Thursday 25 Sep 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাত কলেজের সমস্যা সমাধান নিয়ে ইন-সিটু ভাবনা

প্রফেসর মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন
২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৪:২৯

ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাতটি কলেজ ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও সরকারি বাংলা কলেজ-কে একত্রিত করে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গঠণের কথা শোনা যাচ্ছে। এ ধরণের সিদ্ধান্তের যারা পরামর্মদাতা তারা নি:সন্দেহে দেশের জ্ঞানী, গুনী, প্রজ্ঞাবান, দূরদর্শী, বিচক্ষণ এবং সমাজের আলোকিত মানুষ। আমি একজন ক্ষুদ্র শিক্ষক এবং আমার জন্ম, বেড়ে ওঠা ও কর্মস্থল মফ:স্বল শহরের একটি ক্ষুদ্র পরিসরে। কাজেই আমার চিন্তা, চেতনা, ভাবনা ও জ্ঞানের পরিধির কিছুটা হলেও সীমাবদ্ধতা আছে। তাই আমার ব্যক্তিগত মতামতে ভুল ত্রুটি থাকা স্বাভাবিক এবং সেজন্য আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। সাত কলেজের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করতে যেয়ে ভাবনায় একটি গল্প চলে এল। গল্পটি হলো- এক গ্রামে এক কৃষক সাতজন সুন্দরী কন্যা নিয়ে সুখে-শান্তিতে বাস করতেন। তার কন্যারা কেহ সঙ্গীত, কেহ পড়াশোনায়, কেহ খেলাধূলায় এবং কেহ রান্নায় পারদর্শীতা ছিল অদ্বিতীয়। মেয়েদের এরুপ গুণকীর্তন রাজ্যময় ছড়িয়ে পড়লে শহরের এক প্রভাবশালী লোক কৃষককে পরামর্শ দিল, ‘তোমার কন্যারা যদি আমার শহরের বাড়িতে থাকে, আমি তাদেরকে আরো উন্নত শিক্ষিত করে তুলব।’ তার কথায় কন্যাদের শহরে পাঠানো হলো। কিন্তু শীঘ্রই দেখা গেল, শহরের লোকটির নিজেরই অনেক সন্তান থাকায় তিনি সাত কন্যার ব্যাপারে মনোযোগ দিতে পারছিলেন না। দীর্ঘদিনের অযত্ন আর অনাদরে কন্যারা তাদের মেধা ও মননে পিছিয়ে পড়তে লাগল। ফলে তাদেরকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ন্যায় বিলেত থেকে কোনরুপ ডিগ্রী অর্জন ছাড়াই নিজ বাড়িতে ফিরে আসতে হলো। এমন সময়ে এক সাধু সেই বাড়িতে এলেন। তিনি সব শুনে বললেন, মন্ত্র দ্বারা সাত কন্যাকে যদি একটি কন্যায় পরিণত করা যায় তা হলে যত্ন,পরিচর্যা করা আরো সহজ হবে এবং সেক্ষেত্রে তাদের পক্ষে শিক্ষা অর্জনে যুগান্তকারি উন্নয়ন ঘটবে।

বিজ্ঞাপন

যেই ভাবা সেই কাজ তখনই সাত কন্যাকে মন্ত্রবলে সাধু এক কন্যায় রুপান্তরিত করল কিন্তু বিপত্তি হলো এই রুপান্তরিত কন্যাটি এক হাত দিয়ে খেতে গেলে অন্য হাত জোরে বাধা দিয়ে তা ফেলে দেয়, এক চোখ দিয়ে দেখতে গেলে অন্য চোখ বন্ধ হয়ে যায়। এভাবে প্রতিটি জোড়া অঙ্গ একে অপরের প্রচন্ড বিরোধিতা করতে লাগল। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি জানান সাত রকমের বৈশিষ্ট্যের মিলনে ক্রস সংকরায়নের ফলে উনপঞ্চাশ রকমের জগাখিচুড়ি আচরণের সৃষ্টি হয়েছে- যা সাধারণ চিকিৎসা দিয়ে আরোগ্যলাভ করানো সম্ভব হবে না। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় রোগটির নাম কনজেনিটাল বার্থ ডিফেক্ট বা জন্মগত সমস্যা। উল্লেখিত গল্পের মতোই এই সাত কলেজের অবস্থা ।

ঢাকার এই সাত কলেজে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম চালু ছিল। পরবর্তীতে কলেজ গুলোতে ডিগ্রী পাস, অনার্স এবং মাস্টার্স কোর্স অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সারাদেশের শিক্ষার সেশন জট কমাতে একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটে ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। ঢাকার এই সাত কলেজে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯৩ সাল থেকে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু হয়। ঢাকা মহানগরের শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষা, দ্রুত পরীক্ষা, ফল প্রকাশ ও উন্নত একাডেমিক তত্ত্বাবধান নিশ্চিত করতে ২০১৭ সালে এই সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই নিজস্ব প্রায় ৪০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। সাত কলেজ যুক্ত হওয়ায় একসাথে আরও প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার শিক্ষার্থী যোগ হয়। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার সময়সূচি, ফলাফল প্রকাশ, প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা, সিলেবাস আপডেট সবকিছু সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল। অপরদিকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা সেশনজট, ফল প্রকাশে বিলম্ব ও একাডেমিক জটিলতা দ্রুত নিরসনের দাবিতে আন্দোলনে নেমে পড়ে। আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব শিক্ষার্থীরাও এই সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করার জন্য আন্দোলন করতে থাকে। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ২০২১ সালের দিকে এসব সমস্যার কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় যে সাত কলেজকে পুনরায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এর পরের ঘটনা সবারই জানা। এভাবে রাজধানীর কেন্দ্রে থাকা স্বনামধন্য এই সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৯৯৩ সন থেকে ২০১৭ এবং অদ্যাবধি মোট ৩২ বছর না ঘরকা, না ঘাটকা অবস্থায় কেটে যাচ্ছে। এরকম ‘বিড়ম্বিত ভাগ্য’ কোন দেশের আর কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঘটেছে কি না তা আমাদের জানা নেই।

উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পর শিক্ষার্থীরা সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ লাভ করে থাকে। এ সকল প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে গেলে শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিষয়টি ভালোভাবে তুলে ধরার জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের উদাহরণের মাধ্যমে তুলে ধরছি। একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে চলতে গেলে তার ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ ও ফরোয়ার্ড লিংকেজের প্রয়োজন। যেমন: চিনি শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ হলো আখ চাষ, সার, কীট নাশক শিল্প ইত্যাদি আর ফরওয়ার্ড লিংকেজ হলো মিষ্টি, বিস্কুট, সফট ড্রিংকস ইত্যাদি। অর্থাৎ চিনির মিল চালু রাখতে প্রয়োজন হবে আখের আর আখের ভালো ফলনের জন্য প্রয়োজন সার, কীট নাশক ইত্যাদি। এগুলো না হলে আখের ফলন ভালো হবে না। আর আখ না থাকলে চিনির কল বন্ধ হয়ে যাবে। আবার এগুলো সব ঠিক রেখে চিনির উৎপাদন বাড়লেও যদি তা মিষ্টি, বিস্কুট, সফট ড্রিংকস ইত্যাদি তৈরীতে ব্যবহৃত না হয় তা হলে চিনির বাজার না থাকায় চিনি উৎপাদন বাধ্য হয়েই বন্ধ রাখতে হবে। একইভাবে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা টারশিয়ারি লেভেলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ বা কাঁচামাল হলো উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা। আর ফরওয়ার্ড লিংকেজ হলো জব সেক্টর বা উৎপাদন সেক্টর। দেশের ভালোমানের উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠদানকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে যেয়ে বিলুপ্ত করা হয় বা পাঠদান বন্ধ করে দেয়া হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে না অর্থাৎ ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের অভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে।

ঢাকা কলেজসহ ঢাকার সাতটি ঐতিহ্যবাহী কলেজ উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষায় মেধা বিকাশ, সারা দেশের শিক্ষার্থীর জন্য সমান সুযোগ, সমাজ সচেতন নেতৃত্ব সৃষ্টি এবং দেশের ইতিহাস-সংস্কৃতি সমুন্নত রাখা— এসব ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এ কারণেই এরা শুধু রাজধানীর নয়, গোটা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা অঙ্গনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইডেন মহিলা কলেজ ও বদরুন্নেসা কলেজ দেশের নারী শিক্ষার অগ্রযাত্রায় পথিকৃৎ ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশের জনমিতির বাস্তবতাও বিবেচনায় আনা জরুরি। বিভিন্ন গবেষণা বলছে, গত তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশটি ‘তারুণ্য স্ফীতি’র মধ্যে আছে। বিপুলসংখ্যক তরুণ রয়েছে, যাদের অনেকেই দেশের মানসম্মত এই সাতটি কলেজের ন্যায় কলেজ গুলোতে পড়াশোনা করে বিদেশী নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। বর্তমানে প্রায় দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী এ কলেজগুলোতে অধ্যয়নরত। স্বল্প খরচে অনার্স ও মাস্টার্সে পড়ার সুযোগ দিয়ে এ কলেজগুলো শুধু শিক্ষার কেন্দ্র নয়, বরং সামাজিক উন্নতির এক সোপান হয়ে উঠেছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে এই সাতটি কলেজের সমস্যা নিরসনে আমার ব্যক্তিগত মতামত হলো ইন-সিটু পদ্ধতির মাধ্যমে সমস্যার সমাধানই হলো সর্বোত্তম পন্থা। ইন-সিটু সমাধান বলতে কোনো সমস্যাকে তার নিজস্ব প্রকৃতি, বাস্তবতা ও গন্ডির মধ্যেই সমাধান করে ফেলা। কোন কিছু যোগ বা বিয়োগ করে নয় বরং যা আছে তা দিয়েই যুগোপযোগী করা। এই সাত কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদ্যমান অবস্থার সাথে মিল রেখে এমন একটি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা যার মাধ্যমে সবকুল বজায় থাকে। কোন পক্ষ বা দিকই যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।

নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা দেওয়া মানে নদীর জীবনরেখা কেটে দেওয়া। এর ফলে পরিবেশ, কৃষি, জীববৈচিত্র্য, অর্থনীতি ও মানুষের জীবিকা— সবকিছুই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নদীর ন্যায় সাত কলেজ নিয়ে আমাদের ইন-সিটু ভাবনাই হতে পারে একমাত্র উল্লেখ যোগ্য টেকসই সমাধান। এক্ষেত্রে ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয় নাম দিয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভাবা হচ্ছে তা ঠিক আছে। তবে এটির প্রশাসন ব্যবস্থা হওয়া উচিৎ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায়। সাতটি কলেজ যে অবস্থায় যেখানে যে প্রশাসনিক কাঠামো বা যে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার অধীনে আছে তা অপরিবর্তিত থাকবে। ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কেন্দ্র বা ক্যাম্পাস হবে অন্য একটি স্থানে। সেখান থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে এই সাতটি কলেজের ভর্তি, পরীক্ষা ও অন্যান্য প্রশাসনিক কার্যাবলী পরিচালিত হবে। পাঠদান, পরীক্ষা পরিচালনা, উত্তর পত্র মূল্যায়নসহ যাবতীয় কাজের দায়িত্ব এই সাত কলেজের বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মরত শিক্ষকগণই পালন করবে। দেশের অন্যান্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের চেয়ে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাগণ অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা বঞ্চিত হলেও দায়িত্ব পালনে তারা ব্যক্তিগত শৃঙ্খলা, পেশাগত দক্ষতা, মানবিকতা ও সহনশীলতা প্রদর্শনে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

সিলেবাস প্রণয়ন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ ও অন্যান্য কাজ বিশ্ববিদ্যালয় করবে। বর্তমান সিলেবাসের সাথে বিশ্ববিদ্যালয় যদি নতুন কোন বিষয় অন্তর্ভূক্ত করতে চায় সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে সকল বিষয়ের শিক্ষকদের পদ সৃষ্টির প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করে পদ সৃষ্টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং সে অনুযায়ী পিএসসি শিক্ষক নিয়োগ প্রদান করবে এবং নিয়োগ প্রাপ্তরা বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। সেসাথে এ সকল কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে যে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে তাও আগের মতই চলমান থাকবে। একটির কাজের ও মানের সাথে অন্যটির যাতে কোন বিরোধ সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। তবে বর্তমান বিদ্যমান ব্যবস্থায় পরিবর্তন এনে যুগোপযোগী করতে গেলে অবশ্যই সেটিকে করতে হবে ক্রমান্বয়ে ও সময় নিয়ে ধীরগতিতে। তাড়াহুড়া করে কোন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গেলে তা হবে রুপকথার সোনার ডিম পাড়া হাসকে মেরে ফেলে তার পেট থেকে একবারেই সব ডিম পাওয়ার সর্বনাশা পরিকল্পনা। বর্তমানে যেমন সরকারি কলেজ গুলোতে আইসিটি বিষয়ে বিভিন্ন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ধারীদের পিএসসির মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তেমনি ভাবে নতুন অন্তর্ভুক্ত স্পেশালাইজড বিষয়ে লোকবল নিয়োগ প্রদান করা সম্ভব। আমাদের প্রত্যাশা যথাযথ কর্তৃপক্ষ সবদিক বিবেচনায় নিয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপের মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করে শিক্ষাঙ্গনের সম্পর্ক ও পরিবেশ দু’টোকেই সুস্থ রাখবে।

লেখক: অধ্যক্ষ, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ, কুড়িগ্রাম

সারাবাংলা/এএসজি

প্রফেসর মীর্জা মো. নাসির উদ্দিন মত-দ্বিমত সাত কলেজের সমস্যা সমাধান নিয়ে ইন-সিটু ভাবনা

বিজ্ঞাপন

‘ইউনূস সাহেব বৈষম্য সৃষ্টি করেছেন’
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০০:৩১

আরো

সম্পর্কিত খবর