ঘূর্ণিঝড় ও আমাদের গল্প
২২ মে ২০২০ ১৯:৪৬
শক্তিমত্তা, ব্যস, ব্যাসার্ধ সব কিছুর হিসেবে এবারের ঘূর্ণিঝড় আম্পানকে প্রথমে বলা হয়েছে সুপার সাইক্লোন অতঃপর ‘এক্সট্রিমলি সিভিয়্যার সাইক্লোন’। এ সুপার সাইক্লোন আসার আভাস আমরা পেয়েছিলাম আরো তিনদিন আগেই। এরপর জেনেছিলাম কখন, কতটুকু শক্তি নিয়ে, কোন অঞ্চল দিয়ে এই ঘূর্ণিঝড় ধ্বংসলীলা চালাবে। তথ্যানুযায়ী আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম কিভাবে নিজেদেরকে নিরাপদ রাখা যাবে এ সাইক্লোনের তাণ্ডব থেকে।
ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক এসব তথ্যের জন্য আমরা এখন শুধু বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপর নির্ভরশীল ন্ই। একটা ক্লিক করলেই আমরা চলে যেতে পারি নাসার উপগ্রহ অ্যাকোয়া কিংবা সাইক্লোকেইন ডটকম, হারিকেন জোন ডটনেটসহ একাধিক ওয়েবসাইটে যেখান থেকে লাইভ ট্র্যাক করা যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি।
বলা যায়, আগেই সব জেনে যাওয়ার কারণে আমাদের প্রস্তুতির কাছে এ সুপার সাইক্লোন আম্পান অনেকটাই ব্যর্থ। অথচ একসময় কত অনিশ্চিত ছিল আমাদের জীবন! আহা কত কঠিন সময় গেছে আমাদের! কি করুণ, অমানবিক আর অসহায় ছিল সেইসব দিন! মানুষ কি করবে কিছুই বুঝতে পারতো না। বছরের পর বছর ধরে প্রকৃতির খেলার পুতুল ছিলাম আমরা। হুট করে এসে সব লন্ডভন্ড করে দিয়ে চলে যেতো এইসব ঘূর্নিঝড়।
২০১৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ক্লাইমেটেওলজি কর্তৃক প্রকাশিত সুবিন্যস্ত তালিকা অনুযায়ী, ১০০০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রায় ১৯৩টি ছোট বড় ঘূর্ণিঝড় অতিক্রম করে। এর মধ্যে ১৪৮৪ সালে চট্রগ্রামের উপর দিয়ে একটা বড় ঘূর্নিঝড় অতিক্রম করে যাতে আনুমানিক ২ লাখ মানুষ মারা যায়। নথিতে লেখা হয় তথ্যটি অবিশ্বাস্য। কারণ সেই সময় দুই লাখ লোক অনেক।
যাই হোক, এরপর ১৫৮২ সালে বৃহত্তর বরিশালের উপর দিয়ে যে ঘূর্ণিঝড়টি অতিক্রম করে তাতেও ২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কথা বলা হয়। উল্লেখ্য, সেইসময় সব বাড়িঘর ছিল কাঁচা তাই ঘূর্নিঝড় বাড়িঘর উড়িয়ে নিয়ে যেত এবং বেঁচে থাকা মানুষেরা আবার নতুন করে ঘর বাঁধত।
১৭৯০ এর দশকে চট্রগ্রামে পাঁচটি পাকা বাড়ি নির্মান করা হয়। ১৭৯৫ সালের মে মাসে এবং ১৭৯৭ সালের জুন মাসে দুটি ঘূর্ণিঝড় হয় যাতে ঐ পাঁচটি পাকা বাড়ি ছাড়া সব লণ্ডভণ্ড হয়ে যায়। কিন্তু ১৭৯৭ সালের নভেম্বর মাসে আরেকটি ঘূর্ণিঝড় এসে ঐ পাঁচটি বাড়িসহ সব লণ্ডভণ্ড করে দেয়। তার মানে পুরো চট্টগ্রাম অঞ্চল তখন একটি ফাঁকা মাঠ। শক্তপোক্ত টিনের ঘর ও পাকাবাড়ি হওয়ার আগ পর্যন্ত ঘূর্নিঝড় প্রবন অঞ্চলগুলো প্রায়ই এমন ফাঁকা মাঠ হয়ে যেত, আর যারা বেঁচে থাকত তারা আবার নতুন আশায় বাঁধত ঘরবাড়ি।
১৭৯৭ সালের পর অনেক ছোট ছোট ঘূর্ণিঝড় এলেও ১৮৭৬ সালের ঘূর্নিঝড়টি ধ্বংসলীলার কারণে ইতিহাসে লাল কালির দাগে লিখিত হয়। ঘন্টায় ২২০ কিলোমিটার গতিবেগ সম্পন্ন ঘূর্নিঝড়টি বরিশালে হয়েছিল বলে এর নাম দেয়া হয় ‘গ্রেট বাকেরগঞ্জ সাইক্লোন’ যাতে মারা গিয়েছিল প্রায় তিন লাখ মানুষ। ঐ সময় ঝড়/জলোচ্ছ্বাসে তো মানুষ মারা যেতই; আবার ঘূর্ণিঝড় পরবর্তি কোন ব্যবস্থা না থাকায় ডায়রিয়াসহ নানা রোগবালাই ও অনাহারে মারা যেত অনেক মানুষ। আমরা এতই অসহায় ছিলাম যে, আমাদের দুঃখ অন্যকে জানানোর মতো কোন ব্যবস্থাও ছিল না।
১৮৭৬ সালের ঘূর্ণিঝড় নিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করেছিলেন নিউজিল্যান্ডের স্কলার বেঞ্জামিন কিংসবারি। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ক্লাইমেটেলজি কর্তৃক প্রকাশিত ক্যাটালগে ১৯৭০ সালের পূর্বের যেসব প্রলয়ঙ্করী ঘূর্নিঝড়ের কথা উল্লেখ করা হয় তন্মধ্যে ১৮৯৭ সালে চট্টগ্রামের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া সাইক্লোন (মৃত জনসংখ্যা- ৪০,০০০) এবং ১৯১২ সালে বরিশালের উপর দিয়ে যাওয়া সাইক্লোন (মৃত জনসংখ্যা- ৪০,০০০) উল্লেখযোগ্য। তবে ১৯১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বরিশাল থেকে শুরু হয়ে খুলনা, গোপালগঞ্জ হয়ে ঢাকার উপর দিয়ে শেষ হয় আরেকটি ঘূর্ণিঝড়। তাতেও ৪০,০০০ মানুষ প্রাণ হারায়।
এবার আসি হাজার বছরের ইতিহাসের সবচেয়ে প্রলঙ্করী ঘূর্ণিঝড় এর কথায় যা ঘটেছিল ১৯৭০ সালে, স্বাধীনতার প্রায় এক বছর আগে। সেই সময় বাংলাদেশের সব মানুষ মননে-মগজে ব্যস্ত ছিল জাতীয় নির্বাচন ও স্বাধীনতার স্বপ্ন নিয়ে। স্বাধীনতার নায়ক বঙ্গবন্ধু মিছিল মিটিংয়ের ছক দেখে দেখে কখন কোথায় যাবেন তা ভাবছেন। এমন সময় ১২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধুর কানে এলো ভোলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া বিশাল ঘূর্নিঝড়ের খবর। তিনি সব ছেড়েছুড়ে তাঁর ঘনিষ্ঠজন তাজউদ্দিনসহ কয়েকজনকে নিয়ে ছুটলেন ভোলায়। গিয়ে দেখলেন অবিশ্বাস্য ও অমানবিক দৃশ্য। লাশের পর লাশ নদীর তীরে ভাসছে, গাছের নিচে, ভাঙ্গা ঘরের নিচে চাপা পড়ে আছে। স্থানীয় জনগনের মতে, ঐ ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষ মারা গিয়েছিল। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের নথিমতে মৃতের সংখ্যা ৫ লাখ। লাশের এতো স্তুপ জমে গিয়েছিল যে বৃটিশ আর্মি, ইউ এস আর্মি, রুশ ও ফরাসী আর্মিদেরকে এসে এইসব লাশ গণকবরে রাখতে হয়েছিল (তথ্যসূত্র- এখানে থেমোনা, আনিসুল হক-২০২০)।
১৯৭০ সালের পর স্বাধীন বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হলো ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিলের ঘূর্ণিঝড়। প্রায় দেড় লাখ মানুষ মারা যায় সেই ঘূর্ণিঝড়ে। প্রবল জলোচ্ছ্বাসসহ সেই ঘূর্ণিঝড় যে কত ধ্বংসাত্মক ছিল তা জেনেছিলাম ঐ ভয়াবহতার শিকার হওয়া জামাল উদ্দিনের কাছে, যে পরবর্তিতে আমার খুব কাছের বন্ধু হয়েছিল।
এবার জামালের সাথে আমার পরিচয়ের সূত্রটা বলি- ১৯৯৬ সালের সেপ্টেম্বর মাস। চাঁদপুর বাইতুল আমিন মসজিদ থেকে জোহরের নামাজ পড়ে বের হয়ে দেখলাম বারান্দায় আমার বয়সী একটা ছেলে উদাস মনে বসে আছে। তার বেশভূষা বেশ পরিপার্টি। আমি দু’মিনিট দাঁড়িয়ে থাকলাম। মসজিদ খালি হয়ে গেল। মুয়াজ্জিন সাহেব মূল দরজায় তালা লাগিয়ে দিলেন। কিন্তু সে যাচ্ছে না। আমি কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, কি ভাই কোন সমস্যা? একটা মুচকি হাসি দিয়ে সে জবাব দিল, না ভাই কোন সমস্যা না। আমি নিশ্চিত হয়ে চলে এলাম। এরপর আসরের নামাজ শেষেও আবার দেখলাম সেই ছেলেটিকে। বারান্দায় ঠিক আগের জায়গায় একইভাবে বসে আছে। পাছে বিরক্ত হয় এই ভেবে এইবার আর আমি কিছু বললাম না। কিন্তু মাগরিবের নামাজ শেষে আবারও ছেলেটিকে দেখে ভাবতে থাকলাম, এমন কি জিজ্ঞেস করা যায় যা বললে সে বিরক্ত হবে না। অনেক ভেবে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি আসলে কোথায় যেতে চান? সে জবাব দিল, না আমি আসলে কোথাও যেতে চাই না। আমি বরিশালে ছিলাম, ওখান থেকে চাঁদপুরে এলাম, এখানে থাকার জন্য।
এখানে আপনার কে আছে, কার কাছে থাকবেন?
না আমার কেউ নেই, তবে কথা হচ্ছে, একটা কিছু হবে আশা করছি।
এইবার আমার উৎসাহ বেড়ে গেল। জিজ্ঞেস করলাম, কি কথা হচ্ছে, কার সাথে? ঠিক বুঝলাম না?
ইমাম সাহেব চাঁদপুর হোটেলের মালিককে বলে দিয়েছেন, উনি বলেছেন সেখানে সহকারি ম্যানেজার হিসেবে আমার একটা চাকরি হয়ে যাবে, কারণ বরিশালে একটা মুদি দোকানে আমি এই কাজটাই করতাম।
কিন্তু কেন? আপনার মা-বাবা কি আপনাকে পড়াশুনা করতে বলেন না?
এইবার সে একটু চুপসে গেল। এরপর এমন একটা জবাব দিল যা শুনতে আমি প্রস্তুত ছিলাম না। একটু থেমে সে জবাব দিল, আমার তো মা-বাবা নেই, মানে কেউই নেই।
আমি আমার মতো ভেবে হেসে বললাম, বাসা থেকে এভাবে রাগ হয়ে বের হয়ে আসাটা আপনার ঠিক হয়নি, সবাই নিশ্চয়ই খোঁজ করছে। বাসায় ফিরে গিয়ে পড়াশুনা শুরু করে দেন।
ছেলেটা এবার হেসে আমার কথার সায় দিল, সবাই তা-ই ভাবে, কিন্তু সত্যিটা হলো আমি যা বলছি তা-ই।
মানে?
ছেলেটি আমাকে উল্টো প্রশ্ন করলো, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের কথা মনে আছে আপনার?
হ্যাঁ, তা তো অবশ্যই মনে আছে।
ঐ সময় আমার মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজন সবাই মারা গেছেন।
কিন্তু তা কি করে হয়? সবাই মারা গেছে?
হ্যাঁ সবাই মানে সবাই, এটা আপনাদের কাছে বিশ্বাস করার মতো না (একটু দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এবার সে একটানে বলতে থাকে )। ওই সময় একটা জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল। কি যে নারকীয় জলোচ্ছ্বাস সেটা। হঠাৎ করে পানির একটা স্রোত বাড়ির ভিতর ঢুকলো। কি যে ঠান্ডা সে পানি! সবাই দৌড়াদৌড়ি শুরু করলো। কিছুক্ষন, সবাই সবাইকে দেখতে পেলাম। পরে নিমিষেই যখন পানি বেড়ে গেল, সবাই হারিয়ে গেলাম। আমাদের বাড়ি ছিল কুতুবদিয়া। ২ মে আমি বরিশাল গিয়ে উঠলাম। এরপর ওখানকার লোকজন আমাকে বাঁচিয়েছে। জ্ঞান ফেরার পরও প্রায় ১০-১৫ দিন আমি ঠিক বুঝতে পারি নাই, কি গেছে আমার উপর দিয়ে। এরপর ধীরে ধীরে সব মনে পড়ল। তিনমাস যাওয়ার পর যাদের বাসায় স্থান পেয়েছিলাম তারা কিছু টাকা দিয়ে বলল, বাড়িতে গিয়ে দেখো, কে কে বেঁচে আছে। আমি গেলাম, কিন্তু কাউকে পেলাম না। আমার একটা ফুফু ছিল, ওনার স্বামীর সাথে ঢাকায় থাকতেন। ঝড়ের দুদিন আগে উনি বেড়াতে এসেছিলেন আমাদের বাসায়। উনি ওই সময় না এলে এখন অন্ততঃ ওনাকে পেতাম। আর নানার বাড়ি ছিল পাশেই। অনেকের নানার বাড়ি দূরে থাকে, আমি বন্ধুদের বলতাম, নানার বাড়ি কাছেই ভালো যেকোনো সময় যাওয়া যায়। কিন্তু পরে বুঝলাম দূরে হওয়াই ভালো ছিল, তাইলে হয়তো ওনাদের আজ জীবিত পেতাম।
তারপর?
তারপর আর কি, আবার বরিশাল ফিরে এলাম, ওনারা একটা দোকানে আমাকে কাজ যুগিয়ে দিল।
তো চাঁদপুর কেন এলেন?
ইচ্ছে হলো একটু ঘুরে দেখি, তাই এলাম।
ছেলেটার নাম জামাল উদ্দিন। প্রতিদিন মসজিদে ওর সাথে দেখা হতো। মসজিদের পাশেই চাঁদপুর হোটেলে (রেস্তোরাঁ) ওর কাজটা কনফার্ম হয়ে গেলে আমি মাঝে মাঝে গিয়ে দেখা করতাম। পরে পড়াশুনার জন্য ঢাকায় চলে এলেও চাঁদপুরে গেলেই দেখতে যেতাম। কিন্তু একবার গিয়ে শুনলাম জামাল নেই, সে এখন থাকে লাকসাম রেলস্টেশনের পাশে আজমেরী হোটেলে (রেস্তোরাঁ)। আমি একটু কষ্টই পেলাম। যাই হোক, কয়েক বছর পর চট্টগ্রাম যাওয়ার একটা সুযোগ এলো। চট্টগ্রামে যাওয়ার পথে ট্রেন লাকসাম থামলেই আমি নেমে গিয়ে আজমেরী হোটেলের খোঁজে বের করলাম। ম্যানেজারের ডেস্কে যিনি ছিলেন তাকে জিজ্ঞেস করলাম। এখানে কি জামাল নামে কেউ কাজ করে? তিনি বললেন, হ্যাঁ থাকে, বাসায় খেতে গেছে। আমি বললাম, বাসায় কেন, এখানে খায় না?
তারপর লোকটা হেসে বলল, সে নতুন বিয়ে করেছে, তাই বাসায় গিয়েই খায়। খবরটা শুনে আমার ভালো লাগলো, আবার খারাপও লাগলো; আমি ওকে বলেছিলাম পড়াশুনাটা আবার শুরু করতে। যাই হোক। কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে থেকে চলে এলাম নয়তো আবার ট্রেন মিস হবে এই ভেবে।
ব্যস্ততার কারনে জামালের সাথে আর দেখা হয়নি। এখনো মাঝে মাঝে ভাবি লাকসাম গিয়ে জামালের সাথে দেখা করে আসবো; তবে একদিন ঠিকই চলে যাবো। ১৯৯১, ১৯৭০ বা তারও আগে বাংলাদেশে এমন কত জামালের গল্প তৈরী হয়েছে যা পৃথিবীর অন্য কোন দেশে নেই। আমরা কি সেই জামালদের গল্প জানার চেষ্টা করি?
আমার অন্য এক বন্ধুর কথা বলি। আমার বন্ধু মিজান। কর্মসূত্রে সে এখন খুলনা থাকে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের শেষে ২১ মে সকাল বেলা আমি তাকে ফোন করে জিজ্ঞেস করলাম, কি খবর তোদের বন্ধু? সে জবাব দিল, দোস্ত, মনটা খারাপ, সারা রাত কারেন্ট ছিল না, চার্জার লাইটে চার্জ ছিল না, মোমবাতিও শেষ, তাই ভোর রাতে উঠতে পারি নি। আমি বললাম, কেন, ফেসবুকসহ সব সংবাদ মাধ্যমে যে প্রস্তুতি নিয়ে রাখার কথা বলা হচ্ছিল তা কি তুই দেখিস নি?
হুম দেখছিলাম, কিন্তু–।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানে যে ১৬ জন মারা গেছে তাদের প্রায় সবাই হলো আমার বন্ধু মিজানের মতো। এদের জন্য কি করা যায় বলুন তো?
লেখক: প্রধান নির্বাহী, ফুল–পাখি–চাঁদ–নদী রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি ফোরাম।