Friday 21 Mar 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আরশ থেকে শহীদ আরোহী বলছি…

ওমর ফারুক
২০ মার্চ ২০২৫ ১৮:১৮

আমরা রংতামাশা নিয়ে কতোই আমোদ ফুর্তিতে জীবন পার করছি। সারা বিশ্বের মুসলিম গভীর নিদ্রায় আছেন নিজ গন্তব্যে। নিশ্চুপ কিংবা নিস্তব্ধ যে যার তার মতে কাজ করছে ও আনন্দ করছে! মুসলিম বিশ্বে রমজান চলছে খুশি অপেক্ষা করছে সামনে ঈদুল ফিতর আসবে। পুরো জগৎ মত্ত আছে বিনোদন নিয়ে। ছবির রাজকন্যার কথা মনে আছে? যেখানে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেও তিনি রাণীর চরিত্রে উপন্যাস হয়ে বসে ছিলেন। মানুষ বাহবা দিয়েছিল পূর্বে। সাহসের সাথে পায়ের উপর পা তুলে ভয়ডরহীন হয়ে বসে আছেন।

বিজ্ঞাপন

হ্যাঁ মুসলিম হ্যাঁ! আমাদের সেই ছোট্ট ফুল ফিলিস্তিনি শিশু আরোহী শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করছেন। তিনি এখন শহীদ আরোহী হয়ে গেছেন। মহান আরশের মালিকের সান্নিধ্যে চলে গেছে ইতিমধ্যেই। তাই আমি উনাকে সম্মানের সাথে ‘তিনি’ বলে সম্বোধন করছি। তিনি এখন সম্মানিতা হয়ে রয়েছেন। তিনি এখন রবের নিকট ভালো রয়েছেন। হে মুসলিম সংগঠন ‘ওআইসি’ আপনার মেয়ে বাড়িতে এসি রুমে আছে না?

হে মানবাধিকার সংস্থা ‘জাতিসংঘ’ আপনার মেয়ে আপনার ঘরে নিরাপদে আছে না? ওহে সুন্দর সুললিত দেশের জোট ‘ইইউ’ কিংবা ‘ন্যাটো’ আপনার আকাশ পরিস্কার তাইতো? সব ঠিক আছে তাই না? আমাদের এই শহীদ বোন ও ঠিক আছেন। তিনি দুনিয়ার সফর শেষে অসীম নেয়ামতের ভুবনে পাড়ি জমিয়েছেন। জানেন আপনি? তিনি সমস্ত জগতের মালিকের কাছে সীমাহীন অতুলনীয় জান্নাতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যে জান্নাতের উপমা ও তুলনা কেউ করতে পরাবে না বা তুলে ধরতে পারবে না।

হাসতে হাসতে আল্লাহ কে বলছেন! হে রাহমানুর রাহিম? আমি আর যাব না আপনার হাতে গড়া আদম (আঃ) এর ভূমিতে। আমি আর যাব না আমার মা হাওয়া (আঃ) এর ঘরে। আমি আর কিছু চাই না, আমি এখানে থাকবো। আপনি মানুষ রুপে নরপশু সৃষ্টি করছেন। আপনি মানবরুপে জানোয়ার সৃষ্টি করেছেন। যারা অবিকল হুবহু মানুষের ন্যায় দেখতে কিন্তু মানুষ নয়। না অভিযোগ করছি না হে রব!

তাদের জন্য আমি আজ আপনার আরশে জায়গা পেয়েছি। তবে আমার বাকি মুসলিমদের রক্ষা করুন। আমার মতো নিষ্পাপ ফুলদের ফুটতে দিন, বাঁচতে দিন, হাসতে দিন, মা-বাবার আদর পেতে দিন ও ফিলিস্তিনের পবিত্রতা রক্ষা করুন। ইয়া আল্লাহ, ইয়া করিম, ইয়া রহিম, ইয়া গফুর, ইয়া আজিজ, ইয়া মালিক ওহে রাজ্জাক আমার ফিলিস্তিন কে শান্ত ও ঠান্ডা করে দিন। আমি আদমের বাড়িতে আর যাব না। আমি তোমার এই জান্নাতে থাকতে চাই সমস্ত কাল। আমিন-আমিন! হ্যাঁ! আমি শহীদ আরোহী বলছি আরশ থেকে।

বিজ্ঞাপন

একটু ভাবুন! ছোট্ট শিশু গুলোর অপরাধ কী? আচ্ছা আমরা কী নিয়ে মগ্ন আছি? মুসলিম বিশ্ব কী ঘুমিয়ে হেসে খেলে এভাবে দিন কাটাবে? কেন তাদের ঘুম ভাঙছে না? দখলদার ইসরায়েলের হামলায় নিহত পুষ্পার মতো শিশু গুলো তারা দেখছে না? তাদের হৃদয় কাঁদে না? এতো গুলো মানুষ হত্যা করছে পৃথিবীর বড় বড় সংগঠন গুলো ঘাপটি মেরে চুপ করে আছে। মানবাধিকার ও মানবতার সংগঠন গুলো কোথায় আজ? কেন তারা আঙুল তুলছে না কথা বলছে না আমাদের ভাইদের রক্ষা করছে না? নির্মম ভাবে জেনোসাইড করছে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাঁজা শহর ধ্বংস করে দিচ্ছে কেউ কিছু বলছে না।

মধ্য এশিয়ার বিখ্যাত আরবদেশ গুলো কোথায় আজ? তাঁরাও চুপ করে রয়েছে কেন? তাদের ভাইদের জন্য মন কাঁদে না? কাল আমার আপনার উপর আসবে না কে বলছে? কাল আপনার কোলের বাচ্চা নিরাপদ থাকবে কে বলছে? ওরা একটু একটু করে পুরো আরব ভূমি দখল করবে। ওরা রাক্ষুসে দানবীয় আত্মায় পরিনত হয়েছে। আপনি কথা বলুন না হয় কাল আপনার অবস্থা খারাপ হবে। এতো নির্মম জুলুম অত্যাচার নিপীড়ন নির্যাতন সৃষ্টিকর্তা সহৃ করবে না। তিনি সব দেখেন, জানেন, শুনেন ও বুঝেন।

এই রক্ত খোর দের থামান। এই নরপশুদের হাত থেকে মুসলিম ও ইসলাম কে রক্ষা করুন। দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন না হয় কাল আপনার ঘরও যাবে। প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে আসে নাই, করছে না ও করবেও না। পিঁপড়ের মতো মানুষ হত্যা বন্ধ করার জন্য মন থেকে কাজ করুন হে পৃথিবী। না হয় পুরো পৃথিবীতে চরম পর্যায়ের অভিশাপ নেমে আসবে। গণহত্যা বন্ধ করুন। ফিলিস্তিনি ভাই বোনদের আল্লাহ হেফাজত করুক।

লেখক: শিক্ষার্থী, সরকারি সিটি কলেজ, চট্টগ্রাম

সারাবাংলা/এএসজি

ওমর ফারুক মুক্তমত শহীদ আরোহী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর