Tuesday 29 Oct 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান: ক্রিকেটের উত্থান পতনে যেনো দুটো মানচিত্র

সুমন বৈদ্য
২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:০২

স্বপ্ন দেখতে সবাই ভালোবাসে। স্বপ্নকে লালন করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই সবাই। স্বপ্ন দেখা যেমন সহজ, ঠিক তেমন লালন করা অনেক কঠিন। অনেক বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। বলা যায় অসম্ভবকে সম্ভব বানিয়ে স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে হয়। ঠিক যেমনটি আফগানিস্তান করে দেখালো। যে দল, হামাগুড়ি দিয়ে আসতে আসতে ক্রিকেট বিশ্বকে নিজেদের জানান দিচ্ছিলো তারাও অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডের মতো ক্রিকেটের পরাশক্তি। আজ তা করে দেখালো, ইর্মাজিং এশিয়া কাপ জেতার মধ্যে দিয়ে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে বাংলাদেশ, স্বপ্ন দেখে হয়তো সত্যি। কিন্তু তা বাস্তবে রূপ দিতে বারবার যেনো হোঁচট খায়। কথায় আছে অসম্ভব বলে কিছু নেই, কিন্তু বাংলাদেশের হতশ্রী পারফরমেন্স দেখে বলতে হয় অসম্ভব বলেও কিছু আছে।

‘বাংলাদেশ-আফগানিস্তান’ যেনো ক্রিকেটের উত্থান পতনের দুটো মানচিত্র। একদল যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ। ছিলো না ভালো করে খেলার মাঠ। গোলাগুলির আওয়াজ যেনো তাদের নিত্যপ্রতি সঙ্গী। যে দেশে ছিলোই না কোনো সবুজ ঘাসের মাঠ, সে দেশে টার্ফের উইকেট যে কী সেটা জানা ছিলো তাদের কাছে বিলাসীতা। সেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ আফগানিস্তান এখন ক্রিকেট বিশ্বের রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টিকারী দল।

অন্যদিকে পর্যাপ্ত ক্রিকেট মাঠ থেকে শুরু করে রয়েছে পর্যাপ্ত কোচের সুব্যবস্থা, ব্যবস্থা রয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেট লীগের‌। কিন্তু তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ অতি নগন্য দল হিসেবে এখন পরিচিত ক্রিকেট‌ বিশ্বে। কিন্তু কেনো এই সমস্যা? কেনো বাংলাদেশ বছরের পর বছর খেলে এসেও এখনো স্বপ্ন দেখে বড় মঞ্চে সেমিফাইনাল অথবা দু একটা বড় দলের সাথে ম্যাচ জেতা আর অন্যদিকে অতি কম সময়ে ক্রিকেট শুরু করা আফগানিস্তান এখন ক্রিকেটের জায়ান্ট দলদের মধ্যে একজন।

দুই দলের সামগ্রিক অবস্থা শুরু থেকেই পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ক্রিকেটের যাবতীয় সুব্যবস্থার দিক দিয়ে বাংলাদেশ আফগানিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিলো। অন্যদিকে আফগানিস্তানের খেলোয়াড়রা সুবিধার দিক দিয়ে অনেক আগে থেকেই বঞ্চিত। আফগানিস্তান ক্রিকেটারদের অন্যতম প্রস্তুতির জায়গা হলো ফ্রাঞ্চাইজ ভিত্তিক খেলা। প্রতি বছর বিভিন্ন নামীদামী ফ্রাঞ্চাইজ ভিত্তিক খেলায় আফগান খেলোয়াড়রা অংশগ্রহণ করে থাকে।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা সেই সুযোগ পেতো না। কিন্তু শুধু খেলাধুলা বড় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা নয়, খেলাধুলার পরিবেশটাও অনেক বড় গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক যেমনটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে উল্টো। বাংলাদেশের কোচিং প্যানেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের কোচের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে সঠিকভাবে কোচিং-এর প্রয়োগ নেই। সালাহউদ্দিন‌, খালেদ মাহমুদ সুজন, তুষার ইমরান, সোহেল ইমরানদের মতো দেশী ভালো মানের কোচ থাকলেও তাদের ব্যবহার করা হয় নামকাওয়াস্তে হওয়া বিপিএল ফ্রাঞ্চাইজ অথবা ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্টে। অথচ এদের হাত ধরেই তো জাতীয় দলে অনেক খেলোয়াড় জায়গা করে‌ নিয়েছে। যার বড় উদাহরণ হলো কোচ সালাউদ্দিন, যার হাত ধরেই তামিম-সাকিব-মুশফিকরা দেশ বিদেশে সমাদৃত হয়েছে।

