কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চাই
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১১:২৩
সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ নিয়োগ হচ্ছে কোটার ভিত্তিতে। অার ৪৪ শতাংশ মেধায়! বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর অার কোনো দেশ অাছে যেখানে মেধার চেয়ে কোটার জোর বেশি?
প্রচলিত এই কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে অাজ অান্দোলনে নেমেছেন কয়েক হাজার তরুণ। যখনই তারা অান্দোলন করছেন, তাদের রাজাকার, অাল বদর অার কিংবা অন্য কোনও জাতীয়তাবাদী দলের অনুসারী তকমা দেওয়া হচ্ছে।
যারা এমন গালি (রাজাকার নিঃসন্দেহে একটি গালি) দিচ্ছেন, তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে জিজ্ঞাসা করি, এতে কী হীতে বিপরীত হয়ে যাচ্ছে না? কারণ দেশের ৯৫ ভাগেরও বেশি জনগোষ্ঠীই তো চলমান কোটা পদ্ধতির সংস্কার চায়।
কেন চায়? সে ব্যাখ্যায় পরে আসছি। তার অাগে একটু বলে নেওয়া যায়, মনে রাখতে হবে, মহান মুক্তিযুদ্ধে যতো লোক অংশ নিয়েছেন তাদের অনেকেই কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা সনদটি নেন নি। দেশে এমন লাখো উদাহরণ রয়েছে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিলো একটি জনযুদ্ধ। সেই অর্থে, ৭ কোটি মানুষের মধ্যে গুটিকয় বিরোধীতাকারী ছাড়া বাকি সকলেই মুক্তিযোদ্ধা। গ্রামে-গঞ্জে প্রচুর সংখ্যক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তখন মুক্তিযোদ্ধাদের অাশ্রয় দিয়েছেন। তারাও ছিলেন জনযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী। এর মধ্যে একটি অংশ অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। তারা আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা, জাতির কৃতজ্ঞতা, সেতো চিরদিনের।
এই কৃতজ্ঞতা জানানোর অনেক পথ রয়েছে, রয়েছে অনেক ভাষা। মেনে নিতে বাধা নেই যারা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন, তাদের জন্য অনেক কিছুতেই অগ্রাধিকার থাকবে। কোটা ব্যবস্থা তার একটা হতে পারে। আবার নাও হতে পারে। বিশ্বের প্রায় সকল দেশই কোনও না কোনও পর্যায়ের যুদ্ধের মধ্য দিয়ে তাদের দেশমাতৃকা পেয়েছে। সেসব দেশে কি আমরা এমন কোটা দেখছি? ‘ওয়ার ভেটেরান’ বলে একটা শব্দ আছে, যা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এক সম্মানের শব্দ। আমরা আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের কারো এখন মৃত্যু হলে, লাল-সবুজের পতাকা জড়িয়ে, সশস্ত্র সালাম জানিয়ে তবেই চির বিদায় দেই। প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু আমাদের কাঁদায়।
তাদের জন্য আমরা প্রয়োজনে আরও কিছু করবো। কিন্তু সেটা করতে গিয়ে যদি, অন্যের অধিকার হরণ হয়ে যায়, তা হলে সেটা কতটা যথার্থ হবে তা ভেবে দেখার সময় হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের আরও অনেক হিসাব নিকাশ রয়েছে। সে হিসাব কষাও কিন্তু জরুরি।
আমরা তাদের আজ অগ্রাধিকার দিচ্ছি যারা যুদ্ধ জয় করে ফিরেছেন। কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের যে ত্রিশ লাখ মানুষ শহীদ হলেন তাদের জন্য কী করছি? তাদেরওতো পরিবার ছিলো, কারো কারো সন্তান ছিলো। আর দেশেরতো কয়েক লাখ মা-বোনও ছিলেন যারা নিজেদের ইজ্জতের বিনিময়ে দেশের স্বাধীনতা এনেছেন। তারা এখন মুক্তিযোদ্ধা বলে স্বীকৃতি পেয়েছেন ঠিকই, কিন্তু প্রায় সকলেরই হাতে কোনও সনদতো পৌঁছায়নি। তাহলে, তারাও তো কোটা থেকে বাদ পড়লেন। আর আগেই বলেছি, সম্মুখ যুদ্ধেও যারা লড়েছেন, তাদের অনেকেই তখন কোনও সনদ নেননি, কিংবা সনদ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। যদি মুক্তিযুদ্ধকেই বিবেচনা করি, তাহলেও হিসাবে একটা গড়বড় রয়েছে।
সবকিছু মিলিয়ে একটি কথা বলতে চাই, এখন দেশ গড়ার যে সময়, তাতে কোটার ভিত্তিতে দেশ গড়ার কারিগর ঠিক না করে মেধার ভিত্তিতেই তা করা উচিত। সে জন্যই দেশে চাকরি ব্যবস্থায় ৫৬ শতাংশ কোটা পদ্ধতি নিঃসন্দেহে দেশের জন্যই ক্ষতি বয়ে আনবে।
কোন সন্দেহ নেই, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তারা জাতির বীর সন্তান। তাদের মধ্যে যারা সনদধারী তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরি পাবেন বাংলাদেশে সেটা সানন্দে মেনে নিতে রাজি। কিন্তু তাদের সন্তান অার নাতি-পুতিরা কী এমন করলেন যে তাদেরও কোটা দিতে হবে?
আর একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটা ব্যবস্থা চাইবেনই কেনো? মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে যারা দেশ স্বাধীন করেছেন, তাদের সন্তানরাও থাকবেন সমান চেতনাবাহী। তারাওতো যথার্থ শিক্ষা নিয়ে নিজেকে গড়ে তুলবেন, পিতার হাতে অর্জিত দেশটিকে গড়ে তোলার কাজে। কিন্তু বাস্তবে আমরা যা দেখছি, তা হচ্ছে সরকারি চাকুরিতে অদক্ষতা, অযোগ্যতা। আর এখন অনেকেই তাদের অঙ্গুলি নির্দেশ করছেন এই কোটা পদ্ধতির দিকে। কোটার কারণে অপেক্ষাকৃত অমেধাবীরা চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন এই বক্তব্যটিই বেশি করে শুনতে পাই। যদি তাই হয়, তাহলে সন্তানের হাতেই অসম্মানিত হলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানেরা। এমনটাও চলতে পারে না।
মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও আজ কোটা চাইছেন। কেনো তারা কী নিজেদের প্রতিবন্ধী মনে করেন? নয়তো কোটা চান কেন?
এসব কথার কোনওটাই ঢালাওভাবে বলছি না। আমি নিজেই অনেক মুক্তিযোদ্ধা কোটাধারীকে চিনি যারা কোটায় নয় মেধায় চাকরি পেয়েছেন, কিংবা পাওয়ার যোগ্যতা রাখেন। অামি বিশ্বাস করি, তারা কোটা ছাড়া মেধাতেই চাকুরি পেতে পারেন। কারণ তারা, আমরা সকলেই মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
এই মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েওতো শত অনিয়মের কথা শোনা যাচ্ছে, শুধু শোনা যাবে কেনো তা প্রমাণিত সত্যও বটে। ধারণা করাই যায়, এতো যে অনিয়ম, তা ও কোটার লোভে পড়েই। হলফ করে বলতে পারি, যদি মুক্তিযোদ্ধা কোটার সব সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দেওয়া হয়, তখন অার সনদ বা ভুয়া সনদ নেওয়ার দীর্ঘ লাইন হবে না।
এত কথা এই জন্য যে, সময় এসেছে আমাদের কোটায় চাকরির ভাগ ধীরে ধীরে কমিয়ে আনার। মেধার ভিত্তিতে চাকরি নিশ্চিত করার। হতে পারে ৫৬ ভাগ কোটার সংস্কার করে এখনই ৩০ ভাগে নামিয়ে আনা। আর সেভাবেই ধীরে ধীরে একটা সময় দেশে যে কোনও নিয়োগ শতভাগ মেধার ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিতে পারবে। সে দিনটিই হবে আমাদের সত্যিকারের জয়ের দিন। সেদিন আমাদের সাংবিধানিক অধিকারটিও হবে সুরক্ষিত।
গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদিশের সংবিধান দেশের সকল নাগরিকের সমান সুযোগ ও অধিকারের কথা বলেছে। সেখানে কোথাও কোটার কথা নেই। অার কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ হচ্ছে শুধু সরকারি ঘোষণা দিয়ে। এর কোনও সাংবিধানিক ভিত্তিও নেই। অার সে কারণেই কোটা সংস্কারের দাবিটি যৌক্তিক।
আমরা যে কোটা পদ্ধতি থেকে সরে যাচ্ছি না, কিংবা পারছি না, তেমনটাও নয়। কই, সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগেতো কোটা ব্যবস্থা নেই। সেখানে কোটা নয় যোগ্যতাই চাবিকাঠি। অথচ মহান মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র যুদ্ধে তখনকার সশস্ত্র বাহিনীর বাংলাদেশি জওয়ান ও কর্মকর্তাদের ভূমিকাই ছিলো সবচেয়ে বেশি। সে হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা জওয়ানদের সন্তানদেরই তো বাহিনীতে বেশি সুযোগ থাকতে পারতো। কিন্তু তা রাখা হয়নি। কারণ একটা পেশাদার, যোগ্য সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।
এভাবে জন প্রশাসনেও যদি গতি অানতে হয় মেধার দাপট বাড়াতেই হবে। এজন্যও কোটার সংস্কার দরকার।
কোটার কারণে মেধাবীরা কীভাবে বঞ্চিত হচ্ছে তার একটা খতিয়ান তুলে ধরছি। প্রতি বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারে গড়ে ৫০০ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু অংশ নেন সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থী (চলতি বছরের হিসাবে)। কোটা পদ্ধতির কারণে সাড়ে তিন লাখ পরীক্ষার্থীর মধ্যে যিনি ২২৬তম স্থান অধিকারী তিনি চাকরিটি না-ও পেতে পারেন। কারণ ৫০০ পদের মধ্যে মেধা কোটায় ২২৫ জনকে চাকরি দেওয়া যাবে। কাজেই ২২৬তম হয়ে তিনি চাকরি পাবেন না। আবার কোটা পদ্ধতিতে একই পরীক্ষায় একজন সাত হাজারতম হয়েও চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন।
অার সবচেয়ে বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন কোটা পদ্ধতিতে পর্যাপ্ত প্রার্থী না থাকা। দেখা যাচ্ছে- কোটার প্রার্থী না পাওয়া গেলে ওই পদগুলো শূন্য রাখতে হয়। ফলে একদিকে যেমন মেধাবীরা নিয়োগ পান না অন্যদিকে হাজার হাজার পদ শুণ্য পড়ে থাকে। বিগত কয়েকটি বিসিএসের ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া যাওয়ায় ২৮ থেকে ৩৫ তম বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারে পাঁচ হাজার পদ খালি থেকে গেছে।
অবস্থাটা ভাবুন। মেধাবীরা উত্তীর্ণ হয়েও একদিকে চাকরি পাননি, আর অন্যদিকে হাজার হাজার পদ শুণ্য রয়ে গেছে। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসক, প্রকৌশলী ও কৃষি কর্মকর্তাদের মতো কারিগরি ক্যাডারের প্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি বঞ্চিত হচ্ছেন।
কোটার শূন্য পদগুলো পূরণ করতে মুক্তিযোদ্ধা, আদিবাসী ও মহিলাদের জন্য ৩২তম বিশেষ বিসিএস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসি। অথচ ওই বিসিএসেও মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৮১৭টি, মহিলা ১০টি ও উপজাতির ২৯৮টিসহ মোট এক হাজার ১২৫টি পদ শূন্য রাখতে হয়। শেষ পর্যন্ত ৩৩তম বিসিএসের মাধ্যমে এই পদগুলো পূরণের সিদ্ধান্ত হয়। অথচ ৩২তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ৯১২ জনই চাকরির সুযোগ পাননি।
শুধু কী বিসিএস? গত বছর ৯ হাজার ৬০৯ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগ করা হয়। এসব পদের মধ্যে ২ হাজার ৮৮২টি পদ মুক্তিযোদ্ধার কোটাভুক্ত ছিল। কিন্তু এর জন্য প্রার্থী পাওয়া গেছে মাত্র ১০১ জন।
শুধু পিএসসি বা সরকারি চাকরি নয়, কোটার প্রার্থী না পাওয়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে হাজার হাজার পদ শুন্য থাকছে। অথচ লাখ লাখ ছেলেমেয়ে একটা চাকরি পাচ্ছে না।
চলমান কোটা পদ্ধতির যে সংস্কার প্রয়োজন সেটা যে কোন বোধসম্পন্ন মানুষই স্বীকার করবেন। এমনকি সরকারি কর্ম-কমিশনও (পিএসসি) প্রতিবছর তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই কোটা সংস্কারের কথা বলে আসছে। ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটা প্রস্তাব দেয় পিএসসি। কিন্তু বাস্তবে কোটা সংস্কারের সব প্রস্তাবই কাগজে বন্দি হয়ে রয়েছে।
এ ছাড়া সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব আকবর আলি খান এবং সাবেক সচিব কাজী রকিব উদ্দীন আহমদ (পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার) বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিসে বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার ওপর ২০০৮ সালের মার্চে একটি গবেষণা করেন। ৬১ পৃষ্ঠার এই গবেষণা প্রতিবেদনে কোটা কমিয়ে আনার সুপারিশ করা হলেও সেটি বাস্তবায়িত হয়নি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭৭ সালে এক বৈঠকে তৎকালীন পে ও সার্ভিস কমিশনের প্রায় সব সদস্য সরকারি নিয়োগে কোটা ব্যবস্থার বিরোধিতা করেন। কমিশনের সদস্যদের মধ্যে একজনমাত্র ছিলেন কোটার পক্ষে। তিনিও শুধু একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ব্যবস্থাটি চালু রাখার পক্ষে ছিলেন। ১৯৮৭ থেকে পরবর্তী ১০ বছরে কোটার হার ধীরে ধীরে কমিয়ে দশম বছরে তা বিলুপ্ত করার কথা বলেছিলেন তিনি। ওই সুপারিশ অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালের পর দেশের সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো কোটা থাকার কথা নয়। ওই প্রতিবেদন বাস্তবায়নেরও কোনো উদ্যোগ আমরা দেখিনি।
চলমান কোটা পদ্ধতি নিয়ে প্রতিদিন শত শত তরুণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার। তারা সবাই কোটা পদ্ধতিকে মেধাবী তরুণদের জন্য অভিশাপ বলে মনে করছেন। তারা এই কোটা পদ্ধতির সংস্কার চান। অন্যদিকে মেধানির্ভর জনপ্রশাসন গড়তেও এই কোটা পদ্ধতির সংস্কার দরকার।
তবে প্রশ্ন হলো কবে সেটি হবে? আর কতোদিন মেধাবী তারুণ্যকে এই কোটার যন্ত্রণায় ভুগতে হবে? দেশের সকল লক্ষ্যমাত্রা পূরণে, হোক তা ভিশন টুয়েন্টিটুয়েন্টি ওয়ান, কিংবা টুয়েন্টিফোরটিওয়ান, অর্জন করতে হলে দ্রুতই কোটা সংস্কারের উদ্যোগ নিতে হবে।
তবে তারও আগে জরুরি, কোন পদে কোটা থেকে পর্যাপ্ত যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে মেধার ভিত্তিতে তা পূরণ করা। পিএসসি কিছুটা হলেও সেই কাজ শুরু করেছে। বাকিদেরও সেটা করতে হবে। অার অাজ হোক কাল হোক কোটার কাঁটা থেকে জাতিকে মুক্ত করতেই হবে।
সারাবাংলা/টিএম