Monday 25 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কোভিড-১৯; তত্ত্ব, সত্য এবং বাস্তবতা


২৭ মে ২০২০ ১৭:১৯

বাংলাদেশে করোনা সনাক্ত হয় ৮ মার্চ ২০২০। এরপর থেকে লকডাউন শুরু হয় এবং পর্যায়ক্রমে তার মেয়াদ ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পূর্ণ লকডাউনের ধারণা থেকে মূলত এ কার্যক্রম শুরু করা হলেও এর মধ্যে কাঁচাবাজার, জরুরী সার্ভিস এবং পরবর্তীতে কিছু কিছু দোকান/মার্কেট খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাঙালী যেন কিছুতেই মানতে চায় না লকডাউন। উৎসুক জনতা সেনাবাহিনী দেখতেও নাকি রাস্তায় চলে আসে। চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ না শুনে অবাধ চলাফেরা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করায় ক্রমাগত পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা।

বিজ্ঞাপন

অপরদিকে অর্থনীতিবিদরা ভ্রু কুচকিয়ে বলতে লাগলেন, বাংলাদেশের আয়ের দুইটি মূল উৎস রেমিট্যান্স এবং তৈরি পোশাক বা আরএমজি রপ্তানিতে ধস নেমেছে তাই সংগতকারণে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে এভাবে সবকিছু লকডাউন করে রাখলে চলবে না। স্বাভাবিক চলতে দিতে হবে। সাধারন ব্যবসায়ীরা বললেন, দোকান/মার্কেট খুলে দিতে হবে নয়তো কর্মচারীদের বেতনের ব্যবস্থা করতে হবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সর্বপ্রথম গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতনের জন্য ৫০০০ কোটি টাকার প্রনোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। সাথে সাথে বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠলো আর্থিক সহায়তা ও প্রণোদনা নিয়ে। অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে আলাপ-আলোচনা করে বিচক্ষণতার সাথে কৃষিখাতসহ বিভিন্ন খাতে ১ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ও সহায়তা প্যাকেজ ঘোষনা করলেন প্রধানমন্ত্রী। দরিদ্র মানুষের জন্য রিলিফ প্রদানসহ ৫০ লক্ষ পরিবারকে ২৫০০ টাকা করে সরাসরি মোবাইলে ঈদ উপহার পাঠালেন। এরই মধ্যে আসলো ঘূর্ণিঝড় “আম্ফান”, যার প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১১০০ কোটি টাকা।

এদিকে আবার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও রসায়নে নোবেলবিজয়ী মাইকেল লেডিট দিলেন তত্ত্ব, “করোনাভাইরাস মহামারী রোধে লকডাউন করার পদক্ষেপ বিরাট ভূল” সবকিছু চালু রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারলে হার্ড ইমিউনিটি (স্বংক্রিয়ভাবে রোগপ্রতিরোধী হয়ে উঠা) গড়ে উঠবে। এ পদ্ধতিতে কিছু সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হলেও অর্থনীতির চাকা সচল রাখাসহ হার্ড ইমিউনিটি গড়ে উঠে করোনাকে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।

মাইকেল লেডিট আরো বলেন, চীন কিভাবে করোনার হুমকি মোকাবিলা করেছে তা যদি বিশ্ব ভালোভাবে খেয়াল করতো তবে বিভিন্ন দেশ ভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতো না। নোবেলবিজয়ী এ বিজ্ঞানীর মতে, যেসব দেশ বেশি সংখ্যক লোক আক্রান্ত হওয়ার আগে লকডাউন ঘোষণা করেছে- তারা সমাজে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতিসহ হার্ড ইমিউনিটির সুবিধা পাবে না। পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, করোনা (কোভিড-১৯) মোকাবিলার জন্য এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তত্ত্ব হচ্ছে-

