কুড়িগ্রাম জেলায় কোন শিল্প কারখানা নেই। শিল্প কারখানা না থাকায় এখানকার পরিবেশ বিশেষ করে বায়ুর মান শতভাগ স্বাস্থ্য সম্মত থাকার কথা কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় বর্তমান সময়ে বায়ুর মান এ জেলার জন্য অধিকাংশ দিনেই খারাপ মাত্রা নির্দেশ করে। সুনির্দিষ্ট ভাবে একটি নির্দিষ্ট দিনের বায়ু মান নিয়ে আলোচনা করলে বিষয়টি পরিস্কারভাবে তুলে ধরা সম্ভব। গত ২৪.১০.২০২৫ ইং তারিখের বায়ু মান নিয়ে সার্চ দিয়ে জানা যায় ঐ দিনে কুড়িগ্রামের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ১৩২ যা আনহেলদি স্তরের মান নির্দেশক। আবহাওয়া বিদগণের মতে এ ধরণের অবস্থা শ্বাস- প্রশ্বাসের সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিদের জন্য ক্ষতিকর এবং তাঁদেরকে এ অবস্থায় ঘরের ভিতরে বেশি সময় কাটানোই নিরাপদ হবে।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স এর মতে বায়ুর মান ০-৫০ হলে তা গুড বা ভালো এবং এতে কোন সন্দেহ নেই। ৫১-১০০ হলে তা মডারেট বা মাঝারি এবং এতে সংবেদনশীল ব্যক্তিরা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। ১০১-১৫০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর সংবেদনশীলদের জন্য বা আনহেলদি ফর সেনসিটিভ গ্রুপ এবং তা শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের সমস্যা হতে পারে। ১৫১-২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বা আনহেলদি এবং যে কোন কারও শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা হতে পারে। ২০১-৩০০ হলে খুব অস্বাস্থ্যকর বা আনহেলদি এবং তা গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। ৩০১ থেকে ৫০০ হলে তা বিপজ্জনক বা হাজারডাস যা জনস্বাস্থ্যের জন্য জরুরি অবস্থা।
উল্লেখিত তারিখে কুড়িগ্রাম-এর বাতাসে বেশ কয়েক ধরনের ক্ষতিকর পদার্থের উপস্থিতি দেখা যায়। যানবাহনের ধোঁয়া, স্থায়ী নির্মাণ ধূলা, জমিতে বা রাস্তার ধুলো উড়ে যাওয়া, আগুন বা উত্তপ্ত পলিথিন/বৃক্ষকাঠ পোড়ানোর ধোঁয়া ইত্যাদির কারণে ক্ষতিকর পদার্থ (ধূলিকণা) এর পিএম ২.৫ উপস্থিতি দেখা যায়। এছাড়াও পিএম১০ ব্যাসের ধূলিকণাও বিদ্যমান। এসব ধূলিকণা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর । এ ব্যাসের ধূলিকণা গুলো ফুসফুসের গভীরে পৌঁছাতে পারে, শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে এবং কার্ডিওভাসকুলার (হৃদরোগ) রোগের ঝুঁকি বাড়ে। চোখ বা গলা খসখসে হতে পারে, এ রকম জায়গায় দীর্ঘ সময় থাকলে বা এক্সপোজারে শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে। যানবাহনের ধোঁয়ার কারণে বাতাসে NO₂ বিদ্যমান এবং এ অবস্থা শ্বাসনালীতে প্রদাহ, হাঁপানি বা ব্রঙ্কাইটিসের কারণ হতে পারে। কুড়িগ্রামের বাতাসে ভারি ধাতু ও অন্যান্য সূক্ষ্ম দূষক (যেমন Pb, Hg, VOCs) ইত্যাদি নাই।
যদিও আমরা বলি কুড়িগ্রামে নদীর সংখ্যা ১৬ টি কিন্তু বাস্তবে এখানে ছোট-বড় মিলে নদীর সংখ্যা ৪৪টি। নদীগুলো হলো-১। ব্রহ্মপুত্র ২। তিস্তা, ৩।, ধরলা, ৪। দুধকুমার, ৫। হলহলিয়া, ৬।, জিঞ্জিরাম,৭। সোনাভরি,৮। ধরণী ৯। সঙ্কোশ, ১০। শিয়ালদহ, ১১। গঙ্গাধর, ১২। কালো ১৩।, ফুলকুমার, ১৪। বারোমাসি, ৫। গিরাই (গাগলা), ১৬। গিরাই (ঠুটাপাইকর), ১৭। অন্তাই, ১৮। ফুলসাগর, ১৯। নাগেশ্বরী, ২০। পয়রাডাঙা, ২১। পাঁচগাছিার ছরা, ২২। চাকিরপশা, ২৩। বুড়িতিস্তা, ২৪। বামনী, ২৫। কোটেশ্বর, ২৬। খলিশাকুড়ি, ২৭। দেউল, ২৮। চণ্ডিমারী, ২৯। অর্জুনের ডারা ৩০। কালজানি, ৩১। গদাধর, ৩২। ঘগুয়া, ৩৩। কুরসা, ৩৪। জালশিরা, ৩৫। রত্নাই, ৩৬। চান্দাখোল, ৩৭। নীল কুমার, ৩৮। তোর্সা, ৩৯। হাওরার বিল, ৪০। মহিশকুড়ি, ৪১। নওজল, ৪২। বুড়া ধরলা ৪৩। গিরাই (নাগেশ্বরী পূর্ব) ৪৪। বোয়ালমারী। এ নদীগুলোর সবগুলোই প্রায় ৬ মাস শুকনো থাকে অথবা পানির অভাবে নদী শুকিয়ে প্রশস্ত চরের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া কুড়িগ্রামে ৪২০ টিরও বেশি চর রয়েছে। শুকনো মৌসুমে নদীর বুকে জমা পলি বা বালি এবং যে সকল চরে এখনও বসতি গড়ে ওঠেনি বা ঘাস ও গাছপালা সৃষ্টি হতে পারে নি সে সব এলাকার ধূলা-বালি বায়ু দ্বারা পরিবাহিত হয়ে বাতাসে ধূলিকণার পরিমাণ বাড়ায় এবং বায়ুকে দূষিত করে যার ফলে কুড়িগ্রামের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বছরের অধিকাংশ সময়েই খারাপ থাকে। ফলশ্রুতিতে শ্বাস -প্রশ্বাস জনিত রোগীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
২০২৩ সালের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুড়িগ্রাম জেলায় ১১৩টি ভাটার মধ্যে ৯২টিই অবৈধ। ২০২৫ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের যৌথ অভিযানে ফুলবাড়ী ও নাগেশ্বরী উপজেলায় দুটি অবৈধ ইটভাটা ভেঙে ফেলা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় ইটভাটা গুলো বন্ধ করে দেয়া হলেও ইটভাটার কাজ ইঁদুর – বিড়াল খেলার মতো সীমিত পরিসরে বতর্মানেও চলছে।
সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার এর মতে কুড়িগ্রাম বাংলাদেশের উত্তর সীমান্তে ভারতের আসাম ,পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় রাজ্যের সীমানায় অবস্থিত। এ রাজ্যে গুলোর শিল্পাঞ্চল, কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র, ইটভাটা,কয়লা খনি ও যানবাহন নির্গমন থেকে উৎপন্ন ধোঁয়া বায়ুতে মিশে থাকে। বছরের তিন সময়ে দূষিত পদার্থ বাতাসের মাধ্যমে বাংলাদেশে তথা কুড়িগ্রামেও প্রবেশ করে।ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথমভাগ পর্যন্ত এই বাতাস আসে মূলত উত্তর-পূর্ব দিক থেকে, অর্থাৎ আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম ও ত্রিপুরা থেকে। আরেকটি আসে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত এবং তৃতীয় সময়টি হচ্ছে জুলাই থেকে অগাস্ট পর্যন্ত।
প্রাকৃতিক বায়ু প্রবাহের মাধ্যমে ভারতের বায়ু কুড়িগ্রামের দিকে প্রবাহিত হয়ে বাতাসকে দূষিত করে।বিভিন্ন পরিবেশ গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে শীতকালে আন্ত:সীমান্ত দূষণের মাধ্যমে ৩০% পর্যন্ত বায়ু দূষিত হতে পারে যা ৮০% স্বাস্থ্য হানির জন্য দায়ী। অর্থাৎ, কুড়িগ্রামের বায়ু দূষণের সামান্য অংশ স্থানীয় উৎস থেকে এবং একটি বড় অংশ ভারতের দিক থেকে আসে। ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় অনেক ইটভাটা, কারখানা ও ফসল পোড়ানোর ক্ষেত আছে। বিশেষ করে ভারতে ধান কাটার পর খড় পোড়ানোর মাধ্যমে প্রচুর ধোঁয়া সৃষ্টি হয়, যা বায়ুপ্রবাহের সাথে কুড়িগ্রামে চলে আসে। ফলে সেখানে থাকা ধূলিকণা (পিএম১০), সূক্ষ্ম ধূলিকণা (পিএম২.৫), সালফার ডাই-অক্সাইড ,নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি কণাও কুড়িগ্রামে প্রবেশ করে। ইটভাটা থেকে প্রধানত কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড এবং সূক্ষ্ম বস্তুকণা (পিএম২.৫) যা ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করতে পারে এবং শ্বাসযন্ত্রের মারাত্মক রোগের কারণ হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, কার্বন মনোক্সাইড বুকে ব্যথাসহ শ্বাসতন্ত্রের নানা অসুখের জন্য দায়ী। নিশ্বাসের সঙ্গে এটি গ্রহণ করলে হৃদরোগও হতে পারে। নাইট্রোজেন অক্সাইডের কারণে নানা ধরনের প্রদাহ হয়, সালফার ডাই অক্সাইডের কারণে হতে পারে হাঁপানিসহ হৃদরোগ, ওজন গ্যাস ফুসফুসের কার্যক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং সীসার কারণে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা খুব দ্রুত শ্বাসকষ্ট-জনিত অসুখে এবং শ্রবণ ও স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া এমনকি ক্যান্সারেও আক্রান্ত হতে পারে। ইটভাটা নি:সৃত গ্যাসে এবং খরার কারণে ফসল নির্ধারিত সময়ে ঘরে তোলার আগেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
বায়ু প্রবাহের গতি এবং ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী ভারত থেকে এই বাতাস কুড়িগ্রামে পৌছাতে মাত্র দুই দিন সময় লাগে।এসডোর গবেষণায় দেখা গেছে বায়ু দূষণকারী এসব পদার্থ সাধারণত ৫০ থেকে ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে। তবে এটা নির্ভর করে দূষণকারী পদার্থের ওজন এবং বাতাসের গতি ও দিকের ওপর। ওজন গ্যাস ১০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রিক অক্সাইড গ্যাস ৫০ থেকে ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত উড়তে পারে। বাতাসের গতিবেগ বায়ুর বিশুদ্ধতার উপর খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। সহজভাবে বললে, বাতাসের গতি যত বেশি হয়, দূষিত পদার্থগুলো (যেমন ধূলিকণা, ধোঁয়া, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ইত্যাদি) তত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ঘনত্ব কমে যায় — ফলে বায়ু তুলনামূলকভাবে বিশুদ্ধ থাকে। বাতাসের গতিবেগ ০-৫ কিমি/ঘন্টা হলে বাতাস প্রায় স্থির, ধোঁয়া ও ধুলা বাতাসে জমে থাকে এবং তা দূষিত বাতাস। ৬-১০ কিলোমিটার/ঘন্টা হলে হালকা বাতাস, কিছু দূষণ ছড়িয়ে পড়ে এবং তা মাঝারি বিশুদ্ধতা। ১১-২০ কিলোমিটার/ঘন্টা হলে ভালো বায়ুপ্রবাহ, দূষণ সহজে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা বিশুদ্ধ বায়ু। গতিবেগ ২১-৩০ কিলোমিটার/ঘন্টা হলে প্রবল বাতাস দূষণ ছড়িয়ে যায় ধূলিকণা উড়লেও ঘনত্ব কমে বাতাস বিশুদ্ধ হয়।বায়ু বিশুদ্ধ রাখতে সাধারণত ১০ থেকে ২০ কিমি/ঘণ্টা গতিবেগ সবচেয়ে উপযুক্ত। এই গতি দূষিত পদার্থ ছড়িয়ে দেয়, আবার খুব বেশি ধূলি উড়িয়েও আনে না। ২৫.১০.২০২৫ ইং তারিখে কুড়িগ্রামে বাতাসের গতিবেগ ছিল ৮ কি.মি/ ঘন্টা।
উচ্চতার উপরও দূষণের মাত্রা নির্ভর করে। সাধারণত: ০-১০ মিটার উচ্চতায় ৮০%–৯০% দূষক অবস্থান করে। এটাই মানুষের শ্বাস নেওয়ার স্তর। উচ্চতা যত বাড়তে থাকে দূষকের হার ততই কমতে থাকে। কুড়িগ্রামে কোন পাহাড় না থাকায় সকল অংশই সমতল ভূমি ফলে উক্ত উচ্চতায় উল্লেখিত পরিমাণ দূষক থাকে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে বায়ু দূষণজনিত কারণে শীতকালে এ অঞ্চলে সর্দি, কাশি এবং নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। যারা আগে থেকেই অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, সিওপিডি, এমফাইসিমা ইত্যাদি রোগে ভোগেন, শীতের সময় এসব সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। Centre for Research a Energy and Clean Air এর ২০২৫ সালের বিশ্লেষণ অনুযায়ী বাতাসে থাকা অতিক্ষুদ্র ধূলিকণার দূষণের কারণে হৃদরোগ, স্ট্রোক,শ্বাস কষ্ট, ফুসফুসের ক্যান্সার ও অন্যান্য শ্বাস যন্ত্রের রোগে সারাদেশে ১,৫৯,০০০ জন মারা যায়। কুড়িগ্রাম জেলার এ ধরণের সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও সে হিসেবে জনসংখ্যার অনুপাতে কুড়িগ্রাম জেলায় ১৪০০ জন লোক মারা যায়।
কুড়িগ্রামের বায়ু দূষণ রোধে নদী শাসনের মাধ্যমে নদীগুলোতে পানি ধরে রাখতে পারলে বাতাসে ধূলো বালির পরিমাণ কমে যাবে। বৈজ্ঞানিক গবেষণায় দেখা গেছে পাতার পৃষ্ঠ যত রুক্ষ ও লোমযুক্ত হয়, তত বেশি ধূলিকণা আটকে রাখতে পারে। চিরসবুজ গাছ সারা বছর বাতাস পরিশোধন করে। গাছের উচ্চতা ও ঘনত্ব বায়ুর গতিকে কমিয়ে কণাগুলো মাটিতে নামতে সাহায্য করে। নিম গাছের পাতার রুক্ষতা ও ঘন শাখা প্রশাখা পিএম২.৫ ও পিএম১০ শোষণে কার্যকর। নিম গাছ বায়ু বিশুদ্ধকরণে শীর্ষস্থানীয় বৃক্ষ। বট গাছের বড় পাতা, বিশাল ছায়া, এবং রুক্ষ পৃষ্ঠ ধূলিকণা আটকায়। অশ্বত্থ গাছের পাতার গঠন মাইক্রোডাস্ট ও ধোঁয়া কণিকা আটকে রাখে।আম পাতায় সূক্ষ্ম লোম থাকায় ধূলিকণা আটকে যায়। শহর এলাকায় রোডসাইড গাছ হিসেবে উপযোগী । দূর্বাঘাস জাতীয় উদ্ভিদ ফাঁকা জায়গা গুলোতে লাগালে অন্য সব উদ্ভিদের মতোই পরিবেশের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে , মাটি ধরে রাখে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণের মাধ্যমে পরিবেশের সামগ্রিক সূস্থতা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অধিকতর স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্য বছরের বিশেষ সময়গুলোতে অবশ্যই মাস্ক পরিধান করতে হবে।
লেখক: অধ্যক্ষ, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ, কুড়িগ্রাম