বিপ্লবের আকাশে এক ধ্রুবতারা কাজী আরেফ আহমেদ
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৬:৫৯
।। কাজী সালমা সুলতানা ।।
‘এখনও যদি মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ না হয়, তা হলে আজকের বাস্তবতায় টিকে থাকা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি এবং মুক্তিযুদ্ধের নতুন প্রজন্মকে আমরা ঐক্যবদ্ধ না করি, মানুষের চাওয়া পাওয়ার কিছু অংশ পূর্ণ না করি, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ না গড়তে পারি, তাহলে এই বাংলাদেশে স্বাভাবিকভাবেই বিকল্প শক্তিই ক্ষমতাসীন হবে। তারা শাসন করবে এবং শক্তিশালী হবে।’ কথাগুলো কাজী আরেফ আহমেদের শেষ সাক্ষাৎকারের কথা। ১৯৯৯ সালে তিনি বিচিত্রা পত্রিকায় সাক্ষাৎকারটি দেন।
সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের আগেই ১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসবিরোধী এক সমাবেশে কুষ্টিয়ার দৌতলপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতেই মৃত্যুবরণ করেন কাজী আরেফ আহমেদ।
কাজী আরেফ আহমেদ এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক অবিস্মরণীয় নাম। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। রাজনীতির শুরু থেকেই স্বাধীনতার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছেন। ১৯৬০ সালে রাজনীতিতে যুক্ত হন কাজী আরেফ আহমেদ। হামিদুর রহামান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে আন্দোলন ও এ সময়ে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেন তিনি। আর এর মাধ্যমেই মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বলিষ্ঠ অবস্থান নিয়ে রাজনীতিতে সরব পদচারণা শুরু করেন। ছয় দফার আন্দোলন সর্বপরি ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান সংঘটনে রাজনীতির গতিপ্রকৃতি সঞ্চালন করে নিজেকে অনিবার্য ব্যক্তিত্বে পরিণত করেন কাজী আরেফ আহমেদ।
১৯৬২ সালে তিনি তৎকালীন ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে সমচিন্তার সহযোদ্ধাদের নিয়ে গড়ে তোলেন গোপন সংগঠন ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’। এই বিপ্লবী পরিষদ পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতার নিউক্লিয়াস হিসেবে পরিচিতি পায়। সিরাজুল আলম খান, প্রয়াত রাজনীতিক আব্দুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদ এ নিউক্লিয়াসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করাই ছিল এ গোপন সংগঠনের লক্ষ্য। এ সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির স্বাধীকারের দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম পরিচালনা করছিলেন। তৎকালীন পূর্বপাকিস্তান ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরে যারা স্বাধিকার আন্দোলনকে স্বাধীনতা সংগ্রাম রূপ দেবার চিন্তাভাবনা করতেন তাদেরকে স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের সদস্য করা হতো।
১৯৪২ সালে ৮ এপ্রিল কুষ্টিয়ার ঝিনাইদাহে কাজী আরেফ জন্ম। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন ১৯৬০ সালে। নিয়মিত পড়াশুনার পাশাপাশি স্কাউটিং, খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেও সমান মেধার স্বাক্ষর রাখেন তিনি। ম্যাট্রিকুলেশনের পর ভর্তি হন জগন্নাথ কলেজে। সেখান থেকেই উচ্চমাধ্যমিক স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর এমএস-সিতে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগে। এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। এ আন্দোলনকে পশ্চিম পাকিস্তানী শাসক গোষ্ঠী সরকারবিরোধী আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করতো। এ অভিযোগ কাজী আরেফ আহমেদ কালো তালিকাভুক্ত হন। তাই তাকে মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা দিতে দেওয়া হয়নি।
কাজী আরেফ আহমেদের পৈত্রিক নিবাস ঢাকার টিকাটুলির ১৪/৩ অভয় দাস লেনে। ১৯৬৪ সাল থেকে তার পৈত্রিক নিবাসের টিনসেডের বাড়িতে একটি সাইক্লোস্টাইল মেশিন ছিল। সংগ্রামে অবতীর্ণ হওয়ার পর এ মেশিনটিকেই তিনি কাজে লাগান প্রচারযন্ত্র হিসেবে। নিজহাতে স্বাধীনতার ইসতেহার লিখে এ সাইক্লোস্টাইলে ছেপে বিতরণ করতেন। আর এসব ইসতেহার পড়া শেষে পুড়িয়ে ফেলা হতো।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে বাঙালির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণা করেন। ছয়দফা ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ছয় দফার প্রশ্নে এগিয়ে আসে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ। কাজী আরেফ আহমেদ এসময়ে ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি। ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর শাখার ছয়দফার সমর্থন প্রথম মিছিল করে। কাজী আরেফ এ মিছিলে নেতৃত্ব দেন।
আয়ুব খানের পতনের পর ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন দেয়। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ তথা ছয় দফার প্রতি বাঙালি নিরঙ্কুশ সমর্থন ব্যক্ত করে। আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বাঙালিকে ক্ষমতায় বসতে না দিয়ে টালবাহানা শুর করে। এ সময়ে ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ’ যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকে। এর অংশ হিসেবে ১৯৭০ সালে গঠন করা হয় ‘জয় বাংলা বাহিনী। এর অন্যতম সংগঠক ছিলেন কাজী আরেফ আহমেদ। স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ একে একে স্বাধীনতার সব প্রস্তুতি গ্রহণ করতে থাকে। নির্ধারণ করে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত ও স্বাধীনতার পতাকা। কাজী আরেফ আহমেদ স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক জাতীয় সঙ্গীত ও জাতীয় পতাকার অন্যতম রূপকার। তিনি ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ইকবাল হলের (বর্তমানে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) এক কক্ষে সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকার নকশা করেন। প্রাথমিকভাবে এটিকে জয় বাংলা বাহিনীর পাতাকা বলা হলেও বিপ্লবী পরিষদের সিদ্ধান্ত ছিল এটিই হবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। বঙ্গবন্ধুর সমর্থন নিয়ে এটিই স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা হিসাবে চূড়ান্ত করা হয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে যে ক’জন নেতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, কাজী আরেফ আহমেদ তাদের একজন। মুক্তিযুদ্ধকালে তিনি দেরাদুনে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেন। মুক্তিযুদ্ধকালে গঠন করা হয় বিএলএফ বা মুজিব বাহিনী। কাজী আরেফ আহমেদ ছিলেন পশ্চিমাঞ্চলীয় সেক্টরের উপ-অধিনায়ক। বিএলএফ বা মুজিব বাহিনীর ৪টি সেক্টরের সঙ্গে হাইকমান্ডের একজন হিসেবে সমন্বয়ের দায়িত্ব ও মুজিব বাহিনীর গোয়েন্দা শাখার প্রধান ছিলেন কাজী আরেফ আহমেদ।
স্বাধীনতা উত্তরকালে গঠিত দেশের প্রধান বিরোধীদল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন কাজী আরেফ আহমেদ। তিনি স্বাধীনতা উত্তরকালে গণতান্ত্রিক সংগ্রামের মুখপত্র ‘দৈনিক গণকণ্ঠের’ ব্যবস্থাপনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এদেশের মানুষের খাদ্যের যোগানদাতা অবহেলিত কৃষক সমাজের মুক্তির লক্ষ্যে তিনি ‘জাতীয় কৃষক লীগ’ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা হিসেবে গড়ে তোলেন কৃষক আন্দোলন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে সপরিবারে হত্যার পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে নেমে আসে এক কালো অধ্যায়। সামরিক জান্তা মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান সামরিক শাসন জারি করে ক্ষমতায় আসীন হন। কাজী আরেফ আহমেদ বিশ্বাস করতেন সামরিক ছত্রছায়ায় বা সেনা ছাউনিতে গড়ে ওঠা কোনো সংগঠন দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বপরি গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক হতে পারে না। তাই তাগিদ অনুভব করেন জিয়ার সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার। তিনি গণতন্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে একত্রিত করে গড়ে তোলেন ১০ দলীয় ঐক্যজোট। এ সময়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি ছিল খুবই দুর্বল। কাজী আরেফ আহমেদ আওয়ামী লীগকে সঙ্গে নিয়েই গড়ে তুলেছিলেন ১০ দলীয় ঐক্য মোর্চা। এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক গণআন্দোলনের অন্যতম অগ্রণী নেতা ছিলেন কাজী আরেফ আহমেদ।
আজীবন প্রচারবিমুখ এই সব্যসাচী রাজনীতিবিদ নেপথ্যে থেকে রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রণ করে দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম চালিয়েছেন নিরবিচ্ছিন্নভাবে। দেশের প্রতিটি ক্রান্তিলগ্নে পালন করেছেন নীতিনির্ধারকের ভূমিকা। ১৯৯০’র স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্রগণঅভ্যুত্থানেরও অন্যতম রূপকার ছিলেন তিনি। ১৯৮৭ সালের জুনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ৯ মাস কারাভোগের পর ১৯৮৮ সালে ২৯ মার্চ তিনি মুক্তি পান। কাজী আরেফ আহমেদের যাপিত জীবনজুড়েই রয়েছে সামজের শ্রেণি বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিচ্ছবি এবং একটি সেক্যুলার আদর্শের মূর্ত প্রতীক।
স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেতেন যে রাজনীতিবিদ ৬০’র দশকে, দেশ মাতৃকাকে স্বাধীন করার জন্য যিনি এত ত্যাগ করলেন, সেই রাজনীতিবিদ কি আর স্বাধীন দেশে মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের আস্ফালন মেনে নিতে পারেন? মাহন মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের, স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতি ছিল নিষিদ্ধ। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর সামরিক সরকারের ছত্রচ্ছায়ায় মুক্তিযুদ্ধবিরোধীরা আবারও রাজনীতির সুযোগ পায়। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানিকরণের প্রচেষ্টা চালায়। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে কাজী আরেফ আহমেদ রাজাকার, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে গড়ে তোলেন তীব্র আন্দোলন। শহীদ জননী জাহানারা ইমামকে সামনে রেখে এ আন্দোলনে তিনি প্রধান রূপকারের ভূমিকা পালন করেন। প্রতিষ্ঠা করেন ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন এবং একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল জাতীয় সমন্বয় কমিটি’। এ আন্দোলন জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ এবং একে জাতীয় দাবিতে পরিণত করার ফল হিসেবেই আজ বাংলাদেশের কলঙ্কমোচনে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা সম্ভব হয়েছে। সম্ভব হচ্ছে সেইসব নরপিশাচদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে ও বিচার করতে। আর সম্ভব হয়েছে গোলাম আযম, মুজাহিদ, দেলোয়ার হোসেন সাঈদী, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীসহ মানবতাবিরোধী অপরাধীদের শাস্তি কার্যকর করা।
১৯৯৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কালিদাসপুরে সন্ত্রাসবিরোধী এক জনসভা। এ মঞ্চেই সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন কাজী আরেফ আহমেদ। একই মঞ্চে নিহত হন জাসদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, জাসদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও পর পর দু’বার নির্বাচিত দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী, স্থানীয় জাসদ নেতা ইসরাইল হোসেন ও তফসের মণ্ডল।
বিশ্বখ্যাত সাহিত্যিক নিকোলাই অস্ত্রভোস্কি তার ‘ইসপাত’ উপন্যাসে বলেছেন, ‘জীবন মানুষের সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ। এই জীবন সে পায় মাত্র একটি বার। তাই, এমনভাবে বাঁচতে হবে, যেন বছরের পর বছর লক্ষ্যহীন জাীবনযাপন করার যন্ত্রণাভরা অনুশোচনায় ভুগতে না হয়। যেন বিগত জীবনের গ্লানি সইতে না হয়, এমনভাবে বাঁচতে হবে, যেন মৃত্যুর মুহূর্তেও মানুষ বলতে পারে আমার সমগ্র জীবন, আমার সমগ্র শক্তি আমি ব্যয় করেছি এই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় আদর্শের জন্য। মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রামে’।
কাজী আরেফ আহমেদ এমনই এক গৌরবজনক জীবনে অধিকারী। তার জীবন পরিপূর্ণ ছিল এক সংগ্রামী চেতনা নিয়ে, যে চতনাজুড়ে ছিল মানুষের মুক্তি গান, মানুষের মুক্তির সনদ। কাজী আরেফের জীবন রচিত হয়েছিল শুধুই গর্ব করার মতো অধ্যায় নিয়ে। যা ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে। যে জীবন ছিল লক্ষ্যপূর্ণ, শুধুই দেশ ও মানুষের মুক্তি জন্য নিবেদিত। তার আদর্শ ধারণ করে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাঙালি জাতীয়তাবাদের পাতাকা নিয়ে রাজাকারমুক্ত, যুদ্ধাপরাধীমুক্ত, সুখী সমৃদ্ধ শোষণমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে। এই হোক প্রত্যয়।
লেখক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, জাসদ