করোনাকালে সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগ
১০ এপ্রিল ২০২০ ১৪:৪৫
নতুন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারি নানাভাবে প্রভাব ফেলছে জীবনের ওপর। প্রভাব এতটাই প্রবল যে জীবনযাপনই বদলে যাচ্ছে আমূলে, বদল আসছে বিশ্ব ভাবনায়। রাষ্ট্রব্যবস্থার সঙ্গে জনতার সম্পর্ক, জনে-জনে সম্পর্ক, এমনকি নিজের সঙ্গে নিজের সম্পর্কও বদলে যাচ্ছে এখন। এই যেমন ধরুন, মুখ স্পর্শ করার সময় নিজের হাতকেই অবিশ্বাস হচ্ছে, ভাইরাসে ভরা নয় তো তালু কিংবা আঙুলগুলো? সার্স-কভ-২ ভাইরাসের আগেকার এবং এ ভাইরাসের পরের পৃথিবী আর একরকম থাকবে না, মোটেও; বদলে যাবে স্থায়ীভাবে (পলিটিকো, ২০২০)।
বদলাচ্ছে ডিজিটাল স্বভাব
এ সময়, যেমনটা প্রত্যাশা করা অস্বাভাবিক নয়, মানুষের ডিজিটাল স্বভাবও বদলে যাচ্ছে ব্যাপকভাবে। লন্ডনভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কান্টার এক জরিপে দেখিয়েছে, আগের তুলনায় কোভিড-১৯ মহামারীর সময় ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারা বেড়েছে আগের তুলনায় ৭০ শতাংশ; টিভি দেখা বেড়েছে ৬৩ শতাংশ এবং সামাজিক মাধ্যম (সোশাল মিডিয়া) ব্যবহারের হার বেড়েছে নিয়মিত প্রবৃত্তির ৬১ শতাংশ (জারগনি, ২০২০)।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধের কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে ভারত ২৫ মার্চ ২০২০ থেকে একুশ দিনের লকডাউন শুরু করে। দেশজুড়ে এমন বন্ধের প্রথম সপ্তাহে ভারতীয়রা লকডাউনের আগের সপ্তাহের তুলনায় ৮৭ শতাংশ বেশি সময় ব্যয় করেছে সামাজিক মাধ্যমগুলোয় (চন্দ্রমৌলি, ২০২০)।
পাশাপাশি এসব সামাজিক আঙিনায় (প্ল্যাটফর্মে) এবং প্রথাগত অন্যান্য সংবাদমাধ্যমে (পত্রিকা, বেতার ও টিভি) করোনাভাইরাস, কোভিড-১৯ ও সংশ্লিষ্ট শব্দগুলো ধ্বনিত হচ্ছে বহু বহু গুণে। সামাজিক মাধ্যম গবেষণা সংস্থা স্প্রিংকলরের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্বের সামাজিক মাধ্যম, সংবাদ সাইট ও টিভি চ্যানেলগুলোয় এসব শব্দ প্রায় দুই কোটিবার ব্যবহৃত হয়েছে (মোল্লা, ২০২০)। শুধু টুইটারেই প্রতি মিনিটে এক হাজারের বেশি টুইট হচ্ছে ভাইরাসটি নিয়ে (বুইগি, ২০২০)। সামাজিক মাধ্যমের প্রভাবকদের (ইনফ্লুয়েন্সার) শতকরা ৭০ ভাগই এখন কোভিড-১৯ বিষয়ে আধেয় প্রকাশ করছেন (লিউনস্কি, ২০২০)।
ভুয়া খবর ও গুজব সংক্রমণ
পাঠক-শ্রোতা-দর্শকের (অডিয়েন্স) বুদ্ধিবৃত্তিক প্রক্রিয়াকে নীতিহীনভাবে নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে এ ধরনের মিথ্যা তথ্য, বিকৃত তথ্য (ডিসইনফরমেশন) বা বিভ্রান্তিকর দাবিকে (মিসইনফরমেশন) সংবাদ হিসেবে উপস্থাপনা ও প্রচারণা হলো ফেইক নিউজ বা ভুয়া খবর (গালফের্ট, ২০১৮)।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা রিবুট ফাউন্ডেশন দেশটির বিভিন্ন বয়সী হাজারের বেশি ব্যবহারকারীর ওপর জরিপ চালিয়ে দেখেছে, কোভিড-১৯ রোগ বিষয়ে এই সংকটকালে সামাজিক মাধ্যমগুলোয় ভুয়া খবর আর গুজব ছড়িয়ে পড়ছে বেশি হারে (বুইগি, ২০২০)। রিবুটের এই জরিপ অনুযায়ী, ব্যবহারকারীরা সামাজিক মাধ্যমে যত বেশি সময় ব্যয় করে, গুজব বা ভুয়া খবর তারা তত বেশি বিশ্বাস করে। ব্যবহারকারীদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ ভাইরাসটি নিয়ে তথ্যভ্রান্তির শিকার হয়েছে। যেমন, শতকরা ১০ জন বিশ্বাস করে যে, লবণ-জল বা স্যালাইন দিয়ে নাক ধুলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ করতে পারবে না। আবার ১২ শতাংশ ব্যবহারকারী বিশ্বাস করে, কোভিড-১৯ আসলে মানুষেরই সৃষ্ট জীবাণু-অস্ত্র।
ইনফ্লুয়েন্স অব অপিনিয়ন লিডারস অন ফেসবুক ইউজারস ইন বাংলাদেশ: সার্ভে প্রবন্ধে আলম ও সরকার (২০১৯) দেখিয়েছেন, বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের অর্ধেকই দৈনিক সংবাদ পাওয়ার প্রথম মাধ্যম হিসেবে ফেসবুককে ব্যবহার করে; সংবাদপ্রাপ্তির মাধ্যম হিসেবে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অনলাইন সংবাদ সাইটগুলো, শতকরা ৩৪ ভাগ ব্যবহারকারী তা-ই বলেছেন।
সুতরাং, করোনা মহামারিতে বাংলাদেশে গুজব ছড়ালে তা সামাজিক মাধ্যমে, বিশেষত ফেসবুকেই বেশি ছড়াবে বলে অনুমান করা যায়। তবে এই প্রবন্ধ প্রকাশের দিন পর্যন্ত এ দেশের এমন কোনো গবেষণার কথা লেখকের জানা নেই।
তবে সরকারি তথ্য মতে, এদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম কারো মৃত্যু হয় ২০২০ সালের ১৮ মার্চ (বাংলা ট্রিবিউন, ২০২০)। কিন্তু এর পরদিন থেকেই ম্যাসেঞ্জারে একজন চিকিৎসকের দেওয়া একটি অডিও বিবৃতি ছড়িয়ে পড়ে। ওই চিকিৎসক দাবি করেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে কয়েকদিনে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনেক লোকের মৃত্যু হয়েছে। গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয় (দেশ রূপান্তর, ২০২০)।
প্রতিরোধের প্রচেষ্টা ব্যর্থ কেন
ভুয়া-তথ্য সংক্রমণকে জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি হিসেবে বিবেচনায় তথ্য-যোগাযোগ ও প্রযুক্তিখাতের সাতটি বড় প্রতিষ্ঠান যৌথ বিবৃতি দিয়েছে, ‘কোভিড-১৯ প্রতিরোধের প্রচেষ্টায় আমরা একযোগে নিবীড়ভাবে কাজ করছি। কোটি কোটি মানুষকে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত রাখতে আমরা সাহায্য করছি। পাশাপাশি যৌথভাবে লড়ছি ভাইরাসটি নিয়ে বানোয়াট ও ভুয়া-তথ্য রুখে দিতে। আমাদের আঙিনাগুলোয় আমরা নির্ভরযোগ্য আধেয় বেশি বেশি সামনে আনছি। বিশ্বব্যপী সরকারি স্বাস্থ্য সংস্থাগুলোর সমন্বয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো প্রচার করছি।’
স্বতন্ত্রভাবে ফেসবুক একটি বিবৃতিতে জানায়, মিথ্যা সংবাদের ‘সংক্রমণ’ রুখতে তারা কাজ করে যাচ্ছে (মোসারি, ২০২০)। সামাজিক যোগাযোগের এই আঙিনায় মানুষ অবিকৃত তথ্য (যা তা-ই, যা-তা নয়) পেতে চায়, এ কথা স্বীকার করে নিয়ে ওই বিবৃতিতে ফেসবুক দাবি করে, ‘আমরাও তা-ই চাই।’
কিন্তু সামাজিক আঙিনায় ব্যবহারকারীর সামনে কোন আধেয় (কনটেন্ট) ভেসে আসবে এবং সে কারণে কোন তথ্য ছড়িয়ে পড়বে, এর সঙ্গে ফেসবুকের তথ্যব্যবস্থাপনার সম্পর্ক রয়েছে বলে এক গবেষণায় উঠে উসেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ২০২০ নিয়ে র্যাংকিং ডিজিটাল রাইটসের ওই গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যবহারকারীর তথ্যানুসন্ধানের পূর্ব-ইতিহাসকে লক্ষ্য করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন এবং অ্যালগরিদমনির্ভর বিশেষায়িত আধেয় প্রদানের মধ্যেই আসলে ভুয়া সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার শিকড় প্রথোতি রয়েছে (মারাচল ও বিডল, ২০২০)।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক জন-প্যাট্রিক অ্যালেমের (২০২০) দল টুইটার ব্যবহারকারীদের রিটুইট করার ওপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে দেখেছেন, একটা পোস্টের সত্যতা কিংবা কোনো অভিযোগের সঠিকতা যাচাই না করেই লোকে তা রিটুইট করতে থাকে। অন্তর্নিহিত বার্তা কতটা সত্য, সেটা নয়, বরং একটা টুইট কতটা জনপ্রিয় বা চমকপ্রদ, সে দিকেই বেশি আগ্রহ থাকে মানুষের।
তবে নব মাধ্যম (নিউ মিডিয়া) কিংবা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অনিচ্ছাকৃত বা অনুদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে করোনা রোগ নিয়ে ভুয়া-তথ্য ছড়াচ্ছে (পেনিকুক ও অন্যান্য, ২০২০)। মহাউৎকণ্ঠার এ সময় লোকে খানিকটা থির হয়ে ভেবেচিন্তে তথ্যের সঠিকতা যাচাই করতে, স্বভাবতই, ব্যর্থ হচ্ছে।
জাহাঙ্গীর আলম : শিক্ষার্থী, মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
তথ্যসূত্র
জারগনি, এল. (২০২০, এপ্রিল ৯)। কান্টার কনসালটেন্সি রিলিজেস ফার্স্ট কোডিভ-নাইনটিন ব্যারোমিটার। উইমেন’ম ওয়্যার ডেইলি। https://wwd.com/business-news/marketing-promotion/kantar-consultancy-releases-first-covid-19-barometer-1203557951 প্রবেশ : ৯ এপ্রিল ২০২০।
মোসারি, এ. (২০২০, এপ্রিল ৭)। ওয়ার্কিং টু স্টপ মিসইনফরমেশন অ্যান্ড ফলস নিউজ। ফেসবুক। https://www.facebook.com/facebookmedia/blog/working-to-stop-misinformation-and-false-news প্রবেশ : ৯ এপ্রিল ২০২০।
অ্যালেম, জে. (২০২০, এপ্রিল ৬)। হাউ করোনাভাইরাস টেক ওভার সোশাল মিডিয়া। দ্য কনভারসেশন। https://theconversation.com/social-media-fuels-wave-of-coronavirus-misinformation-as-users-focus-on-popularity-not-accuracy-135179 প্রবেশ : ৮ এপ্রিল ২০২০।
লিউনস্কি, জে. এস. (২০২০, এপ্রিল ৫)। সোশাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারস ওয়ে ইন করোনাভাইরাস ট্রেন্ডস উইথ নিউ সার্ভে। ফোর্বস ম্যাগাজিন। https://www.forbes.com/sites/johnscottlewinski/2020/04/05/social-media-influencers-weigh-in-on-coronavirus-trends-with-new-survey প্রবেশ : ৯ এপ্রিল ২০২০।
বুগি, এইচ. এল. (২০২০, এপ্রিল ২)। গোয়িং ভাইরাল: হাউ সোশাল মিডিয়া ইজ মেকিং দ্য স্প্রেড অব করোনাভাইরাস ওর্স। ফোর্বস ম্যাগাজিন। https://www.forbes.com/sites/helenleebouygues/2020/04/02/going-viral-how-social-media-is-making-the-spread-of-coronavirus-worse প্রবেশ : ৯ এপ্রিল ২০২০।
চন্দ্রমৌলি, আর. (২০২০, মার্চ ৩০)। সোশাল মিডিয়া ইউসেজ জাম্পস এইটটি সেভেন পারসেন্ট অ্যাজ পিপল লগ ওভার ওভার ফোর আওয়ার্স অনলাইন। টাইমস অব ইন্ডিয়া। https://timesofindia.indiatimes.com/business/india-business/social-media-usage-jumps-87-as-people-log-over-4-hrs-online-daily/articleshow/74880550.cms প্রবেশ : ৯ এপ্রিল ২০২০।
দেশ রূপান্তর (২০২০, মার্চ ২১)। করোনা নিয়ে ‘গুজব’: চিকিৎসক গ্রেপ্তার। দেশ রূপান্তর। https://www.deshrupantor.com/chittagong/2020/03/21/205862 প্রবেশ : ৯ এপ্রিল ২০২০।
পলিটিকো (২০২০, মার্চ ১৯)। করোনাভাইরাস উইল চেইঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড পারমানেন্টলি। হেয়ার’স হাউ। পলিটিকো ম্যাগাজিন। https://www.politico.com/news/magazine/2020/03/19/coronavirus-effect-economy-life-society-analysis-covid-135579 প্রবেশ : ৮ এপ্রিল ২০২০।
বাংলা ট্রিবিউন (২০২০, মার্চ ১৮)। করোনায় বাংলাদেশে প্রথম মৃত্যু। বাংলা ট্রিবিউন। https://www.banglatribune.com/others/news/614354 প্রবেশ : ৮ এপ্রিল ২০২০।
গুগল পাবলিক পলিসি [গুগুলপাবপলিসি]. (২০২০, মার্চ ১৭)। দ্য টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি ইজ ওয়ার্কিং ক্লোজলি টুগেদার ইন কোঅর্ডিনেশন উইথ গভর্নমেন্ট হেলথকেয়ার অ্যাজেন্সিজ অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড অন কোভিড-১৯ রেসপন্স এফোর্টস। রিড আর ফুল স্টেটমেন্ট [টুইটার]। https://twitter.com/googlepubpolicy/status/1239706347769389056 প্রবেশ : ৮ এপ্রিল ২০২০।
পেনিকুক, জি., ম্যাকফেট্রেস, জে., ঝং, ওয়াই., ও রান্ড, ডি. জি. (২০২০, মার্চ ১৭)। ফাইটিং কোভিড-নাইনটিন মিসইনফরমেশন অন সোশাল মিডিয়া: এক্সপেরিমেন্টাল এভিডেন্স ফর আ স্কেলেবল অ্যাকিউরেসি নাজ ইন্টারভেনশন। সাইআরকাইভ। https://doi.org/10.31234/osf.io/uhbk9 প্রবেশ : ৮ এপ্রিল ২০২০।
মারাচল, এন., ও বিডল, ই. আর. (২০২০, মার্চ ১৭)। ইট’স নট জাস্ট দ্য কনটেন্ট, ইট’স দ্য বিজনেস মডেল: ডেমোক্রেসি’জ অনলাইন স্পিচ চ্যালেঞ্জ। র্যাংকিং ডিজিটাল রাইটস। https://www.newamerica.org/oti/reports/its-not-just-content-its-business-model প্রবেশ : ৮ এপ্রিল ২০২০।
মোল্লা, আর. (২০২০, মার্চ ১২)। হাউ করোনাভাইরাস টেক ওভার সোশাল মিডিয়া। ভক্স। https://www.vox.com/recode/2020/3/12/21175570/coronavirus-covid-19-social-media-twitter-facebook-google প্রবেশ : ৮ এপ্রিল ২০২০।
আলম, এম. জে., ও সরকার, এস. (২০১৯)। ইনফ্লুয়েন্স অব অপিনিয়ন লিডারস অন ফেসবুক ইউজারস ইন বাংলাদেশ: আ সার্ভে। জার্নাল অব এসইউবি, ৯ (১ ও ২): ১০৩-১২৫।
গালফের্ট, এ. (২০১৮)। ফেক নিউজ: আ ডেফিনিশন। ইনফরমাল লজিক, ৩৮(১): ৮৪-১১৭। DOI: 10.22329/il.v38i1.5068 প্রবেশ : ৯ এপ্রিল ২০২০।
সুর, জে. (২০১৭)। আমরা গুজব করি কেন? মনের ব্যাকরণ (পৃ. ৬৫-৭০)। ঢাকা : দেশ পাবলিকেশন্স।