চালের মূল্যবৃদ্ধি: কেড়ে নিচ্ছে গরীবের স্বস্তি
১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:৩৯ | আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৪১
দেশের প্রধান খাদ্যশস্য চাল এবং সে কারনেই মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য চালের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা খুবই জরুরি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, দেশে মাথাপিছু দৈনিক চাল গ্রহণের পরিমাণ ৩২৮ দশমিক ৯ গ্রাম। ১৭ কোটি মানুষের প্রতিদিনের হিসাব ধরে বছরে প্রয়োজন হয় প্রায় ২ কোটি ৬০ লাখ টন চাল। শুধু ভাত হিসেবে এ চাল মানুষ গ্রহণ করে। এর বাইরে বিভিন্ন পোলট্রি ফিড, বীজসহ অন্যান্য প্রয়োজনে চাল ব্যবহার হয় আরো এক কোটি টন। সব মিলিয়ে প্রয়োজন ৩ কোটি ৬০ লাখ টন। কিন্তু গত বছরে উৎপাদন হয়েছে ৪ কোটি ১৩ লাখ টন। তার পরও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি আমন মৌসুমে ৫৯ লাখ হেক্টর জমিতে ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। বন্যায় কিছু এলাকার জমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেখানে ফের আবাদ করা যায়নি। এতে আবাদ হওয়া ৫৬ লাখ হেক্টর জমির মধ্যে ৫৩ লাখ হেক্টরের ধান কাটা হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৬৫ লাখ টন ধান, যদিও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ কোটি ৭৮ লাখ টন। তবে সেই তুলনায় এবার উৎপাদন কম হয়নি। তা ছাড়া এখনও ৩ লাখ হেক্টর জমির ধান কাটা বাকি রয়েছে। তারপরও চালের ক্রমাগতভাবে মূল্যবৃদ্ধি কেড়ে নিচ্ছে সাধারন মানুষের স্বস্তি যা কাম্য নয়।
চালের বাজার পরিস্থিতি
আমনের ভরা মৌসুমে চালের চড়া দর নিয়ে খুচরা ও পাইকারি বিক্রেতা এবং মিলাররা দুষছেন একে অপরকে। খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, ভরা মৌসুমেও ধানের সংকট দেখিয়ে দর বাড়াচ্ছেন মিলাররা। মিল পর্যায়ে সরকারের নজরদারি না থাকার সুযোগটাই নেওয়া হচ্ছে। তবে মিলারদের দাবি, উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষক ধানের দাম বাড়িয়েছে। পাশাপাশি একশ্রেণির ব্যবসায়ী কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে মজুত করে এখন ইচ্ছামতো দর বাড়াচ্ছে। গতকাল ৯ই জানুয়ারীর মধ্যে বাজার, সব ধরনের চালের দর বেড়েছে যেমন খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৭৬ থেকে ৮০ টাকায় এবং নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে যা মাসখানেক আগেও ছিল ৬৮ থেকে ৭৫ এবং নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৭৮ টাকা । সেই হিসাবে দু্ই জাতের চালের কেজিতে বেড়েছে যথাক্রমে ৫ থেকে ৮ এবং ৮ থেকে ১০ টাকা। এক মাস আগে মাঝারি মানের, অর্থাৎ বিআর-২৮ জাতের চালের কেজি ছিল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। সেই চাল ২ থেকে ৫ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। এ ছাড়া এই সময়ে মোটা চালের (গুটিস্বর্ণা) কেজিতে বেড়েছে ১ থেকে ৪ টাকা। এক মাস আগে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজির মোটা চালে এখন গুনতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। আমদানি করা ভারতীয় চালও বেচাকেনা হতে দেখা গেছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা মিনিকেট নামে এ চালের কেজি বিক্রি করছেন ৭৬ থেকে ৭৮ টাকায়। সরকারি সংস্থা টিসিবির তথ্যমতে, গত এক মাসে সরু চালের দর ৪ শতাংশ, মাঝারি চালে আড়াই এবং মোটা চালের দর ৭ শতাংশ বেড়েছে। তবে এক বছরের ব্যবধানে গড়ে সব ধরনের চালের কেজিতে বেড়েছে ১৬ শতাংশ।
চালের মূল্যবৃদ্ধির কারন অনুসন্ধান
বর্মান বছর অতিবৃষ্টি ও উজানের ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমনের আবাদ। উৎপাদনে ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮ লাখ ৩৯ হাজার টনে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, বছরে দেশে চার কোটি টনের মতো চাল উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে দেড় কোটি টন আসে আমন মৌসুমে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ফসলের ফলন কমে যাওয়ায় চালের দাম যেন আর বেড়ে না যায় তার জন্য অন্তর্বর্তী সরকার শুল্ক কমিয়ে আমদানিকে উৎসাহিত ও স্থানীয় মজুদ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। অর্থ উপদেষ্টা বলেন, চালের দাম কিছুটা বেড়েছে। সরবরাহ চেইনের কারণে তা হয়েছে। তিনি বলেন, মাধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে যেন চালের দাম না বাড়ে, তা সরকার দেখছে । ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মিলার বলছেন কৃষকের কাছ থেকে ধান পাচ্ছেন না। এখন সরকারের মিলে গিয়ে দেখা দরকার আসলে ধান আছে কিনা। এ সরকার উৎপাদন এলাকার মিলগুলোতে তদারকি করছে না। এই সুযোগে মিলাররা দাম বাড়াচ্ছেন। তবে মিলারদের ভাষ্য, গত বছরের তুলনায় এবার ৭৫ কেজির প্রতি বস্তা ধানের দাম বেড়েছে প্রায় ৩০০ টাকা।, গত বছর যে ধানের বস্তা কেনা গেছে ২ হাজার ২০০ টাকা। এবার তা কিনতে খরচ হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫৫০ টাকায়। কৃষক বাজারে দর বেশি পাওয়ায় সরকারকে ধান দিচ্ছে না। এ ছাড়া মজুতদারদের সংখ্যা বেড়েছে অস্বাভাবিকভাবে। তারা কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে এখন নিজেদের মতো দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। আর মিলাররা ভুগছে ধানের সংকটে। মজুতদারদের কাছে কী পরিমাণ ধান রয়েছে, তা তদন্ত করলেই বাজার নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। চালের বাজারে সিন্ডিকেট সক্রিয় ।বাজারে উঠেছে আমনের নতুন ধান। এবার উৎপাদনও হয়েছে আশানুরূপ। ১০ দিনের মধ্যে ধানের দাম মণপ্রতি কমেছে ৫০ থেকে ৮০ টাকা। এরপরও চালের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করার বিষয়টি উদ্বেগজনক। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, চালের বাজারে অস্থিরতার পেছনে কাজ করছে মিল মালিকদের কারসাজি। নানা অজুহাতে তারাই বাড়াচ্ছেন চালের দাম। বাজার স্থিতিশীল রাখতে শুল্ক প্রত্যাহার, বিপুল পরিমাণ চাল আমদানির পরও বাজারে দামের প্রভাব নেই। প্রতি বস্তা চালের দাম ১৫ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। সূত্র বলছে, বস্তুত সিন্ডিকেটের কারণেই চালের বাজারের অস্থিরতা দূর হচ্ছে না। ক্ষমতার পালাবদলের পরও চালসহ নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দূর হচ্ছে না। এই সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য ক্যাবের পক্ষ থেকে পরামর্শ হলো, বাজার তদারকির জন্য ভোক্তা অধিকার ছাড়া কোনো মন্ত্রণালয় সেখানে যায় না। তাই সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব হচ্ছে না। সিন্ডিকেট ভাঙার ক্ষমতা একমাত্র সরকারের হাতে। ভোক্তা অধিকারের পক্ষে এটা ভাঙা সম্ভব নয়। আমরা মনে করি, সরকারের হাত অনেক লম্বা। তারা যদি চেষ্টা করে, তাহলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
চাল আমদানিতে সরকার
চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আমদানি বৃদ্ধি, ভর্তুকি মূল্যে বিক্রিসহ সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও কাজে আসছে না কিছুই। এক মাস ধরে দাম বেড়েই চলেছে দেশের প্রধান খাদ্যশস্যের। এই সময়ে কেজিতে সর্বোচ্চ ১০ টাকা পর্যন্ত দর বেড়েছে চালের। চালের মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সরকার আমদানি উদারীকরণের নীতিতে যাচ্ছে জানিয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমদানি উদার করতে গভর্নর, খাদ্য উপদেষ্টা, টিসিবি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাজারে সরবরাহব্যবস্থার উন্নতিতে আপাতত আমদানিকেন্দ্রিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিপুল চাল আমদানির প্রস্তুতি চলছে। এতে স্থানীয় বাজারে দাম কমবে। এক মাসের ব্যবধানে ডিসেম্বর ৬৪৫ শতাংশ বেড়েছে চালের আমদানি। আর বছরের ব্যবধানে বেড়েছে ৩১ হাজার ৩২৬ শতাংশ। এরপরও বাজারে অস্থিরতা। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ৫৫ হাজার ৯৩৯ মেট্রিক টন চাল আমদানি হয়েছে। আগের মাস নভেম্বরে চাল আমদানি হয়েছিল মাত্র ৭ হাজার ৫০৭ মেট্রিক টন। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে চালের আমাদানি বেড়েছে ৬৪৫ শতাংশ। আর ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে চাল আমদানি হয়েছিল মাত্র ১৭৮ মেট্রিক টন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে চালের আমাদানি বেড়েছে ৩১ হাজার ৩২৬ শতাংশ। এরপরও বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদিত হয়েছে ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায়। প্রতি কেজি চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৫ টাকা ৬ পয়সা। প্রতি টন ৪৫৮ দশমিক ৮৪ ডলার দরে ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এ চাল আমদানি করা হবে। এতে সরকারের ব্যয় হবে ২৭৫ কোটি ৩০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর একই প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। ওই লটে প্রতি কেজি চালের দাম ধরা হয় ৫৪ টাকা ৮০ পয়সা। সম্প্রতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে ও জনস্বার্থে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে ৬ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেয় অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ।
মিলবে ওএমএসের চাল ৩০ টাকা কেজিতে
বাজার নিয়ন্ত্রণে ভর্তুকি মূল্যে চাল বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। গতকাল খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওএমএসের আওতায় সারাদেশে ১ হাজার ৭৫২টি বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে দৈনিক ১ হাজার ৭৫২ টন চাল বিক্রি করা হবে। প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে প্রত্যেক ক্রেতা পাঁচ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন। প্রথম পর্যায়ে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
সরকার আমন ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু করেছে ১৭ নভেম্বর থেকে। চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে ১৫ মার্চ পর্যন্ত। এবার ধান সংগ্রহ করা হবে ৩ লাখ ৫০ হাজার টন, সেদ্ধ চাল ৫ লাখ ৫০ হাজার টন ও আতপ চাল এক লাখ টন। মোট সংগ্রহ ১০ লাখ টন। ধানকে চাল হিসেবে বিবেচনায় ধরে মোট চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা হলো ৮ লাখ ৮০ হাজার টন, যা সম্ভাব্য মোট চাল উৎপাদনের প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ। সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ধান ৩৩ টাকা, সেদ্ধ চাল ৪৭ ও আতপ চাল ৪৬ টাকা। কয়েক বছর ধরেই ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্ধেকও অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। এবার যেহেতু আমনের ফলন কম হয়েছে, তাই সরকারের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করাও কঠিন হবে। চালের বাজারের অস্থিতিশীলতা কমাতে সরকারকে আমদানির মাধ্যমে সরকারি মজুদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে। ফলন কম হওয়ায় কৃষকরাও চাল মজুদ করবেন। পাশাপাশি আড়তদার ও মিল মালিকরাও চাল মজুদ করবেন। এতে বাজারে কৃত্রিম সরবরাহ সংকট প্রকট হবে। তাই আগের ব্যর্থতা পর্যালোচনা করে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সরকারকে আমদানির মাধ্যমে চালের মজুদ বাড়াতে হবে। উল্লেখ করা দরকার যে বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং খাদ্যসম্পর্কিত নীতি প্রণয়নে যথাযথ তথ্য-উপাত্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ। সরকারি মজুদের পরিমাণ জানা গেলেও বেসরকারি খাতে চালের মজুদ কত আছে, তার পরিসংখ্যান জানা নেই। এ-সম্পর্কিত তথ্য প্রথমে সংগ্রহ করতে হবে। সঠিক তথ্যের মাধ্যমে ঘাটতি নির্ণয়পূর্বক আমদানি করতে হবে। সরকার শুল্ক কর তুলে নিয়ে প্রায় ১৫ লাখ টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়। যদিও এটি দিয়ে মজুদ পরিস্থিতির খুব উন্নতি করা যাবে কিনা এবং বাজারে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে ঠিক কী পরিমাণ চাল আমদানি করা প্রয়োজন, তা নিরূপণ করা জরুরি। বিশ্ববাজার ও স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় আমদানির মাধ্যমে চালের মজুদ বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজার অস্থিরতা রোধে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় দ্রুত পদক্ষেপ নেবে, এটিই প্রত্যাশা।
লেখক: অধ্যাপক (অর্থনীতি), সাবেক পরিচালক, বার্ড (কুমিল্লা), সাবেক ডিন (ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ) ও সিন্ডিকেট সদস্য, সিটি ইউনিভার্সিটি, ঢাকা
সারাবাংলা/এএসজি