‘ডেঙ্গুর সঙ্গেই বসবাস করতে হবে, আতঙ্কিত হলে চলবে না’
৯ আগস্ট ২০১৯ ১২:১৪
সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ভর্তি রোগীর মধ্যে এখন ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যাই বেশি। ঢাকার বাইরেও এ ধরনের রোগী বাড়ছে দ্রুতগতিতে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাবেই ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা এরই মধ্যে ছাড়িয়ে গেছে ৩০। তাই এ পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কে ভুগছে পুরো বাংলাদেশ। জ্বর হলেই মানুষ ছুটে যাচ্ছে হাসপাতালে। তবে ডেঙ্গু নিয়ে এত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করেন মুগদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুদীপ রঞ্জন দেব। তিনি বলছেন, ডেঙ্গু হলেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বাধ্যতামূলক নয়। চিকিৎসক দেখেই নির্ধারণ করবেন চিকিৎসার পদ্ধতি। তবে তিনি এ-ও বলছেন, ডেঙ্গু নির্মূল করাও প্রায় অসম্ভব। আমাদের ডেঙ্গুর সঙ্গেই বসবাস করতে হবে। তবে সচেতন হলে, সঠিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করলে একে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা সম্ভব। এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সারাবাংলার সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট সৈকত ভৌমিক
প্রশ্ন: এ বছরের ডেঙ্গু অন্যান্য বছরের তুলনায় ভিন্ন কেন?
উত্তর: আমাদের কাছে এখন পর্যন্ত যে বৈজ্ঞানিক তথ্য আছে, তাতে ডেঙ্গু ভাইরাসের চার ধরনের স্ট্রেইন বা সেরোটাইপ আছে। এগুলো হলো— ডেন-১, ডেন-২, ডেন-৩ ও ডেন-৪। কেউ যদি এর এক ধরনের সেরোটাইপে আক্রান্ত হয়, দ্বিতীয়বার আর এই সেরোটাইপ তাকে আক্রমণ করে না। ফলে কেউ যদি একবার কোনো স্ট্রেইনের ভাইরাসে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়, তাহলে বলা যাবে না যে তার আর ডেঙ্গু হবে না। কারণ পরেরবার সে ভিন্ন কোনো স্ট্রেইনের ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এই বিষয়টিই এবার বেশি দেখা যাচ্ছে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু রোগের সঙ্গে অন্য কোনো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে কি?
উত্তর: ঢাকা শহরে গত কয়েক বছরে হয়তো একধরনের ডেঙ্গু ভাইরাসের ইনফেকশনই ছড়িয়েছিল। এবার ভিন্ন ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাসের ইনফেকশন হচ্ছে। ফলে ডেঙ্গু ইনফেকশনের ভয়াবহতাটা একটু বেড়ে গেছে। যেমন— ডেঙ্গু রোগের কারণে হেপাটাটাইটিস পাচ্ছি, যেটা আগে খুব একটা পাওয়া যেত না। অনেকের এনসেফালাইটিস (মস্তিষ্কে ইনফেকশন) হচ্ছে। ডেঙ্গুর কারণে এবার গ্যাস্ট্রোঅন্টারোলজিও দেখা যাচ্ছে, অর্থাৎ অনেকেই বমি ও পাতলা পায়খানা নিয়ে আসছেন হাসপাতালে। তাদের জ্বর বেশি না, কিন্তু প্রচণ্ড পাতলা পায়খানা বা বমির কারণে ভুগতে হচ্ছে বেশি। কিছু ক্ষেত্রে পালস বা ব্লাড প্রেশার পাওয়া যাচ্ছে না। এই উপসর্গগুলো আমরা এখন পাচ্ছি।
প্রশ্ন: এসব উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীর সংখ্যা কি খুব বেশি?
উত্তর: আশার কথা হচ্ছে, এ ধরনের উপসর্গ নিয়ে আসার রোগীর সংখ্যা খুব বেশি না। অর্ধেকের বেশি রোগীই ডেঙ্গুর যেগুলো ক্লাসিক্যাল ফিচার, অর্থাৎ জ্বর, গা ব্যাথা, চোখের পেছনে ব্যাথা, কোমড়ে ব্যাথা, র্যাশ— এগুলো নিয়েই আসছেন।
প্রশ্ন: এ বছর অনেকেই ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কের কথা বলছেন। কেন?
উত্তর: একটা কথা বারবার বলার চেষ্টা করি, দয়া করে আতঙ্ক ছড়াবেন না। প্লিজ ডোন্ট প্রেস দ্য প্যানিক বাটন। আমরা ঢাকায় বসবাস করি, ঢাকায় ডেঙ্গু ছড়িয়েছে। ঢাকার বাইরেও অনেক ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। তাই আমাদের ডেঙ্গু নিয়েই বসবাস করতে হবে। গত ১৯ বছরের পরিসংখ্যান বলে, আমাদের বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগের মর্টালিটি (মৃত্যুর হার) অনেক কম। পাশের দেশ ভারতের দিল্লির সঙ্গে তুলনা করলেই দেখা যায়, আমাদের এখানে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার সেখানকার চার ভাগের একভাগও না। তাই আতঙ্ক ছড়ানোটা কোনো কাজের কথা না। তাই গণমাধ্যম, বিশেষ করে ইলেকট্রনিক মিডিয়াকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। এছাড়া এখন সোস্যাল মিডিয়া এখন যথেষ্ট শক্তিশালী। সেখানেও সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
প্রশ্ন: এ বছরের ডেঙ্গুর প্রকোপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা কিভাবে দেখেন?
উত্তর: সোস্যাল মিডিয়াতে মনিটরিং বিষয়ে আমি পারদর্শী কেউ নই। তবে এটুকু বুঝি, সোস্যাল মিডিয়া মনিটরিংয়ের খুব ভালো ব্যবস্থা নেই। ফলে কোনো মেসেজ খুব দ্রুত ছড়িয়ে যায়। যেমন— একটা মেসেজ দেখছি, নারকেল তেল গায়ে মাখলে মশা কামড়ায় না বা কম কামড়ায়। আবার পেঁপে পাতার রস খেলে প্লেটলেট বাড়ে। এসব তথ্যের পেছনে সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক তথ্য-প্রমাণ নেই। তাই এসব মেসেজ সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু হলেই প্লেটেলেট কাউন্ট পরিমাপ করা হচ্ছে। এটা কি এবার খুব বেশি জরুরি?
উত্তর: এক প্লেটেলেট কাউন্ট দিয়ে ডেঙ্গু ম্যানেজম্যান্টে খুব বেশি ভ্যালু অ্যাড করা যায় না। ইনফেকশন বাড়ছে কি না কিংবা ডিজিজ পলিউশন হচ্ছে কি না, তা জানতে এটি একটি নির্দেশক। তবে প্লেটলেট কাউন্ট কমে যাচ্ছে মানেই ডেঙ্গু রোগীর অবনতি ঘটছে, এটা নিশ্চিতভাবে বলার কোনো যৌক্তিকতা নেই।
প্রশ্ন: ডেঙ্গু রোগীর প্লেটলেট কম থাকলেই কি প্লেটেলেট বাড়ানোর জন্য রক্ত দিতে হয়?
উত্তর: অনেকেই বলে থাকেন, হাসপাতালে ভর্তি হলে ডেঙ্গু রোগীকে অ্যাসারেটিভ প্লেটেলেট বা প্লেটলেট কনসেনট্রেট দিতে হবে। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি, প্লেটলেট কনসেনট্রেটের ভূমিকা ডেঙ্গু ম্যানেজমেন্টে খুবই ন্যূনতম। কারও ক্ষেত্রে শরীরের বিভিন্ন স্থানে প্রচণ্ড রক্তপাত বা রক্তক্ষরণের কারণে যদি কাউকে রক্ত দিতেই হয়, তবে প্লেটেলেট না দিয়ে পুরো ব্লাড দেওয়াটাই বেটার। প্লেটেলেট ইন্ডিকেশনও আছে, কিন্তু সেটা খুব অল্প কিছু জায়গায়। কারও যদি রক্তে প্লেটেলেটের পরিমাণ ৫ হাজার বা এর চেয়েও কমে যায়, তখন তাকে প্লেটলেট দিতে হতে পারে। আবার কারও হয়তো প্লেটলেট ১০ হাজারের নিচে নেমে গেছে, আবার তার হেমোরেজিক ফিভার আছে। তখন প্লেটেলেট লাগতে পারে। এই দুইটি সুর্নিদিষ্ট লক্ষণ ছাড়া প্লেটলেট আসলে খুব বেশি জায়গায় দেওয়ার দরকার নেই। রক্ত অথবা প্লাজমা প্রোটিনও কখনো কখনো দিতে হতে পারে।
প্রশ্ন: NS-1 পজেটিভ হলেই কি ডেঙ্গু? NS-1 পজেটিভ পাওয়া গেলেই কি হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে?
উত্তর: NS-1 হলো Non-Structural Protein 1। এটি ডেঙ্গু জ্বরের একটি নির্দেশক। এটি কতদিন পর্যন্ত পজিটিভ থাকে, তা জেনে রাখা খুব জরুরি। জ্বরের প্রথম দিন থেকে পঞ্চম দিন পর্যন্ত NS-1 পজেটিভ থাকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এটা চতুর্থ দিন পর্যন্তও পজিটিভ থাকতে পারে। এই চার-পাঁচ দিন পর আর NS-1-এর কোনো ভূমিকাই নেই। জ্বর ও গা ব্যাথা নিয়ে আসা রোগীর NS-1 পজেটিভ, কিন্তু কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট (CBC) টেস্ট করে দেখলাম টোটাল কাউন্ট ও প্লেটেলেট কাউন্ট নরমাল। অন্য কোনো ডেঞ্জার সাইন না থাকলে এই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রশ্ন: কখন একজন ডেঙ্গু রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা উচিত?
উত্তর: কিছু ডেঞ্জার সাইন থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে। যেমন— যদি রোগীর প্রচণ্ড বমি হয় এবং মুখে খেতে না পারে, যদি রোগীর প্রচণ্ড পাতলা পায়খানা হয় যা মুখে স্যালাইন দিয়ে ম্যানেজ করা যাচ্ছে না, রোগী যদি শারীরিকভাবে অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে, যদি রোগীর খিঁচুনি হয় বা রোগীর সচেতনতার মাত্রা কমে যায়— এমন কিছু সুনির্দিষ্ট উপসর্গ থাকলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর প্রয়োজন।
প্রশ্ন: তাহলে কখন একজন রোগীকে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?
উত্তর: ঢাকা শহরে বর্ষার শুরুতে অথবা বর্ষার পরবর্তী সময়ে যদি কারও জ্বর হয় ও একইসঙ্গে শরীরে ব্যাথা থাকে, তবে র্যাশ থাকুক বা না থাকুক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া দরকার। কারণ এটি নিশ্চিত হওয়া দরকার যে এই জ্বর ভাইরাল কি না। ভাইরাল হয়ে থাকলে কিছু পারিপার্শ্বিক কারণে এটি মোটামুটি নিশ্চিত যে সেটা ডেঙ্গু ভাইরাস ইনফেকশনের কারণেই হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখেছি, ডেঙ্গু নিয়ে অতি সচেতনতার কারণে আমরা হয়তো অন্য একটি মেনিঞ্জাইটিস মিস করে যাচ্ছি। বা কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গু না হলেও এই রোগের কথা ভেবেই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
প্রশ্ন: সুনির্দিষ্ট করে বললে হাসপাতালে কখন ভর্তি হওয়া উচিত?
উত্তর: জ্বরে আক্রান্ত কোনো রোগীর প্রচুর পাতলা পায়খানা হচ্ছে, প্রচণ্ড মাথা ব্যাথা হচ্ছে, প্রচণ্ড দুর্বল বোধ করে, খিঁচুনি হচ্ছে, অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছে, কেউ সেমি-কনশাসনেসে (অর্ধচেতন) ভুগছেন— এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই আশপাশের কোনো হাসপাতালে যেতে হবে, যেখানে ইনডোর ম্যানেজমেন্ট অর্থাৎ রোগীকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া যাবে। কোনো ডাক্তারের চেম্বারে এটা সম্ভব না। এসব ক্ষেত্রে রোগীকে ডাক্তারের চেম্বারে দুই ঘণ্টা বসে থাকতে হলে এই সময়ের মধ্যেই তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটবে।
প্রশ্ন: ডেঙ্গুর জন্য যে দায়ী এডিস মশা, সেই মশাকে মোকাবিলা করা সম্ভব?
উত্তর: হ্যাঁ, সম্ভব। সোস্যাল মিডিয়াতে যারা লিখছেন, যারা কাজ করছেন তাদের কাছে অনুরোধ, বারবার করে বলছি, ডেঙ্গু আমাদের সঙ্গে থাকবে। হয়তো আরও সামনেও থাকবে। ডেঙ্গুকে নিয়েই আমাদের বসবাস করতে হবে। তাই দয়া করে আতঙ্ক ছড়াবেন না। বরং চেষ্টা করুন আপনার আশপাশে ডেঙ্গু ফ্যাক্টর উপাদান ছড়িয়ে আছে কি না, তা জানতে চেষ্টা করুন। ঢাকা শহরে মূলত এডিস ইজিপ্টি মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ছড়ায়। ঢাকা শহরে এখনো এডিস অ্যালবোপিকটাস পাওয়া যায়নি, যেটিও ডেঙ্গুর কারণ। এডিস ইজিপ্টি যেসব স্থানে ডিম পাড়ে অথবা যেখানে এর লার্ভা বড় হয়, সেসব জায়গাকে পরিষ্কার রাখতে হবে। গণমাধ্যমে বারবার বলা হচ্ছে, পরিষ্কার-স্বচ্ছ পানি জমে থাকা জায়গাগুলো পরিষ্কার করতে হবে। ফুলের টব, ভাঙা ক্যান, নির্মাণাধীন ভবন বা রাস্তার খানাখন্দে যেখানে পরিষ্কার পানি থাকে— এইসব জায়গা পরিষ্কার করতে হবে। কেবল প্রশাসন কিন্তু এই কাজ করতে পারবে না। সবাইকেই এগিয়ে আসতে হবে। সবাই মিলে একত্রিত হয়ে সামাজিক শক্তি না হয়ে উঠতে পারলে এডিস মশাকে প্রতিরোধ করা সম্ভব না।
প্রশ্ন: এ বছর ঢাকার বাইরেও প্রচুর ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে এবং এই সংখ্যা বাড়ছে। এর কারণ কী?
উত্তর: দুইটি কারণে এটি হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর সারতে তিন থেকে ১৪ দিন পর্যন্ত লাগতে পারে। এডিস মশা কামড় দেওয়ার কয়েকদিন পরও ডেঙ্গু ধরা পড়তে পারে। কেউ হয়তো কোনো কাজে ঢাকায় এসে সংক্রমিত হয়েছেন। কিন্তু ঢাকায় কাজ শেষে গ্রামে ফিরে গিয়ে দেখা যাচ্ছে যে তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত। এটি একটি কারণ। আর দ্বিতীয় কারণটি হতে পারে, এডিস ইজিপ্টি মশা ঢাকার বাইরে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি এখনো প্রমাণিত নয়, তবে খুবই সম্ভব। কারণ এই মশাগুলো বংশবিস্তার করে হট অ্যান্ড হিউমিড কন্ডিশনে। এই মশার আরেকটি ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে এর লার্ভা যদি একটি বালুতেও পড়ে, তবে সেই লার্ভা একবছর বা কখনো একবছরের বেশি সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকে। এক বছর পরেও উপযুক্ত পরিবেশ পেলে সেই লার্ভা থেকে মশা জন্ম নেয়। এ কারণেই কিউলেক্স বা অ্যানোফিলিসের তুলনায় এডিস ইজিপ্টি নির্মূল করা কঠিন। সে কারণেই আমি বারবার বলি, আমাদের এই ডেঙ্গুর সঙ্গে আমাদের বসবাস করতে হবে। কোনো বছরে হয়তো বেশি হবে, আবার কোনো বছর হয়তো কম হবে। তবে আমরা সচেতন হলে, এডিসের প্রজননক্ষেত্রগুলো ধ্বংস করে ফেলতে পারলে ডেঙ্গুকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।