কিন্তু আফসোসের মূল কারণ, যে দেশীয় কোচদের মাধ্যমে যেসব খেলোয়াড়রা জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছে, তাদেরকে করা হয় আন্তর্জাতিক খেলায় অবজ্ঞা। বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচিং প্যানেল লক্ষ্য করলে খেয়াল করা যায় বেশিরভাগ কোচ বিদেশি। যার ফলে ভাষাগত সমস্যা পোহাতে হয় অনেক খেলোয়াড়দের। বিদেশি কোচদের কোচিং প্যানেল যে খারাপ হয় তা কিন্তু নয়।

কিন্তু বাংলাদেশের যে রীতি তা কিন্তু বছরকে বছর কোচিং প্যানেল পরিবর্তন এর মধ্যে দিয়ে যেতে থাকে। এর প্রধান কারণ কোচিং প্যানেল- নির্বাচকদের মধ্যে বৈরিতা‌। একটু বিশেষভাবে বিশ্লেষণ করলে ফুটে আসবে খেলোয়াড় সিলেকশন থেকে শুরু করে কোচিং এর নানা কার্যক্রমে দুই পক্ষের মত বিরোধ। আবার কখনো কখনো অনভিজ্ঞ সম্পন্ন কোচ নিয়োগের ফলে দ্বন্দ্বের পরিস্থিতি তৈরি হওয়া। যার ফলে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স ঊর্ধ্বগামী হওয়ার বদলে নিম্নগামীই হয়ে থাকে। যার ফলে খেলোয়াড়দের অনেক সময় দেশীয় কোচদের সাহায্য নিতে হয়। তবে এর মাঝে ডেভ হোয়াইমোর, অ্যানাড ডোনাল্ড, রাঙ্গানা হেরাথ, স্টিভ রোডস, জিমি সিডন্স কিছু খন্ডকালীন বিদেশি কোচ বাংলাদেশকে নতুন কিছু এনে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলো।

অন্যদিকে ঘরোয়া ক্রিকেট লিগ যেসব আয়োজন করা হয় তা অতি নিম্নমানের। স্লো উইকেট পিচে যেসব খেলা আয়োজন করা হয় তাতে অল্পতেই অনেকেই সাফল্য পায়। কিন্তু তা বাস্তব রূপ দিতে অনেকের দীর্ঘ সময় লেগে যায় জাতীয় দলে।যার ফলে বাদ পড়তো তাদের বেশি সময় লাগে না। পার্শ্ববর্তী দেশ যদি ভারতের দিকে যদি লক্ষ্য করা যায় তারা বছরকে বছর যেসব ঘরোয়া ক্রিকেট লিগে খেলে তারাই কিন্তু দীর্ঘসময় সময় ধরে খেলে যাচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট দলে। এর বড় উদাহরণ ঘরোয়া ক্রিকেটে মানসম্মত উইকেট খেলোনো এবং বাইরের কন্ডিশন সাজিয়ে প্রস্তুতি করানো।

অন্যদিকে আফগানিস্তানের খেলোয়াড়রা যেসব ফ্রাঞ্চাইজভিত্তিক খেলা খেলে থাকে, তাতে করে তারা অনেক খেলোয়াড় থেকে শুরু করে তাদের পরিবেশ সম্পর্কে অবগত হয়। যার ফলে তাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা ভাব লক্ষ্য করা যায় এবং কন্ডিশন সম্পর্কে ধারণা পায়। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো তাদের নিজেদের মধ্যে সৌন্দর্য, সৌহার্দ্য ভাব গাম্ভীর্যতা বজায় থাকে। যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের মধ্যে বেশকিছু সময় ধরে অরাজকতা লক্ষ্য করা যায়।

উদাহরণস্বরূপ বাংলাদেশের সাবেক কোচ চন্ডিকা হাতুরুসিংহে দ্বিতীয়বার কোচ হয়ে যখন আসেন, তার আমলে খেলোয়াড়দের মধ্যে একটা সুন্দর সুশীল সম্পর্ক নষ্ট হতে দেখা যায়। সাকিব তামিম সম্পর্কের মধ্যে ফাটল, বিতর্কিত ভাবে তামিমকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ, ক্রিকেটারকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা ইত্যাদি বিষয় লক্ষ্য করা যায়। যার প্রভাব ২০২৩ বিশ্বকাপে টাইগারদের পারফরম্যান্সেও প্রতিফলিত হয়।

তাছাড়াও ক্যাপ্টেনসিতে অদলবদল, খেলোয়ারদের ব্যাটিং পজিশন হঠাৎই পরিবর্তন, অফ ফর্মে থাকা পছন্দনীয় ক্রিকেটারদেরকে খেলানো। এই যেনো বাংলাদেশের চেনা পরিচিত রূপ।

অন্যদিকে সাকিব মুস্তাফিজ ছাড়া আর কোন খেলোয়াড়কে ফ্রাঞ্চাইজ ভিত্তিক খেলায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়না। এখন বেশ কিছু খেলোয়াড় বাইরের ফ্রাঞ্চাইজ ভিত্তিক খেলায় নাম লেখালেও তা বেশিরভাগ সময় কাজে আসে না। কারণ দেশ ও বিদেশের ক্রিকেটীয় প্রস্তুতি ও আবহাওয়ার কারণে। কারণ বাংলাদেশের যে কন্ডিশনে খেলা হয় তা কোনোরকমভাবেই আন্তর্জাতিক উপযোগী না এবং বাংলাদেশের বেশিরভাগ খেলা হয়ে থাকে মিরপুর পিচে। এর বাইরে চট্টগ্রাম আর সিলেটের পিচ আন্তর্জাতিক মানের হলেও তা ব্যবহার খুব কমই হয়। ব্যবহার হলেও তা হোম কন্ডিশন ফায়দা নেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।

অন্যদিকে আফগানিস্তান সেই পথে না হেঁটে বছরকে বছর নিজেদেরকে প্রতিযোগিতা ক্রিকেটের সাথে তৈরি করেছে। কোচ থেকে শুরু করে অধিনায়ক এবং বাদবাকি খেলোয়াড়রা নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক সুন্দর রেখেছে এবং অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছে।

আফগানিস্তানের মূলত ২০০৮ সালে ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ ডিভিশন ফাইভ জয়ী দিয়ে যাত্রা শুরু।এর ঠিক এক বছর পর অর্থাৎ ২০০৯ সালে প্রথমবার আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে পা রাখে। এরপর ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে অভিষেক হয় বিশ্ব আসরে। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও ততদিনে ওয়ানডে মর্যাদা পেয়ে যায়। মোহাম্মদ নবির নেতৃত্বে ২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ দিয়ে একদিনের বিশ্বকাপে অভিষেক হয় আফগানিস্তানের। এর ঠিক দুই বছর পর, ২০১৭ সালে পায় টেস্ট মর্যাদা।

আফগানিস্তান যে একদিন বিশ্বমঞ্চে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে তা নিয়ে দৃঢ় প্রত্যয় ছিলো বর্তমান টি টুয়েন্টি অধিনায়ক রশিদ খানের।২০১৯ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে রশিদ খান এক গণমাধ্যম সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আফগানিস্তানের দ্রুত উন্নতির কারণ হলো আমাদের সহজাত প্রতিভা এবং এটিই আমাদেরকে আরও বেশি বিশেষ করে তুলছে। বাচ্চা বয়সে ক্রিকেট শুরুর সময় মৌলিক ব্যাপারগুলিই শিখতে ইচ্ছে করে। এরপর আস্তে আস্তে উন্নতি করতে করতে ভালো ক্রিকেটার হয়ে উঠতে হয়। কিন্তু কম বয়সেই যদি বোঝা যায় যে সহজাত প্রতিভা ও স্কিল আছে এবং সেসব নিয়ে আরও কাজ করা যায়, তাহলে সেরা হয়ে ওঠা যায়। দেশে আমাদের খুব বেশি সুযোগ-সুবিধা নেই। অনেক তরুণ ক্রিকেটার বের করে আনার মতো ঘরোয়া ক্রিকেটও আমাদের নেই। তবে ভালো ব্যাপার হলো, আমাদের অনেক সহজাত প্রতিভাবান ক্রিকেটার আছে। এই কারণেই আফগানিস্তান এই পর্যায়ে উঠে এসেছে।’

