Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রোহিঙ্গা সংকটে প্রয়োজন বিশ্বব্যাপী মানবিক উদ্যোগ


১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৯:০০

।। জেমস গোমেজ।।

শরণার্থী সংকট সারা বিশ্বে এখন একটি বড় চ্যালেঞ্জ।  দিনদিন এ সংকট আরও জটিল হচ্ছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে মনে হতে পারে, মানুষের প্রতি মানুষের, জাতির প্রতি অন্য জাতির, এক দেশের প্রতি অন্য দেশের সহাবস্থান, সহমর্মিতা ও শ্রদ্ধাপূর্ণ আচরণ ধীরে ধীরে কমে আসছে। জোরালোভাবে আলোচনায় আসছে এ সংকট থেকে বের হওয়ার উপায়  ইস্যুটি।  কিন্তু সেটাও একটা চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করা হচ্ছে।  কী কারণে এই চ্যালেঞ্জ?

বিজ্ঞাপন

মূলত দুটি কারণে এ সংকট হতে বের হওয়াটা বড় চ্যালেঞ্জ।  প্রথমত, জাতিগত ও ধর্মীয়বিদ্বেষ, দুর্বলের প্রতি নিপীড়ন ও গৃহযুদ্ধ বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের যুদ্ধ।  এসব হচ্ছে মানুষের বস্তুগত লোভ-লালসা ও ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণের কুফল।  দ্বিতীয়ত প্রাকৃতিক কারণে দিন দিন শরণার্থী ও অভিবাসীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কর্মসংস্থানের সংকোচন।

২০১৫ সালে প্রথম আন্তর্জাতিকভাবে এ সংকট নিরসনের উদ্যোগ  নেওয়া হয়। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী দীর্ঘসময় পর সম্প্রতি নজিরবিহীনভাবে অভিবাসী বা শরণার্থী সমস্যাটি জটিলতর হয়ে দেখা দিয়েছে।  বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ আর দক্ষিণ এশিয়ায় এ সংকট চরম আকার ধারণ শুরু করেছে।

বলা হয়ে থাকে, বিশ্বে অভিবাসন প্রত্যাশীদের যাত্রাপথে যত মৃত্যু হয়, তার ৭৫ শতাংশই ঘটে ভূমধ্যসাগরে।  হাজার হাজার মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি জমাতে গিয়ে মারা যেতে থাকে।  সিরিয়ায় সংকট শুরুর পর সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে সৈকতে পড়ে থাকা লাল টি-শার্ট পরিহিত শিশুর লাশের কথা কারও পক্ষে ভুলে যাওয়া সম্ভব নয়। থাইল্যান্ডগামী জাহাজে হাড় জিরজিরে না খেতে পেয়ে রোদে পুড়তে থাকা মৃতপ্রায় রোহিঙ্গাদের মানবেতর ছবির কথাও মনে আছে নিশ্চয় সবার। আন্তর্জাতিকভাবে এসব সংকট মোকাবিলার উদ্যোগ নেওয়া হলেও তেমন একটা ফলপ্রসূ হয়নি।  বরং বিভিন্ন দেশে নতুন নতুন সংকট তৈরি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর মধ্যেই ২০১৭ সালে লাখ লাখ মানুষের অনুপ্রবেশ ঘটেছে বাংলাদেশে, যার কঠিন ভার আমরা বহন করে চলেছি এখনো। মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ নতুন নয়।  কিন্তু, সম্প্রতি যা ঘটেছে, তা ছিল চরম মানবেতর ও বাংলাদেশের জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ।

মানুষ কেন দেশান্তরী হয়? কেন নিজ জমি, সম্পদ ও সমাজ সবকিছু ফেলে অন্য কোনোখানে অনিশ্চিত জীবনের দিকে পা বাড়ায়? আমরা জেনেছি, রোহিঙ্গাদের ওপর জাতিগত নিপীড়ন সব সহনীয় মাত্রা পেরিয়ে গিয়েছিল। অষ্টম শতাব্দী পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ইতিহাসের সন্ধান পাওয়ার পরও মিয়ানমারের আইনে তাদের ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী হিসেবেও স্বীকৃতি নেই। তাদের রাষ্ট্রীয় শিক্ষা, সরকারি চাকরি বা নাগরিক অধিকার নেই। ১৯৭৮ সাল থেকে তাদের ওপর দমন-নিপীড়ন শুরু হয়, যা চরম আকার ধারণ করে ২০১৭ সালে এসে। আমরা অনেকের সঙ্গে কথা বলে এটা বুঝেছি যে, যদি তারা তাদের নিজ দেশে নাগরিক অধিকারটুকু পায়, তবে শিগগিরই নিজের দেশে ফিরে যাবে।  প্রতিটি গৃহত্যাগের পেছনে রয়েছে একেকটি বেদনাদায়ক অন্ধকার অধ্যায়। অবর্ণনীয় কষ্ট বুকে নিয়েই তবে কেউ সবকিছু ছাড়তে বাধ্য হয়।

আগস্ট ২০১৭, যখন লাখো মানুষ আসছিল, তাদের সঙ্গে তেমন কিছুই ছিল না।  অনেকে প্রাণ হারিয়েছে পানিতে ডুবে, কেউ কেউ বিনা চিকিৎসায়। মুষলধারে বৃষ্টি পড়ছিল। তারা বৃষ্টিতে ভিজে ঠাণ্ডায় কাঁপছিল।  হাজার হাজার মানুষ কোথায় যাবে, কী খাবে, কোথায় থাকবে—সবই ছিল অনিশ্চিত। এই চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে ভালোবাসার হাত এগিয়ে দেয় বাংলাদেশের মানুষ। সরকারের পাশাপাশি ক্রমান্বয়ে পরিকল্পিতভাবে কাজে নেমে পড়ে দেশি-বিদেশি বেসরকারি সংস্থাগুলো।  সবমিলিয়ে একই সমান্তরালে আমরা দেখতে পেলাম, একদিকে বিদ্বেষ ও দমন; অন্যদিকে ভালোবাসা ও সহায়তা। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে মানুষের হাতে সংকট তৈরি হলেও মানুষই সেসব সমাধানে এগিয়ে আসে। এটাই আমাদের শিক্ষণীয় বিষয়। তাই, আমরা আমাদের বিশ্বাস সংকটকালেও অটুট রাখতে প্রেরণা পাই নতুন করে। আমরা বিশ্বাস করি, মানুষের ওপর আস্থা হারানো যাবে না।

২০১৬ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা ছিল চার কোটি তিন লাখ।  শরণার্থী ছিল দুই কোটি ২৫ লাখ। আইওএম’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে বিশ্বে আন্তর্জাতিক অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ২৪ কোটি ৪০ লাখ। এটি বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৩ দশমিক ৩ শতাংশ। তবে আন্তর্জাতিক অভিবাসীদের চেয়ে নিজ নিজ দেশে বাস্তুচ্যুত হয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাওয়া অভিবাসীর সংখ্যা আরও বেশি। ২০০৯ সালে সারা বিশ্বে অভ্যন্তরীণ অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ৭৪ কোটি।  সম্প্রতি অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক উভয় ক্ষেত্রেই জোরপূর্বক গৃহত্যাগের হার বেড়েছে। এক্ষেত্রে মূলত বেসামরিক ও আন্তঃদেশীয় সংঘাত, যুদ্ধক্ষেত্রের বাইরে সহিংস উগ্রবাদের প্রভাব রয়েছে।

বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে অধিকাংশই হচ্ছে নারী ও শিশু।  ওই সময় মিয়ানমারের সীমানার অদূরে, বাংলাদেশের কক্সবাজারের পাহাড়গুলোয় গাদাগাদি করে বাস করছিল প্রায় নয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা। পরবর্তী সময়ে পাহাড়ি বনভূমি উন্মুক্ত করে টেকনাফ ও উখিয়ায় গড়ে উঠেছে আশ্রয় শিবির বা ক্যাম্প; যা এখন সারা বিশ্বের সর্ববৃহৎ ক্যাম্প। বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশিরভাগ, আনুমানিক সাত লাখ এসেছে ২০১৭ সালের আগস্টের শেষের দিকে রাখাইনে বড় মাপের সহিংসতা শুরু হওয়ার পর। বাকিরা পাড়ি দিয়েছিল আগেই, বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন এড়াতে। এ অবস্থার শুরু থেকেই রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ত্রাণ ও মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য কাজ করেছে বাংলাদেশ সরকারের নেতৃত্বে বিভিন্ন বেসরকারি দেশীয় ও বিদেশি সংস্থা।

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরগুলোয় উন্নয়নকর্মীদের কাজের পরিধি বেড়ে এখন অনেক বড় আকার ধারণ করেছে।  সংকটের প্রথম দিনগুলোর চরম বিশৃঙ্খলা পার করে অনেক দূর এগিয়েছে সমন্বিত কার্যক্রম। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় শিবির ও তাদের প্রতিবেশী উখিয়া ও টেকনাফের জনগণের জীবনে নেমে এসেছে এক ধরনের সাময়িক স্বাভাবিকতা। কিন্তু এই অবস্থা দীর্ঘদিন টিকে থাকবে, এমন ভাবার সুযোগ নেই।  ভবিষ্যতে এ সংকট ভয়াবহ আকার ধারণও করতে পারে।

বিদেশি বলি কিংবা আগন্তুকই বলি, আশ্রয়হীন বলি আর বিপদগ্রস্ত বলি—সবার জন্য মানবহিতকর কাজ সব ধর্মের নৈতিক ও অবশ্যকরণীয় শিক্ষা। সব ধর্মই মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছে। ধর্মের বেড়াজালে কোনো ধর্মই মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করেনি।  আর তাই সব ধর্মই মানবতায় বিশ্বাসী।  মানবতার কোনো ধর্ম নেই।  শুধু দরকার একটি কোমল হৃদয়ের, যে হৃদয় ভালোবাসতে, সেবা করতে আর সব ধরনের মানুষকে গ্রহণ করতে জানে।

অভিবাসীদের জন্য ত্রাণ সহায়তার পাশাপাশি মানসিক সহায়তাও দরকার। জরুরি ত্রাণ সহায়তা দরকার। কারণ তারা সব কিছু ফেলে শূন্য হাতে আসতে বাধ্য হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জীবনের কষ্টকর দীর্ঘ যাত্রার অভিজ্ঞতা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি।  অনেক শিশু, কিশোরী ও নারীকে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে সময় পার করতে হয়েছে। প্রথম দিকে তাদের চেহারায় সেসবের চিহ্ন স্পষ্ট দেখা যেতো।  এখন কিছুটা কম দেখা যায়।  এর কারণ হলো, তাদের কাউন্সেলিং করার চেষ্টা করা হয়েছে।  এ ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি আরও সৃজনশীল উপায় বের করা যেতে পারে কি না, সেটা নিয়েও গবেষণা বা চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে।  তাদের কষ্টের বোঝা হালকা করার জন্য মানসিক সমর্থন খুবই প্রয়োজন। নইলে তাদের সমাজ হতে উগ্রবাদ চরম আকার ধারণ করতে পারে, যা চলমান সংকটকে আরও খারাপ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে।  শুধু কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গারাই নয়, পৃথিবীর সব শরণার্থী বা অভিবাসীর ক্ষেত্রে এটাই প্রযোজ্য। তাই, শরণার্থী বা অভিবাসী যাই হোক না কেন, হয়তো তারা মিয়ানমারের বা সিরিয়া বা আফ্রিকার, সেটা বড় বিষয় নয়, বরং জোরপূর্বক বা বিভিন্ন পরিস্থিতিতে গৃহত্যাগী মানুষের পাশে খাদ্য নিয়ে ও ভালোবাসাপূর্ণ হৃদয় নিয়ে পাশে থাকাটাই হচ্ছে মানবিকতা। এ শিক্ষা আমরা আমাদের ধর্ম থেকে পাই, পরিবার ও সমাজ থেকেও পাই।

বিশ্বব্যাপী অভিবাসীদের নিয়ে যারা কাজ করেন, তাদের সঙ্গে আলাপ করে অনুধাবন করেছি যে, এসব আশ্রয়হীন মানুষের জন্য কিছু করতে হলে তাদের আত্মার আত্মীয় হতে হয়। তাদের মতো হয়ে মিশতে চেষ্টা করলে তাদের বোঝা সহজ হয়। একটি অচেনা-অজানা দেশে তারা পরজীবী নয়- বরং অতিথি যারা কিনা মানবেতর পরিস্থিতির স্বীকার।  ভিনদেশি হিসেবে তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি, রীতি-নীতি, আচার-অনুষ্ঠান, প্রথা-পার্বণ রয়েছে যা কি না, মানুষের জীবনের প্রধান বিষয়। তাদের সেই সব আচার-অনুষ্ঠানকে সম্মান দেখানো উচিত। এটা সবাইকে বুঝতে হবে যে, তারা দেশ ত্যাগ করে আসলেও নিজ ভেতরের সংস্কৃতি কিন্তু ফেলে আসতে পারেনি। সংস্কৃতি মানুষের মননে লালিত। মূলত অভিবাসীদের মানুষের পরিচয়ে বিবেচনা করা প্রয়োজন। তারা অসহায়, নিপীড়িত ও পিছিয়ে পড়া একটি জনগোষ্ঠী হলেও তারা মানুষ।

সৃষ্টিকর্তা আমাদের সৃষ্টি করেছেন, তাদেরও সৃষ্টি করেছেন। সবাই একই মানবজাতির অংশ। অভিবাসীরা বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আসে।  তাদের সবার সমস্যা এক নাও হতে পারে। তাই তাদের পরিস্থিতি অনুধাবন করলেই কেবল  তাদের সহযাত্রী হওয়া সম্ভব। সব সময় তাদের প্রয়োজনটা অর্থনৈতিক মানদণ্ডে পরিমাপ করা যায় না বা পরিমাপ করাও উচিত নয়। তাদের মনের গভীরে প্রবেশ করে তাদের বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়েই তাদের সাহায্য করতে হবে সামনে এগিয়ে যেতে।  তাদের ত্রাণ দেওয়া, আর্থিক সহায়তা দেওয়াটাই যথেষ্ট নয়। ক্যাম্পের মধ্যে দীর্ঘ বন্দিজীবন যেন নতুন করে সংকটকে আরও তীব্র করে না তুলতে পারে। উগ্রবাদ যেন মানুষের ভেতরে প্রোথিত না হয়, তার জন্য প্রয়োজন সহমর্মী পরিবেশ। এর মাধ্যমে ভালোবাসার নতুন দিগন্ত রচিত হতে পারে। জরুরি সহায়তার পাশাপাশি মানসিক তথা আত্মিক যত্নই এখানে অন্যতম প্রধান বিষয়।

আমরা যারা অভিবাসী বা শরণার্থীদের জন্য কাজ করছি আর অনেক ভাবছি বর্তমান এমনকি ভবিষ্যৎ নিয়েও, তাদের অব্যাহত চেষ্টাই যথেষ্ট নয় এরকম সংকট নিরসনের জন্য। আন্তর্জাতিকভাবে যদি মানুষের প্রতি মানুষের, জাতির প্রতি জাতির, দেশের প্রতি দেশের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার সংযোগ স্থাপন না হয় তবে, আমাদের সব চেষ্টা হয়তো ফলপ্রসূ হবে না শেষ পর্যন্ত। আমরা প্রার্থনা করি, পৃথিবীর সব মানুষের হৃদয় ভালোবাসায় পূর্ণ হোক।  এ ধরনের সংকট যেন তৈরিই না হয়, সে বিষয়ে জনমত তৈরি হোক, মনোভাব সৃষ্টি হোক সর্বত্র। এভাবে সংকট পূর্বকালীন মানবিক উদ্যোগ ও মনোভাব তৈরি হলে কোটি কোটি মানুষকে নতুন করে বাধ্য হয়ে ঘর ছাড়তে হবে না।  মানবতার জয় হবে, এ বিশ্বাস আমাদের চেতনায় অটুট থাকুক।

লেখক: আঞ্চলিক পরিচালক, কারিতাস চট্টগ্রাম

জেমস গোমেজ রোহিঙ্গা সংকট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর