আমরা এমন একটা সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি যেখানে সবাই নির্বিকার, কারো যেন কোন কিছুতে দায় নেই। সমাজে অনাচার হচ্ছে, কেউ কেউ তাৎক্ষণিক মৃদু প্রতিবাদ করলেও অন্যদের সহযোগিতা মিলছে না। সবাই ভাবছে উটকো ঝামেলায় জড়িয়ে কী লাভ? অফিসের অনিয়ম আর দুর্নীতি কিছুতেই কমছে না, বরং সতর্কতার মোড়কে দ্বিগুণ, তিন গুণ মূল্যে সেবা ক্রয় করতে হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে পদে পদে হেনস্তা। প্রতিকারের কেউ নেই। সবাই এসব মেনে নিয়ে নির্বিকার। তাই, যার যার মত দফারফা করে চলছে।
এভাবেই নির্বিকার মানুষ গুলো ভেতরে ভেতরে অনবরত ফোঁস ফোঁস করছে। আর নিজের মন ও মেজাজকে নিয়ন্ত্রণে রেখে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করছে। তাই, একটু সুযোগ পেলেই সে বারুদের মত জ্বলে উঠছে। মানুষ তার রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে- এটাই স্বাভাবিক।
এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে স্বার্থান্বেষী মহল। নানা দল, গোষ্ঠী, পেশার লোকেরা ব্যানার নিয়ে রাস্তায় মারমুখী হয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। প্রায় সকালেই ঘুম থেকে উঠে শুনতে হয় রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে লাগাতার আন্দোলনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কখনো তারা সচিবালয়ের দিকে, কখনো যমুনার দিকে অথবা অন্য কোন সরকারি দপ্তরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। জনভোগান্তি বাড়ছে, সড়কে শৃঙ্খলা নেই, যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী, তার সাথে দূরপাল্লার যাত্রী সাধারণও। পুলিশ পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছে, তাদের সাথে কুস্তাকুস্তিও হচ্ছে। বল প্রয়োগ করেও থামানো যাচ্ছে না তাদের অগ্রযাত্রা। মিডিয়া তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছে। চ্যানেলে চ্যানেলে লাইভ কভারেজ হচ্ছে। এ দেখে আন্দোলনরতরা আরো উৎসাহ বোধ করছে। হাজার হাজার মোবাইলধারী ইউটিউবার ঘিরে রাখছে নেতাদের, ইন্টারভিউ নিচ্ছে। ফেসবুকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এরমধ্যে সরকারকে যারা বিপদে ফেলে ফায়দা লুটতে চায় এরূপ গোষ্ঠী আরো সংঘবদ্ধ হয়ে উত্তপ্ত আন্দোলনে জ্বালানী ঢালছে। পাবলিক নির্বিকার। সরকারও ধৈর্য ধরার নামে খানিকটা নির্বিকার।
রাজনৈতিক দলগুলো নানা হিসেব কষে আন্দোলনরতদের কাছে গিয়ে সহানুভূতি প্রকাশের নামে সরকারের উপর টন টন বস্তা চাপিয়ে দিচ্ছে। অনঢ় অবস্থান থেকে পিছু হটে সরকারকে শেষ পর্যন্ত ঘাড় পাততে বাধ্য করছে। সরকার প্লাস-মাইনাস করে কোন মতে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। এতে করে বাকিরা উৎসাহিত হচ্ছে। তারাও রাস্তায় নামছে তাদের দাবীদাওয়া নিয়ে। এরইমধ্যে সুকৌশলে নতুন করে জেলা, বিভাগ দাবীর আন্দোলন উসকে দেওয়া হয়েছে। কারো কোন বিচার-বিবেচনাবোধ কাজ করছে না। নিজেরাই ইচ্ছেমত আন্দোলনে নেমে পড়ছে। কেউ কিছু মানতে চাচ্ছে না। কেউ কারো সাথে যুক্ত হতে চাচ্ছে না। বিযুক্ত থেকে নিজেরাই জেলা বা বিভাগ ঘোষণা করে বিধ্বংসী আন্দোলনে নেমে পড়ছে। ভৈরবকে জেলা ঘোষণা করার দাবীকে ঘিরে রেলপথ অবরোধের নামে সম্প্রতি যা হয়ে গেলো তা কল্পনাতীত। মনে হলো সারা ভৈরব জুড়ে বিবেকবান কোন মানুষ নেই, যারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা নিরসনের ডাক দিতে পারতেন। এমনকি কোন কোন উপজেলা সন্নিহিত কয়েকটি উপজেলা নিয়ে নিজেকে জেলা দাবী করে আন্দোলনের হুমকিও দিচ্ছে। পাবলিক নির্বিকার। সরকারও নির্বিকার। সংষ্কার কমিটির সুপারিশ চাউর হয়ে যাওয়ায় এই অনভিপ্রেত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। একই আবর্তে প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে বিভিন্ন পথ নাটক অভিনীত হচ্ছে এখানে সেখানে, শুধু পাত্রপাত্রী ভিন্ন এই যা। পাবলিক নির্বিকার। সিভিল সোসাইটি একসময় খুব ভাইব্রেন্ট ছিলো। তাদের বেশির ভাগই কলকাতা হারবালে আসক্ত। গত পনের বছরে তাই তাদের তৎপরতা ছিলো। এখন নেই। তাদের কেউ জেলে, কেউ পলাতক, কেউ শামুকের মত গুটিয়ে আছে, কেউ শীত নিদ্রায়, কেউ সুসময়ের অপেক্ষায়।
প্রশাসনের ভাবমূর্তি স্মরণাতীতকালের মধ্যে তলানীতে। পনের বছরে তার এত অধ:পাত হয়েছিলো যে, তাকে ক্রেণ দিয়েও এখন তোলা যাচ্ছে না। গত একবছরেও পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়নি। ঘন ঘন বদলী, পদায়ন, পদোন্নতি দিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। এরমধ্যে আগেকার মত নতুন মুখের সিণ্ডিকেট জায়গা করে নিয়েছে। সচিব থেকে দপ্তর-অধিদপ্তরের প্রধান পদে কারা যেন অগ্রীম চুক্তি করছে, দৌড়ঝাঁপ করছে। তারপর যার কোমরের জোর বেশি, ট্যাকের জোরও বেশি তার অনুকূলে আদেশ জারি হচ্ছে। আবার বিরুদ্ধ চাপে তা বাতিলও হচ্ছে। এদের মধ্যে কচিকাচাদের কথাও শোনা যাচ্ছে। জনপ্রশাসনে এক পাগড়ী হুজুর খানাপিনাসহ রীতিমত সকাল সন্ধ্যা এমনকি রাত্রি অবধি অফিসও করতেন বলে বহুল শ্রুত। সফেদ চেহারার সেই হুজুরকে অবশ্য প্রবল অভিযোগের মুখে দেরিতে হলেও অপসারণ করে নেওয়া হয়েছে, তার দল তাকে সম্ভবত বহিষ্কারও করতে বাধ্য হয়েছে। ডিসি পদায়নে বাণিজ্যের অডিও প্রকাশিত হয়েছে, তদন্ত কমিটিও হয়েছে সাবেক সিনিয়র সচিবের বিরুদ্ধে। উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়েছিলো। সেই তদন্তের বিষয়ে কিছু জানা যায় না। সম্প্রতি তাকে সেখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র পদায়ন করা হয়েছে। সরকার নির্বিকার। পাবলিকও। সিভিল সার্ভিসের ইতিহাসে এত বেশি সংখ্যক সচিব, সিনিয়র সচিব পদধারীদের গ্রেফতার ও মামলার আওতায় এনে দীর্ঘদিন জামিন বিহীন কারাবাসে রাখার নজীর নেই। এটা মোটেই ভালো বার্তা দিচ্ছে না। অতএব, সাধু সাবধান।
পুলিশের ন্যুনতম কোন ভাবমূর্তি নেই। এতে তারা যে খুব বেশি মর্মাহত, অনুতপ্ত তাও বুঝা যাচ্ছে না। ঘুরে দাঁড়াবার কোন লক্ষণও তাদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। ঘন ঘন বদলীই যেন পুলিশের উর্ধতন কর্তাব্যাক্তিদের উল্লেখযোগ্য কাজ। ফলত: পুলিশকে কেউ দু’পয়সা দিয়েও গুনছে না। তারা রাজপথে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মার খাচ্ছে, নাজেহাল হচ্ছে। উত্তেজিত পাবলিকের ধাওয়া খাচ্ছে। এরপর? আবার আগের মতই ঢিলেঢালা সব। এ নিয়ে যেন দেশবাসীর কোন মাথাব্যাথা নেই। তারা নির্বিকার। সরকারও কি? অথচ জীবনের প্রতিটি স্তরে, প্রতিটি কাজে পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন। পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা, উৎসাহ দেওয়া, অপকর্মের সমালোচনা করার জন্য এককালের সুশীলদেরকে এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। পাবলিক পুলিশের বিষয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। তাই তাদের ঘুরে দাঁড়াবার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তারাও নির্বিকার। পুলিশের দীর্ঘদিনের ইতিহাসে আইজি পদবীধারী বা উর্ধতন এত এত পুলিশ কর্মকর্তা ভয়ানক অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে দীর্ঘ কারান্তরালে থাকার নজীর নেই। অনেক উর্ধতন কর্মকর্তা পলাতক। বাকিরা ফেরার। ভাবা যায়?
আদালত প্রাঙ্গণে শৃঙ্খলা নেই। আসামীদের নিরাপত্তা শংকার মুখে। কে কখন ডিম বৃষ্টিতে সিক্ত হবে, কে কখন জুতার আঘাতে আপ্যায়িত হবে কেউ জানে না। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোন প্রধান বিচারপতি কারাগারে অনিশ্চিত জীবনযাপন করছেন। তার প্রতি সকল রাজনৈতিক দলের, পাবলিকের প্রবল ঘৃণা ও উষ্মা। এখনো বিজ্ঞ বিচারপতিদের বিরুদ্ধে একই আসামীর অসংখ্য মামলায় নিমিষেই জামিন প্রদান নিয়ে কথা উঠেছে। মহামান্য প্রধান বিচারপতি তাদের অনেকের কাছেই এ বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করেছেন। ভি আইপি যাদেরকে বিভিন্ন মামলায় ধরা হয়েছে তাদেরকে কী যথাযথ মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে? নাকি একসময় তারা হাস্যকর মামলার উছিলায় হাসতে হাসতে বেরিয়ে আসবেন? এগুলো কে তদারক করছেন? পাবলিক নির্বিকার। কেননা, এ ব্যাপারে তাদের জানার ক্ষেত্র একেবারেই সীমিত। সরকার কি সজাগ আছে? নাকি তারাও নির্বিকার?
ছাত্ররা দিকভ্রান্ত। এখন পথভ্রষ্ট। কতিপয় বৃদ্ধের কবলে পড়ে বিপ্লবের স্পিরিট খুব সহসাই হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় এবং তাদের কোন অভিভাবক না থাকায়, তারা নিজেরাও এর প্রয়োজনীয়তা অনুভব না করায় তাদের অনেকেই চাঁদাবাজিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, কেউ অফিস পাড়ায় দেখভালের নামে নিজের দেখভাল করছে আর কেউ কেউ মবের ভীতি প্রদর্শন করে আখের গুছিয়ে নিচ্ছে। অবশ্য এদের বিরুদ্ধে ঢালাও অপপ্রচারও যে হচ্ছে না তাও অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে, জনগণ এদের বিষয়ে ভীতসন্ত্রস্ত, অসহায়, তাই নির্বিকার। প্রশাসনও। অথচ জুলাই বিপ্লব ছিলো আমাদের জন্য ঘুরে দাঁড়াবার আলোকবর্তিকা স্বরূপ। এখন তার আলো প্রায় নিভু নিভু। আর মশাল দণ্ডটিকে নিয়ে যে যেমন করে পারছে ব্যাট করছে, কেউ বাউণ্ডারি, কেউ ওভার বাউণ্ডারি হাঁকাচ্ছে, কেউ আগপাছ বিবেচনা না করে ব্যাট হাঁকাতে গিয়ে ধরা খাচ্ছে।
গত পনের বছর আর্থিক খাতে ভয়াবহ লুটপাট, রাহাজানি হয়েছে। এই একবছরে সেই তস্করদের কারো কোন অসুবিধে হতে দেখিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তখনকার সেবক গভর্নরদের কেশাগ্রও স্পর্শ করা যায় নি। ব্যাংকগুলো ভুয়া কাগজ বন্ধক রেখে কোটি কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। তাদের কিছু হতে শুনিনি। সেসব ঋণ অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষের কারো বিরুদ্ধে কিছু হতে দেখিনি। ব্যাংক পরিচালনা বোর্ডের সদস্যরা আজো অধরা। বিভিন্ন দপ্তর, সংস্থা ও বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মানি লণ্ডারিং নিরোধ সংক্রান্ত যে কমিটি সেসময় দেখেও না দেখার ভান করেছে অথবা অপকর্মে রাবার স্ট্যাম্পের ভূমকায় ছিলো তাদের বিরুদ্ধেও কিছু হতে শুনি। এমনকি তারা কারা তাদের নামও কেউ জানে না। অন্তর্বতীকালীন সরকারের এ পড়ন্ত সময়ে আর কবে হবে এসবের উদঘাটন? এই সুযোগে কুলোকেরা কোরাস গাইছে, আগেরটাই ভালো ছিলো। পাবলিক তাই সন্ত্রস্ত। তারা ভেবে নিয়েছে যে লাউ সেই কদু। তাই নির্বিকার।
মিডিয়া মূলত কলকাতা হারবালের উজ্জীবিত। তারা এখনো সে নেশায় বুঁদ হয়ে আছে। আশায় আশায় বুক বেধে অপেক্ষায় রয়েছে, এই বুঝি টুপ করে এলো। তারা ইতোমধ্যে টক শো-র পুরোনো জোশ প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে। যারা এতকাল গহ্বরে ছিলো তারা বের হয়ে আসছে, টক শো-তে বসে টিপ্পনী কাটছে, নেগেটিভ জিনিস হাইলাইটস করছে আর বাক স্বাধীনতার পক্ষে ঝেড়ে কাশছে। যেন পনের বছর বাক স্বাধীনতার স্বর্ণযুগ ছিলো। পাবলিক এসব বিনোদন দেখছে আর নির্বিকার থাকছে।
রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই। জনপ্রিয় এই অর্ধসত্য কথাকে পুঁজি করে এখন প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে সার্কাস চলছে। কে কার সাথে কখন মান-অভিমান করছে, পরক্ষণেই অভিসারে মিলিত হচ্ছে, পরক্ষণেই হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেওয়ার মত গোমর ফাঁস করে দিচ্ছে তার হিসেব নেই। কোথাও কোন শিষ্টাচার নেই। যে যাকে পারছে বাংলা ওয়াশ করছে। যার মুখে যত বড় কথা মানায় না সে ততবড় বোমা ফাটাচ্ছে। কারো প্রতি কারো ন্যুনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই। এখন ‘স্বার্থ সমান সমান সম্মান’ এর সমীকরণ মার্কেট দখল করে রেখেছে। পাবলিক সব দেখছে। তারা চরম বিনোদন উপভোগ করছে আর হাসছে। রাজনীতিবিদদের প্রতি পাবলিকের ন্যুনতম শ্রদ্ধাবোধ নেই, আছে ভয় আর প্রবল ঘৃণা। এ চরম সত্যটা রাজনীতিবিদরাও জানে। কিন্তু নির্বাচনী মূলা আর ক্ষমতার মসনদের কথা শুনিয়ে পাবলিককে খামোশ করে রাখছে। পাবলিক তাই নির্বিকার।
এরিমধ্যে বিদেশী খেলোয়াড়েরা যার যার এজেণ্ডা নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে। তারা রাজনৈতিক দলগুলোর অফিসে যেমন যাচ্ছে, তেমনি দলীয় নেতাদের বাসাতেও যাচ্ছে। পাবলিক এসব দেখছে আর ভাবছে, কী এমন কথা তাহাদের সাথে?
জনগণ আজ দিশেহারা। বাজারের মতিগতি ঠিক নেই। কর্মসংস্থান সংকুচিত হয়ে আসছে। প্রচুর কলকারখানা, গার্মেন্টস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে, যাচ্ছে। বিদেশী বিনিয়োগের আশায় গুড়ে বালি। তাই তারা হতাশ ও নির্বিকার। ডিসেম্বরেই হয়ত নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনী ডামাডোলে গ্রামাঞ্চলে চায়ের কাপে ঝড় উঠবে। আর শহরাঞ্চলে নতুন হিসাব নিকাষ চূড়ান্ত করা হবে। কেন্দ্রে যারা খেলোয়াড় তারা ঘুট পাকাতে ব্যাস্ত হয়ে পড়বে। সরকারও নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বে। বলা যায় কর্মচাঞ্চল্যে ভরে উঠবে রাজনীতির আঙ্গিনা। এরপর কী হবে তা এখনই অনুমান না করাই সমীচীন।
সবকিছুর যেমন শেষ আছে তেমনি আমাদের এ অগোছালো, বেপোরোয়া ও উদ্দেশ্যবিহীন জীবন যাত্রাও কোথাও না কোথাও গিয়ে থামতে হবে। আমরা কি তা ভেবে দেখেছি? নাকি এক্ষেত্রেও সবার মত নির্বিকার থাকবো? সবার সুবোধ জাগ্রত হোক।
লেখক: কলামিস্ট