টাইগার্স : দ্য এন্ডগেম!
২ জুলাই ২০১৯ ১১:৪০
দেখতে দেখতে চলে এসেছে ‘দ্য ডে’। বিশ্বকাপে আজ বাংলাদেশের ‘দ্য ডে’। আজই রচিত হতে পারে নতুন ইতিহাস।
গত কিছুদিন ধরে নানাজন নানা ধরনের আলোচনা করেছেন বিশ্বকাপ ও বাংলাদেশ নিয়ে। রাগ, ক্ষোভ, আশাবাদ, সাবধানতা, অন্য দলের খেলায় ষড়যন্ত্র খুঁজে পাওয়া সব কিছু মিলিয়ে যে বটমলাইনটা পাওয়া যায় তা হলো বাংলাদেশকে সেমিফাইনালে দেখতে চায় সবাই, প্রায় সবাই। দুই একজন গাল ফুলিয়ে বলেছেন ‘না থাক লাগবে না, এই দলের সেমিফাইনাল খেলার কথা না’। অবশ্য তাও এসব বলেছেন ইংল্যান্ডের কাছে ভারতের পরাজয়ের পর। কেউই কিন্তু বাংলাদেশের খেলার পরে এই রাগ করেননি।
বাস্তবতা হলো, বাংলাদেশ দলটি শুরু থেকে কখনোই সেমিফাইনালে খেলার জন্য ফেভারিট ছিল না। আবার এটাও সত্য যে বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্সই তাদেরকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। একই সঙ্গে নিয়ে এসেছে একেবারে সেরাদের কাতারে। দশ দলের মধ্যে চার দলের বিশ্বকাপ শেষ। শেষ দুই খেলা খেলছে হোপলেস হয়ে, সম্মান বা ইজ্জত বাঁচাতে।
আমরা এখনো খেলছি সেমিফাইনালের জন্যই। ইজ্জত রক্ষা করতে বা হৃদয় জয় করতে নয় একেবারেই।
শেষ দুই খেলায় রেজাল্ট যাই হোক দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর আফগানিস্তান আমাদের নিচেই থাকবে। দশ দলের এই টুর্নামেন্টে আমাদের সব চেয়ে খারাপ রেজাল্ট হবে সাত নম্বরে থাকা।
ভেবে দেখুন তো, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে কেউ এই রেজাল্টে চরম মন খারাপ করতেন কিনা?
ক্রিকেট বোর্ড, ফ্যান, মিডিয়া সবাই মিলেই কিন্ত ‘অন্তত সেমিফাইনালের’ আশা নিয়েই গেছে বিলাতে। বন্ধুর একান্ত আড্ডায়, প্রেমিকার শয্যায় কিংবা সকালে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কে বলেননি একবারের জন্যেও যে ‘তিন থেকে চার ম্যাচ জিতলেই’ আমরা খুশি?
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে সেই ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেসে না গেলে আমাদের সবচেয়ে খারাপ ফলাফল হতো চারটা ম্যাচই জেতা। কারও দুঃখ পাবার কথাই নয়। এর আগে কোনো বিশ্বকাপেই আমরা একটার বেশি পূর্ণ টেস্ট প্লেয়িং দেশকে হারাতে পারিনি। এবার তিনটে দলকে হারিয়েছি অনায়াসেই। আফগানিস্তানও টেস্ট খেলছে এখন। যুদ্ধ করে হেরেছি দুটো ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জিতেই যেতাম। ওভাবে যুদ্ধ করে হেরে যাবার দৃষ্টান্তও আমাদের আগে ছিল না।
কিন্তু সাফল্যই এর উপভোগকারীকে আস্তে আস্তে বদলে দেয়। উন্নয়নের রাস্তায় না হাঁটার আগে তো আর আমরা উন্নয়ন নিয়ে টিটকিরি মারা শিখিনি। ফেসবুক আসার আগে জানতামই না সোশ্যাল মিডিয়ায় কি করে আনসোশ্যালিটির চাষবাস করা যায়। যখন দেশে কোন তন্ত্রই ছিল না, তখনও জানতাম না একদিন গণতন্ত্র ছাড়া আমরা এক মুহূর্তও আর বাঁচব না। বেগম রোকেয়া আমলে আমরা বুঝি নাই যে নারীবাদ নিয়ে একদিন পশ্চিমের সমকক্ষ লেভেলের লড়াই চালাতে পারব।
ক্রিকেট এর ব্যতিক্রম হয়নি। হবার কথাও নয়। সাতে থেকে শেষ করতে পারাটা মনমতো ফলাফল জানার পরেও আমাদের এখন মনে হচ্ছে ‘নট এনাফ’।
অনেককেই গত কয়েকদিনে দেখছি একথা বলতে যে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর আফগানিস্তানকে তো সকলেই হারিয়েছে। আমরা কোন টপ টিমকে হারাতে পারিনি। যেটা শ্রীলঙ্কা পেরেছে। পেরেছে বলেই তারা পয়েন্টে আমাদের উপরে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করবে। কিন্তু বাস্তবতা হল তাদের বৃষ্টিতে পাওয়া দুটি পয়েন্ট না থাকলে হয়ত ইংল্যান্ডের সঙ্গে জয়টা হত ‘জাস্ট একটা আপসেট’।
বাংলাদেশের কোন রেজাল্টকে ভারত-পাকিস্তানের নিম্নমানের কিছু মিডিয়া ছাড়া (যারা এদেশেও সংখ্যায় প্রচুর) অন্য কেউ আপসেট হিসেবে দেখেনি। সমীহ করেছে পূর্ণ মাত্রায়। অনেকে এশিয়ার দ্বিতীয় সেরা নামেও ডেকেছে। কাজেই পয়েন্ট তালিকার অবস্থান বা ‘কি হলে কি হতে পারত’ দিয়ে দলের প্রকৃত মূল্যায়ন হয় না। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে যেভাবে দেখা হয়, সেটা শ্রীলঙ্কাকে দেখা হয় না। ঠিক তেমনি আমাদেরকে অস্ট্রেলিয়া বা ভারত বা ইংল্যান্ডের চেয়ে ভাল কোন দল কোনোদিন মনে করা হয় না।
এতক্ষণ পরে মনে হতে পারে, আজকের এই ‘দ্য ডে’ এর গুরুত্বপূর্ণ খেলার আগে হয়ত প্রত্যাশা ব্যবস্থাপনা (এক্সপেক্টেশন্স ম্যানেজমেন্ট) চলছে। মোটেই তা নয়। বরং বরাবরের মতই প্রতিপক্ষের প্রতি রণ-হুঙ্কার দেওয়াটাই এই লেখার আসল উদ্দেশ্য।
আসল কথা হল আজকের খেলাটা আমাদের জিততেই হবে টিকে থাকতে হলে এবং আমরা জেতার জন্য খেলেই জিতব। কিন্তু এই জেতার জন্য খেলায় আমাদের নানাবিধ ক্যালকুলেশন করে কোন লাভ নেই। আমি ক্যালকুলেশন করতে মানা করছি না। শুধু বলছি যে এই ক্যালকুলেশন করাটাও আপনাকে টাইগারদের খেলা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে দেবে না।
যেমন ধরুন বিশ্বকাপের আগে সাকিবকে অনেকে বাতিলের খাতায় ফেলছিলেন। আমার স্পষ্ট মনে পড়ছে তখন ফেসবুক সরব ছিল এই বলে যে ভারতের কাছে সরকার নতজানু হবার কারণেই আইপিএলে নিয়েও সাকিবকে বসিয়ে রাখার ধৃষ্টতা দেখাছে সানরাইজার্স। আমাদের শীর্ষস্থানীয়, বহুল প্রচারিত এবং সর্বাধিক পঠিত সংবাদমাধ্যমে প্রশ্ন ও উঠেছিল ‘তবে কি ফুরিয়ে গেলেন সাকিব?’ (প্রস্তুতি ম্যাচে তাঁর নেতৃত্বই বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে হারে ভারতের কাছে)
……….বাকিটা অবশ্য ইতিহাস।
টিম ম্যানেজমেন্ট লিটনকে একাদশেই নিতে চায় নি প্রথম থেকে। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে খেলাতে লিটন থাকলে কী হত কে জানে? কিন্তু এখন লিটন অপরিহার্য নাম। এ দুই উদাহরণেই যথেষ্ট এটা বোঝানোর জন্য যে আসলে কোনো কাজই হয়নি ক্যালকুলেশনে।
ক্যাচ ফেলে আর রান আউটের ঘটনা ঘটিয়ে মুশফিক ক্যালকুলেটিভ রাস্তাতেই চলে গিয়েছিলেন ভিলেনদের কাতারে। অথচ তার সেই ইনিংসটা না থাকলে আফগানদের সঙ্গে আমরাও ভারত আর পাকিস্তানের মত কাতরাতাম। বড় দুর্ঘটনাও ঘটতে পারত।
ফ্যানরা তো বটেই, অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ ক্যালকুলেশন করে বলেছিলেন যে, ইংল্যান্ডের পিচে রান তাড়া করে জেতার দল বাংলাদেশ নয়। কিন্তু টনটনের সেই খেলায় বাংলাদেশের চেজ করে জেতা সেই রানের ধারে কাছেও অন্য কেউ নেই। বিশ্বকাপের ইতিহাসেও এর চেয়ে ভাল চেজ করার রেকর্ড মাত্র আছে একটি।
ক্যালকুলেশন আর পারসেপশান মোতাবেক আমাদের বোলিংকে সব চেয়ে দুর্বল মনে করা হয়। ১০ বা অধিক উইকেট পেয়েছেন এরকম সর্বোচ্চ খেলোয়াড় দলপ্রতি তিন জন। আমাদের ও তিনজন। এর মধ্যে সাকিবের আছে এক ম্যাচে ২৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডও। রেকর্ড কারণ সেদিন পর্যন্ত এই বিশ্বকাপে এটাই ব্যক্তিগত সেরা ছিল।
সব চেয়ে বেশি ড্রপ ক্যাচের লিস্টে টাইগারদের আগে ছয়টি আর পরে মাত্র তিনটি দল। অথচ ক্যালকুলেশন অনুযায়ী আমরাই সব চেয়ে বুড়ো টিম (কিংবা অভিজ্ঞও বটে) নিয়ে খেলা দলগুলোর একটা।
আর সব শেষে অবশ্যই একজন মাশরাফি …….
তাঁকে নিয়ে বলা হয় নাই এমন কিছুই নাই। তিনি খেলা মানে দল দশ জন নিয়ে খেলছে। তিনি অতিরিক্ত বোঝা। সংসদ সদস্য হতে গিয়ে এই অবস্থা।
তো কী অবস্থা মাশরাফীর?
তিনি বল করে কোনো উইকেট পান নাই। এটা অবশ্যই খারাপ ও অনুচিত। কিন্তু তাঁর ইকোনমি দলের মুস্তাফিজ আর সাইফুদ্দিনের চেয়ে ভাল। ডট বল পার্সেন্টেজেও এদের তুলনায় ভাল। এই দুই বোলারের ওয়াইডের সংখ্যা প্রচুর। ম্যাশের চারটি। রুবেল যে একটি ম্যাচ খেলেছে সেখানেই তার ইকোনমি নয়ের উপরে (যদিও আমরা খুব সচেতনভাবেই বলি ‘সেদিন কিন্তু সবাই মার খেয়েছে’) এবং এক খেলাতেই ওয়াইড মাশরাফির সমান।
কিন্তু ও উইকেট পায় না কেনো? না পাইলে দলে থাকল কেনো? বোলিং কোটা শেষ করে না কেনো? যখন অপনেন্ট চাপে থাকে না, তখন বল করে কেনো?
তো কে বোলিং করতো আমাদের দলে? অপশনটা কে?
উইকেট না থাকলেও কি জিমি নিশাম বা গ্রুন্ডহোম দলের বাইরে যেতেন? স্টোয়নিস না খেলা ম্যাচে মিচ মার্শের যেই দশা হয়েছিল বা প্রতি খেলাতেই ফিফথ বোলার হিসেবে ফুলেকাও যে মার খেয়েছে, ম্যাশ কি তার চেয়ে খারাপ? অধিনায়কত্বের অনেক কিছু টিভি দর্শক দেখতে পান না। সাকিবের ওভারে লিটনকে শর্ট এক্সট্রা কাভারে এনে আফগানিস্তানের জমে যাওয়া ব্যাটসম্যানকে কে আউট করেছিল?
ক্যালকুলেশন কি বলে? অলমোস্ট ‘আনফিট’ একজন খেলোয়াড় আজ খেলা প্রতি সোয়া ছয় রেটে অন্তত সাত ওভার বল না করলে আজ বাংলাদেশের কি হত? ফুলেকাও এর সাউথ আফ্রিকা, গ্যাব্রিয়েলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর উদানার শ্রীলঙ্কার দশা হত নাকি?
কাজেই ক্যালকুলেশন আর টাইগাররা এক সঙ্গে চলে না। এই লেখা যখন লিখছি তার ঘণ্টা তিনেক আগে হার্শা ভোগলে বলেছেন ‘বড় ম্যাচে বাংলাদেশ বড় ইমোশনাল হয়ে যায়’ – তাতে ভাল না খারাপ হয় সেটা স্পষ্ট করে না বলেও বুঝিয়েছেন ভারত এসব প্রতিপক্ষের সঙ্গে ভালো করেই জেতে।
এসব কথায় চিড়ে ভিজবে না। কলম্বো, বেঙ্গালুরু আর দুবাইতে যা হয়েছে, ক্যালকুলেশন বলে আবারো আমাদের কুফার একটাই নাম – ভারত।
কিন্তু ক্যালকুলেশন এসব বলছে দেখেই আশাটা আরো বাড়ছে। আমরা আজ জিতবো। তারপর পাকিস্তানের সঙ্গেও। সেমিফাইনালে যাই কিংবা না যাই। এমন কিছু ক্যালকুলেশনে ছিল না বলেই এটা সম্ভব এখন।
সাকিব সামনে থেকে দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। কিন্ত তাকে ঘিরে সাপোর্ট দিচ্ছে সবাই। আহত হবার পরেও রিয়াদ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আমাদের খেলায় ধরে রেখেছিল। কুইক ফায়ার দিয়েছে আফগানদের সঙ্গেও। পঞ্চপাণ্ডবের বাইরে মিরাজ-সৈকত কি দারুণ সাপোর্টটাই না দিচ্ছে! সবার এসব সাপোর্ট নিয়েই সাকিব এগিয়ে যাচ্ছে আর ফলাফলকে অনুকূলে নিয়ে এসেছে তিনবার। কাল হয়তো তামিমও জ্বলে উঠবে। তামিম আর ম্যাশ যদি সেই জহির খানকে ছক্কা হাঁকানো বা শেহওয়াগকে বোল্ড করার মতো মুহূর্ত তৈরি করতে পারে, তাহলে ঠেকায় কে আমাদের?
এজবাস্টনে এসে কাল এই প্রথম ভারতীয়দের স্টেডিয়ামে সিট খুঁজে বসতে হবে। ইংল্যান্ডের মাটিতে যেখানে ইংল্যান্ড ২৫ % সমর্থন নিয়ে মাঠে কোনরকম টিকে থাকে, সেখানে কাল আমরা অন্তত ৩৫-৪০% দর্শকদের আসন ভরে তুলব।
নটিংহ্যামে এক বাবা বলছিলেন, ‘আমার দুই ছেলের বড়টা (স্কুলে পড়ে) ঘণ্টায় ১৪৫ কি.মি. বেগে বল করে। বড় হলে আর ভাল খেলতে পারলে দেশে পাঠিয়ে দেব’।
পুরো ব্রিটেনে টাইগার আর তাদের পারফরমেন্স বিপুল আশাবাদের জোয়ার জাগিয়েছে।
তাই ভারতের সঙ্গে ক্যালকুলেশন করে খুব লাভ নেই। আমরা হয়তো মনে করছি কোহলি আর রোহিত শর্মা গেলেই খেলায় জিতে যাব…..কিন্তু স্যান্টনার শেষ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডকে জিতিয়েছিল, কেন উইলিয়ামসন বা রস টেইলর নন এটাও মনে রাখতে হবে। ভারতের ব্যাটিং লাইনআপেও এমন স্যান্টনার কিন্তু আছে।
টাইগার অ্যাটিচিউড যেমনটা গত এক মাস ধরে আছে, তেমন থাকলেই আমরা নিশ্চিত জিতব।
আমাদের মত অতি অল্প কিছু মানুষের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্যালকুলেটিভ ঝগড়াঝাঁটির চাইতে সেই যে জামান ভাই আর তার বিলাতে জন্ম নেওয়া ছেলের খেলার আগের জাতীয় সংগীত শুনে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলাটাই সোনার চেয়ে দামি মনে হয়। এই আবেগটা জ্বলে উঠুক। ক্যালকুলেশন নির্বাসনে যাক।
এই আবেগটা একাত্তরের মত স্পার্ক করলেই মাশরাফির হাতে কাল থরের হাতুড়ি নাচবে, সাকিব হয়ে উঠবে আয়রনম্যান, মুশফিক ক্যান ডু দিজ অল ডে। আর প্রত্যেকে হয়ে উঠবে এক একজন এভেঞ্জার……. লেট দিজ বি আওয়ার এন্ডগেম!
হালুম!
বাংলাদেশের দর্শকরা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ অনলাইনে কোনো ধরনের সাবস্ক্রিপশন ফি বা চার্জ ছাড়াই দেখতে পারবেন র্যাবিটহোলের ওয়েবসাইট www.rabbitholebd.com-এ। এছাড়া র্যাবিটহোলের অ্যাপেও দেখা যাবে প্রতিটি ম্যাচ। অ্যাপটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/UNCWS2 (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে। তাছাড়া আইওএস ব্যবহারকারীরা ডাউনলোড করতে পারবেন https://goo.gl/vJjyyL (শুধুমাত্র বাংলাদেশ) এই লিংকে ক্লিক করে।
সারাবাংলা/এসবি/এসএমএন
২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯ টাইগার বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ স্পেশাল ভারত-বাংলাদেশ র্যাবিটহোল