Thursday 08 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশে খাসজমি-জলা: ভূমিহীন কৃষকের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি ও জীবনযাত্রায় প্রভাব

ড. মতিউর রহমান
৮ মে ২০২৫ ১৭:৩৩

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে খাসজমি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। খাসজমির সুষম বণ্টন দারিদ্র্য দূরীকরণ এবং সামাজিক বৈষম্য কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে একটি কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। তবে খাসজমি প্রাপ্তি, এর ভোগদখল এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করার পথে ভূমিহীনদের নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়।

অতি সম্প্রতি প্রকাশিত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত, শেখ আলী আহমেদ, ফয়সাল এম আহমেদ এবং মো. সাজ্জাদুল করিমের “বাংলাদেশে খাসজমি-জলা: দারিদ্র্য-বৈষম্য বিমোচনের রাজনৈতিক অর্থনীতি” শীর্ষক গ্রন্থে এই বিষয়গুলোর একটি বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেছেন।উক্ত গ্রন্থে মাঠ জরিপের তথ্যের আলোকে কৃষি খাসজমি পাওয়া, না-পাওয়া, পেয়ে রক্ষা করতে না পারা, সংশ্লিষ্ট মামলা মোকদ্দমা এবং ভূমিহীন নারীর অবস্থার উপর আলোকপাত করা হয়েছে। গবেষকগণ জরিপের তথ্যচিত্র বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশে খাসজমি সংক্রান্ত বিদ্যমান বাস্তবতাকে অনুধাবন করার প্রয়াস দেখিয়েছেন এবং দারিদ্র্য বিমোচনে এর কার্যকর ভূমিকা পালনের পথে কী কী বাধা রয়েছে, তা তুলে ধরেছেন।

বিজ্ঞাপন

প্রচলিত আইন অনুযায়ী, গ্রামের ভূমিহীন কৃষক পরিবার কৃষি খাসজমি পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু অধ্যাপক আবুল বারকাত ও তাঁর সহকর্মীদের জরিপের তথ্য উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে। জরিপ অনুযায়ী, কৃষি খাসজমি পাবার যোগ্য বিপুল সংখ্যক খানা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। দেশের ৬টি উপজেলায় পরিচালিত এই জরিপে দেখা গেছে, যোগ্য ভূমিহীন খানার মাত্র ২৫ শতাংশ খানা কৃষি খাসজমি পেয়েছেন। অর্থাৎ, প্রতি চারজন যোগ্য ভূমিহীন খানার মধ্যে তিনজনই কখনো কৃষি খাসজমি পাননি। এই পরিসংখ্যানটি নির্দেশ করে যে, কাগজে-কলমে আইন থাকলেও বাস্তবে সিংহভাগ ভূমিহীন পরিবারই খাসজমি প্রাপ্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

জরিপে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, খাসজমি প্রাপ্তির অনুপাত এলাকাভেদে ভিন্ন। পীরগঞ্জ ও সাঘাটার মতো উপজেলায় এই অনুপাত অত্যন্ত কম, মাত্র ১৬ শতাংশ। এর বিপরীতে সুবর্ণচরে অপেক্ষাকৃত বেশি সংখ্যক ভূমিহীন পরিবার খাসজমি পেয়েছে, প্রায় ৩০ শতাংশ। মধুপুরে ২৩.৭ শতাংশ, পাইকগাছায় ২১.৫৫ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ১৭.৩ শতাংশ যোগ্য খানা খাসজমি পেয়েছে। সুবর্ণচরে খাসজমি প্রাপ্তির হার বেশি হওয়ার পেছনে গবেষকগণ দুটি সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করেছেন। প্রথমত, সুবর্ণচরের ভূমিহীন মানুষ অন্যান্য এলাকার তুলনায় বেশি সংগঠিত। দ্বিতীয়ত, এটি একটি চর এলাকা হওয়ায় ভূমিহীনরা দীর্ঘদিন ধরে এখানে বসবাস করছে এবং তারা এই ভূমিকে নিজভূমি হিসেবে গণ্য করে। এই দুটি কারণ হয়তো সুবর্ণচরের ভূমিহীনদের খাসজমি প্রাপ্তিতে কিছুটা সুবিধা এনে দিয়েছে।

কৃষি খাসজমি পাবার যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও প্রায় ৭৫ শতাংশ ভূমিহীন খানার খাসজমি না পাওয়াটা বাংলাদেশের ভূমিহীন জনগোষ্ঠীর জন্য একটি বড় সমস্যা। সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১৪ লক্ষ ৮১ হাজার একর এবং গবেষকদের নিজস্ব হিসাব অনুযায়ী ২২ লক্ষ ৭৬ হাজার একর কৃষি খাসজমি অবণ্টিত ও অবন্দোবস্তকৃত অবস্থায় পড়ে আছে। জরিপের ফলাফল এই বিপুল পরিমাণ খাসজমি অবিলম্বে যোগ্য ভূমিহীনদের মধ্যে বিতরণের গুরুত্বকে জোরালোভাবে সমর্থন করে। যদি এই খাসজমি সঠিকভাবে বণ্টন করা যায়, তবে দেশের বিশাল সংখ্যক ভূমিহীন পরিবারের দারিদ্র্য দূরীকরণে এটি একটি কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।

কৃষি খাসজমি পাওয়া নিঃসন্দেহে ভূমিহীন পরিবারের জন্য একটি বড় আশীর্বাদ। এটি তাদের জীবনমানে প্রভূত উন্নতি ঘটাতে সহায়তা করে এবং আর্থ-সামাজিক স্থিতিশীলতা এনে দেয়। তবে খাসজমি প্রাপ্তির পরেই ভূমিহীন কৃষকদের জন্য সংগ্রাম শেষ হয়ে যায় না। জমি পাওয়ার পরও তা দখলে রাখা, আইনি জটিলতা মোকাবিলা করা এবং নানা প্রতিকূলতার কারণে জমি হারিয়ে ফেলা ভূমিহীনদের জন্য একটি সাধারণ চিত্র। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, কৃষি খাসজমি প্রাপ্ত খানার ১১.৬ শতাংশ তাদের প্রাপ্য জমি দখলে রাখতে পারেননি। অর্থাৎ, যারা জমি পেয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রায় এক-অষ্টমাংশ পরিবারই জমি পাওয়ার পর তা প্রকৃত ভোগদখলে আনতে ব্যর্থ হয়েছেন।

এই সমস্যা এলাকাভেদে প্রকট আকার ধারণ করেছে। পীরগঞ্জে ৩৮.০৪ শতাংশ এবং সাঘাটায় ২৭.৭৭ শতাংশ খানা খাসজমি দখলে রাখতে পারেনি, যা গড় অনুপাতের চেয়ে অনেক বেশি। সুবর্ণচরে এই অনুপাত তুলনামূলকভাবে কম, মাত্র ৫.৭৪ শতাংশ। মধুপুরে ২৩.৪৭ শতাংশ, পাইকগাছায় ২১.৫৬ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ১৯.৬১ শতাংশ খানা জমি দখলে ব্যর্থ হয়েছে। খাসজমি দখলে রাখতে না পারার পেছনে নানা কারণ থাকতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে প্রভাবশালী মহলের জবরদখল, আইনি জটিলতা, আর্থিক অসচ্ছলতা এবং প্রশাসনের উদাসীনতা।

খাসজমি প্রাপ্তির পর ভূমিহীন কৃষকদের জন্য আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো মামলা-মোকদ্দমা। দরিদ্র ভূমিহীন কৃষকের জন্য জমি সংক্রান্ত মামলা একটি সীমাহীন দুর্দশার কারণ। জরিপের তথ্য অনুযায়ী, খাসজমিপ্রাপ্ত ভূমিহীন খানার ১০ শতাংশ জমি পাওয়ার পর মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হয়েছেন। অর্থাৎ, প্রতি ১০ জন খাসজমিপ্রাপ্ত কৃষকের মধ্যে একজনকেই আইনি লড়াইয়ের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সাঘাটা উপজেলায় এই চিত্র আরও ভয়াবহ। সেখানে খাসজমিপ্রাপ্ত ভূমিহীনদের ৩৩.৫০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রতি ১০ জনের প্রায় চারজনই মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়েছেন। সুবর্ণচরে এই হার সবচেয়ে কম, ৬.২৬ শতাংশ। অন্যান্য উপজেলায়ও মামলা-মোকদ্দমার হার বেশ উদ্বেগজনক: মধুপুরে ২৮.৮৮ শতাংশ, পাইকগাছায় ২৩.৫৭ শতাংশ, পীরগঞ্জে ১৮.৭৭ শতাংশ এবং রায়গঞ্জে ১১.৯৭ শতাংশ।

জমি পাওয়ার পর মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে পড়া দরিদ্র কৃষকের জন্য চরম আর্থিক ও মানসিক কষ্টের কারণ হয়। মামলা পরিচালনার খরচ মেটাতে গিয়ে অনেক পরিবার সর্বস্বান্ত হয়ে যায়। এটি খাসজমি বণ্টনের ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের সুশাসনের অভাব নির্দেশ করে। যদি খাসজমি বিতরণের পর ভূমিহীনদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা না যায়, তবে একদিকে যেমন ভূমিহীনরা খাসজমি প্রাপ্তিতে আগ্রহ হারাবে, তেমনি অন্যদিকে জবরদখলকারী প্রভাবশালী মহল উৎসাহিত হবে।

জরিপের একটি নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো খাসজমি প্রাপ্তির পর তার বিক্রি বা হস্তান্তর। দুই দশক আগের গবেষণায় এমন চিত্র দেখা যায়নি বলে গবেষকগণ উল্লেখ করেছেন। বর্তমানে খাসজমি প্রাপ্ত খানার ৯.১ শতাংশ তাদের প্রাপ্ত জমি বিক্রি বা হস্তান্তর করেছেন। এর মধ্যে ২.১ শতাংশ সম্পূর্ণ জমি এবং ৬.৮ শতাংশ আংশিক জমি বিক্রি বা হস্তান্তর করেছেন। সাঘাটা উপজেলায় এই হার ২৮.৭৫ শতাংশ, যা গড় হারের চেয়ে অনেক বেশি। সেখানে ৪.৯২ শতাংশ সম্পূর্ণ জমি এবং ২৩.৮৩ শতাংশ আংশিক জমি বিক্রি করেছেন।

খাসজমি বিক্রি বা হস্তান্তর বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এটি শুধুমাত্র চরম দারিদ্র্যের কারণে দুর্দশাগ্রস্ত বিক্রয় হতে পারে, অথবা অন্য কোনো সামাজিক বা অর্থনৈতিক চাপের ফলাফলও হতে পারে। যেমন, মামলা পরিচালনার খরচ মেটানো, চিকিৎসা ব্যয় নির্বাহ করা বা অন্য কোনো জরুরি প্রয়োজন মেটানোর জন্য ভূমিহীনরা জমি বিক্রি করতে বাধ্য হতে পারেন।

এই বিষয়টি গভীর বিশ্লেষণের দাবি রাখে এবং কেন ভূমিহীনরা তাদের প্রাপ্ত জমি ধরে রাখতে পারছে না, তার মূল কারণগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন। বিভিন্ন উপজেলায় এই বিক্রি বা হস্তান্তরের হারের ভিন্নতাও লক্ষণীয়। সাঘাটা এবং পীরগঞ্জে এই হার বেশি হলেও পাইকগাছা এবং মধুপুরে তা খুবই কম। এই ভিন্নতার পেছনে স্থানীয় আর্থ-সামাজিক অবস্থা, প্রভাবশালী মহলের চাপ এবং সচেতনতার অভাব ইত্যাদি কারণ থাকতে পারে।

ভূমিহীন ও প্রান্তিক কৃষক পরিবার পরিচালনায় নারীর ভূমিকা অনস্বীকার্য। যদিও তাদের কাজের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি তেমন নেই, তবুও তারা পরিবারের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। অধ্যাপক আবুল বারকাত ও সহগবেষকদের জরিপে খাসজমি প্রাপ্ত খানায় নারীর জীবনযাত্রার কয়েকটি দিক অনুসন্ধানের চেষ্টা করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো খাসজমি প্রাপ্তির সাথে নারীর বৈবাহিক অবস্থার সম্পর্ক।

জরিপ অনুযায়ী, যারা খাসজমি পেয়েছেন, তাদের ৯৬.৯ শতাংশ ছিলেন বিবাহিত। খাসজমি প্রাপ্তির পর বৈবাহিক বিচ্ছেদ হয়েছে ৩.৯ শতাংশের। এলাকাভেদে এই হার ভিন্ন। মধুপুরে এই হার সর্বনিম্ন (০.৭২ শতাংশ) এবং রায়গঞ্জে সর্বোচ্চ (৫.৩৫ শতাংশ)। তবে গবেষকগণ উল্লেখ করেছেন যে, খাসজমি পাওয়া বা না পাওয়ার সাথে বৈবাহিক অবস্থার সরাসরি কোনো সম্পর্ক আছে কিনা, তা এই জরিপ থেকে নিশ্চিতভাবে বলা যায় না। তবে খাসজমি প্রাপ্ত খানাপ্রধানদের প্রায় ৯৭ শতাংশই জমি পাওয়ার আগে বিবাহিত ছিলেন, এই তথ্যটি তাৎপর্যপূর্ণ।

অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত ও তাঁর সহকর্মীদের “বাংলাদেশে খাসজমি-জলা: দারিদ্র্য-বৈষম্য বিমোচনের রাজনৈতিক অর্থনীতি” গবেষণা গ্রন্থের নবম অধ্যায়ে উপস্থাপিত জরিপের তথ্য বাংলাদেশে খাসজমি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতা এবং ভূমিহীন কৃষকদের বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা প্রদান করে। জরিপের ফলাফল স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে যে, বিপুল সংখ্যক যোগ্য ভূমিহীন পরিবার আজও কৃষি খাসজমি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত। যারা জমি পেয়েছেন, তাদেরও জমি দখলে রাখা, আইনি জটিলতা মোকাবিলা করা এবং নানা চাপে পড়ে জমি বিক্রি বা হস্তান্তরের মতো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে একটি ইতিবাচক দিক হলো, খাসজমি প্রাপ্তির সাথে নারীর বৈবাহিক সম্পর্ক, বিশেষ করে তালাক বা স্বামী পরিত্যক্ত হওয়ার মতো ঘটনার সরাসরি কোনো সম্পর্ক দেখা যায় না।

দারিদ্র্য ও বৈষম্য বিমোচনের জন্য খাসজমির সুষম বণ্টন একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। তবে শুধু বণ্টনই যথেষ্ট নয়, ভূমিহীনদের প্রাপ্ত জমির কার্যকর ভোগদখল এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করাও অত্যন্ত জরুরি। এই গবেষণাটি নীতিনির্ধারক এবং সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল হিসেবে কাজ করতে পারে। খাসজমি ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি, দুর্নীতি দমন, ভূমিহীনদের আইনি সহায়তা প্রদান এবং ভূমি সংক্রান্ত বিরোধ নিষ্পত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

এছাড়া, খাসজমি প্রাপ্তির পর ভূমিহীন পরিবারের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য প্রশিক্ষণ, আর্থিক সহায়তা এবং অন্যান্য সহযোগিতা প্রদান করা উচিত। এই ধরনের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্ভব হলে খাসজমি প্রকৃতপক্ষেই বাংলাদেশের ভূমিহীন মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাতে এবং দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ গঠনে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারবে। অধ্যাপক আবুল বারকাত এবং তাঁর সহকর্মীদের এই গবেষণাটি খাসজমি সংক্রান্ত ভবিষ্যৎ নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়নে অত্যন্ত সহায়ক হবে বলে আশা করা যায়।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী

সারাবাংলা/এএসজি

ড. মতিউর রহমান বাংলাদেশে খাসজমি-জলা ভূমিহীন কৃষক মত-দ্বিমত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর