুর্থত; ঋন মওকুফ, ঋনের পুনঃ তফসীলিকরন, ঋনের অবোলপন ইত্যাদি বিষয় গুলো এখন খুবি ক্ষতিকর ও অলাভজনক। এখন ব্যাংকও ঢালাই ভাবে সবাইকেও সুযোগ দিতেও পারে না। কংবা ঢালাও ভাবে বিবেচনায়ও আনতে পারে না। কিন্তুু জায়গাটিতে ব্যাংকার কিংবা ব্যাংকিং সুসাশসনের অভাব পরিলক্ষিত হয় যা কোন ভাবেই প্রতিষ্ঠিত করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতি সহায়তা, প্রশাসনিক সমর্থন ইত্যাদি তফসিলি বানিজ্যিক ব্যাংক গুলোর জন্য খুবি জুরুরি। সর্বশেষ বলা যায় সরকার যদি সচেষ্ট হয় তবে সমাজিক ভাবে এই সকল খেলাপি ঋনের মোকাবেলা করাও সম্ভব আবার প্রশসনিক ভাবেও সম্ভব । এখন কোনটি ভাল হবে তা কর্তৃপক্ষ ভেবে দেখবে তবে সমস্যার অবশ্যি শান্তিুপুর্ণ সমাধান চাই ব্যাংকিং শিল্পের স্বার্থে।

পঞ্চমত: সম্প্রতি টিআইবি পরিচালিত ‘ব্যাংকিং খাত তদারকি ও খেলাপি ঋণ নিয়ন্ত্রণ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয় যাতে গত কয়েক বছরে খেলাপি ঋণের ক্রমবর্ধমান ধারা বিশ্লেষণের পাশাপাশি খেলাপি ঋণ তদারকিতে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিকাঠামোর নানা দিক তুলে ধরা হয়। তাদের মতে খেলাপি ঋণ হ্রাসে যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবং ইছাকৃত ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় না আনায় দিন দিন ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে। গত ১০ বছরে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে প্রায় ৪১৭ শতাংশ। প্রকৃতপক্ষে এই খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় তিন লাখ কোটি টাকারও বেশী। সেই সঙ্গে ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণ ও ব্যাপক অনিয়মে জর্জরিত ব্যাংকিং খাত সংস্কারের জন্য এ খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠনসহ ১০টি সুপারিশ করা হয়েছিল। এগুলোর মধ্যে রয়েছে খাতসংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা; ব্যাংক কম্পানি আইনের ৪৬ ও ৪৭ ধারা সংশোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংককে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির পূর্ণ ক্ষমতা দেওয়া; বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য, গভর্নর ও ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ ও অপসারণ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট লিখিত নীতিমালা করা; বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে তিনজন সরকারি কর্মকর্তার বদলে বেসরকারি প্রতিনিধির সংখ্যা বৃদ্ধি করা; ব্যাংকসংশ্লিষ্ট আইনসমূহে আমানতকারীর স্বার্থ পরিপক্ষ করাও ব্যাংকিং খাতে পরিবারতন্ত্র কায়েমে সহায়ক সকল ধারা সংশোধন কিংবা বাতিল করা; রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসহ সকল বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচালক নিয়োগে অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে একটি প্যানেল তৈরি; আদালত কর্তৃক স্থগিতাদেশ প্রাপ্ত খেলাপি ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি রাখার বিধান প্রণয়ন করা; বারবার পুনঃ তফসিল করে বারবার খেলাপি হওয়া ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা; ব্যাংক পরিদর্শনের সংখ্যা ও সময়কাল বৃদ্ধি, প্রত্যক্ষভাবে পরিদর্শন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভাগগুলোর শূন্যপদসমূহ অবিলম্বে পূরণ; পরিদর্শন প্রতিবেদন যুক্তিসংগত সময়ের মধ্যে সমাপ্ত ও এর সুপারিশ বাস্তবায়ন এবং পরিদর্শনে তাত্ক্ষণিকভাবে কিছু সিদ্ধান্ত ও ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষমতা পরিদর্শকদলকে দেওয়া এবং তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি ও বাস্তবায়নে সংঘটিত অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শান্তির ব্যবস্থা করা।

সর্বশেষে বলা যায়: স্থানীয় অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংক সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা অনেকদিন ধরেই ব্যাংকিং সেক্টরে জমে থাকা বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য কার্যকর ও শক্তিশালী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলে আসছেন। কিন্তু অতীতে সরকার তেমন কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি। তবে আইএমএফ বাংলাদেশকে ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করার ক্ষেত্রে আর্থিক খাত সংস্কার, বিশেষ করে খেলাপি ঋণ আদায়ের ওপর জোর দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের শর্ত পরিপালনের লক্ষ্যে ব্যাংক কোম্পানি আইন সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এর মধ্যে ইছাকৃত ঋণখেলাপিদের চিহ্নিত করে তাদের কিছু সুযোগ-সুবিধা কার্টেল করার প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে ইছাকৃত ঋণখেলাপিদের পৃথকভাবে চিহ্নিত করা খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার।,কারা ইছাকৃত ঋণখেলাপি আর কারা ইছাকৃত ঋণখেলাপি নন, তা নির্ধারণের জন্য উপযুক্ত মানদন্ড থাকতে হবে, উপযুক্ত ও কার্যকর মানদন্ড না থাকলে তা চিহ্নিত করা খুবই কঠিন, যারা প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে ঋণখেলাপি হয়ে থাকেন, তাদের সহায়তা দিয়ে ঋণ পরিশোধে সামর্থ্যবান করে তোলা যেতে পারে। কিন্তু ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে একটি শ্রেণি আছেন, যারা সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও ইছা করেই ঋণের কিস্তি আটকে রাখেন, ইছাকৃত ঋণখেলাপিরা সাধারণভাবে অত্যন্ত ক্ষমতাবান, যারা ই”ছাকৃত ঋণখেলাপি তাদের যদি সঠিকভাবে চিহ্নিত করা না যায় এবং তাদের বিরুদ্ধে যদি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তাহলে ব্যাংকিং সেক্টরের খেলাপি ঋণের পরিমাণ কার্যকরভাবে কমিয়ে আনা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না । ব্যাংকিং সেক্টরে খেলাপি ঋণের মাত্রা বর্তমানে একটা অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে, ঋণখেলাপিদের কোনো ধরনের বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলে তা নিয়মিত ঋণের কিস্তি পরিশোধকারীদের খেলাপি হতে উদ্বুদ্ধ করবে, বিশেষ কোনো সুবিধা যদি দিতেই হয়, সেটা দিতে হবে তাদের, যারা ইছা থাকা সত্ত্বেও বিরূপ পরিস্তিতির কারণে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না, ইছাকৃত ঋণখেলাপিদের কারণে ব্যাংকিং সেক্টর একটা দুরবস্তার মধ্যে পতিত হয়েছে। কাজেই তাদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া যাবে না, খেলাপি ঋণের প্রাচুর্যের কারণে ব্যাংকিং সেক্টরে নানা সমস্যার সৃষ্টি হছ যা কোনোভাবেই চলতে দেওয়া যায় না। তাই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক, অর্থমন্ত্রনালয় ও ঋণের গ্রহীতারা একসাথে হয়ে কাজ করতে হবে যার জন্য রাজনৈতিক সদিছার কোন বিকল্প নেই।

লেখক: অর্থনীতিবিদ, গবেষক ও সাবেক জ্যাষ্ট সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতি, ঢাকা

সারাবাংলা/এসবিডিই

ড. মিহির কুমার রায় বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিবেদন: খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি মুক্তমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর