Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে না পড়ে!


২২ জানুয়ারি ২০২০ ১০:৫৬

ওবায়দুল কাদের একজন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। প্রায়শঃই তার কথায় আমার নিজের মনের কথার প্রতিফলন দেখতে পাই। রাজনীতিতে আত্মসমালোচনার রেওয়াজ প্রায় নেই বললেই চলে। সেই আত্মসমালোচনার বিরল কাজটিও প্রায়শঃই করতে দেখা যায় ক্ষমসতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদককে।

ছাত্রলীগের সবচেয়ে কড়া সমালোচকও ছাত্রলীগেরই এই সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের। তিনি যে ভাষায় ছাত্রলীগের সমালোচনা করেন, তাতে তার সাহসী রাজনীতিকের চেহারাটাই ফুটে ওঠে। ওবায়দুল কাদের না হয়ে অন্য কেউ বললে, ছাত্রলীগ তার হাড়-হাড্ডি আলাদা করে ফেলতো, মামলা হতো ৬৪ জেলায়। আওয়ামী লীগে হাইব্রিড নেতাদের নিয়ে সবচেয়ে সোচ্চার কণ্ঠ ওবায়দুল কাদের। ভিন্নমত প্রশ্নে, গণতন্ত্র প্রশ্নে, বিভিন্ন চলমান ইস্যুতে তিনি যা বলেন, বেশিরভাগ সময়েই আমার নিজের মতের সাথে মিলে যায়। প্রায় প্রতিদিন, কোনো কোনো দিন একাধিকবার সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি। কখনোই কোনো প্রসঙ্গ, কোনো প্রশ্ন এড়িয়ে যান না। মোকাবেলা করেন সাহসের সাথে। রাজনীতির কাঠখোট্টা জগতে তিনি উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। তার কাব্যিক ঢঙে রাজনীতির কথা শুনতে দারুণ লাগে। ওবায়দুল কাদেরের সমালোচকরা বলেন, তিনি যা বলেন, তা করেন না। তার কথা বলার চেয়ে কাজ বেশি করা উচিত। ‘৭৫এর পর ভয়ঙ্কর দুঃসময়ে ছাত্রলীগের হাল ধরেছিলেন। সেই ছাত্রলীগের সমালোচনা নয় শুধু, তারা যাতে সমালোচনা করার মত কাজ না করে, সেটা নিশ্চিত করাও ওবায়দুল কাদেরেরই দায়িত্ব। আওয়ামী লীগের অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ক্ষোভ প্রকাশ করবেন কেন। দলে যাতে কেউ অনুপ্রবেশ করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করাও তার দায়িত্ব। ইতিমধ্যে যারা ঢুকে পড়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বহিস্কার করাও দলের সাধারণ সম্পাদকেরই দায়িত্ব। তবে ওবায়দুল কাদের শুধু অফিসে বসে ব্রিফিং করেন, ব্যাপারটি কিন্তু এমনও নয়। মন্ত্রিসভায় তারচেয়ে ব্যস্ত এবং সক্রিয় আর কেউ নেই; দলেও তাই। রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরাতে তিনি দিনের পর দিন রাস্তায় হেঁটে বেড়িয়েছেন। তার নামই হয়ে গিয়েছিল ‘হাঁটা বাবা’। শুধু দলে, মন্ত্রিসভায় বা মাঠে নয়; ওবায়দুল কাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সক্রিয়। একসময়কার সাংবাদিক ওবায়দুল কাদের সক্রিয় লেখালেখিতেও। তিনি উপন্যাস লিখেছেন, তার উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা হয়েছে। এমন সব্যসাচী রাজনীতিবিদ খুব বেশি নেই।

বিজ্ঞাপন

কয়েকদিন আগে হঠাৎ অসুস্থততার মৃত্যুর দুয়ারে চলে গিয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। মানুষের ভালোবাসা আর দেশি-বিদেশি চিকিৎসকের চেষ্টায় মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছেন। অনেকেই ভেবেছিলেন, এরপর বুঝি ওবায়দুল কাদের আগের মত আর সক্রিয় থাকতে পারবেন না। কিন্তু সবার শঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে ওবায়দুল কাদের আবার অ্যাকশনে। দারুণ ব্যস্ততায় দলের ২১তম সম্মেলন আয়োজন করলেন, নিজের পদ অক্ষুন্ন রাখলেন। স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাস্তব হচ্ছে ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে। ওবায়দুল কাদের পোড় খাওয়া নেতা, মাঠ থেকে ধীরে ধীরে নেতৃত্বের সর্বোচ্চ আসনে বসেছেন। তার সাথে আমার ভাবনার নৈকট্যের আরো একটা কারণ হতে পারে, তিনি কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছেন। তো এই পোড় খাওয়া নেতা গিফট আর ঘুষের পার্থক্য বুঝবেন না, তা হয় না। কয়েকদিন আগে সুইডেনভিত্তিক অনলাইন পোর্টাল নেত্রনিউজ ‘মন্ত্রী কাদেরের ঘড়ির গোলমাল’ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন ছাপে। সেই প্রতিবেদনে বিভিন্ন্ সময়ে ওবায়দুল কাদেরের ব্যবহার করা ৭টি ঘড়ির ছবি এবং সম্ভাব্য দামের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সবগুলোই দামি ঘড়ি, যার একটি আছে ২৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা দামের। অন্য অনেকেই যেমনটা করেন তেমন করে ওবায়দুল কাদের বিষয়টি অস্বীকার করেননি, এড়িয়ে যাননি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেছেন, সবগুলো ঘড়িই কর্মীদের উপহার দেয়া, কোনোটিই তার কেনা নয়। আমি তার কথা বিশ্বাস করেছি। কিন্তু উপহার আর উৎকোচের পার্থক্য ওবায়দুল কাদের জানবেন না, এটা বুঝিনি। কোনটা উপহার, কোনটা উৎকোচ, সেই পারসেপশনে না হয়, নাই গেলাম; বাংলাদেশে উপহারের সীমা নির্ধারণের জন্য একটি বিধি আছে। তোশাখানা বিধি ১৯৭৪ অনুযায়ী, শুধুমাত্র বিদেশি বিশিষ্টজনদের থেকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা মূল্যমানের উপহার গ্রহণ করতে পারবেন। মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারের ক্ষেত্রে এই লিমিট ৩০ হাজার টাকা। আর এমপিদের ক্ষেত্রে এই সীমা ৫ হাজার টাকা। উপহার এর চেয়ে দামি হলে তা তোষাখানায় জমা দিতে হবে বা উপহারের সমমূল্যের অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

ধরে নিচ্ছি, ওবায়দুল কাদের নিয়মটি জানতেন না, কিংবা খেয়াল করেননি। তাই প্রত্যাশা করছি, এখন তিনি তার হাতে থাকা ৩০ হাজার টাকার চেয়ে বেশি দামের সবগুলো উপহার তোষাখানায় জমা দেন। যদি কোনো দামি ঘড়ি বা পোশাক পছন্দ হয়, তাহলে যেন উপহারের সমান অর্থ কোষাখানায় জমা দেন। নিয়ম থাকুক বা না থাকুক, উপহারের সীমাটা জানা থাকাটা আমাদের সবার জন্যই জরুরি। কর্মীরা ওবায়দুল কাদেরকে ভালোবাসেন। কিন্তু যত ভালোই বাসুক, কেউ যখন আপনাকে প্রায় ২৯ লাখ টাকা দামের ঘড়ি উপহার দেবেন, আপনাকে সন্দেহ করতেই হবে। ২৯ লাখ টাকার ঘড়ি যে উপহার দিয়েছে, সে নিশ্চয়ই আপনার কাছ থেকে ২৯ কোটি টাকার ফায়দা আদায়ের চেষ্টা করবে। পৃথিবীটাই দেয়া নেয়ার। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে, মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে আপনাকে আরো অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

তবে এই লেখা কেবল ওবায়দুল কাদেরের ঘড়ির বিষয়টি সামনে নিয়ে আসার জন্য নয়। শুরুতেই যে বললাম, ওবায়দুল কাদেরের অধিকাংশ বক্তব্যের সাথে আমার বক্তব্য মেলে। সেই মেলানোরই চেষ্টা কেবল। সম্প্রতি সরকারের শরিক জাতীয় পার্টি-জেপি’র সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘সরকারি দলের পাশাপাশি বিরোধী দলও গণতন্ত্রের বিকাশে অপরিহার্য শক্তি। বিরোধী দলকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। শক্তিশালী বিরোধী দল ছাড়া শক্তিশালী গণতন্ত্র কল্পনাও করা যায় না। এটা আমাদের বিশ্বাস করতে হবে।’

এটা একদম আমার মনের কথা। আমরা বিশ্বাসও করলাম। কিন্তু জনাব ওবায়দুল কাদের, আপনি এবং আপনার দল বিশ্বাস করে তো? আর শুধু বিশ্বাস করলেই হবে না, বিরোধী দলকে শক্তিশালী হয়ে ওঠা এবং বিকাশের সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু আপনারা তো বিরোধী দলের ধারণাতেই বিশ্বাস করেন বলে মনে হয় না। গত এক দশকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিরোধিতার সংস্কৃতিটা ‘নাই’ হয়ে গেছে। সংসদে বিরোধী দল আর সরকারি দলে কোনো পার্থক্য নেই। জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত বিরোধী দল বললেও বেশি বলা হয়। তারা আসলে সরকারেরই অংশ। গত সংসদে তো জাতীয় পার্টি একইসঙ্গে বিরোধী দল এবং মন্ত্রিসভায় ছিল। রাজপথে বিরোধিতা তো এখন সুদূর অতীতকাল।

আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকতে যা করেছে, এখন যদি বিএনপি তাও করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে একশ মামলা হবে। একসময় বাংলাদেশে রাজনীতি মানেই ছিল আওয়ামী লীগ-বিএনপি। আসলে আওয়ামী লীগ আর এন্টি আওয়ামী লীগ। কিন্তু আওয়ামী লীগ কখনো কৌশলে, কখনো নিষ্ঠুর পন্থায় বিরোধী মতকে দমন করেছে। ১৫ বছর আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি আর এখনকার পরিস্থিতিতে আকাশ এবং পাতালের নিচে পাতালের তফাৎ। একসময় এই বাংলায় ক্ষমতার পালাবদল ঘটতো- বিএনপি-আওয়ামী লীগ-বিএনপি-আওয়ামী লীগ। এখন আওয়ামী লীগের পাশে নামটি উচ্চারিত হওয়ার সুযোগ কমে এসেছে। বিএনপির নাম লিখতে হয়তো লজ্জা পাবেন বিএনপি নেতারাও। সংসদে যাদের আসন মাত্র ৬টি, তাদের আসলে বিবেচনায় নেয়ারও সুযোগ নেই। আজ ওবায়দুল কাদের গণতন্ত্রের স্বার্থে বিরোধী দলের জন্য কান্নকাটি করছেন, কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিরোধী শূন্য করার দায় তো আপনাদেরই।

আমরা চাই বাংলাদেশের সরকারি দল, বিরোধী দল, মানে সব রাজনৈতিক দল হবে বাংলাদেশের পক্ষে মানে স্বাধীনতার পক্ষে। দুর্ভাগ্যজনক হলো স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পরও এই বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা আছে এবং রাজনীতি করছে। কিন্তু একটা স্বাধীন দেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার অধিকার থাকা উচিত নয়। আমরা চাই বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনীতি করার অধিকার আইন করে নিষিদ্ধ করা হোক। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে। বরাবরই স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির নেতৃত্ব আওয়ামী লীগের কাঁধে। আর স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির মূল নেতৃত্বে আছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির রাজনীতিতে দুই মেরুর ব্যবধান। দু্ই দলের আদর্শ দুই রকম। আওয়ামী লীগাররা ইদানীং বিএনপিকে পরামর্শ দেন, তারা যেন বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়, তারা যেন জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করে, তারা যেন অতীতের জন্য ক্ষমা চায়। এই চাওয়া আমারও চাওয়া। কিন্তু সমস্যা হলো, বিএনপি যদি এইসব না করে তাহলে আপনি তাদের ঘৃণা করতে পারবেন; কিন্তু তাদের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার তো হরণ করতে পারবেন না। আর বিএনপি যদি আওয়ামী লীগের চাওয়া পূরণ করেই, তাহলে তারাও তো আওয়ামী লীগই হয়ে যাবে। বিএনপি আর আওয়া্মী লীগে তো কোনো পার্থক্য থাকবে না। আর আওয়ামী লীগের কথামত বিএনপি কেন নিজেদের আদর্শ বদলাবে, বিএনপি তো আর জাতীয় পার্টি নয়। ওবায়দুল কাদের যদি সত্যি বিশ্বাস থেকে বিরোধী দলের প্রয়োজনীয়তার কথা বুঝে থাকেন; তাহলে বিরোধী দলকে আরো অনেক বেশি স্পেস দিতে হবে। সংগঠন করার, রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করার সংবিধান স্বীকৃত অধিকার দিতে হবে। ভিন্নমত সইতে হবে।

শুধু মুখে বিরোধী দল চাই বললে হবে না; তাদের বিকাশের পরিবেশ দিতে হবে। তবে যদি কেউ রাজনীতির নামে সন্ত্রাস করে, হরতালের নামে পেট্রল বোমা মারে; তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু সন্ত্রাস দমনের নামে যেন রাজনীতিকেই দমন করা না হয়। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমন করতে হবে রাজনীতি দিয়েই।

বিরোধী দলের সংস্কৃতিটা যেমন বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে গেছে, তেমনি হারিয়ে গেছে নির্বাচনের ওপর আস্থা। বিশেষ করে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অভিনব ফলাফলের পর নির্বাচন নিয়ে মানুষের কোনো আস্থা নেই। সবাই জানেন, শেষ যতই প্রচার-প্রচারণা হোক মুহূর্তে কিছু না কিছু ঘটবে। তবে বাস্তবতা হলো, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকারি দল কিছু সাধারণ সুবিধা পায়। ভোটাররা মনে করতে পারে, এই নির্বাচনে তো সরকার পরিবর্তন হবে না। তাই সরকারি দলের মেয়র হলেই ভালো। বিরোধী দলের কেউ মেয়র হলে হয়তো উন্নয়ন হবে না। কিন্তু এই ভাবনাটাও যেন জনগণ ভাবার সুযোগ পায়। তাদের ভাবনাটা যেন অন্য কেউ ভেবে না দেয়। নির্বাচন প্রসঙ্গেও ওবায়দুল কাদের আমার মনের কথাটি বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে চান। কে জিতলো, তাতে কিছু যায় আসে না। আওয়ামী লীগ হেরে গেলে মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়বে না।’ ওবায়দুল কাদেরকে আবারও ধন্যবাদ। আমি বলছি না, আওয়ামী লীগ ইচ্ছা করে হেরে যাবে। কিন্তু হেরে গেলেও মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়বে না, এটা মাথায় রেখে যেন তারা একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করেন। আওয়ামী লীগের জয়-পরাজয়ের চেয়ে নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আস্থা ফিরে আসাটা বেশি জরুরি।

আরেকটা কথা ওবায়দুল কাদের যে উদার গণতন্ত্রের কথা বলেন, তার মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা সেই ভাবনা থেকে অনেক দূরে। তিনি যদি তার ভাবনাটা মাঠ পর্যায়েও ছড়িয়ে দিতে পারেন; আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পরমতসহিষ্ণুতা শেখাতে পারেন; তাহলেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবেশ আরো উন্নত হবে।

প্রভাষ আমিন: বার্তাপ্রধান, এটিএন নিউজ।

আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের সাধারন সম্পাদক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর