শুভ যা জেগে থাক, অশুভ দূরে যাক
২৫ মে ২০২০ ১৭:১৬
“সংস্কার মানে মেরামত, উচ্ছেদ নয়। গুরুভারে যে অপরাধ আজ মানুষের অসহ হয়ে উঠেছে তাকেই সুসহ করা; যে যন্ত্র বিকল হয়ে এসেছে মেরামত করে তাকেই সুপ্রতিষ্ঠিত করার যে কৌশল, বোধ হয় তারই নাম শাসন সংস্কার।” – শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (পথের দাবী)।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জাতীয় উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন— ভাষণটি শেষ করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুলের সেই কালজয়ী গানের অংশ পাঠ করে। “ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ / তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে আসমানী তাগিদ।” আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুলের ১২১তম জন্মদিন। ১৯১৮–১৯ সালে সারা পৃথিবীতে স্প্যানিশ ফ্লু (স্প্যানিশ ইনফ্লুয়েঞ্জা) মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে প্রায় ৫ কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। বলা হয়ে থাকে সে সময় বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশেরই মৃত্যু হয়েছিল ওই ভাইরাসে। গত এক শতাব্দীর মধ্যে বাঙ্গালি জাতি দু’বার বিষাদ বেদনা নিয়ে ঈদুল ফিতর পালন করেছে। একবার ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময়, আর এবার মরণঘাতী করোনাকালে।
ঈদুল ফিতর সারাবিশ্বের মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব হলেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশে সকল ধর্ম এবং বর্ণের মানুষ এ উৎসবে সমানভাবে সামিল হয়ে থাকেন। ঈদের আনন্দ সকলে ভাগাভাগি করে উপভোগ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জীবনের কোনো মুহূর্তে আত্মউপলব্ধির আত্মবিশ্বাসের চেতনালব্ধ সহজ সত্যের সরল স্বীকারোক্তিতে কুণ্ঠিত হননি । কবি নজরুল তাঁর ‘রাজবন্দীর জবানবন্দী’তে উল্লেখ করেছিলেন, ‘আমি যে কবি, আমার আত্মা যে সত্যদ্রষ্টা ঋষির আত্মা। আমি অজানা অসীম পূর্ণতা নিয়ে জনগণ করেছি। এ আমার অহংকার নয়, আত্মোপলব্ধির আত্মবিশ্বাসের চেতনালব্ধ সহজ সত্যের সরল স্বীকারোক্তি। ”
স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র একাত্তরের ঈদে প্রচার করেছিল অবরুদ্ধ দেশবাসীর মনের কথা নিয়ে বাঁধা এক গান। ‘চাঁদ তুমি ফিরে যাও, দেখো, মানুষের খুনে খুনে রক্তিম বাংলা,/ রূপসী আচঁল কোথায় রাখবো বলো?’ গীতিকার শহীদুল ইসলামের লেখা এই গান প্রাণ পায় প্রখ্যাত গণসংগীত, শিল্পী সুরকার অজিত রায়ের সুরে। কণ্ঠশিল্পী রুপা ফরহাদ সহ অনেকে এই গানে কণ্ঠ দিয়েছিলেন । ৭১-এ স্বাধীন বাংলা বেতারের সংবাদ বিভাগের দায়িত্বে কামাল লোহানী এই গান সৃষ্টি আর প্রচারের কথা নিয়ে বহুবার পত্রপত্রিকায় তাঁর স্মৃতিচারণ করেছেন।
মুক্তিযুদ্ধে ঈদ পালন করেননি মুক্তিযোদ্ধারা বরং দেশ স্বাধীন করে ‘বিজয়ের ঈদ উৎসব’ পালনের প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। ১৯৭১ সালে ঈদুল ফিতর ছিলো ২০ নভেম্বর। সারাদেশে তখন চলছিল সশস্ত্র যুদ্ধ। সমগ্রজাতিই তখন যুদ্ধে শামিল। এরকম ঈদ মনে হয় জাতির জীবনে আর কখনো আসেনি। আতঙ্ক, দেশ স্বাধীন করার সংকল্প, শরণার্থী শিবিরে অনিশ্চিত জীবন- এসব কিছু ঘিরে ছিলো প্রতিটি মানুষের মন। রণাঙ্গনে ঈদের দিনেও পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধ সশস্ত্র সংগ্রাম চলছিলো। সারাদেশে খণ্ড খণ্ড যুদ্ধ এবং শহীদ হওয়ার ঘটনা ঘটছিলো।
বাংলাদেশের প্রথম সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ তাঁর বিবৃতিতে উল্লেখ করেছিলেন, “আমাদের দেশে এবার ঈদ এসেছে অত্যন্ত মর্মান্তিক পরিবেশে। ঈদের যে আনন্দ আজ আমরা হারিয়েছি, তা আমাদের জীবনে পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে সেদিনই যেদিন আমরা দেশকে শত্রুমুক্ত করব। যথাসর্বস্ব পণ করে যে স্বাধীনতা সংগ্রামে আমরা লিপ্ত, তার চূড়ান্ত সাফল্যের দিনটি নিকটতর হয়ে এসেছে। সেই মুহূর্তটিকে এগিয়ে আনার সংগ্রামে আমরা সকলে যেন নিঃস্বার্থভাবে নিজেদের নিয়োগ করতে পারি এই ঈদে তাই হোক আমাদের প্রার্থনা।”
মুজিবনগর সরকারের সদর দপ্তরের ছোট মাঠে এক অনাড়ম্বর পরিবেশে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীন বাংলা সরকারের পক্ষ থেকে মুজিবনগরে খুব ঘটা করে ঈদুল ফিতর উদযাপনের ব্যাপক প্রচার করা হয়েছিলো স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় সম্পর্কে মুসলিম দেশগুলোর কাছে ফ্যাসিস্ট পাকিস্তানিদের অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি দূর করার জন্যে।
২
পুরো করোনাকালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশ্যে এ পর্যন্ত তিনবার ভাষণ দিয়েছেন। ভাষণ তিনটি ছিলো, ২৫ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে, ১৩ এপ্রিল নববর্ষ উপলক্ষে এবং গতকাল ২৪ মে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে। এছাড়া তিনি অসংখ্য ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়েছেন। দেশের সব জেলার প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, ডাক্তার, নার্স, মসজিদের ইমাম প্রায় সর্বস্তরের মানুষের মানুষের মতামত নিয়েছেন, দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। জাতীয় সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সবার সাথেই মত বিনিময় করে যাচ্ছেন। মাননীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গেও প্রতিদিনই যোগাযোগ করছেন। দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। এই মহাদূর্যোগকালেও জাতির ভরসার প্রতীক পদ্মাসেতুতে একটার পর একটা স্প্যান বসেছে। ২৯ টা স্পান বসানো সম্পন্ন হয়েছে, আর মাত্র ১২টি স্পান বসানো বাকি। উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে কোনোভাবেই থামতে দেননি বঙ্গবন্ধুকন্যা। নববর্ষ উপলক্ষে তিনি ভাষণে বলেছিলেন, করোনা ভাইরাসের যে গভীর আঁধার আমাদের বিশ্বকে গ্রাস করেছে, সে আঁধার ভেদ করে বেরিয়ে আসতে হবে নতুন দিনের সূর্যালোকে। কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের কবিতা থেকে উদ্ধৃত করেছিলেন তিনি-
“মেঘ দেখে কেউ করিসনে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে,
হারা শশীর হারা হাসি, অন্ধকারেই ফিরে আসে। ”
গত বুধবার রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল এবং চট্টগ্রাম বিভাগসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ আঘাত হানে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় গোটা দুনিয়ায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এবারও এই দুর্যোগের সময়ে অতি অল্পসময়ের মধ্যে ২৪ লাখের বেশি মানুষকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। সে কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমে গেছে অনেকটাই। অথচ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতির পরিমাণ তুলনামূলক অনেক বেশী। তারপরেও রাজ্যটি পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে পারেনি। ফলে ক্ষতি হয়েছে অনেক বেশি। বাংলাদেশে আশ্রয়কেন্দ্রের অবকাঠামো আগের তুলনায় অনেক অনেক বেশী বাস্তবভিত্তিক হয়েছে। বাংলাদেশ এক সময় শুধু দুর্যোগ, দুর্বিপাক, মঙ্গাপীড়িত দেশ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিল। এখন বাংলাদেশ আত্মমর্যাদাসম্পন্ন দেশ, খাদ্য রপ্তানিকারক দেশ। চলতি বছরের মার্চ মাসে এই করোনাকালেও চিনের উহান প্রদেশে বিপর্যস্ত অবস্থার সময়ে বাংলাদেশ দ্রুত চিকিৎসা সরঞ্জাম সাহায্য হিসেবে পাঠিয়েছিল।
করোনা সংক্রমণের এই সময়ে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান, স্বাধীনতা দিবস এবং বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানও জনসমাগম এড়িয়ে রেডিও, টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী গতকালের (২৪ মে) ভাষণেও খুবই গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, “সবাইকে আমি ঘরে বসেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করার অনুরোধ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে সামর্থ্যবানদের প্রতি আহ্বান জানাই, এই দুঃসময়ে আপনি আপনার দরিদ্র প্রতিবেশী, গ্রামবাসী বা এলাকাবাসীর কথা ভুলে যাবেন না। আপনার যেটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ান। তাহলেই ঈদের আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে উঠবে আপনার ঘর এবং হৃদয়-মন। ‘তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে আসমানী তাগিদ।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যসহ বিদেশে বসবাসকারী সাড়ে ছয়শোর বেশি বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। প্রধানমন্ত্রী সকলের রুহের মাগফিরাত এবং আত্মার শান্তি কামনা করছেন।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর অমর রচনা পথের দাবীতে লিখেছিলেন, “সংস্কার মানে মেরামত, উচ্ছেদ নয়। গুরুভারে যে অপরাধ আজ মানুষের অসহ হয়ে উঠেছে তাকেই সুসহ করা; যে যন্ত্র বিকল হয়ে এসেছে মেরামত করে তাকেই সুপ্রতিষ্ঠিত করার যে কৌশল, বোধ হয় তারই নাম শাসন সংস্কার।” আমরা অনেকেই সংস্কার সংস্কার বলে চিৎকার করে থাকি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর যখন সবকিছু লণ্ডভণ্ড করার চক্রান্ত হয়েছিল তখন আজ ৩৯ বছর আগে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকে সংস্কারের যাত্রা শুরু। শেখ হাসিনার আগে কেউ ভাবেননি বাংলাদেশে নাসিংয়ে অনার্স কোর্স চালু করতে হবে। এই দুর্যোগের সময়েও জরুরিভিত্তিতে ২ হাজার ডাক্তার এবং ৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছেন।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং উৎপাদন ব্যবস্থাকে পুনরায় সচল করতে সরকার ইতোমধ্যে ১ লাখ ১ হাজার ১১৭ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। যা জিডিপির ৩.৬ শতাংশ। দেশব্যাপী খাদ্য সহায়তা ছাড়াও দেওয়া হচ্ছে নগদ অর্থ। এ পর্যন্ত ১ লাখ ৬২ হাজার ৮৬৭ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৯১ কোটি ৪৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।১০ কেজি টাকা দরে বিক্রির জন্য ৮০ হাজার মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মে মাসে দরিদ্র পরিবারের জন্য অতিরিক্ত ৫০ লাখ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে যার মাধ্যমে তাঁরা এই চাল কিনতে পারবেন। কাজ হারিয়েছেন কিন্তু কোন সহায়তা কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত নন এ ধরনের ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে মোট ১২ শো ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে। কওমি মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের জন্য দুদফায় ১৭ কোটিরও বেশি এবং সারা দেশের মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জিনদের জন্য ১২২ কোটি ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সমাজের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সহায়তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।চলতি মওসুমে ২২.২৫ লাখ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হবে যা গত বছরের তুলনায় ২ লাখ মেট্রিক টন বেশি।ধান কাটা-মাড়াইয়ে সহায়তার জন্য সরকার কৃষকদের ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন্ড হারভেস্টর এবং রীপার সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে। এজন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। মাত্র ৪ শতাংশ সুদে কৃষকদের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বিশেষ তহবিল বাবদ ৫ হাজার কোটি টাকার ঋণসুবিধা কার্যকর করা হয়েছে। যারা কাজে যোগ দিতে পারেননি, তাঁরাও শতকরা ৬০ ভাগ বেতন পাচ্ছেন। ইতোমধ্যে এ প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বেতনভাতা পরিশোধ করা শুরু হয়েছে।
বাংলা নববর্ষের আগের দিন প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছিলেন , “দুর্যোগের সময়ই মনুষ্যত্বের পরীক্ষা হয়। এখনই সময় পরস্পরকে সহায়তা করার, মানবতা প্রদর্শনের। ১৯৭১ সালে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা শত্রুর মোকাবেলা করে বিজয়ী হয়েছি। করোনাভাইরাস মোকাবেলাও একটা যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আপনার দায়িত্ব ঘরে থাকা। সকলের প্রচেষ্টায় আমরা এ যুদ্ধে জয়ী হবো, ইনশাআল্লাহ। ” কাজী নজরুল ইসলামের একটি কবিতার অংশ দিয়ে এই লেখা শেষ করছি ।
“ ঈদ মোবারক, ঈদ মোবারক
দোস্ত দুশমন পর ও আপন
সবার মহলে আজি হউক রওনক ।।
যে আজ দূরে যে আছ কাছে
সবারে আজ মোর সালাম পৌঁছে ,
সবারে আজ মোর পরাণ যাচে
সবারে জানাই এ দিল আশক ।।”
সুভাষ সিংহ রায় : রাজনৈতিক বিশ্লেষক