বিজ্ঞাপন

ক. পূর্ণ লকডাউন তত্ত্ব
খ. আংশিক লকডাউন তত্ত্ব
গ. হার্ড ইমিউনিটি বা সুইডিশ তত্ত্ব

ক. পূর্ণ লকডাউন তত্ত্ব

সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে মানুষ ঘরে থাকবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নামই হচ্ছে পূর্ণ লকডাউন তত্ত্ব। সত্য: এ পর্যন্ত প্রচলিত তত্ত্বের মধ্যে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মতে, এটাই সবচেয়ে কার্যকরী এবং গ্রহণযোগ্য। এ তত্ত্ব অনুসরণ করে পৃথিবীর অনেক দেশই ভালো ফল পেয়েছে।

বাস্তবতা: বাংলাদেশে পূর্ণ লকডাউন তত্ত্ব বাস্তবায়ন সম্ভব না। কারন ঘনবসতিপূর্ণ রপ্তানিনির্ভর ব্যপক জনগোষ্ঠীকে এর আওতায় আনা যাবে না। করোনা দীর্ঘ স্থায়িত্বের দিকে যাচ্ছে, তাই জীবন জীবিকার প্রয়োজনে এদেশে পূর্ণ লকডাউন তত্ত্ব বাস্তব সম্মত নয়।

খ) আংশিক লকডাউন তত্ত্ব

এ তত্ত্বে কিছু কিছু সেবা এবং অফিস আদালত খোলা থাকে, চলাফেরায় পূর্ণ স্বাধীনতা থাকে না- প্রয়োজন ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়। কিছু কিছু দেশ প্রথম থেকেই এ তত্ত্ব মেনে চলছে এবং কিছু কিছু দেশ স্বাভাবিক মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় এ পদ্ধতি অনুসরণ করছে। তাছাড়া কিছু কিছু দেশ পূর্ণ লকডাউন থেকে এ পদ্ধতিতে চলে এসেছে।

সত্য: এ পদ্ধতিতে কিছুটা হলেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে স্বস্তি পাওয়া যায় এবং এটাকে অনেক দেশই একটি মধ্যপন্থা হিসেবে গ্রহন করেছে।

বাস্তবতা: বাংলাদেশে মূলত অঘোষিতভাবে এ তত্ত্বের আওতায় চলে এসেছে। কিন্তু এতে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা সন্তুষ্ট নন। তাদের মতে, এতে মৃত্যু ও আক্রান্তের ঝুঁকি থেকেই যাবে এবং একসময় তা ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে, তাছাড়া যেভাবে মানুষ ঈদে গণপরিবহন বন্ধ থাকা সত্ত্বেও বাড়িতে গেছে বা যাচ্ছে এবং শপিং করেছে বা করছে তাতে ঝুঁকি ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে সরকারী এবং বেসরকারী প্রায় বেশির ভাগ অফিস বন্ধ রয়েছে। তাছাড়া স্কুল-কলেজ তো বন্ধই। এতে শিক্ষা, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়ছে। ফলে এ তত্ত্বও বাংলাদেশে দীর্ঘ মেয়াদী করোনার প্রকোপে বাস্তবসম্মত হবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া এ পদ্ধতিতে হার্ড ইমিউনিটিও তৈরি হবে না।

গ) হার্ড ইমিউনিটি বা সুইডিশ তত্ত্ব

পৃথিবীতে এ পর্যন্ত যতগুলো মহামারী এসেছে তা একটি নির্দিষ্ট সময় পর আপনাআপনি নিশ্চিহ্ন হয়েছে। তবে সেসব থেকে বাঁচার জন্য বিজ্ঞানীরা ঔষধ ও ভ্যাকসিন (টিকা) আবিস্কার করেছে। করোনার ঔষধ হিসেবে এখন বাজারে কিছু ঔষধ আছে এবং পূর্ণ পরীক্ষিত না হলেও ব্যবহৃত হচ্ছে। তাছাড়া ভ্যাকসিন আবিস্কারের জন্য পৃথিবীর অন্তত এক ডজন দেশের বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন। করোনার ভ্যাকসিন আসতে এবং তা পৃথিবীর সব আক্রান্ত লোকের কাছে পৌঁছাতে দেরি হলে হার্ড ইমিউনিটি তত্ত্ব কার্যকর তত্ত্ব হিসেবে মেনে নিতে হবে। মূলত এ ধারণা থেকে সুইডেনসহ বিশ্বের অনেকগুলো দেশ সুফল পাওয়ার আশায় কাজ করছে। এর মূল কথা হচ্ছে এ ভাইরাস মানবদেহে ক্রমাগত সংক্রমনের ফলে কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলবে এবং মানবদেহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করোনা প্রতিরোধী হয়ে উঠবে।

সত্য: সুইডেনসহ অনেক দেশ এ পদ্ধতি অনুসরণ করে সুফল পেয়েছে। সেসব দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক জীবনযাপন পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে। তবে এটি সব দেশে একইভাবে কার্যকরি হবে কি না এবং হার্ড ইমিউনিটি সিস্টেম গড়ে উঠার জন্য কি পরিমান সংক্রামণ ও মানুষের মৃত্যু হবে তার সুনির্দিষ্ট কোন পরিসংখ্যান এখনও তৈরি হয়নি।

বাস্তবতা: করোনাভাইরাসের অবস্থান দীর্ঘমেয়াদী হলে পৃথিবীকে সচল রাখতে হার্ড ইমিউনিটির কোন বিকল্প এই মুহূর্তে নেই, বিশেষ করে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য। লকডাউনের মধ্যে উন্নত দেশগুলো তাদের নাগরিকদের জন্য চেকের মাধ্যমে প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে অর্থসহায়তা এবং প্রয়োজনবোধে প্রসেসড ফুড সরবরাহ করেছে। বাংলাদেশের পক্ষে তা বাস্তবসম্মত নয়। দ্বিতীয়ত, প্রণোদনাসহ বর্তমানে যে রিলিফ অপারেশন চলছে সেখানেও সীমাবদ্ধতা আছে। অর্থনীতি এবং ব্যবসা-বাণিজ্য চলে একটা চেইন থেকেই অর্থাৎ একটি আরেকটির উপর নির্ভরশীল। ১৮ কোটি মানুষকে যেমনভাবে লকডাউন করে রাখা দীর্ঘদিন সম্ভব নয় তেমনি হার্ড ইমিউনিটি কতটা কার্যকর হবে তাও বিবেচ্য।

পর্যালোচনা: যারা তত্ত্ব প্রদান করেন বা বিশেষজ্ঞ মতামত দেন তার সত্যতা নির্ভর করে ঐ তত্ত্বের প্রয়োগের ক্ষেত্রের উপর কিন্তু তার বাইরেও যে বিবেচ্য বিষয় আছে তা দেখতে হয় রাষ্ট্রকে। একজন সরকার প্রধানকে তত্ত্ব ও তথ্যগুলো বাস্তবতার নিরীক্ষে ওভারভিউ দিয়ে দেখতে হয়। তাকে জীবন ও জীবিকার কঠিন সমীকরণে সম্পদ, সামর্থ্য, অভ্যন্তরীণ এবং বহির্বিশ্ব পরিস্থিতি, অর্থনীতি, সামাজিক অবস্থা সর্বোপরি দেশের বাস্তবতা বিবেচনা করে সিদ্ধ্বান্ত নিতে হয়।

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশনেত্রী শেখ হাসিনা দেশের বাস্তব অবস্থা পর্যালোচনা করে অবিচল আস্থা, দৃঢ়তা এবং পরম মমতায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি সার্বক্ষনিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছেন, ভিডিও কনফারেন্স করে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন, প্রণোদনা ঘোষণা দিচ্ছেন, কৃষিতে ভর্তুকি দিচ্ছেন, আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রাখছেন, ৩১ দফা নির্দেশনা দিয়েছেন।

দেশনেত্রী শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক। শেখ হাসিনার সাহসই আমাদের ভরসা। বাস্তব অবস্থা পর্যালোচনা করে তিনি কখনও কঠিন আবার কখনও ছাড় দিচ্ছেন। তত্ত্ব প্রদানকারী বিশেষজ্ঞেরা অনেক সময় এ সকল সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষন করতে পারছেন না এবং বক্তব্যও দিচ্ছেন। তাদের দৃষ্টিতে হয়তো সেটিই সত্য। কিন্তু ৫৪ হাজার বর্গমাইলের ছোট একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশের মানুষের জন্য একটি সিদ্ধান্ত নিতে হলে সরকার প্রধানকে অনেক কিছু বিবেচনায় নিয়েই করতে হয়। ২০২৩ সালের মধ্যে এসডিজির (SDG) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে স্থায়ীভাবে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতেই হবে। সরকার সে পথেই চলতে যাচ্ছে।

জীবন ও জীবিকার সাথে সমাজের এবং অর্থনীতির চাকা সচল করতে অফিস-আদালত, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে হার্ড ইমিউনিটির দিকে যাওয়ার ঝুঁকিও আছে। কারন হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের জন্য কি পরিমান মানুষ সংক্রমিত হবে এবং মারা যাবে সেটি একটি বিবেচ্য বিষয়। দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে এটি কিভাবে কাজ করবে সেটি নিশ্চিত নয়। তৃতীয়ত, এ পদ্ধতিতে ঘনবসতিপূর্ণ এদেশে বহু সংখ্যক লোক আক্রান্ত ও মৃত্যুবরণ করলে যে পরিস্থিতির উদ্ভব হবে তা মোকাবিলায় পূর্ণ প্রস্তুতি থাকতে হবে।

তবে আশার কথা হচ্ছে, চীনের প্রেসিডেন্ট আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করে বিশেষজ্ঞ পাঠানোর কথা বলেছেন। ভারত, বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রশিক্ষণ ও সহায়তার জন্য “র‌্যাপিড রেসপন্স টিম” গঠন করেছে এবং ইতিমধ্যে ঔষধসহ সুরক্ষা সামগ্রী পাঠিয়েছে। বাংলাদেশে ভেষজ এবং স্থানীয় যে চিকিৎসা পদ্ধতি আছে তাও ইতোমধ্যে বেশ কার্যকরি বলে প্রমাণিত হয়েছে। তাছাড়া করোনা প্রতিরোধে এদেশে কিছু কিছু ঔষধ বাজারে আছে। করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করেছে জাতিসংঘও।

করোনা বদলে দিয়েছে পৃথিবীকে। করোনা অনেক ক্ষতির মধ্যেও পরিবেশের জন্য ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কোন তত্ত্ব ও পদ্ধতি বাংলাদেশে গ্রহন করা হবে- সে বিষয়ে সরকারপ্রধান হিসেবে গণতন্ত্রের মানসকন্যা এদেশের মানুষের শেষ ভরসাস্থল, আস্থার প্রতীক, অদম্য সাহসী নির্ভীক জননেত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সিদ্ধান্তই গ্রহন করবেন, এটা এদেশের সকল মানুষ মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে। এক্ষেত্রে শুধু প্রয়োজন হবে মানুষের সহযোগিতা। এ সহযোগিতা স্বাস্থ্যবিধি মানার, ধৈর্য্য ধারণ করার, গুজবে কান না দেয়ার এবং দেশনেত্রীর উপর আস্থা ও ভরসা রাখার সহযোগিতা।

বাংলাদেশে করোনা মোকাবিলায় ফ্রন্টলাইন যোদ্ধা চিকিৎসক, পুলিশ, প্রশাসন ও একটিভ জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানাই। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সকল ফ্রন্টলাইন মূল যোদ্ধাদের যোদ্ধা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত প্রযুক্তির বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অসীম সাহস নিয়ে নেতৃত্ব দিয়ে চলছেন। তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে এদেশ আবার ঘুরে দাঁড়াতে ও বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হতে সক্ষম হবে।

লেখক: সাবেক সচিব ও যুগ্ম আহবায়ক, সম্প্রীতি বাংলাদেশ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর