ডেঙ্গু মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ জরুরী
২৬ অক্টোবর ২০২৪ ১২:২৩
দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটে ২০২৩ সালে। তখন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। আর মৃত্যু হয় ১ হাজার ৭০৫ জনের। গত বছরের সেপ্টেম্বরের ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি ৩৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ওই সময় ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৭৯ হাজার ৫৯৮ জন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের ৮৮ ভাগের শরীরে ডেন-২ এর অস্তিত্ব শনাক্ত হয়েছে বেশি। যেটির অনুপ্রবেশ ঘটেছে পর্যটক ও রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে। আরও যেটি দুঃখজনক তা হলো, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন মুমূর্ষু অবস্থায়। যাদের আইসিউর প্রয়োজন হয়। সেজন্য এবার মৃত্যুর হারও বেশি। উল্লেখ্য, এবারে অতি বৃষ্টি ও বন্যা হওয়ার কারণে বেড়েছে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার। বিশেষ করে ১১টি জেলা ভয়াবহ বন্যাকবলিত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ নারী-পুরুষ ও শিশু। ফলে, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও বেড়েছে ডেঙ্গু সংক্রমণের হার। সে তুলনায় সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাগুলো সরকার পরিবর্তন হওয়ায় প্রায় নিষ্ক্রিয় থেকেছে মশক নিধন কর্মসূচিতে। এ সময়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ বর্জ্য অপসারণ এবং মশক নিধন স্প্রে করা প্রায় বন্ধ ছিল। ডেঙ্গু এখন আর শুধু বর্ষাকালীন নয়, বরং সারাবছরের রোগ-ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে করোনা অতিমারির সংক্রমণ।
রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোতে এখন ডেঙ্গু রোগীর উপচেপড়া ভিড়। চাপ সামলাতে চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা হিমশিম খাচ্ছেন। আগে এ মশা ছিল ঢাকাকেন্দ্রিক আর এখন শহর, বন্দর, পল্লি অঞ্চলসহ সব জায়গাতেই ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত কয়েক মাসের তুলনায় এখন প্রতিদিনই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৫ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় যে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১১৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৩৫ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৯৩ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৩ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১২ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৯ জন, রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) পাঁচজন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) দুজন রয়েছেন। একি তারিখে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫২৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন এবং চলতি বছরে ৫০ হাজার ৬৪৭ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। বর্তমান বছরের ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৫৪ হাজার ৭০২ জন। এর মধ্যে ৬৩ দশমিক তিন শতাংশ পুরুষ ও ৩৬ দশমিক সাত শতাংশ নারী রয়েছেন। চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ২৬৯ জন।
ডেঙ্গু বর্ষাকালের রোগ, কিন্তু বর্ষাকাল পার হলেও বৃষ্টি বিদায় নেয়নি। তাই হয়তো ডেঙ্গু সাধারণত এপ্রিল-মে মাসে ডেঙ্গু শুরু হলেও বর্ষাকালে এর প্রকোপ বাড়তে থাকে এবং জুন, জুলাই, আগস্টে এটি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। কিন্তু এ সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার পেছনে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের অতি বৃষ্টি একটি বড় কারণ বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। যুক্তরাজ্যের কেইল ইউনিভার্সিটির এপিডেমিওলজির জনৈক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, কোনো মাসে প্রতি সেন্টিমিটারের বৃষ্টিপাতের জন্য পরবর্তী মাসে ডেঙ্গু রোগীর হার ৮ শতাংশ এবং পরবর্তী মাসে ১৭ শতাংশ বেড়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানুয়ারিতে সতর্ক করে বলেছিল, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগগুলোর মধ্যে বর্তমানে ডেঙ্গুই বিশ্বে সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, যা মহামারিতে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি করেছে। নগরায়ণ, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বিশ্বায়ন এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার ফলাফলকে এর ব্যাপকতা বৃদ্ধির কারণ হিসাবে মনে করা হয়। বিশ্বে গত বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এ সময় বাংলাদেশে ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আর মারা গেছেন ১ হাজার ৭৫০ জন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে ছিল সর্বোচ্চ মৃত্যু।
জলবায়ু পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগরায়ণসহ বিভিন্ন কারণে এডিস মশা রূপ বদল করতে শুরু করেছে। এমনকি প্রতিকূল পরিবেশেও এটি বেঁচে থাকার সক্ষমতা অর্জন করেছে। আগে মনে করা হতো, এডিস মশা শুধু দিনে কামড়ায়, কিন্তু এখন উজ্জ্বল আলোর বৈদ্যুতিক বাতি ব্যবহারের কারণে অন্ধকার দূর হওয়ায় রাতেও কামড়ায়। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়ার কোনো প্রতিষেধক নেই, তাই মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে এর প্রজনন ও বংশবিস্তার রোধ করতে হবে। একইভাবে মানুষকে এ ব্যাপারে নিজের করণীয়টুকু সম্পন্ন করতে হবে। করোনা প্রতিরোধে সরকারের ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান থাকলেও ডেঙ্গু মোকাবিলায় যথাযথ প্রস্তুতি, প্রতিরোধ এমনকি তহবিল বরাদ্দ নেই বললেই চলে। প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে স্বাস্থ্য বিভাগ ডেঙ্গু পরিস্থিতির ওপর নিয়মিত নজরদারি করতে পারছে না। অন্যদিকে, মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনসহ বিভিন্ন স্থানে মশক নিধনে দুই সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যক্রম প্রায় নেই বললেই চলে। ফলে, এ বছর ঢাকাসহ সারাদেশেই ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। বেশি মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা বলেছেন, দেরি করে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসায় এমনটি হতে পারে। এজন্য জ্বর হলেই অবহেলা না করে দ্রুত পরীক্ষা করাতে হবে। সংকটময় পরিস্থিতিতে হাসপাতালে শয্যা সংকট দেখা দেয়। তাই ডেঙ্গু শুরু হলে আগেই প্রস্তুতি নিতে হবে, কোনো রোগী যেন অযত্নের শিকার না হয়। ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিসগুলোর ভবন, খোলা জায়গা, মাঠ, ফুলের টব, পানির পাম্প বা যেসব জায়গায় পানি জমে- এ রকম পাত্র, ফ্রিজ বা এসির পানি জমার ট্রে. পানির ট্যাপের আশপাশের জায়গা, বাথরুম ও কমোড, গ্যারেজ, নির্মাণাধীন ভবন, লিফট ও সিঁড়ি, পরিত্যক্ত বস্তুসহ মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থলে যাতে পানি জমতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের আরও সচেতন করতে হবে। মোটকথা, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই।
স্বাস্থঅধিদপ্তর বলছে অনেকদিন ধরে অ্যাডিসে মশা থাকলেও তা নিয়ে কোন প্রকার বৈজ্ঞানিক গবেষনা লক্ষ্য করা যায়নি কিংবা তা নিয়ে কোন প্রকার ক্রাশ প্রোগ্রাম নেয়া সম্ভব হয়নি। একই দপ্তরের সিনিয়র কীটনাশকবিদ বলেছেন একটি অ্যাডিস মশার আয়ু কাল প্রায় ত্রিশ দিনের মত এবং একটি স্ত্রী মশা ২ দিন পর পর এক সাথে একশত বিশ থেকে এক শত পঞ্চাশটি পর্যন্ত ডিম দিয়ে থাকে যার যার নেশা মানুষের রক্ত চোষা যারা উড়তে পারে পাচশত মিটার পযর্ন্ত। অ্যাডিস মশা ডেঙ্গু জ্বরের ভাইরাস বাহী কাউকে কামরিয়ে পরে অন্য জনকে কামড়ালে এরোগ ছড়িয়ে পড়ে যা বর্তমানে ঘটছে সারা দেশে, শহর কিংবা গ্রামে, উপশহরে কিংবা মহল্লায়। বিশেষত : বর্ষাকালে বৃষ্টি তথা বন্যার কারনে ডেঙ্গুর ভয়বহতা দিন দিন ভয়াবহ রুপ নিয়েছে যা এখনি নিয়ন্ত্রনে না আনতে পাড়লে অবস্থর অবনতি ঘটবে। মশক নিয়ন্ত্রনে অধিদপ্তর ও সিটি করর্পোরেশন সহ যে সকল প্রতিষ্ঠানের উপর মশা নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব ছিল তারা এব্যাপারে কেন উদাসিন এই প্রশ্নটি সকল সুশীল সমাজ তথা সমাজকর্মীর কাছে তাহলে মশা নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর এর কাজ কি?
ডেঙ্গুর ভয়াবহতা হতেপারে এই মর্মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শর্তকবার্তা দিলেও সিটি করর্পোরেশন তা আমলে নেন নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংন্থা ২০১২ সালেই একটি শর্তকবার্তা দিয়েছিল যে বিশ্বের শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রয়েছে যার মধ্যে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখিত ছিল যাতে ছিল ডেঙ্গু বৈশ্বিক উদ্বেগের বিষয় হলেও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে এমন দেশ তথা আক্রান্ত হয়েছে এমন ৭৫ শতাংশের বসবাস এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলে। আরও জানা গেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংন্থা ২০১২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ডেঙ্গু প্রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রেনের জন্য একটি বৈশ্বিক কৌশলপত্র প্রকাশ করেছিল। এর অংশ হিসাবে ডেঙ্গু জীবানু বহনকারী মশা কিভাবে উৎপত্তি হয়, এর অবস্থানকাল কোথায়, কখন কামড়ায়, কিভাবে রোগের লক্ষন শুরু হয় এবং প্রতিকারে উপায় কি এসব নিয়ে গতবছর মার্চ মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি আগাম বার্তা সংশ্লিষ্ট দফতরে দেয়া হয়েছিল। সে যাই হউক না কেন এখন দুটি সিটি করর্পোরেশন তাদের দায় স্বীকার করলেও ডেঙ্গু রোগের ব্যাপারে যে সকল ব্যবস্থা নেয়ার কথা সেগুলোর বিলম্বের কারনে একটি হুমকির মুখে রয়েছে বিশেষত: সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল কেন্দ্রীক সেবায় আর জনমনে আতঙ্কের কথা বলাই বাহুল্য।।
ডেঙ্গু মোকাবিলায় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের মতো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর দায়িত্ব অপরিসীম। প্রতিদিন পুরো দেশের প্রতিটি এলাকায় মশার ওষুধ ছিটাতে হবে। এটি সারা বছর জারি রাখতে হবে। দেশকে ডেঙ্গুমুক্ত করতে হবে। সব বসতিতে ওষুধ ছিটাতে অস্থায়ী ভিত্তিতে লোক নিয়োগ করতে হবে। অর্থাৎ ডেঙ্গু আক্রান্ত প্রতিটি এলাকায় মশার ওষুধ ছিটাতে যা যা দরকার, তা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে ডেঙ্গু নির্মূলে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রত্যেক বাসাবাড়ির সদস্য, এলাকাবাসী, কমিউনিটির বিভিন্ন সমিতি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ দেশকে মশা ও ডেঙ্গুমুক্ত করা। তাই তাদের তরফ থেকে মশা নিয়ন্ত্রণে রোডম্যাপ প্রণয়ন করতে হবে। তারা কতদিনে দেশকে মশা ও ডেঙ্গুমুক্ত করতে পারবে, সেটি জনগণকে জানাতে হবে। জনমানুষের শঙ্কা কাটাতে হবে। আশার কথা, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় রাজধানীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসককে আহ্বায়ক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে। দেশের তিনজন বিশেষজ্ঞ ও সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রতি কমিটির সদস্য সংখ্যা ছয়। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে এখন যেসব কার্যক্রম চলমান আছে, সেগুলোর সঙ্গে নতুন করে কী ধরনের কাজ যোগ করা যায়, নতুন কমিটি সে পরামর্শ দেবে। এছাড়া চলমান কার্যক্রমের কার্যকারিতার বিষয়টিও খতিয়ে দেখবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু নির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক নয়, সারা বছর মশক নিধন কার্যক্রম চলমান রাখতে হবে। প্রকৃত অর্থে মশা ও লার্ভা বিনষ্ট হয়েছে কিনা, তা নিরূপণ করতে হবে।
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় সমন্বিত কর্মসূচী জরুরী এবং বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের কে সঠিক সেবা দিয়ে সুস্থকরে তুলা আর যারা সুস্থ অবস্থায় আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন তাদের আত্মরক্ষার পথ হিসাবে বাসা কিংবা কর্মস্থন পরিস্কার রাখা, মশা নিধনের জন্য মশা নাশক ঔষধ ছিটানো, বাসা কিংবা অফিসের আর্বজনার পানির ব্যবহার না করা ও সর্বোপরি ধর্ম্মীয় অণুশাসনের ভিত্তিতে জীবনকে পরিচালিত করা। সর্বশেষে বলা যায়: সরকার বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে, যেখানে প্রতিটি জনশক্তি স্মার্ট হবে, সবাই প্রতিটি কাজ অনলাইনে করতে শিখবে, ইকোনমি হবে ই-ইকোনমি, যাতে সম্পূর্ণ অর্থ ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল ডিভাইসে করতে হবে, আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মযোগ্যতা সবকিছুই ই-গভর্ন্যান্সের মাধ্যমে হবে, ই-এডুকেশন, ই-হেলথসহ সব কিছুতেই ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করা হবে এবং ২০৪১ সাল নাগাদ এগুলো করা সম্ভব হবে এবং সেটা মাথায় রেখেই কাজ চলছে, কিš‘ বাজেটে এর তেমন কোনো প্রতিফলন সেভাবে নেই। টেকসই নগরাযণসহ নাগরিকদের প্রযয়োজনীয সব সেবা হাতের নাগালে থাকবে এই হলো আমাদের প্রত্যাশা।
লেখক: অর্থনীতিবিদ ও গবেষক
সারাবাংলা/এসবিডিই
ড. মিহির কুমার রায় ডেঙ্গু মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ জরুরী মুক্তমত