নির্বাচন ২০১৮: কিছু কথা, কিছু প্রশ্ন
২৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৪:৪৮
আবদুল জব্বার খান, অধ্যাপক, বুয়েট
সব দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এবারের নির্বাচনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে – প্রাক নির্বাচন সংলাপ এবং চলমান নির্বাচিত সরকারের সহায়তায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন। সকল রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সাথে সরকার দলের প্রতিনিধিদের সংলাপের মাধ্যমে ঐক্যমতের মাধ্যমে নির্বাচনমুখী হয়েছে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো। এটি বাংলাদেশের নির্বাচনি ইতিহাসকে তার আপন কক্ষপথে ফিরিয়ে আনলো। যদিও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সবাই নির্বাচনে থাকবে কিনা এনিয়ে জল্পনা-কল্পনা রয়েছে, আমার মতে এখন নির্বাচন থেকে ফিরে আসার আর কোনো সুযোগ নেই কারো।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নেতৃত্বে আছেন বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে শীর্ষ নেতৃত্বের অভাবে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের ব্যানারে ২০ দলীয় জোটের হাল ধরেছেন ড. কামাল হোসেন। ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া আদালতের রায়ে দণ্ডিত হয়ে কারাবান্দি আছেন এবং তার বড় ছেলে তারেক রহমানও আদালতের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে লন্ডনে অবস্থান করছেন। বিধি মোতাবেক বেগম খালেদা জিয়া বা তারেক রহমান কেউই নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না। অর্থাৎ নির্বাচিত হয়ে সংসদ সদস্য হবার কোনো সুযোগ থাকছে না এই দু’জনের, অন্ততঃ এই একাদশ সংসদে। ড. কামাল ঐক্য ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা হিসেবে ‘ক্রাইসিস ম্যানেজারের’ কঠিন এবং জটিল দায়িত্ব পালন করলেও তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করছেন না। অর্থাৎ তাঁরও নির্বাচিত সদস্য হিসেবে এই সংসদে বসার সুযোগ থাকছে না। ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম সদস্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অবশ্য ঠাকুরগাঁও থেকে নির্বাচন করছেন। অতীতে চারবার নির্বাচন করে একবার জয়যুক্ত হয়ে আসা এই ফখরুল ইসলাম এবার হয়তো জয় পাবেন এবং সেক্ষেত্রে খুব বড় মাপের না হলেও ঐক্য ফ্রন্টের মাঝারি মাপের একজন নেতার প্রতিনিধিত্ব দেখা যেতে পারে এই সংসদে।
কথাগুলো বলার কারণ হচ্ছে আসছে সংসদে সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবার মত কে কে আছেন সেটি বুঝতে চেষ্টা করা। যদি কোনো টেকনোক্র্যাট প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ না দেয়া হয়, যদি মির্জা ফখরুল ইসলাম জিতে আসেন এবং ড. কামালের ঐক্যফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে, তাহলে মির্জা ফখরুলের প্রধানমন্ত্রী হবার একটি দূরবর্তী সম্ভাবনা রয়েছে। আলোচনার স্বার্থে ধরে নিলাম, বাস্তবে ঘটলোও তাই। মির্জা ফখরুল মূলতঃ একজন বাম ঘরাণার রাজনীতিবিদ। তার স্বপ্নসাধ ছিল এদেশে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। তার দাবী মতে ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি প্রশিক্ষণের উদ্দেশে ভারতে ছিলেন। নয় মাস যুদ্ধের পুরো সময়টাই তিনি প্রশিক্ষণ নেন ভারতে। প্রশিক্ষণ শেষ করে সরাসরি যুদ্ধে যোগদান করার আগেই আমাদের বিজয় অর্জিত হয়। ফলে তার আর সরাসরি সমরে অংশগ্রহণ করা হয়নি। একাত্তর টিভির সূত্রমতে ঠাকুরগাঁও থেকে যারা ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিল সেই তালিকায় তার নাম নেই। ঠাকুরগাঁওয়ের মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডাররাও তার মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের কোনো তথ্য কখনো শোনেননি বলে টিভিতে জানিয়েছেন। দেশে ফিরে এসে তিনি সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নামবেন ভেবেছিলেন কিন্তু ১৯৭২ এ প্রণীত সংবিধানের মূলনীতিতে সমাজতন্ত্র জুড়ে দেয়ায় তিনি সেই সংগ্রাম করতে পারেননি। এসব তথ্য তিনি ডিবিসি টিভিতে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজে জানিয়েছেন। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের সময় একদিকে যেমন সরাসরি সমরে যোগ দিতে পারেননি অন্যদিকে পরবর্তীতে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনও মিস করেছেন। দু’টো ঘটনাকেই একজন দেশপ্রেমিক কমিটেড রাজনীতিবিদের কাকতালীয় দুর্ভাগ্য হিসেবে ধরে নেয়া ছাড়া অন্য কোনোভাবে ব্যাখ্যা করার উপায় নেই। আরেকটি তথ্য উঠে এসেছে এবারের আলোচনায় সেটি হলো তার বাবা বঙ্গবন্ধু প্রণীত ১৯৭২ সালের দালাল আইনে বিচারাধীন একজন রাজাকার ছিলেন। সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার পরও যে ১১,০০০ যুদ্ধাপরাধীর বিচার চলমান ছিল তার মধ্যেও ফখরুল ইসলামের বাবা একজন আসামি ছিলেন। এই তথ্যটি আমার কাছে একেবারেই নতুন। এটি তাকে একটি বাজে বিতর্কিত অবস্থানে নিয়ে গেছে। বিষয়গুলো নিয়ে তিনি গণমাধ্যমে কোনো ব্যখ্যা দিতে চাননি। দিলে ভাল করতেন। দেশের মানুষ বিশেষ করে নতুন ভোটাররাসহ আমরা সকলে একটি স্পষ্ট ধারণা পেতাম। কারণ তার দলের চেয়ারপার্সন এবং ভাইস চেয়ারপার্সনের বর্তমান অবস্থায় তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখছে তার দলের অনুসারীরা এবং অনেক নতুন ভোটাররা।
মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ভূমিকায় থাকা পরিবারের সংখ্যা এদেশে খুব বেশি নয়। এমন পরিবারের কাউকে দলের অনুসারীরা মানতে পারলেও দেশের সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নেবে না বলে আমার বিশ্বাস। এটি এদেশের রাজনীতিতে নতুন অস্বস্তি এবং অস্থিরতার জন্ম দেবে। এক সময় এদেশে শাহ আজিজুর রহমানের মত রাজাকার প্রধানমন্ত্রী হয়েছে, আব্দুর রহমান বিশ্বাস রাষ্ট্রপতি হয়েছেন, যুদ্ধাপরাধী নিজামী-মুজাহিদরা পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। যারা এ দেশের জন্মকে অস্বীকার করেছে, জন্মের পরও এর বৃদ্ধিকে দুরুহ করে তুলেছে, একে পাকিস্তান কনফেডারেশনে পরিণত করতে ক্যাডারভিত্তিক রাজনীতির প্রচলন করেছে, সাম্প্রদায়িক বিষবাস্প ছড়িয়েছে তাদের হাতে আমরা আর রাষ্ট্রের দায়িত্ব দিতে