Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেবদাসের শেষ পরিণতি ও করোনার বেনীআসহকলা 


১১ এপ্রিল ২০২০ ২১:০৩

কী এক অসুখ (কোভিড-১৯)! যে কিনা শুশ্রূষার জন্য স্বজনকে কাছে আসতে দেবে না! চোখের পানি ফেলতে দেবে না! আক্রান্ত হবার পর প্রিয়জনের করস্পর্শের বদলে আড়াল খুঁজতে বাধ্য করবে (পড়ুন আলাদা থাকতে বাধ্য করবে)।

অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অনবদ্য সৃষ্টি ‘দেবদাসে’র শেষ পরিচ্ছেদের সেই কথাগুলো বারবার মনে পড়তে পারে আপনার! এ উপন্যাসের একেবারে শেষ অংশে দেবদাসের মৃত্যুর পর শরৎবাবু অনেকটা স্বগতোক্তির মতো লেখেন- ‘প্রার্থনা করিও, আর যাহাই হোক, যেন তাহার (দেবদাস) মত এমন করিয়া কাহারও মৃত্যু না ঘটে। মরণে ক্ষতি নাই, কিন্তু সে সময়ে যেন একটি স্নেহকরস্পর্শ তাহার ললাটে পৌঁছে- যেন একটিও করুণার্দ্র স্নেহময় মুখ দেখিতে দেখিতে এ জীবনের অন্ত হয়। মরিবার সময় যেন কাহারও একফোঁটা চোখের জল দেখিয়া সে মরিতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

খুব কঠিন ও ভয়াবহ বাস্তবতা হচ্ছে- করোনা আক্রান্তের পর থেকে মৃত্যু অবধি পুরো প্রক্রিয়াটা শরৎবাবুর দেবদাসের শেষ পরিণতির চেয়েও করুণ! পার্বতী ছুটে বেরিয়ে পড়েছিল তার প্রিয় দেবদা’র মৃত্যুর খবর শোনার পর! প্রিয় মানুষটিকে এক পলক দেখার জন্য! আমরা সেটিও করতে পারছি না; উল্টো আলাদা থাকতে হচ্ছে; মৃত্যু হলে সাদা প্লাস্টিক ব্যাগে মোড়ানো মরদেহ নিয়ে যাচ্ছে পিপিইতে মোড়ানো দু’চারজন মানুষ! চিরায়ত শেষ বিদায়ের সেই সজল-করুণ চোখে স্বজনের স্পর্শ মিলছে না। কারণ সংক্রমণের ভয়! সংস্পর্শের ভয়! শুধু নিজের নয়, অন্যের মাঝে দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা! পরিবার, সমাজ কিংবা রাষ্ট্র নয়; পুরো বিশ্বে এই সংক্রমণ-সংস্পর্শের ভয়! একজনের ক্ষণিকের আবেগের করমর্দন; একজনের সামান্য ‘ভুল-ছোঁয়া’র মাশুল কত শত-সহস্র-লাখ মানুষকে দিতে হচ্ছে এবং হবে তা এখন আর অনুমেয় নয়! এরপরও আমরা প্রত্যেকে কত অবহেলায় সামাজিক দূরত্বকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছি- পথে-ঘাটে; বাজার-হাটে; কর্মক্ষেত্রে!

বিজ্ঞাপন

দুই.

সাদা চোখে প্রতিদিন আমরা কিছু চিত্র দেখছি- ক. রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে গাড়ি-ঘোড়া নেই, মাঝে মধ্যে শা শা করে ছুটে যাচ্ছে অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদপত্র কিংবা টেলিভিশন চ্যানেলের গাড়ি। তবে কিছুটা দূরে দূরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নিম্নআয়ের নারী-পুরুষ জবুথবু বসে আছেন। আপনি চলতি পথে এমন দুচারটি জটলা পেরুনোর পর হয়ত দেখবেন ফাঁকা সড়কে বামপাশে হঠাৎ থেমে গেছে একটি মাইক্রো কিংবা প্রাইভেটকার। ওখান থেকে বিতরণ করা হচ্ছে খাবারসামগ্রী! নিম্নআয়ের মানুষজন আশপাশের গলি থেকে ছুটে আসছেন ওই গাড়িকে লক্ষ্য করে। এমন কি সামনে পেছনের মূল সড়ক ধরেও দৌড়ে আসছেন কেউ! ভিড় বাড়ছেই! ত্রাণ বিতরণকারী সহৃদয়বান ব্যক্তির মহৎ উদ্দেশ্য একটু পরেই কাড়াকাড়ি-মারামারিতে পরিণত হল! কিংবা ঘটনার মোড় দ্রুত অন্যদিকে ঘুরছে আঁচ করতে পেরে গাড়িটি দ্রুত স্থান ত্যাগ করল!

রাজধানীর ফার্মগেট থেকে মহাখালী, বনানী, কুড়িল বিশ্ব রোড, প্রগতি সরণি হয়ে বাড্ডা, খিলগাঁও, মতিঝিলসহ বিভিন্ন সড়কে দিনমান এমন ঘটনা বেশকিছু চোখে পড়বে আপনার। আপনি হয়ত কোনো বিশেষ ব্যক্তির বাড়ির সামনের সড়কে বিকেল বেলা দেখলেন নির্দিষ্ট দূরত্বে গোল গোল বৃত্ত আঁকা হচ্ছে! ভাবনায় পড়লেন- এখানে আবার সামাজিক দূরত্বের এ বৃত্ত কেন! পরদিন সকালে উত্তরটা পেলেন- ওই বৃত্তগুলো সব ভরে গেছে মানুষে! এমনকি একটু পরে উপচে পড়ল ওই বৃত্ত! ত্রাণের আশায় আসা মানুষের ভিড়ে সামাজিক দূরত্ব মাটিতে মিশল! ত্রাণ দাতা হিমশিম খাচ্ছেন পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে, এরই মধ্যে ঘটনাস্থলের অদূরে চোখ গেল আপনার- দেখলেন নিম্নআয়ের কর্তা; তার স্ত্রী এমনকি ছেলেও আলু-চাল-ডাল-তেলের আলাদা আলাদা প্যাকেট (ত্রাণ) নিয়ে এক রিকশায় উঠে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন। ততক্ষণে ঘটনাস্থল লোকে লোকারণ্য। ত্রাণ বিতরণ বন্ধ! তাই এখন এ কথা বলার সময় এসেছে- ত্রাণ বিতরণ ও ব্যবস্থাপনায় আমাদের কোনো সমন্বয় নেই।

নিম্নআয়ের মানুষের বাড়িতে সুষমভাবে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার মতো ব্যবস্থাপনা এখনো তৈরি হয়নি। বেসরকারি/ব্যক্তি উদ্যোগে যারা ত্রাণ বিতরণ করছেন তাদেরও সতর্ক হবার সময় এসেছে, ত্রাণ বিতরণের মতো মহৎ একটি উদ্যোগে বিশৃঙ্খলা বা সামাজিক দূরত্ব বিসর্জন দেওয়ার অধিকার আপনাদের নেই।  স্থানীয় প্রশাসন থেকে জনপ্রতিনিধি; স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, দাতব্য প্রতিষ্ঠান এবং সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষের উচিত নিম্ন, নিম্নমধ্যবিত্ত ৬-৭ কোটি নাগরিকের দিনে অন্তত দু’বেলা খাবারের নিশ্চয়তা বিধানে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া। একইসঙ্গে আমাদের নাগরিকদেরও সচেতনতা জরুরি- প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেব না; পেটে পাথরবেঁধে হলেও ঘরে থাকতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।  খ. করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাবার পর সারা বিশ্বের অন্য কোনো দেশে আমরা যে ঘটনা দেখিনি, তেমন কিছু ঘটনা এ দেশে ঘটেছে! করোনা চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল নির্মাণে বাধা এবং বিভিন্ন এলাকায় আক্রান্ত সন্দেহে মৃতের দাফনে বাধা, এমনকি করোনা আক্রান্ত সন্দেহে বাড়ি থেকে স্বজনকে বের করে দেয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। আবার সাধারণ ঠাণ্ডা-কাশি বা জ্বরের রোগীর চিকিৎসা না পাবার মতো কিছু ঘটনাও সামনে এসেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কেউ যদি বলেন, ভাই আপনি আজ হাসপাতাল নির্মাণে বাধা দিচ্ছেন, কাল যে আপনি কিংবা আপনার কোনো স্বজনের চিকিৎসার প্রয়োজন হবে না এই গ্যারান্টি কোথায় পেলেন! যাকে বা যাদের সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে একটি শুভ উদ্যোগকে বানচালের চেষ্টা করছেন, সামাজিক দূরত্ব মানছেন না, সেই তাদের কেউ যদি করোনার বাহক হন, তবে আপনি কতটা নিরাপদ! আবার শুধু আক্রান্ত সন্দেহে কারো সঙ্গে অমানবিক আচরণ কেন করছেন! দাফন-কাফনে বাধা দিচ্ছেন, এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি ক’দিন পরে আপনি পড়বেন না সেটাই বা কে বলতে পারে! সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেও অনেক সুন্দরভাবে-মানবিকভাবে যে কোনো রোগীর সঙ্গে সংবেদনশীল আচরণ করতে পারি আমরা।  সীমিত সুযোগ-সুবিধার মধ্যেও আমাদের চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্য সেবাকর্মীরা অনেক বড় দায়িত্ব পালন করছেন। আপনাদেরকে স্যালুট। কিন্তু একইসঙ্গে একথাও বলতে হয়, দু’চারজনের অসদাচরণ, রোগীর চিকিৎসায় অনীহা/ভীতি পুরো বিভাগের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।  ডাক্তার, নার্স, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সাংবাদিকসহ সেবা সংস্থার কর্মীদের অন্য আর দশটা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের মতো হলে চলে না।  সেবার মানসিকতা নিয়েই তারা এসব পেশায় আসেন, তাদের কাছে দেশ ও জাতি অনেক বেশি প্রত্যাশা করে।  তারা সেভাবেই তাদের সেবা দিচ্ছেন, দায়িত্ব পালন করছেন; আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।  একইসঙ্গে বিনয়ের সঙ্গে এ কথাটাও বলা প্রয়োজন- বিচ্ছিন্নভাবে দু’চারজন যদি অন্য আচরণ করেন, তাদের স্বেচ্ছায় পেশা ত্যাগ করা উচিত।  আর তা না হলে প্রশাসনের উচিত তাদের চিহ্নিত করে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে প্রতিদিনই বলা হচ্ছে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না।  এ ব্রিফিংয়ে রাজধানী, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর নাম বলে দেয়া হয়েছে।  এর মধ্যে রাজধানীর মিরপুরের টোলারবাগ ও বাসাবো এলাকাও রয়েছে।  আর সর্বশেষ শনিবার সকালেও সহকর্মীকে তার মিরপুরের রূপনগরের বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে অফিসে আসার পথে প্রধান সড়ক ছাড়া অলি-গলিতে মানুষের ভিড়, রিকশার অবাধ যাতায়াত, দোকানপাটে গা-ঘেঁষে কেনাকাটা এমনকি টিসিবির ট্রাকের সামনে ঠেলা-ঠেলি-গাদাগাদি দাঁড়ানো অগুনতি নারী-পুরুষের দেখা মিলল! দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ, গণমাধ্যম, পুলিশ প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সামাজিক দূরত্ব রক্ষার যে প্রচারণা চালাচ্ছে।  তাতে আমরা যদি সবাই সাড়া না দেয়, সবার অংশগ্রহণ ও সম্মিলিত চেষ্টা ছাড়া এখন পর্যন্ত এ মহামারি থেকে উত্তরণের বিকল্প কিছু  বের হয়নি।  করোনাভাইরাস আমাদের প্রয়োজন-অপ্রয়োজন; পক্ষ-বিপক্ষ দেখছে না! ছোঁয়া পেলে, সংস্পর্শ পেলে সংক্রমিত হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দ্রুত নষ্ট করে এবং কীভাবে দ্রুত ছড়ায় তা বাংলাদেশে ৩০ জনের মৃত্যু ও ৪৮২ জন আক্রান্ত হবার খবরটি জানলেই আমরা বুঝতে পারি! আমরা আরও বুঝতে পারি- বিশ্বে লাফিয়ে লাফিয়ে মৃতের সংখ্যা বৃদ্ধির হার দেখলেই! করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে।  মাত্র ১০০ দিনের তাণ্ডবে পুরো বিশ্বকে তছনছ করে দিয়েছে করোনা।  অথচ আমাদের; এই বাংলাদেশের মানুষের বোধোদয় হচ্ছে না! নানা অযুহাতে স্বাস্থ্যবিধিকে থোড়াই কেয়ার করছি আমরা!

তিন.

সামাজিক দূরত্বের এই কালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও করোনার হাল-হকিকত নানাভাবে উপস্থাপিত হচ্ছে।  সারাদিনে আমরা হয়ত ফেসবুকে এক-দু’বার ঢুঁ মেরে অন্যদের স্টাট্যাস দেখি; দুঃখ-কষ্ট বোঝার চেষ্টা করি। কখনও নিজের মতামত-অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। দুঃখের সময়, কষ্টের সময় কবিতা অনেকটা প্রশান্তি এনে দেয়! ফেসবুকে সাংবাদিক পরিচালক-নাট্যকার পলাশ রসুলের এমন একটি কবিতাতে নিশ্চয় অনেকের চোখ আটকেছে! করোনাক্লিষ্ট সময়কে তার শব্দের মায়াজালে বন্দি করেছেন এভাবে-

‘তোমাকে চুমু খাওয়া
কবে আর সম্ভবপর হবে?
তোমার হাতে রাখতে চাওয়া হাত!

তোমাকে উপলক্ষ করে-
আমিও জন্মেছিলাম কোনো তামাটে সূর্যাস্তে
কৃষি বিপ্লবের আগে।
…দ্যাখো আমার শরীর ধোয়া স্যানিটাইজারে।

গাঢ় গভীর নলকূপ বিদ্যুতগর্ভে গেথে
যে তুমি টেনে টেনে তুলেছ সভ্যতা
অহেতুক কৌতুহলে, লোভে

কিন্তু মানো, পৃথিবীতে আবারও ঝড় বৃষ্টি হবে…
বিষ তবু থাকবে তোমার বাজারের ব্যাগে
ফুলকপি ও শিমে?

আজ অগনন সৌরবর্ষপর, দ্যাখো আমারও
শরীর ধোয়া স্যানিটাইজারে।

তোমাকে চুমু খাওয়া
তবু আর কি সম্ভবপর হবে?
স্পর্শঅযোগ্য এমনকি তোমার ঠোঁট!

এ্যাতো এ্যাতো মাস্কবন্ধী মুখ, দুহাতভরা বিষে
আর তোমারই অনিশ্চিত চোখে ঘৃণার বর্ণনা দেখে
শিউরে ওঠা সারসার শোককাতর শব!

ভাবছো দুরত্বে মীমাংসা হবে?
সব?’

চার.

বেদনার সাত রঙ বলে একটা কথা আমরা প্রায়ই বলে থাকি।  বলি এ জন্য যে- বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল (বেনীআসহকলা) কোনো না কোনোভাবে বেদনাকে ধারণ করে! আমাদের বেগুনি (বে) রঙের বেগুন আছে, বেগুনের কোনো গুণ না থাকার কষ্ট (বেদনা) আছে।  নীল (নী) রঙের আকাশ আছে, আমরা বেশি কষ্ট পেলে নীল হই! দিগন্তবিস্তৃত আসমানি (আ) রঙ আছে; আসমানকে ছুঁতে না-পারার কষ্ট আছে! আছে সবুজ (স) মাঠ; আছে সবুজ বনভূমি কমে যাবার খেদ! প্রকৃতি উষ্ণ হবার যৌক্তিক কারণ!  হিমুর হলুদ (হ)-রাঙা পাঞ্জাবি; বোহেমিয়ান জীবনের যন্ত্রণার প্রতিচ্ছবি হিমু! আর অনেকের শরীরের রঙ কমলার (ক) মতো না হবার মনোবেদনাও আছে! আর আছে ১৯৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের রক্তে রাঙা লাল (লা) পতাকা।  এই বেনীআসহকলা নিয়ে আছি আমরা! বিশ্বে মহামারী করোনাভাইরাসের থাবার তলে এখন আমরাও।  ক্রমশ এ থাবা বিস্তৃত হচ্ছে।  বেদনার সাত রঙে নীল হচ্ছি আমরা, সামনেটা দেখতে পাচ্ছি না; অন্ধকার সিঁড়ির অপরপ্রান্তে নিশ্চয় আলোর দেখা মিলবে।! জাতি হিসেবে আমাদের যুদ্ধজয়ী মনোভাবটা জারি রাখতে হবে; প্রতিকুলতাকে দু’হাতে ঢেলে অনুকুলে আনার যে অদম্য প্রবৃত্তি আছে আমাদের, তাকে আরও সক্রিয় করতে হবে।  এতো কিছু করতে পারি আমরা; ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৭১-এ দৃশ্যমান পাক হানাদারদের হটিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ, ৯০-এ স্বৈরশাসনকে উৎখাতে জীবনবাজি রেখে গণতন্ত্রকে পুনর্জীবন দান করেছি আমরাই! আসুন সেই আমরা অদৃশ্য এক করোনাভাইরাসকে রুখতে সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করি, বারবার হাত ধোয়, খুবই বেশি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের না হই।  হাঁচি-কাশি শিষ্টাচার মেনে চলি।  নিজে ভালো থাকি, অন্যকে ভালো রাখি, পরিবার-সমাজ-দেশ-বিশ্বকে ভালোবাসি ও ভালো রাখি।

লেখক : যুগ্ম বার্তা সম্পাদক, দৈনিক যুগান্তর

করোনা করোনাভাইরাস লকডাউন

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর