গবেষণা, ব্যবসায়িক পরিবেশ এবং বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
১ জুন ২০২০ ১৯:১৫
‘রাইট ট্র্যাক’ কথাটার সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। কোন লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে আমরা ‘রাইট ট্র্যাকে’ বা সঠিক পথে চলি। এই ‘রাইট ট্র্যাক’ অনেক চ্যালেন্জিং হলেও এটাই সঠিক এবং সংক্ষিপ্ত। সঠিক পথের এই জ্ঞান বা সদুপদেশ অবশ্য এখন অনেককেই দেওয়া ঠিক হবে না। কারণ আমরা এখন অনেকেই অনেক কিছু জানি। সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুকলেই তা বোঝা যায়। কিন্তু সে জানাটা আমরা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারছিনা। তার মানে হলো আমরা ‘রাইট ট্র্যাকে’ নাই।
ব্যক্তিগত পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতায় বলি, আয়নার যেমন উল্টোপিঠ আছে, তেমনি ‘জানার দিক’ থেকে বলতে গেলে বাংলাদেশিদের উল্টোদিকে আছে চীনারা। চাইনিজরা ব্যক্তি পর্যায়ে আমাদের মতো এতো জ্ঞানী না। কিন্তু সঠিক রাষ্ট্রীয় অভিভাবকতায় যতটুকু জানে তা কাজে লাগাতে পারে। তার মানে তারা ‘রাইট ট্র্যাকে’ আছে। আমাদের পাশেই ভারতীয়রাও অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের চেয়ে কম জানে। তুলনামূলক ভালো নেতৃত্ব আর দেশপ্রেমের কারণে তারা অনেকটাই ‘রাইট ট্র্যাকে’ আছে আর এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং, আমরা যা জানি তা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই হলো ‘রাইট ট্র্যাক’। একটু পরিপক্ক চিন্তা এবং গবেষনা সুনির্দিষ্টভাবে বলে দেবে কিভাবে আমাদের জানাটাকে আমরা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারব। আর উন্নয়নের এই পরিবেশটাকেই বলা হয় ব্যবসায়িক পরিবেশ।
রাজনীতি এবং ব্যবসার নেতিবাচক ক্যাম্পেইন:
বহুকাল ধরেই আমজনতার কাছে ‘পলিটিক্স বা রাজনীতি’ মানেই খারাপ কিছু! রাজনীতিতে ভালো কিছু হলে আমাদের বিশেষভাবে ‘ভাল রাজনীতি’ শব্দগুচ্ছ বলতে হয়। ‘রাজনীতি’ শব্দটাই যেন হয়ে গেছে অপরাজনীতির সমার্থক। কিন্তু ‘রাজনীতি’ যে সত্যি ভালো কিছু তা দীর্ঘকালের অপরাজনৈতিক পরিস্থিতি আমাদের ভুলিয়ে দিয়েছে। ঠিক একইভাবে আমরা আমজনতা আরও কিছু ভালো শব্দকে সরাসরি নেতিবাচক অর্থে বোঝাই। এর মধ্যে ‘বিজনেস’, ‘কমার্শিয়াল’, ‘প্রফেশনাল’ শব্দত্রয় বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। যেমন- আমাদের মধ্যে কেউ একটু কৌশলি আচরণ করলেই আমরা তাকে ‘পলিটিশিয়ান’ বলে সম্বোধন করি। কেউ যখন নিজের সুবিধাকে বেশী প্রাধান্য দেয় তখন তাকে খুউব ‘বিজনেসম্যান’ হয়ে গেছ বলি। একটু হিসেবী হলে বা টাকাপয়সার কথা বেশী বললে ‘কমার্শিয়াল’ বলি। আবার কেউ যখন নিজেকে নিয়ে একটু বেশী ব্যস্ত থাকে তখন তাকে বলি খুব ‘প্রফেশনাল’ হয়ে গেছ। আর আমরা নিছক আঁতলামি করে বলি, ‘আমি গবেষক হতে চাই এন্ড আই হেইট বিজনেস’।
জীবনের লক্ষ্য এবং বিজনেস:
ব্যবসার নেতিবাচক দিকগুলো ভাবতে ভাবতে একটা প্রজন্ম জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণে নিজেকে ব্যবসার অংশ বা ব্যবসায়ী হিসেবে ভাবতে পাপবোধে ভুগছে। কোনো কিছু বিনিয়োগ করে মুনাফা করার হিসেবে যেতে চায় না। ডাক্তারী, ইঞ্জিনিয়ারিং বা বিসিএসকে তারা ছাপোষা চাকরি হিসেবে নিচ্ছে। মেধা বিনিয়োগের তত্ত্ব শিখছে না। স্বাস্থ্যসেবা, প্রকৌশল, প্রযুক্তি, ফলিত বা সফিস্টিকেটেড আরও সব বিষয় নিয়ে যারা পড়াশোনা করছে তাঁরা জীবনের লক্ষ্য হিসেবে মানুষের জন্য বড় কিছু করতে চায়। কিন্তু কীভাবে সেটা অর্জিত হবে তার কোন রোডম্যাপ নির্ণয় করতে পারে না। তাঁর এই মানুষের জন্য কিছু করাটা কিভাবে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পাবে, ব্যবসা কিভাবে তাঁর লক্ষ্য অর্জনের ‘রাইট ট্র্যাক’টাকে নিয়ন্ত্রণ করে তা ভেবে দেখে না। ক্যারিয়ারে টাকার গুরুত্ব তাঁরা ঠিকই বুঝতে পারেন কিন্তু ‘বিজনেস প্রসেস চ্যানেল’ বা ‘মানি ফ্লো’ তাঁরা সে বুঝতে চান না বা গভীরে যেতে চান না। কোম্পানীর ব্যবসা বাড়িয়ে নিজের অবদানের স্বীকৃতি অর্জনে যুক্তিতে যেতে পারেন না। সর্বোপরি নিজের মেধার মূল্য নির্ধারণ করতে পারেন না।
এর জন্য দায়ী দীর্ঘদিনের মধ্যবিত্ত ব্যবসায় ধারা। এটাকে আমরা সামগ্রিক ব্যবসার পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় আমাদের চলমান প্রথা বা সিস্টেমের ব্যর্থতা বলতে পারি। আর সেজন্যই যারা ভালো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন না তারাই নিজেরা নিজেদের মধ্যে ব্যবসায়িক মানসিকতার প্রচার করে ব্যবসার চেষ্টা করছে। ঠেকে ঠেকে শিখে একসময় টিকে যাচ্ছেন এবং ভালো করছেন। তারাই পরবর্তিতে সমাজে স্বীকৃত ভালো মেধার লোকদের কাজ দিচ্ছেন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্রটিও আজ খেলাপী ঋন আর রাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের মাধ্যমে ব্যবসায়িকভাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া ব্যক্তির নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। নিয়ন্ত্রণে বলছি এই কারণে যে তাঁরা মেধা বিনিয়োগের ব্যবসাও বোঝেন না। ছাপোষা বেতনভূক্ত হয়ে কাজ করে যান কেবল।
অর্থ বিনিয়োগ, মেধা বিনিয়োগ এবং ব্যবসা:
পারিবারিক, সামাজিক এবং জাতীয় পর্যায়ে ব্যবসা বলতে কেবল অর্থ বিনিয়োগটাকেই বেশী প্রচার করা হচ্ছে। ব্যবসায় শুধু টাকা নয় এর সাথে মেধাও বিনিয়োগ করতে হয়, সেটা আমরা প্রচার করছি না। সেটাকে সরাসরি চাকরি হিসেবে প্রচার করছি। এহেন চিন্তা আমাদেরকে ‘রাইট ট্র্যাক’ থেকে সরিয়ে নিচ্ছে। যখনি বিনিয়োগ শব্দটাকে অর্থ লগ্নিকারীর মনোপলি করে দিচ্ছি তখনই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ‘দাস উৎপাদনের কারখানা’ হিসেবে ঘোষনা করে দিচ্ছি। এর পরবর্তী প্রভাব হিসেবে ব্যবসা অর্থ লগ্নিকারীর নিয়ন্ত্রণে গিয়ে তা হয়ে যাচ্ছে স্বল্প মেয়াদী ব্যবসা এবং নিম্নমানের পণ্যে বাজার ভরে যাচ্ছে।
আবার যেসব অর্থ বিনিয়োগকারীরা মেধা বিনিয়োগে উৎসাহী করছে তাঁরাও হতাশ হয়ে যাচ্ছেন। কারণ অর্থলগ্নিকারীদের দীর্ঘদিনের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেদিকেই ঝুঁকে আছে। তাই তাদের মেধার সঠিক মূল্য দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও তারা সঠিক সময়ে সঠিক মেধা পাচ্ছেন না। তাঁদের একটা সময় যাচ্ছে কর্মীদের প্রশিক্ষণে এবং তারা অনেক চেষ্টা করছেন তাদের ব্যবসাকে সঠিক ধারায় আনতে। এখানেও একটা সময় পর দুপক্ষের মধ্যে বোঝাপড়ায় সমস্যা হচ্ছে। প্রতিশ্রুতি কাজ করছে না। তাই এখান থেকে ঠেকে পরে এই অর্থলগ্নিকারীরা পরবর্তিতে মেধা লগ্নিকারীদের সঠিক মূল্য দিতে নিরুৎসাহিত বোধ করছেন এবং ব্যবসা প্রক্রিয়ায় ধীর অভিযোজনকে শিক্ষা ব্যাবস্থার দুর্বলতা হিসেবে দেখছেন। আর শিক্ষা ব্যবস্থার এই দূর্বলতাটাই হলো আজকের গবেষনা বিবর্জিত দাসত্ববাদী শিক্ষাব্যাবস্থা। এ কারণেই সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে না। ভারসাম্য হচ্ছে না। কখনই অর্থ লগ্নিকারী আর মেধা লগ্নিকারীদের মধ্যে ‘উইন উইন সিচুয়েশন’ তৈরী হচ্ছে না।
প্রতিষ্ঠানগুলো গবেষনানির্ভর নতুন নতুন পেটেন্ট প্রোডাক্ট বা সেবা না দিয়ে কেবল কপি পেস্ট করে যাচ্ছে। অর্থনীতি বুদ্ধিবৃত্তিক গবেষনা নির্ভর না হয়ে শরীরবৃত্তিক সস্তা শ্রম নির্ভর শুধুমাত্র রেডিমেড গার্মেন্টস অথবা ফরেন রেমিটেন্স নির্ভর হয়ে পড়ছে। স্বল্প মেয়াদী অদূরদর্শী নিন্মমানের পন্য বা সেবার ব্যবসায়ীরা বেশী লাভের লোভে হিসাব মেলাতে না পেরে কর্মীদের ঠকিয়ে দিচ্ছেন।
মাইক্রোসফট, গুগল যখন সপ্তাহে চারদিন কাজ করার পরিকল্পনা করছে আমরা তখন ভাবছি সপ্তাহে আট দিন হলে ভালো হতো। তৈরী হচ্ছে অনেক টানাপোড়েন, যার কারণে প্রভু-ভৃত্যের সম্পর্ক ফুটে উঠছে। জন্ম নিচ্ছে অনেক কৌশলগত বিরোধ। ‘উইন উইন সিচুয়েশন’ তৈরী হচ্ছে না বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোম্পানীর মধ্যেও। সঠিক ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিত হচ্ছে না।
গবেষণার অবাণিজ্যিকীকরণ:
বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু এর বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য না থাকায় তা কৌতূহলোদ্দীপক হচ্ছে না, ফলে এর সম্প্রসারণও হচ্ছে না। উল্টো দিন দিন কমে যাচ্ছে গবেষণার সংখ্যা। পেটেন্ট বিক্রি করে টাকা কামানোর মজাটা কেউ নিতে পারছেন না। যিনি যে বিষয়ে গ্র্যাজুয়েশন করছেন, তিনি সে বিষয়ের উদ্দেশ্য না জেনেই একটা চাকরিকেই উদ্দেশ্য হিসেবে ধরে নিচ্ছেন। তাই অনেক কষ্ট করে একটা চাকরি জোগাড় হলেই চাকরিটাকেই জীবন মনে করে কাটিয়ে দিচ্ছেন অনেকে। এমনকি চাকরি করতে গিয়ে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না। ফলে নষ্ট হচ্ছে পারিবারিক সম্পর্ক। যুক্তরাষ্ট্র যখন বছরে শুধুমাত্র বিশেষায়িত গবেষণা খাত ফার্মাসিউটিক্যালস রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্টে ৮০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছে (সুত্র: স্ট্যাটিস্টা ডটকম) তখন আমরা ১০ হাজার টাকা বেতনের চাকরির পেছনে ঘুরে বেড়ানোর সিস্টেম তৈরি করে রেখেছি। এভাবে চলতে থাকলে পেটেন্ট বিক্রির মজা আমরা কোনদিনও পাবোনা। ‘কপি পেস্ট’ নির্ভর ব্যবসা বাড়িয়েই যাব।
বিল গেটস, মার্ক জাকারবার্গ অথবা জ্যাক মা যে সেবা দিয়ে ব্যক্তি, জাতীয় বা আন্তর্জাতিকপর্যায়ে ব্যবসায়িক এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে সক্ষমতা দেখিয়ে যাচ্ছেন তার ফল আমরাও ভোগ করছি। আমাদের টাকাও তাদের পকেটে যাচ্ছে। ভারতের হাসপাতালগুলো আমাদের হাসপাতালের চেয়ে উন্নততর সেবা দিয়ে আমাদের কাছ থেকে অনেক টাকা তুলে নিচ্ছে। থাইল্যান্ড বা সিঙ্গাপুরের হাসপাতালগুলোকেও আমরা অনেক ব্যবসা দিচ্ছি। হাই- টেক ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেশিনারিজ, কাঁচামাল কিনে আমরা চীন, কোরিয়া, ইতালি, জার্মানীকে অনেক টাকা দিয়ে দিচ্ছি।
আমরা অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক মানের পণ্য বা সেবা দিয়ে আমাদের অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। পন্য এবং সেবার মান নিয়ে আমাদের গবেষনা কতদূর হচ্ছে তা আমাদের স্বাস্থ্যসেবার দিকে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে। বাস্তববুদ্ধিসম্পন্ন হাই-টেক যন্ত্রপাতি আমরা দেশে তৈরী করতে পারছি না। আমদানীনির্ভর হয়েই থেকে যাচ্ছি। যারা বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে সিভিল সার্ভিসে যোগ দিচ্ছি তারা সরকারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোতে গবেষনানির্ভর কাঠামো গড়ে তোলার ব্যাপারেও কাজ করছি না। করোনাভাইরাস ইস্যুতে এর অনেক প্রমাণ কিন্তু আমরা দেখেছি। হাসপাতালের আইসিইউতে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টের মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করতে গিয়েই হাবুডুবু খাচ্ছি। মন খারাপ করছি হাসপাতালে প্রযুক্তিনির্ভর গবেষনালব্ধ জ্ঞানের কোন প্রাতিষ্ঠানিক রুপ না দেখতে পেয়ে।
সরকার এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ:
আমরা প্রায় শুনে থাকি বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং বাংলাদেশ বিমান বছর বছর লোকসান করেই যাচ্ছে। এর অর্থ হলো সরকারও ব্যবসা করে এবং সেসব ব্যবসায় আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি। সরকার ব্যবস্থাপনায় অর্থপ্রবাহ কী তা আমরা প্রতি বছর বাজেটে দেখতে পাই। আমরা প্রায়শই সরকারের ব্যবসায়িক সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলি। সেবার মান খারাপ তাই মুনাফা কম। সরকারকে ভর্তুকি দিয়ে চালাতে হয়। এটা সত্য যে, সরকারকেও ব্যবসা বুঝতে হয় এবং করতে হয়। শুধুই কি বুঝতে হয়? না, অনেক বেশি বুঝতে হয়। কারণ যেসব পদ্ধতি, অবকাঠামো, গবেষনা বা যে সামগ্রিক ব্যবসায়িক পরিবেশের কথা বললাম তার নিয়ন্ত্রক হলো সরকার। এটাই কাম্য যে, সরকার পক্ষপাতবিহীনভাবে অর্থলগ্নিকারী আর মেধালগ্নিকারী দুপক্ষকেই সুষমভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে।
আজকের বাস্তবতায় সরকারকে গবেষনা বুঝতে হবে, ‘রাইট ট্র্যাক’ বুঝতে হবে, ব্যবসায়িক পরিবেশ বুঝতে হবে এবং নির্দেশনা দিতে হবে। কোথায়, কখন বিনিয়োগ করতে হবে তা বুঝতে হবে, জনগনকে বোঝাতে হবে। বোঝানোর জন্যই শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে হবে। ব্যবসাবান্ধব করতে হবে। পণ্য ও সেবার মান বাড়াতে যত রকম গবেষনা আছে তা করার ব্যবস্থা করতে হবে। বাজেটে গবেষণা খাতে বরাদ্দ রাখতে হবে। সে টাকা দিয়ে সত্যিকারের গবেষনা হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে হবে। সেবা আর পন্যের মান বাড়িয়ে দিয়ে ঘরের টাকা ঘরেই রাখতে হবে। অন্য অনেক দেশের মতোই গবেষণা ও সঠিক পরিবেশ তৈরির এই জায়গাটাতে সরকারকে কর্তা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। এজন্য দরকার সরকারের নিরবচ্ছিন্ন মনোযোগ। এগুলো বাস্তবায়িত হলে দেশ ও আমজনতা ‘রাইট ট্রাকে’ থাকবে আর জনগণের কাছে ‘পলিটিক্স বা রাজনীতি’র আসল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য অর্জিত হবে।
লেখক: ফার্মাসিস্ট