এর চাইতেও বড় ব্যাপার হলো ১০-১৫ বছর আগে আমাদের সিনিয়ররা যখন ক্রিকেট শুরু করেছেন, সেই সময় আমাদের সুযোগ-সুবিধা ছিল শূন্য। ছিল না কোনো মাঠও। গোটা আফগানিস্তানে কোনো ঘাসের মাঠ ছিল না। সারা দেশে কোনো টার্ফ উইকেট ছিল না। তারা সিমেন্টের উইকেটে খেলতেন। তারা ওই সময় অনেক লড়াই করেছেন। কিন্তু তাদের ভাবনায় ছিল আফগানিস্তানের ক্রিকেটকে পরের ধাপে নিয়ে যাওয়া। তাদের সেই দক্ষতা ও প্রতিভা ছিল। টেনিস বলের ক্রিকেট থেকে ক্রিকেটারদের এনে তারা সরাসরি এই পর্যায়ে খেলিয়েছেন। তবে তাদের মানসিকতা এরকম ছিল যে দলের জন্য সেরাটা দিতে তারা সক্ষম। তাদের সেই ধৈর্য ছিল।

সেই ধৈর্যশক্তি, ইচ্ছেশক্তির যেনো আফগানিস্তান বিশেষ পর্যায়ে অবস্থান করছে।যার উদাহরণস্বরূপ ২০২৪ টি টুয়েন্টি বিশ্বকাপের দিকে লক্ষ্য করা গেলে বোঝা যায়। সাকিব-মাহমুদুল্লাহ তাসকিনদের মতো অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দল বাংলাদেশকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি ইভেন্টের সেমিফাইনালে উঠে আফগানিস্তান। শুধু সেমিফাইনালই নয়, সেই আসরে নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে রীতিমতো নাকানিচুবানি খাওয়ায় আফগানিস্তান। এখানেই থেমে থাকেনি আফগানিস্তান। এই বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলের অংশগ্রহণে ইমার্জিং এশিয়া কাপের ফাইনালের বিজয়ী হয় আফগানিস্তান।

বছরকে বছর বাংলাদেশে ঘরোয়া ক্রিকেটের মাধ্যমে যেসব খেলোয়াড় জাতীয় দলে ঢুকেছে এবং যেসব অভিজ্ঞতা সম্পন্ন খেলোয়াড় এখনো দলে রয়েছে তারা থাকা সত্ত্বেও এখনো একটি এশিয়া কাপ তো দূরের কথা বিশ্বকাপের মঞ্চেও বাংলাদেশ তাদের আদিপত্যের বিস্তার দেখাতে পারেনি। যে টি-টোয়েন্টি খেলাকে বাংলাদেশ আজীবনই দুঃস্বপ্নার মতন ভয় পেয়ে গিয়েছে, সেই ফরম্যাটে এখন রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আফগানিস্তান, আর জিতে নিয়েছে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট।

যে দেশের খেলোয়াড়রা এখনও দেশের মাটিতে খেলতে পারে না। ভারতের দেরাদুনে স্টেডিয়াম ভাড়া করে খেলতে হয় তাদের। আত্মঘাতী হামলাকারীরা আজও হামলা করার জন্য লক্ষ্যবস্তু বানায় কাবুল-কান্দাহারের ক্রিকেট স্টেডিয়ামগুলো, সেই দেশের খেলোয়াড় প্রমাণ করে দেখালো ইচ্ছাশক্তি এবং ধৈর্য শক্তি থাকলে অসম্ভবকেও সম্ভব করা যায়। ‌সেই সাথে তারা এটিও প্রমাণ করেছে ক্রিকেট আসলে মানসিক এবং ধৈর্যশক্তির খেলা, যা বাংলাদেশের মধ্যে শুরু থেকেই অভাব ছিলো, যা এখনো আছে।

লেখক: শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগ, পোর্ট সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

সারাবাংলা/এসবিডিই

বাংলাদেশ-আফগানিস্তান: ক্রিকেটের উত্থান পতনে যেনো দুটো মানচিত্র মুক্তমত সুমন বৈদ্য

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর