Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

উন্নয়নশীল বিশ্বের ৫০০ কোটি মানুষের অসহায়ত্ব দেখবে কে


২২ এপ্রিল ২০২০ ১৪:৪৬

করোনাভাইরাসের আতঙ্কে সারাবিশ্বে সবকিছু স্থবির হয়ে আছে। কোথা থেকে এলো এই প্রাণঘাতী ভাইরাস, কেউ কি ছড়িয়েছে- এমন নানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে বিশ্ববাসী। এমনও কথা চাউর হয়েছে, করোনাভাইরাস একটি জীবাণু অস্ত্র যার উৎপাদন ও ব্যবহার করেছে চীন। এটি এখনও প্রমাণিত কোনো সত্য নয়, তবুও চীনের উহান থেকে এই ভাইরাস ছড়ানোয় কঠোর সমালোচনার তীর বিদ্ধ হয়েছে চীনের উপর। বিশ্বমিডিয়ার আলোচনা কম-বেশি এখন এটাই- ‘বিশ্ব কর্তৃত্ব পাকাপোক্ত করতেই চীন এ জীবাণু যুদ্ধের অবতারণা করেছে’। সবার অভিযোগ- চীনের লক্ষ্য বিশ্বে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার ও দখল কায়েম করা। এমন অভিযোগে কিছু দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে যাচ্ছে বলেও শোনা যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সাম্প্রতিককালে ভারত মহাসাগরসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে একাধিক মেগা কর্মসূচি গ্রহণ, ভূরাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশকে অবকাঠামোগত উন্নয়নে ঋণ সহায়তা দেওয়া এবং সুযোগ মতো তাদেরকে নিজের পক্ষে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা- এসবই চীনের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনুরূপ অভিযোগকে সমর্থন করে বলে দাবি করেছে বিশ্ব গণমাধ্যমগুলো।

মূলত ১৯৭০ সালের পর থেকে ব্যাপক শিল্পায়নের সাথে সাথে তার বিদেশ নীতিতে নিরঙ্কুশ আধিপত্য বিস্তারের নতুন কৌশল গ্রহণ করে চীন। নতুন নতুন আবিষ্কার ও প্রযুক্তি গোপনীয়তার সাথে সংগ্রহ ও রপ্ত করা এবং সময় ও সুযোগমতো সেটি ব্যবহার করার নীতির সাথে চীন দ্রুত বিশ্বব্যাপী তার অর্থনৈতিক বিনিয়োগকে সম্প্রসারণ করতে শুরু করে যেন সেসবের মাধ্যমে আর্থিক ক্ষমতা ও নিয়ন্ত্রণকে সংহত করতে পারে।

প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং পূর্বের ধারাবাহিকতায় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য ২০১৩ সালে ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’, এবং ‘মেরিটাইম সিল্ক রোড’ নামে দুটি বড় কর্মসূচি গ্রহণ করেন, যার লক্ষ্যই ছিল এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকার ৭০টি দেশে ব্যাপক অবকাঠামোগত কাজ করার মাধ্যমে বিনিয়োগ ঋণ দেওয়া। বিশ্বের সর্বাপেক্ষা ক্ষমতাধর রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার চীনের সুদূরপ্রসারী যে পরিকল্পনা সেটা তারই একটি সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রধান অন্তরায় বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকগণ তখন মনে করেছিলেন।

২০১৭ সাল থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চীন বিরোধী নানামুখী পদক্ষেপ উপরোক্ত ধারণাকে প্রভাবিত করে আসছে। ২০১৮ সালে ট্রাম্প প্রশাসন চীনের উপর বাণিজ্য অবরোধসহ ট্যারিফ দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। একইসাথে আমেরিকা চীনে তথ্য ও প্রযুক্তি হস্তান্তর বিষয়ে যাবতীয় লেনদেন বন্ধ ঘোষণা করে। বৃহৎ শক্তিধর দেশ দুটির অভ্যন্তরীণ ব্যবসায়ী দ্বন্দ্ব আমেরিকার কৃষি ও উৎপাদন খাতে বেশ বড় ধরনের বিপর্যয় ঘটায় যার মূল খেসারত দেয় ভোক্তারা। বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ ছাড়াও আমেরিকা ও চীনের পরস্পর বৈরী আচরণ খানিকটা ‘ইট মারলে পাটকেল খেতে হয়’ পর্যায়ে চলে যায়। যার নেতিবাচক প্রভাব দুদেশের সীমানা পেরিয়ে পৃথিবীর অনেক দেশের স্টক মার্কেট ও ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। এমনকি ডোনাল্ড ট্রাম্প ডব্লিউটিও এর কাছে চীনের বিরুদ্ধে আমেরিকান অর্থনীতির বিপুল ক্ষতি করছে বলে অভিযোগ আনেন।

বিজ্ঞাপন

ইতোমধ্যে চীন তার আর্থিক ও সামরিক অবস্থান সুদৃঢ় করার মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকান অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করে ফেলেছে। কূটনৈতিক অবস্থান জোরদার করার পাশাপাশি চীন এসব এলাকায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছে। স্ট্রিং পার্লস স্ট্র্যাটেজি কর্মসূচির আওতায় ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীন কৌশলগত অবস্থান অত্যন্ত সুদৃঢ় করেছে যেখানে চায়না উপকূল থেকে মালাক্কা করিডোর, বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মালদ্বীপ হয়ে সোমালিয়া এবং সুদান পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত। এ কর্মসূচি আমেরিকান আধিপত্য বিস্তারকে চ্যালেঞ্জ করাসহ ভারতকে সামরিক শক্তি মোতায়েনের মাধ্যমে কৌশলগতভাবে পরিবেষ্টিত করে ফেলা যা ভারতের ব্যবসা বাণিজ্য ও সামরিক শক্তিকে অনেকাংশে অকেজো করে ফেলতে সক্ষম হবে।

একইসাথে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপেও ধীরে ধীরে অর্থনৈতিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রভাব বিস্তারের কর্মসূচি নিয়েছে চীন। ক্যারিবিয়ান অঞ্চলেও অর্থনৈতিক বিনিয়োগসহ কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে চীন অবস্থান সুদৃঢ় করছে। চীনের লক্ষ্য ২০৪৯ সালে সে দেশের প্রতিষ্ঠা শতবার্ষিকীর পূর্বেই বিশ্বের প্রধান পরাশক্তিতে পরিণত হওয়া।

আর চীনের এই আধিপত্যেই বোধহয় সবার আপত্তি। এরমধ্যেই করোনাভাইরাস জনিত বৈশ্বিক মহামারির জন্য প্রথম থেকেই চীনের দিকে সকলের তর্জনী নির্দেশ। চীন-আমেরিকার সাম্প্রতিক দ্বন্ধ এবং নিকট অতীতের চৈনিক পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ বিশ্লেষণ করলে চীনের অভিপ্রায় বাস্তবায়নে অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভুত্ব অর্জনের পাশাপাশি অনুরূপ চরম পর্যায়ের কোনো জীবাণু সংক্রমণের বিষয়টি অস্বাভাবিক হলেও ঘটনাক্রম তেমন ইঙ্গিতই করে।

তাহলে কোভিড-১৯ কি আসলেই জীবাণু অস্ত্র?

যদিও সরাসরি এখনো তার কোনো অকাট্য প্রমাণ কারো হাতেই নেই তবু বিশ্ব গণমাধ্যম এটা একরকম ঘোষণা করেই দিয়েছে যে, চীনের উহানের গবেষণাগারে উৎপাদিত জীবাণু যা ঘোড়ার নাল-মুখ বাদুরের উপর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ কালীন ইচ্ছা বা অনিচ্ছাকৃতভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।

জীবাণু অস্ত্র ব্যবহারের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, সুদূর অতীতে ইংল্যান্ড, আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া বিভিন্ন সময়ে যুদ্ধ জয়ের কৌশল হিসেবে জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার করেছে। সর্বশেষ আমেরিকায় ৯/১১ এর বিধ্বংসী বিমান হামলার পর জঙ্গি তালেবান গ্রুপ অনেক আমেরিকানদের কাছে ডাকযোগে এন্থ্রাক্স জীবাণু প্রেরণ করেছিল বলে তথ্য রয়েছে।

জীবাণু অস্ত্রের প্রধান প্রহসন হচ্ছে, এটি যারা প্রয়োগ করে তাদেরকেও ক্ষতিগ্রস্ত হতে হয়, কারণ জীবাণু শত্রু বা মিত্র চেনে না। চীনের করোনা ঘটনাও একই অবস্থায় রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই। প্রথমেই আক্রান্ত হলো উহানের অভিযুক্ত গবেষণাগার কেন্দ্রিক আশপাশের লোকজন। অন্যদিকে সম্প্রতি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর চার্লস লিবার অনুরূপ জীবাণু গবেষণা ও উহানের চাইনীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে গভীর সম্পৃক্ততা ইত্যাদি অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা বিষয়টিকে আরও গুরুত্ববহ করে তুলেছে।

আমেরিকার ম্যাসাচুয়েট জেলা আদালতের এটর্নি ই লেলিং জানান যে, চার্লস মূলত গ্রেপ্তার হয়েছেন উহানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে গবেষণা ও ন্যানোটেকনালজী বিষয়ক গবেষণাগার স্থাপনসহ চীনের মেধা সৃজন প্রকল্পের সাথে কৃত চুক্তিতে তথ্য গোপন ও অননুমোদিতভাবে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কাজের চুক্তি করার জন্য। একই দিনে ম্যাসাচুসেটস জেলা আদালতে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ইয়ানজিং নামে একজন চৈনিক নারী নিজ পরিচয় গোপন করার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি চীনের লিবারেশন আর্মির একজন লেফটেন্যান্ট বলে জানা গেছে যা তিনি ভিসা আবেদনে গোপন করেছেন। একইদিনে তৃতীয় একজন চৈনিক ব্যক্তি ঝেওসং ঝেং পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন যিনি হার্ভার্ড বিশ্ব বিদ্যালয়ের স্পন্সর নিয়ে একটি ক্যান্সার স্বাস্থ্য সেন্টারে ক্যান্সার গবেষক হিসেবে কাজ করছিলেন এবং সম্প্রতি ২১ ভায়েল রিএজেন্টসহ অনেক গবেষণা ডকুমেন্ট ল্যাব থেকে চুরি করে নিয়ে দেশে ফিরছিলেন। অধ্যাপক চার্লসের বিষয়টি এবং চৈনিক উক্ত দুজন ব্যক্তির বিষয় কাকতালীয়ভাবে একইদিনে আদালতে উপস্থাপিত হয় যেখান থেকে চীনের কোভিড-১৯ জীবাণু অস্ত্র সম্পর্কিত রিউমার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, এবং অধ্যাপক চার্লসের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হয়।

কোভিড-১৯ এর বিপর্যয়কারী সংক্রমণ আসলে কারো স্বেচ্ছাকৃত অপকৌশল কিনা সেটি বিবেচনার চেয়ে প্রয়োজন সম্ভাব্য ক্ষতি ও লাভবান কে হবেন তা খতিয়ে দেখা।

তবে বিশেষজ্ঞগণ মনে করছেন, যেভাবেই ঘটুক করোনার আঘাতে প্রথম ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিশ্ব অর্থনীতি যার মধ্যে ব্যাপকভাবে অপূরণীয় ক্ষতির মুখে পড়বে উন্নয়নশীল বিশ্ব।

চীন অনেক আগে থেকেই বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সহজ শর্তে আমেরিকাসহ কৌশলগত রাষ্ট্রসমূহে ব্যাপক ঋণ প্রদান করে আসছিল। অতি সম্প্রতি চীন সেইসব ঋণ গ্রহীতা রাষ্ট্রসমূহে অধিক হারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করেছে ভবিষ্যতে তাদের কাছ থেকে সুবিধামত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুযোগ গ্রহণ করার জন্যে। ইতোমধ্যেই চীন মনে করছে যে, করোনাভাইরাসের বিশ্বব্যাপী মহামারীর সীমাহীন প্রকোপ দীর্ঘস্থায়ী হবে। যা তাদের লক্ষ্য অর্জনের অনেক পথ এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে।

বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহ তাদের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে বছর দুয়েকের মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারলেও কোভিড-১৯ এর আঘাত সমগ্র বিশ্বকে স্থায়ীভাবে একটি পরিবর্তনের দিকে নিয়ে যাবে। যার মধ্যে চীনের চলমান অর্থলগ্নি প্রভাব এবং ঋণ কেন্দ্রিক বিনিয়োগ বৈশ্বিক নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। ঋণগ্রস্ত দেশগুলো মহামারীর ধকল সামলাতে দিশেহারা হয়ে পড়বে এবং উদগ্রীব হয়ে উঠবে কীভাবে এবং কতটা ছাড় দিয়ে ঋণ পুনঃতফশিলীকরণ ও তার পরিধি বাড়ানো যায়। চীন সেই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগানোর মাধ্যমে সেইসব দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সার্বভৌমত্বকে নিজেদের কব্জায় আনতে সক্ষম হবে।

উন্নয়নশীল দেশগুলো অবশ্যম্ভাবীভাবে এই ঋণ-ফাঁদে জড়িয়ে পড়বে যা থেকে পরিত্রাণের কোনো পথ থাকবে না। লাইবেরিয়া, নাইজেরিয়াসহ অন্যান্য নাজুক অর্থনীতির দেশগুলো খুব সহজেই এর শিকার হবে। তাদের সামনে দুটি পথ খোলা থাকবে- হয় জনগণকে বাঁচাও নতুবা চীনের ন্যায় ঋণদানকারী ধনী কোন দেশের শর্তাদি বা বশ্যতা মেনে নাও।

বেল্ট এন্ড রোড পরিকল্পনার পরিধি বৃদ্ধি বিশ্লেষণ করে বলা যায় যে, চীনের ঋণ দান অস্ত্র যে পূর্বপরিকল্পিত সেটা নিশ্চিত। ইতোমধ্যে ঋণ ফাঁদ ষড়যন্ত্রের প্রভাবও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে শ্রীলংকার একটি সমুদ্র বন্দরে চীন অনুরূপ ঋণ-ফাঁদে ফেলে নিজের অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করেছে বলে জানা যায়। অতি সত্ত্বর লাওস, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান এবং অনুরূপ দুর্বল অর্থনীতির দেশসমূহ ঋণ ফাঁদে পড়ে নিজস্ব ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব হারাবে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা। উল্লেখ্য, প্রায় ১০-১৫টি রাষ্ট্র দেশের জিডিপির ৪০-৫০ভাগ চীনের বেল্ট এন্ড রোড কর্মসূচির উপর নির্ভরশীল।

করোনার আঘাতে উচ্চ ও শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ হিসেবে ইউরোপ ও আমেরিকা এমনভাবে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে যে অভ্যন্তরীণ বিপর্যস্ত অর্থনীতি ও রাজনৈতিক পরিবেশ স্থিতিশীল রাখতে হিমশিম খাবে। পক্ষান্তরে চীন তখন বৈশ্বিকভাবে তার অবস্থানকে সুদৃঢ় করতে সক্ষম হবে।

চূড়ান্ত বিচারে দেখা যাবে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের ৪-৫ কোটি দরিদ্র জনগোষ্ঠী কোভিড-১৯ আঘাত পরবর্তী ধকল কাটিয়ে উঠতে অধীনস্থ হয়ে পড়বে বিশ্বের অর্থনৈতিক ক্ষমতার রাষ্ট্র হিসেবে চীন প্রজাতন্ত্রের- এটাই চীনের উনবিংশ শতাব্দী থেকে লালন করে আসা স্বপ্ন।

আসলে কি তাই? কোভিড-১৯ এর আঘাত ইতোমধ্যেই চীনের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য রকমের প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের বর্তমান অবস্থান বিশ্লেষণ করে এটা বললে ভুল হবে না যে, করোনা পরবর্তী বিশ্ব নতুনরূপেই আবির্ভূত হবে। সেদিন কার অবস্থান কোথায় এবং কি হবে- সময়ই বলে দেবে।

লেখক: গবেষক ও সাবেক সচিব, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ

করোনাভাইরাস

বিজ্ঞাপন

কবি নজরুল কলেজ বন্ধ ঘোষণা
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ২০:১১

বিদেশ বিভুঁই। ছবিনামা-২
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ২০:০১

আরও ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৯৩৪
২৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৯:৫২

আরো

সম্পর্কিত খবর