বাংলাদেশের নদীস্বাস্থ্য কেমন হওয়া উচিত
২২ অক্টোবর ২০২৪ ১৭:২৫
নদী শব্দটি খুব ছোট হলেও এর মহিমা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে অপরিসীম। খুব ছোটবেলায় যখন স্কুলের পাঠ্য বইয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমাদের ছোট নদী’ কবিতাটি পড়েছিলাম তখন থেকেই আমার শিশু মনে নদী জায়গা করে নিয়েছিল ভিন্ন এক রূপে। হৃদয়ের গহীনে নদীকে নিয়ে যে জলছবি এঁকেছিলাম তা যেন রবীন্দ্রনাথের কবিতার শব্দমালার প্রতিলিপি। ঠিক যেভাবে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার কবিতায় নদীকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছিলেন।
বাল্যকালে মনের মধ্যে গেঁথে যাওয়া নদীর সেই আদর্শ চিত্র প্রথমবার দেখেছিলাম বাবার সাথে মধুমতি নদী পার হওয়ার সময়। ট্রলারে করে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাওয়ার সময় আঁখি ভরে অবলোকন করেছিলাম নদীর সেই চিরায়ত রূপ। যেখানে ছলছল শব্দে নদী এগিয়ে চলেছে আপন মনে, বালুকণাগুলো ডায়মন্ডের মত চিকচিক করে উঠছে সূর্যের আলোর ঝলকানিতে। আর নদীর দুই ধার জুড়ে বিস্তীর্ণ কাশবন ফুলে ফুল সাদা।
খুব ছোটবেলা থেকেই মাছ ধরার খুব নেশা ছিল তাই তো মাঝে মাঝেই ছুটে যেতাম নদীতে মাছ ধরতে। তাছাড়া শৈশব এবং কৈশোরের বহু মূল্যবান সময় কাটিয়েছি নদী পাড়ে গল্প গুজব কিংবা আড্ডা দিয়ে। তাছাড়া মাঝে মাঝে নদীর চরে ঘোড়দৌড় কিংবা বিভিন্ন গ্রামীণ মেলা হতো সেগুলোও দেখেছি অনেকবার।
নদীর সাথে প্রাণোচ্ছল সখ্যতার কারণে নদীকে সব সময় ভিন্ন চোখে পর্যবেক্ষণ করেছি শৈশব কাল থেকেই। নদী যে আমাদের মানব জীবনের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা স্বচক্ষে প্রমাণ পেয়েছি হাজারবার। যখন দেখেছি নদীর মাধ্যমে হাজার হাজার জেলে জীবিকা নির্বাহ করছে, যাতায়াতের মাধ্যমে হিসেবে ব্যবহার করছে, কৃষির উৎপাদন বাড়াতে ব্যবহার করছে কিংবা দৈনন্দিন গৃহস্থালীর কাজে ব্যবহার করছে প্রতিনিয়ত।
এরপর যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই তখন থেকেই বাংলা সাহিত্যের রত্নভাণ্ডার থেকে নদী সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুযোগ হয়। বিশেষ করে উচ্চমাধ্যমিকে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মা নদীর মাঝে উপন্যাস পড়ার পর নদী কেন্দ্রিক উপন্যাস পড়ার দারুন আগ্রহ সৃষ্টি হয়। সে আগ্রহ থেকেই নদীভিত্তিক অধিকাংশ উপন্যাস বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে থাকাকালীন পড়া শেষ করতে সক্ষম হই। ফলে নদী কেন্দ্রিক মানুষগুলোর জীবন-জীবিকা, রীতিনীতি কিংবা ধর্মীয় আচার সবকিছু খুব সূক্ষ্মভাবে জানার সুযোগ হয় এবং এরপর থেকেই উপলব্ধি করি পৃথিবীতে নদী ছাড়া প্রাণের অস্তিত্ব থাকা অসম্ভব। নদীহীন পৃথিবী যেন প্রাণহীন পৃথিবীর নামান্তর। তাইতো নদীকে সবসময় সত্যিকারের নদী হিসেবে দেখতে চেয়েছি।
কেমন আছে এদেশের নদ-নদী গুলো?
আসলে দেশের নদ নদী গুলো কেমন আছে সেই প্রশ্নের উত্তর খোঁজার জন্য গবেষণা প্রতিবেদন কিংবা গবেষক হওয়ার প্রয়োজন নেই। সঠিক দৃষ্টিতে চোখ মেলে তাকালেই নদীগুলোর জীর্ণশীর্ণ মৃতপ্রায় অবয়ব চোখের সামনে ভেসে উঠবে। আমরা যদি বাংলাদেশের প্রাণকেন্দ্র রাজধানী ঢাকার বুক চিরে বয়ে চলা বুড়িগঙ্গা নদীর দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পাবো এক সময়কার প্রাণোচ্ছল শক্তিশালী বুড়িগঙ্গা নদী দখলে দূষণে ষোল কলা পূর্ণ করে কেমন মৃত নদীতে পরিণত হয়েছে। একসময় যে নদীতে জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতো সেই নদীতে এখন মাছ ব্যতীত সবকিছুই পাওয়া যায়। প্লাস্টিকের বোতল থেকে শুরু করে শিল্প কারখানার দূষিত রাসায়নিক সবই পাওয়া যায় এই বুড়িগঙ্গায়। বুড়িগঙ্গা যেন শিল্প-কারখানা ও দখলকারীদের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই তারা সুযোগ পেলেই এই নদীকে মারার পায়তারা করে। একটু সজাগ দৃষ্টিতে দেখলেই দেখা যাবে বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে বিভিন্ন শিল্পকারখানার বিষাক্ত পানি কিভাবে সরাসরি নদীতে ফেলা হচ্ছে কিংবা আর দখলদাররা বালি কিংবা মাটি ফেলে আস্তে আস্তে করে কমিয়ে দিচ্ছে বুড়িগঙ্গা নদীর প্রস্থ। একসময়ের অতি প্রশস্ত নদী পরিণত হচ্ছে ছোট্ট সরু খালে। চোখের সামনে জীবন্ত বুড়িগঙ্গা নদী যেভাবে মৃতপ্রায় নদীতে পরিণত হয়েছে তা যেন বাংলাদেশের সকল নদনদীর প্রতিচ্ছবি।
গত বছর একদিন গিয়েছিলাম পোস্তগোলা ব্রিজের পার্শ্ববর্তী একটি ইকোপার্ক যেটি একেবারে নদীর তীর ঘেষে অবস্থিত। যেহেতু পার্কটি ইকোপার্ক নামে পরিচিত এবং নদী ঘেঁষে তাই ভাবলাম বেশ ভালই উপভোগ করতে পারব সময়টাকে। কিন্তু বিধিবাম, পার্কে যাওয়ার পর থেকেই বিষাক্ত দুর্গন্ধযুক্ত বাতাস নাকের ভেতর দিয়ে ঢুকে দেহ বিদির্ণ করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল নদীমাতা মরে গেছে তাই পচা লাশের গন্ধ আসছে! তাহলে একবার ভাবুন তো একটি নদী কতটা দূষিত হলে এমন অসহ্য গন্ধ আসতে পারে।
দেশের নদ-নদীর দূষণ নিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রিভার এন্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি) কর্তৃক গবেষণার ফলাফলে প্রকাশিত হয়েছে নদ-নদী গুলোর বেহাল অবস্থা। এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত একটি জরিপ পরিচালনা এবং এর ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০২৩ সালের ১৪ই মার্চ। এই গবেষণায় উক্ত প্রতিষ্ঠানটি নদীর স্বাস্থ্য ও জলজ চরিত্র বিশ্লেষণ করে ৫৬ টি নদীতে অতিমাত্রায় দূষণ খুঁজে পেয়েছে। এই গবেষণায় বেশ কয়েকটি প্যারামিটার আমলে নিয়ে গবেষণা কাজ সম্পন্ন করা হয়। প্যারামিটার গুলো হল দূষণের উৎস, পিএইচ, DO(Dissolved Oxygen), BOD(Biological Oxygen Demand), COD(Chemical Oxygen Demand) ইত্যাদি। এসব প্যারামিটার পরিমাপের পর দেখা গেছে প্রত্যেকটি প্যারামিটার স্ট্যান্ডার্ড মানের তুলনায় অনেক বেশি অর্থাৎ প্রত্যেকটি নদী অতি মাত্রায় দূষণের শিকার।
প্রতিবেদনটিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে ৫৬ টি নদীর মধ্যে অন্তত ১৬টি নদী গৃহবর্জ্য ও প্লাস্টিক বর্জ্যের দূষণের শিকার। অন্যদিকে ৩৫টি নদী প্লাস্টিক কলকারখানার বর্জ্য ও পৌরসভার বর্জ্য ফেলার কারণে দূষিত হয়েছে। আরডিআরসির গবেষণায় উঠে এসেছে দেশের সবচেয়ে দূষিত তিনটি নদীর নাম। নদী গুলো হল গাজীপুরের লবণদহ, নরসিংদীর হাড়ি ধোয়া ও হবিগঞ্জের সুতাং।
এটাতো গেলো দূষণের ফিরিস্তি, দখলদারদের প্রকোপ এতই বেড়েছে যে বাংলাদেশ জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন জেলাভিত্তিক ও নদী ভিত্তিক প্রায় ৬৮ হাজার অবৈধ দখলদারের তালিকা তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করে রেখেছে। সাম্প্রতিক সময়ে নদী দখলের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। ক্ষমতার দম্ভ ও লালসাপূর্ণ মানসিকতা এই দুটি জিনিস মূলত দখলদারদের প্রধান অস্ত্র। রাজধানী ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাওয়ার একটি মনোমুগ্ধকর সড়ক রয়েছে যা ঢাকা-মাওয়া সড়ক নামে পরিচিত। এইতো এক দশক আগের কথা যখন পদ্মা নদীর উপর পদ্মা সেতু নির্মিত হয়নি তখন ঢাকা থেকে ভাঙার দিকে যাওয়ার সময় বাসের জানালা দিয়ে দেখা যেত বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ আর এর মাঝখানে ছোট ছোট বসতভিটা। সময়ের আবর্তনে পদ্মা সেতু হওয়ার ঠিক পর পরই এসব কৃষি জমির চেহারা পাল্টে যেতে শুরু করেছে। কথিত আবাসন ব্যবসায়ী বিভিন্ন গ্রুপ সড়কের দুই পাশের কৃষি জমিগুলোকে নামে বেনামে কিনে সেখানে আবাসন প্রকল্পের সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছে। সবচেয়ে পরিতাপের বিষয় হলো কৃষিজমির সাথে সাথে ছোট ছোট যেসব নদী এবং জলাধার এসব আবাসন প্রকল্পের মাঝে পড়েছে সেগুলোকে ইতোমধ্যেই ভরাট করা হয়েছে কিংবা ভরাট করার পায়তারা চলছে। এ যেন জীবন্ত সত্তাকে গলা টিপে হত্যা করার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, যেটা শুধুমাত্র বাংলাদেশেই সম্ভব।
আসলে বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই অসংখ্য নদ-নদী জালের মত আচ্ছাদিত করে রেখেছে নদীমাতৃক এই ব দ্বীপকে। এই নদীগুলো আমাদের এই ছোট্ট সুজলা-সুফলা শস্য-শ্যামলা দেশটিকে তার আচল তলে মায়ের আদরে রেখেছিল। তবে আমরা নদী মাতার বর্বর সন্তানেরা নদী মাতাকে মেরে ফেলার সমস্ত আয়োজন ইতোমধ্যেই সম্পূর্ণ করেছি তাইতো নদীমাতা কেমন আছে সেটা বলবার বোধহয় আর প্রয়োজন নেই।
কেমন নদী চাই?
যেহেতু বাংলাদেশ সরকার নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে ঘোষণা করেছে। তাই আমি চাই নদী জীবন্ত সত্তা হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হোক। আমি চাই প্রত্যেকটি নদী হোক শিল্প কলকারখানার রাসায়নিক বর্জ্য মুক্ত। এজন্য প্রত্যেকটি শিল্প কারখানায় পানি শোধন করার স্থায়ী প্লান্ট প্রতিষ্ঠিত করে তার মাধ্যমে পানি পরিশোধন করা গেলে একদিকে যেমন পানির পূনর্ব্যাবহার বাড়ানো সম্ভব হবে তেমনি অন্যদিকে নদী দূষণের মাত্রা কমে আসবে। আমি চাই দূষণমুক্ত নদী গড়তে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন পরিবেশ অধিদপ্তর, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন, জেলা এবং উপজেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ইত্যাদি একে অপরের ঘাড়ে দোষ না চাপিয়ে প্রত্যেকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করুক। সেই সাথে দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি তরুণ প্রজন্ম যদি নদী রক্ষার এই আন্দোলনে শামিল হয় তাহলে খুব সহজেই দূষণমুক্ত নদী পাওয়া সম্ভব। দূষণমুক্ত নদী গড়তে আইনের সঠিক প্রয়োগ যেমন দরকার তেমনিভাবে নিজেদের দাম্ভিকতাপূর্ণ ও লালসা পূর্ণ মানসিকতা পরিহার করে নদীমাতাকে জীবন্ত সত্বা হিসেবে বয়ে চলার সুযোগ দিতে হবে দূষণ প্রতিরোধের মাধ্যমে তাহলে কেবলমাত্র দূষণমুক্ত নদী পাওয়া সম্ভব।
আমি চাই প্রত্যেকটি নদী হোক দখলদারের রক্তচক্ষু মুক্ত। আবাসন প্রকল্পের নামে যারা নদীমাতাকে হত্যার সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করেছে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হোক। তাহলে নদীমাতা হবে অবৈধ দখলদারের ভারমুক্ত। ফিরে পাবে পূর্ণ যৌবন। আপন গতিতে এগিয়ে যাবে দৃষ্টির সীমানায়।
আমাদের দেশে নদী দখল করাকে সবচেয়ে সহজ মনে করা হয় কেননা একটু ক্ষমতা ও টাকা পয়সা থাকলেই নদী খুব সহজেই দখল করে গড়ে তোলা যায় উঁচু অট্টালিকা। আসলে এই দখলদারেরা কখনো ভেবে দেখেনা যে নদীর তীরে বসে যে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায় সেটি উঁচু অট্টালিকায় বসে কখনোই পাওয়া সম্ভব নয়। সত্যিকারের সুখ বোধ হয় নদীর কুলু কুল বয়ে চলার ধ্বনির মধ্যে পাওয়া যায়।
আমি চাই নদী নদী হোক মাছের অভয়াশ্রম যেখানে জেলেরা মাছ ধরে নিশ্চিন্তে বাড়ি ফিরবে সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বালানোর পূর্ব মুহূর্তে কিংবা গভীর রাত্রিতে। আমি চাই নদীর তীর ধরে উচু অট্টালিকার পরিবর্তে গড়ে উঠুক সাদা সাদা কাশবন। যা দেখলে মনের মধ্যে এক চিলতে সুখের পরশ বয়ে যাবে নিমিষেই। আমি চাই নদী হোক নানা ধরনের জীবের আশ্রয়স্থল। যেখানে নেই দূষণের ভয় কারণ দূষণ মানেই তো জলজ জীবের মৃত্যু নিশ্চিত!
আমি চাই নদীর পানি হোক আয়নার মতো স্বচ্ছ যে পানি নদী পাড়ের আপামর জনতা প্রতিদিন গৃহস্থালি কিংবা পান করার কাজে ব্যবহার করতে পারবে। আমি চাই নদীর স্বচ্ছ জলে ঠিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমাদের ছোট নদী’ কবিতার মত বালির কণাগুলো চিক চিক করুক সূর্যের আলোয়। নদী হোক যোগাযোগের সহজতর মাধ্যম। নদী হোক বাংলার সংস্কৃতির ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক। নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠুক আপামর জনতার সহজ সাবলীল জীবন। আমি চাই নদী হোক বালুখেকো মুক্ত যারা যত্রতত্র ড্রেজার বসিয়ে নদীর বালিকে উত্তোলন করে।
সর্বোপরি আমি এমন নদী চাই যে নদী সত্যিকারের জীবিত সত্তা হিসেবে বয়ে চলবে নিরবধি। যেখানে ঘটবে জলজ প্রাণের বিচ্ছুরণ। স্বচ্ছ জলধারায় বয়ে চলবে হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী পালতোলা নৌকা কিংবা সাম্পান। যে নদীর পানি যখন ইচ্ছা তখনই পান করার যোগ্য হবে। আমি আরো চাই নদী তার নিজস্ব গতিতে পলিমাটি বয়ে নিয়ে দেশের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বয়ে চলুক। নদী হোক আমার শৈশবের কল্পিত সেই সুন্দর সুবিন্যস্ত নদী। আমি চাই নদী হোক পৃথিবীর প্রাণ ধারার মূল সত্বা।
লেখক: প্রভাষক, খাদ্য প্রকৌশল ও পুষ্টি বিজ্ঞান বিভাগ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
সারাবাংলা/এসবিডিই
বাংলাদেশের নদীস্বাস্থ্য কেমন হওয়া উচিত মুক্তমত মো. বিল্লাল হোসেন