চাই না। এই দায়িত্ব এখন আমাদের সবার। অনেকেই বলেন এদের পরবর্তী প্রজন্মেরতো কোনো দোষ নেই, মুক্তিযুদ্ধের সময়তো এদের অনেকেরই জন্ম হয়নি ইত্যাদি ইত্যাদি। তাইতো, এদের দোষ কী? দোষ তাদের নেই, দোষ তাদের মাথার উপরের ছাতার। আপনি যে পরিবারে জন্মগ্রহণ করবেন সেই পরিবারের প্রত্যক্ষ প্রভাব আপনার উপর থাকার সম্ভাবনাই বেশি। ব্যতিক্রম কিছু হয় কিন্তু সেটি সংখ্যায় খুব নগণ্য। সেজন্যই তরুণদের মধ্যে যারা সেই যুদ্ধাপরাধী সংগঠনের সাথে যুক্ত হচ্ছে তাদের মননে নিজের অজান্তেই এক ধরণের বাংলাদেশবিরোধী অবস্থান তৈরি হয়, পাকিস্তানপ্রেম একটি শক্ত অবস্থান নেয়। এধরণের মানসিকতা তাদের মধ্যে সাংগঠনিকভাবেই গড়ে ওঠে। জামায়াতে ইসলামের নিবন্ধন বাতিল হবার মূল কারণ কিন্তু সেটিই। তাদের গঠণতন্ত্র বাংলাদেশের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। স্বাধীনতার এতো বছর পরও এদেশের সংবিধানের সাথেই একটি রাজনৈতিক দলের গঠণতন্ত্র সাংঘর্ষিক হবার কারণ কী? তার মানে এরা শুধু একাত্তরেই অপরাধ করেনি, এখনো সেই অপরাধ নিয়েই তারা এগিয়ে যেতে চায়। অথচ তাদের মধ্যে কোনো অপরাধবোধ নেই! এগিয়ে যাবে কাদের নিয়ে? এদেশের মানুষকে নিয়ে? নতুন প্রজন্মের যারা এধরণের সংগঠনের সাথে যুক্ত হচ্ছে বা হয়েছে তাদের পক্ষেও এই গঠণতন্ত্র পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাহলে এই তরুণ প্রজন্ম, যারা এই সংগঠনের অংশ হচ্ছে, তাদের অপরাধ কম হবে কী করে?
অন্যদিকে মহাজোটের অবস্থান একেবারে স্পষ্ট। মহাজোট জয়ী হলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন সেটি নিয়ে মনে হয় কোনো পাগলের মধ্যেও সংশয় নেই। জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা একজন পরিণত দক্ষ রাজনীতিবিদ এবং সরকার প্রধান। মধুমতির কোলে শাপলাশালুর সাথে বেড়ে ওঠা এই মমতাময়ী বাঙ্গালি-মুসলিম কন্যা তাঁর নির্বাচনী এলাকা থেকে নিরঙ্কুশ ভোটে জয়যুক্ত হয়ে নির্বাচিত হয়ে আসবেন, এটিও আগাম বলে দেয়া যায়। কাজেই তাঁর জোট নির্বাচিত হয়ে আসলে তিনিই যে সরকার প্রধান হবেন এ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা বা দ্বিধা-দ্বন্দের কোনো অবকাশ নেই। তাঁর বা তাঁর পরিবারের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকা নিয়ে যদি কারো মধ্যে অস্পষ্ট ধারণা থেকে থাকে সেটি একান্তই তার ব্যক্তিগত মানসিক ব্যাধিজনিত সমস্যা। তাই এধরণের একজন ব্যক্তিত্বকে সরকার প্রধান হিসেবে দেখতে মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাসী সকল মানুষের মধ্যে স্বস্তি বিরাজ করবে। আরেকটি বিষয় হলো এই বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধু তার ৫৫ বছর জীবনের ১৩ বছর কারাবন্দী ছিলেন, উৎসর্গ করেছিলেন জীবন এবং যৌবনের শ্রেষ্ঠ সময়গুলো। ‘৪৮ থেকে ‘৭১ পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্নভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলেন শুধুমাত্র এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য। কোনো দুর্নীতি বা অর্থ আত্মসাতের দায়ে তিনি কখনো কারাবন্দী হননি। তাঁকে প্রতিবারই কারাবন্দী করা হয়েছিল দমন করার উদ্দেশে। ‘৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা জার্মানি থেকে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন ভারতের দিল্লিতে। দুই রুমের একটি বাড়িতে ছিলেন তাঁরা। সাথে ছিলেন ড. ওয়াজেদ, সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। দিল্লির এই বাসায় থাকার সময় তারা ছিলেন নজরবন্দী অবস্থায়। নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের নাম পরিবর্তন করে তালুকদার পরিবার হিসেবে পরিচিত দেয়া হয়েছিল। ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের আলো-বাতাস আর মধুমতির জলে সাঁতার কেটে বেড়ে ওঠা শেখ হাসিনা ঐ দুই রুমের বাড়িতেই কাটিয়েছেন ছয়টি বছর, এক রকম কারাবন্দি অবস্থায়। ১৯৮১ সালে যখন তিনি দেশে ফিরে আসেন তখন নিজের পৈতৃক বাড়িতে ঢুকতে দেয়নি তৎকালীন ‘সো কল্ড’ গণতান্ত্রিক সরকার। ৩২ নম্বর সড়কের উপর বসেই তিনি মিলাদ পড়েন। তারপর শুরু হয় তাঁর আন্দোলন-সংগ্রামের দীর্ঘ জীবন। যে দেশে তার পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে সে দেশেই তিনি মূলধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করতে সচেষ্ট হন। ’৭৫-’৮১ পর্যন্ত প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সামরিক শাসনের ফলে এদেশের রাজনীতির সমস্ত সংজ্ঞাই ততদিনে পাল্টে গেছে। রাজনীতি ততদিনে হয়ে গেছে ধাপ্পাবাজির সমার্থক। বঙ্গবন্ধু, নেলসন ম্যান্ডেলা বা গান্ধীদের রাজনীতি তখন বিস্মৃত। এই ধ্বংসাবশেষ থেকে ফিরে আসতে অনেক ‘ত্যাজ’ লাগে। ’৮১ থেকে ’৯৬ দীর্ঘ ১৫ বছর রাজপথের রাজনীতি করে, জীবন বাজি রেখে তিনি এগিয়ে গেছেন। বাবার মতই এদেশের অলিগলি তার পরিচিত, সবই চেনেন, অনেক জানেন। ’৯৬ থেকে ২০০১ এবং ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মোট ১৫ বছর সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করে আজ তিনি পরিপক্ক। আন্তর্জাতিক যোগাযোগেও তিনি এখন অনেক বেশী স্বচ্ছন্দ এবং বিজ্ঞ। ‘তাঁর বাবা বাংলাদেশকে যে আয়তনের মানচিত্র দিয়ে গেছেন তিনি সেই মানচিত্রের সমান আরেকটি মানচিত্র যোগ করেছেন এই ভূখন্ডের সাথে – সমুদ্রসীমা বাড়িয়েছেন, ছিটমহল জয় করেছেন। এখন আমরা ‘ব্লু ইকনমি’র কথা উচ্চারণ করতে পারছি। নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পেলে তাঁর সবচ’ বড় চ্যালেঞ্জ হবে সরকারযন্ত্রের ভেতর থেকে দুর্নীতি দূর করা এবং অধিকতর মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাওয়া। অর্থনীতি ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন, শিল্প নির্ভরতা ও কৃষি নির্ভরতার মধ্যে ভারসাম্য আনয়ন এবং উন্নত শিক্ষা ও খাদ্যের মান নিশ্চিত করাই হবে তাঁর পরবর্তী চ্যালেঞ্জ। ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের আলসেখানার সেই শেখ হাসিনা এখন ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়েন, কোরআন শরীফ পড়েন, চা খান, অফিসে যান এবং ১৮ ঘন্টা কাজ করেন। এমন একজন মানুষের হাতে এদেশের দায়িত্বভার আগামী পাঁচ বছর আবারো ন্যস্ত না হওয়াটা হবে এদেশের জন্য দূর্ভাগ্যজনক, উন্নয়ন অগ্রযাত্রার থমকে যাওয়া।
সিদ্ধান্ত আপনার।
সারাবাংলা/এমএম