Sunday 23 Nov 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মিথ্যার বেসাতি: দায় নেই, লাগাম-লজ্জাও নেই


২৩ নভেম্বর ২০২৫ ১৮:৪৩

চব্বিশের জুলাই বিপ্লব আমাদের সামনে যে বিশাল ক্যানভাস নিয়ে হাজির হয়েছিলো মাত্র একবছরের মধ্যেই তা আজ বিবর্ণ ও ছিন্নভিন্ন। কথা ছিলো দেশে ‘বৈষম্য’ নামের কোন কিছু থাকবে না। ন্যায্যতা, সততা আর যোগ্যতাকে ভর করে সমাজ ও রাষ্ট্র এগিয়ে যাবে। এর জন্য মেরামত কাজের প্রয়োজন হবে। সে লক্ষ্যেই ‘সংস্কার কমিশন’ গঠন। জনগণ আশায় বুক বেঁধেছিলো। প্রত্যাশার ঝিলিক চারিদিকের পরিবেশকে করে তুলেছিলো নতুন উদ্দীপনায় ছন্দময়, বর্ণময়, গীতিময়, চিত্রময় ও সৌগন্ধময়। সময়ের সাথে সাথে কোথা থেকে কী যেন হয়ে গেলো, বিপ্লব মাটিতে শুয়ে ঘুমিয়েও পড়লো। চারিদিকে নেমে এলো অরাজকতা। বৃদ্ধি পেলো অস্থিরতা। কারো কাছে তা হলো পৌষ মাস আর অনেকের কাছে তা সর্বনাশ। জনগণ প্রথমে ভড়কে গেলো, পরে বিস্মিত হলো। আর এখন উপায়ান্তর না দেখে ধাতস্থ হতে শিখছে।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি কয়েক দিনের ব্যবধানে রাজধানীতে হয়ে গেলো ‘শিক্ষক মেলা’। প্রথমে মাধ্যমিকের এমপিও ভুক্ত বেসরকারি শিক্ষকদের, পরে প্রাথমিকের সরকারি শিক্ষকদের। এবারের শিক্ষক মেলা হয়েছে অভিনব কায়দায়। তা অন্য আর দশটা মেলার মত শুধুই নিজেদের প্রমোশনাল এক্টিভিটিজে ভরপুর ছিলো নানা। তবে এক জায়গায় অভিন্নতা ছিলো। আর তাহলো ‘বিনোদনে’। মেলা হবে আর বিনোদন থাকবে না-  তা কি হয়?

মেলায় আইকনিক ফিগার হয়ে উঠেছিলেন কয়েকজন শিক্ষক। তাদের মুখ নি:সৃত বচনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্লাাব্যতার সৃষ্টি হয়েছে। একক বিষয়বস্তু ও একক চরিত্র হিসেবে হেভিওয়েট শিরোপা পেয়েছে অপ্রতিদ্বন্দ্বী কয়েকজন ‘শিক্ষক’। দেশের মানুষ স্বল্প সময়ে এত বেশি বিনোদন  উপভোগ করার সুযোগ আর পায়নি কখনো। তবে রাজনীতিবিদদের কথা বাদ। তাদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করার সাহস এদেশের কারো নেই। তাদের নির্দিষ্ট কোন সিলেবাস নেই। তাদের কোন পরীক্ষা নেই। বলাচলে তারা নিজেরাই নিজেদের পরীক্ষক, সুপারভাইজার ও বয়ান রচনাকারী বিশেষজ্ঞ। ফিরে আসি শিক্ষক মেলা প্রসঙ্গে।

শিক্ষক মেলায় নাচ হয়েছে, গান হয়েছে, বক্তৃতা- বিবৃতি ও খিস্তিখেউড়ও হয়েছে প্রচুর। কখনো তারা  রাজপথে মারমুখী হয়েছেন। কখনো পুলিশের দায়িত্ব পালনকে শিক্ষা গুরুর উপর চরম আঘাত বলে মনে করেছেন। রাগে ক্ষোভে বলেছেন,  এলাকায় ফিরে গিয়ে খুঁজে খুঁজে পুলিশের সন্তানদেরকে তারা আর পাঠ দান করাবেন না। এখানেই বিনোদনের শেষ না। কাহিনী আরো ব্যাপক। এই মেলাতেই চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে মাছের রাজা ইলিশ আর গরিবের ইলিশ পাঙ্গাস। একজন তো এ নিয়ে রীতিমত ভাইরাল হয়ে গেছেন। তিনি তার বাচ্চাকে ইলিশ কিনে দিতে না পেরে পাঙ্গাসকেই ইলিশ হিসেবে চালিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। যতই আন্দোলন দীর্ঘ হচ্ছিলো বিনোদন চরম মাত্রায় পৌছে গিয়েছিলো। বিনোদন প্রিয় পাবলিক আর নিউজ খরায় তীথের্র কাকের মত থাকা মিডিয়া ও ইউটিউবাররা হামলে পড়লো সেই শিক্ষক মেলায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে ট্রলের সর্বোচ্চ সৃজনশীল চর্চা হয়েছে। ইলিশ আর পাঙ্গাশের প্রবক্তা রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যাওয়ায়  অন্যরাও সাধ্যাতীত চেষ্টা করেছেন তার সাথে পাল্লা দিতে। তাদের সৃজিত নতুন নতুন বয়ানে শিক্ষক মেলা হয়ে উঠেছিলো রাজধানীবাসীদের কাছে বিনোদনের নতুন সিরিয়াল।

একজন শিক্ষিকা বলেই বসলেন, বিশ বছর আগে তিনি তার সন্তানকে মুরগী খাইয়েছিলেন। এরপর অর্থাভাবে, স্বল্প বেতনে, তা আর খাওয়ানো সম্ভব হয়ে উঠেনি। পাবলিক হাহা করে উঠলো, মিডিয়া ইউরেকা ইউরেকা বলে তার পসরা মেলে ধরলো। তার এই বক্তব্য ভাইরাল থাকা অবস্থায় আরেকজন শিরপা অভিলাষী বললেন, ৫০ বছর হয়ে গেছে তিনি বিয়েটাও করতে পারেন নি। স্বল্প বেতনের প্রাইমারি শিক্ষকের কাছে কেউ বিয়ে দিতে চায় না। শিক্ষিকার রেকর্ড ম্লান হয়ে গেলো পঞ্চাশোর্ধ এই অকৃতদারের বিরহ যাতনার কাছে। তাকে দেখে একে একে মঞ্চে আবির্ভূত হতে থাকলেন সমাজ গড়ার কারিগরবৃন্দ। কেউ বললেন তিনি তার সন্তানকে জুস কিনে দিতে পারেন নি। জুসের বদলে ছেলে রুটি, কলা চাইলে তিনি প্রবোধ দিয়েছেন এই বলে যে, রুটি, কলা তো জ্বর হলে অসুস্থ রোগীরা খায়। অসহায় পিতার এরূপ চরম অবস্থা দেখে চোখে জল আসার কথা। কিন্তু জল না এসে ভুরি ভুরি ট্রলের উদ্ভব হয়েছে। কেউ আবার বহু বছর ঈদে কাপড় কিনে দিতে পারেন নি বলে মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে  আক্ষেপ করে অশ্রু বিসর্জনও করেছেন। একজন শিক্ষিকা তো বলেই বসলেন, সচিবদের চেয়ে তারা ডিগ্রিতে কম কিসে? এই সব হেভিওয়েট শিরোপাধারী যুক্তিবাগীশদের কথা শুনে মনে হচ্ছিলো সরকার কেন তাদের পাওনা বুঝিয়ে দিচ্ছে না। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এদের পাওনা বুঝিয়ে যার যার কর্মক্ষেত্রে ফেরত পাঠাতে পারলেই জাতি হয়ত কলংক মুক্ত হবে। উলঙ্গদের দুর্দশা আর কাহাতক সহ্য করা যায়?

দেশটা আয়তনে খুব ছোট। তার উপর ঘন জন অধ্যুষিত। কোনা না কোনো ভাবে আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ বা সামাজিক বন্ধনে পরিচিত। অনুসন্ধিৎসু মিডিয়া আর কর্মতৎপর ইউটিউবাররা ঠিকই এইসব যুক্তিবাগীশদের পারিবারিক ও ব্যাক্তিগত তত্ত্বতালাশ করে বের করে এনেছে এমন এমন ভাণ্ডার যা প্রকাশ হওয়া মাত্র চোখ বুঁজে আসে, মাথা হেট হয়ে আসে আর রক্ত মাথায় চড়ে বসে থাকে। মিথ্যারও  একটা মাত্রা থাকে কিন্তু এইসব হেভিওয়েট যুক্তিবাগীশদের উপ্ত বাক্য শুধু মিথ্যাই না খাড়ার উপর ডাহা মিথ্যা। শিক্ষক মেলায় শিক্ষকরা দাবী আদায় করতে এসে নিজেদেরকে উলঙ্গ করে গেলেন আর আমাদেরকে দিয়ে গেলেন লজ্জা। তারা কি এতে লজ্জিত? মনে হয় নি।

তাদের এই যুক্তির বিপরীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাজার হাজার মানুস অকথ্য ভাষায় তাদেরকে ভর্ৎসনা করেছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জেলা-উপজেলা সদরে প্রাথমিক শিক্ষার মান ও হাল নিয়ে বাস্তব চিত্র তুলে ধরেছেন। বুঝা গেলো শিক্ষকদের প্রতি কারো কোনো সহানুভূতি নেই, আছে তীব্র অসন্তোষ। বাড়ীর কাছে পোস্টিং নিয়ে তারা নিজ বাড়ী থেকে ইচ্ছেমত স্কুলে যান, কেউ অন্যদের সাথে এডজাস্ট করে রুটিন মেইনটেইন করে পালাক্রমে ক্লাস নেন। কেউ বদলী শিক্ষক নিয়োগ করে কাজ চালান, কেউ শহরে থাকেন আর মাস শেষে গিয়ে খাতায় স্বাক্ষর করে আসেন। কেউ স্কুলে বসে পাঠদান না করে একে অপরের উকুন বাছেন, তেল দিয়ে কেশচর্চা করেন, কেউ রোদ পোহান। কেউ নানারূপ বাজারঘাট, তয়তদবির করতে গঞ্জেও যান। দশটার হাজিরা ইচ্ছেমত সময়ে গিয়ে দেন। বারোটার দিকে ছাত্রদের ছুটি দিয়ে দেন। অথচ সাড়ে তিনটা অবধি তাদের স্কুলে রাখার কথা। পাবলিকের এসব কমেন্টস শুনে মনে হয় প্রাথমিক শিক্ষা দেখভাল করার কেউ নেই। থাকলেও অজানা কারণে ঢিলেঢালা।

আমরা শুধু চাইতে জানি, দিতে জানি না। একথা শুধু শিক্ষকদের ক্ষেত্রে না, সকল পেশার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। শিশু শিক্ষার হাতেখড়ি যে শিক্ষদের হাতে তাদের এই নগ্ন চিত্র দেখে বড় ক্ষোভ জাগে। জাতির ভবিষ্যৎ যদি তাদের অবিমৃষ্যকারিতার কারণে এভাবে নড়বড়ে মেরুদণ্ড নিয়ে বেড়ে উঠে তাহলে জাতির ভবিষ্যৎ কল্পনা করে শিউরে উঠতে হয়। তারা নিজেদের গ্রেড উন্নয়নের দাবীতে সোচ্চার হয়েছেন। কিন্তু সময়টা তারা বেছে নিয়েছেন সরকারের নাজুক সময়ে, যখন বিভিন্ন চাপে সরকার ক্লিষ্ট। তদুপরি প্রাথমিকের বৃত্তি ও সমাপনী পরীক্ষাও সামনে। সরকারের তরফ থেকে নানা রূপ যদি কিন্তু তবে শর্ত যুক্ত চিঠি নিয়ে তারা ‘নাখোশ’ অবস্থায় ফিরে গেছেন। আবার কবে ফিরে আসবেন সেই শংকা দেশবাসীর রয়েই গেলো।

কথা উঠেছে প্রাথমিকের শিক্ষকদের বেতন স্কেল বা গ্রেড কেন এত নিচের দিকে থাকবে? তারা কি সরকারি অফিসের অফিস সহকারীদের নিচে? বিষয়টি আমল যোগ্য। বাংলাদেশে এখন সবাই আত্মমর্যাদা বোধ সম্পন্ন। স্বাধীন দেশে এটিই ন্যায্য। তবে নির্বিশেষে সবাই প্রথম শ্রেণির বা দ্বিতীয় শ্রেণীর পদমর্যাদা পেতে উদগ্রীব। সবাই অফিসার হতে চায়। কেউ কর্মচারী থাকতে চায় না। বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক নেতাদেরকে কনভিন্স করে অতীতে যে যার মত করে নিজেদের পদবী ও স্কেল উন্নয়ন করে নিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় মাঠ পর্যায়ে তহিশীলদাররা আজ ভূমি উপ সহকারি কর্মকর্তা। ব্লক সুপারভাইজাররা এখন উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা। মেডিকেল এসিস্ট্যান্টরা আজ উপ সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার। এরূপ আরো অনেক উদাহরণ রয়েছে। যখন একই শ্রেণিভুক্ত কোনো একটি গোষ্ঠীকে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয় তখন সঙ্গত কারণেই অন্যরা তা পেতে সোচ্চার হয়। পদবী ও স্কেলের উন্নয়ন হচ্ছে কিন্তু কাজের মান ও পরিমান সন্তোষজনক হচ্ছে না মোটেই। দেশের সরকারি প্রশাসন যন্ত্র আজ পড়েছে এই চক্রের কবলে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আগের সেই দৈন্যদশা আর নেই। এককালের নড়বড়ে ক্লাশ রুম আজ সুদৃশ্য বহুতল দালানে সজ্জিত। ভাঙ্গাচোরা কোন আসবাব এখন আর নেই। ব্যবহারের জন্য টয়লেট রয়েছে, যা কয়েক দশক আগে কল্পনাও করা যেত না। দালানে বিদ্যুৎ গেছে। স্কুলে কম্পিউটারও শোভা পাচ্ছে। বছর বছর ডিগ্রিধারী শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে। মোদ্দাকথা হার্ডওয়ারের সবকিছুই বিদ্যমান। শুধু সফটওয়্যার অর্থাৎ পাঠদানের বড়ই অভাব। এভাবে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে ক্রমশঃ। গত রেজিমের রান্নাবান্না, খেলাধুলা আর নাচগানে ভরপুর সিলেবাস ও পাঠচক্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে করেছে হাস্যকর। উদার ভাবে নম্বর প্রদান, গণহারে পাস, বন্যার মত জিপিএ ফাইভ প্রদান আর ঢিলেঢালা শিক্ষাদান প্রাথমিক শিক্ষাকে আজকের এই রুগ্ন দশায় নিয়ে এসেছে। বিষয়গুলো সামগ্রিকভাবে না দেখলে শুধুমাত্র পদবী ও স্কেল উন্নয়ন করে অভীষ্ট অর্জন কোনভাবেই সম্ভব না। ঢালাও ভাবে চাপের মুখে বা রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রদত্ত সুবিধা আখেরে সমমানের অন্য পেশাজীবিদেরকে উদ্বুদ্ধ করবে মাঠে নামতে, আগ্রাসী কর্মসূচি দিতে।

শিক্ষক মেলায় শিক্ষকরা যা শিখিয়ে গেলেন, খাড়ার উপর ডাহা মিথ্যার যে পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে গেলেন তা তাদের নিজেদের পেশা ও পারিবারিক, সামাজিক,  ব্যাক্তিগত জীবনে রেডমার্ক হয়ে থাকলো। ছাত্ররা এগুলো দেখেছে, সন্তানরা এগুলো শুনেছে আর সমাজ তা প্রত্যক্ষ করেছে। শিক্ষকরা এতে বিব্রত কিনা জানিনা তবে এটা নিশ্চিত যে, তার সন্তানরা, ছাত্ররা, পরিবার ও সমাজ এতে যারপরনাই লজ্জিত হয়েছে। এদের সামনে শিক্ষকরা মুখ দেখাবেন কি করে? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করা ট্রল দেখে তারা অঝোর ধারায় কেঁদেছেন অপমানে। ক্রন্দনের কেবল তো শুরু। কয়েক প্রজন্ম লাগবে এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে আশানুরূপ জায়গায় নিয়ে যেতে। এবারের এইচএসসি’র ফল বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। খাতায় লিখলেই নম্বর দিতে হবে মুঠ খুলে- গেলো রেজিমের এমন কড়া নির্দেশনা আর  দীপু মনির অটোপাসের জের এত সহজেই ম্যাজিক মন্ত্রে শুধরে নেওয়া যাবে বলে মনে হয় না।

বিপ্লবোত্তর বাংলাদেশে দ্বন্দ্ব-সংঘাত যে বৃদ্ধি পেয়েছে তা বলাই বাহুল্য। গেলো পনের বছরের গড়ে তোলা একমুখী ব্যবস্থাপনা আমাদেরকে করেছে দ্বিধাবিভক্ত। উইনার টেকস অল- এই নীতিতে তখনকার ক্ষমতাধরদের তল্পীবাহকরা যে ব্যুহ তৈরি করে রেখেছিলো তাতে বাকিদের প্রবেশাধিকার যেমন ছিলো নিষিদ্ধ তেমনি তা ভেদ করে নিজেদের ন্যায্যতাকে তুলে ধরাও ছিলো যেন নিজের পায়ে জেনেশুনে কুড়াল মারার মত।

যারা আজ এসব পুঞ্জীভূত দাবী দাওয়ার পক্ষে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে সমর্থন দিয়ে নিজেদের দায় সারছেন,  তারা ভুলে যাচ্ছেন আগামীতে অনুরূপ দায়ের বোঝা তাদের ঘাড়েও চাপবে। তখন অন্যরাও এখনকার মত ডুগডুগি বাজাবে। দাবীদাওয়া থাকবে, ন্যায্যতার ভিত্তিতে তার সমাধানও করতে হবে। তবে সবার আগে দেশের কথা তথা দেশের মানুষের কথা মাথায় রাখতে হবে। আর যে কোন মূল্যে প্রশাসনিক শৃংখলা,  সেবার মান ও সেবাদান পদ্ধতি সহজসাধ্য করতে হবে। জনগণের প্রত্যাশা এমনই। এর জন্য নির্মোহ ও কখনো কখনো শক্ত অবস্থান জরুরি। সবার সুবোধ জাগ্রত হোক।

লেখক : কলামিস্ট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর