আবার ফিরে এসেছিলেন তিনি, গণতন্ত্রের নবযাত্রায়
১১ জুন ২০২০ ১৫:৪২
২০০৮ সালের ১১ জুন। এই দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কারামুক্তি লাভ করেন। সেদিনটিতে শুধু শেখ হাসিনাই মুক্তি পাননি, নতুনভাবে, নতুন রূপে মুক্তি পেয়েছিল বাঙালীর গণতন্ত্র। অন্ধকার থেকে নতুন ভাবে আলোয় ফেরার দিন এই ১১ই জুন। আবার ফিরে এসেছিলেন তিনি, গণতন্ত্রের নবযাত্রায়।
দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন সংসদ ভবন চত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। সেনা সমর্থিত ১/১১-এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই মিথ্যা মামলায় অযৌক্তিকভাবে গ্রেফতার করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে। সেসময় তাকে গ্রেপ্তার করাটাও ছিল গভীর এক ষড়যন্ত্রের অংশ।
১৬ জুলাই ২০০৭, সোমবার, ভোর ৬টায় শ্রাবণের প্রবল বর্ষণের মধ্যে সুধাসদনে প্রবেশ করে যৌথবাহিনী। সকাল ৭টা ৩২ মিনিটে যৌথবাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করে সুধাসদন থেকে। বঙ্গবন্ধুকন্যা এর মধ্যে ফজরের নামাজ আদায় করেন। সাদা শাড়ি পরিহিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে নিয়ে গাড়ির বহর হাজির হয় ঢাকার সিএমএম আদালতে। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার প্রচলিত নিয়মের তোয়াক্কা না করে আদালত বসার ঘণ্টা দুয়েক বাকি থাকতেই জামিন নামঞ্জুর করে সংসদ ভবনের সাব-জেলে প্রেরণ করে দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে। সেদিনটিতে সিএমএম কোর্টে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা, আইনি ভাষায় ৩৬ মিনিট বক্তব্য রাখেন।
গ্রেফতারের পূর্ব-মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে যান। দেশ ও জাতির সংকট মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুকন্যার ওই চিঠিটি গণতন্ত্রকামী মানুষের মধ্যে নতুন আশার আলো সঞ্চার করে। উজ্জীবিত হয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। সমসাময়িককালের রাজনৈতিক ইতিহাসে শেখ হাসিনার চিঠিটি একটি অমূল্য দলিল। চিঠিতে শেখ হাসিনা দেশবাসীর প্রতি তার আস্থার কথা যেমন ব্যক্ত করেছেন, তেমনি গণতন্ত্রের দুঃসময়ে নেতা-কর্মীদের কি করণীয় তাও সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। চিঠিটার ভাষা ছিল এরকম-
“প্রিয় দেশবাসী,
সালাম নিবেন। আমাকে সরকার গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। কোথায় জানি না। আমি আপনাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ও অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যেই সারাজীবন সংগ্রাম করেছি। জীবনে কোনো অন্যায় করিনি। তারপরও মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। উপরে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ও পাশে আপনারা দেশবাসী, আপনাদের উপর আমার ভরসা। আমার প্রিয় দেশবাসী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কাছে আবেদন কখনও মনোবল হারাবেন না। অন্যায়ের প্রতিবাদ করবেন। যে যেভাবে আছেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। মাথা নত করবেন না। সত্যের জয় হবেই। আমি আছি আপনাদের সাথে, আমৃত্যু থাকব। আমার ভাগ্যে যাহাই ঘটুক না কেন আপনারা বাংলার জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যান। জয় জনগণের হবেই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বই। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাবোই।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে বড় পরিবর্তনগুলোর একটি ঘটেছিল ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি। সেই দিনে দেশে জারি হয় জরুরি অবস্থা। পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আবরণে গঠিত হয় সেনা নিয়ন্ত্রিত ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার’। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার সে সময়ে দুর্নীতির মামলায় বহু রাজনৈতিক নেতা ও ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন। চেষ্টা করেন এদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে ফেলার। কিন্তু চাইলেই কি দীর্ঘদিনের সংগ্রামের গৌরবময় ইতিহাসের গণতন্ত্রকে বাক্স বন্দী করে ফেলা যায়?
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যাকে দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে আসতে হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার রাজনীতিতে অভিষেকে যেমন তার জন্য সুখকর অভিজ্ঞতা ছিল না, তেমনি মসৃণ নয় তার রাজনৈতিক চলার পথটিও। জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়েছে অসংখ্যবার। কিন্তু জনগণের আস্থা নিয়ে রাজনৈতিক কল্যাণের যে পথযাত্রা তিনি শুরু করেছিলেন, তা থেকে তিনি আজ অবধি বিচ্যুত হননি। তার দীর্ঘ রাজনৈতিক যাত্রাটি একেবারেই কুসুমাস্তীর্ণ বলা যাবে না। বরং কণ্টকাকীর্ণ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের সকল আপনজনদের হারিয়েও স্বদেশে ফিরতে পারেননি তিনি। ১৯৮১ সালে শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে ফিরে দাঁড়িয়েছেন অধিকারবঞ্চিত মানুষের পাশে। দেশে ফিরে আসার পরও ছায়ার মতো তাকে অনুসরণ করেছে ঘাতক। তার এই পথ চলায় তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে অসংখ্যবার।
১৯৮১ সালে ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সময় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০ বার হামলা চালায় ঘাতকরা। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতিকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথম সশস্ত্র হামলা হয় ঢাকায় সচিবালয়ের সামনে। দ্বিতীয় হামলা হয় ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি, চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে মিছিল করে জনসভাস্থলে যাওয়ার পথে শেখ হাসিনার ট্রাক মিছিলে। পরের হামলাটি হয় ১৯৮৯ সালের ১০ আগস্ট মধ্যরাতে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের গড়া দল ফ্রিডম পার্টির অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এরপর ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর চতুর্থ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনের সময় ধানমন্ডির গ্রিন রোডের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। একই বছর ২৭ সেপ্টেম্বর লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর খুনি ডালিমসহ অন্যরা শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
পরের হত্যাচেষ্টা হয় ১৯৯৪ সালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে ট্রেনমার্চ করার সময় পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে। এ সময় শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনের বগি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ১৯৯৫ সালের মার্চে রাজধানীর পান্থপথে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বোমা হামলা চালানো হয়। একই বছরের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর শেখ রাসেল স্কয়ারের কাছে সমাবেশে ভাষণদানরত অবস্থায় শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়।
১৯৯৬ সালের ৭ মার্চ সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে শেখ হাসিনার বক্তৃতার পর হঠাৎ একটি মাইক্রোবাস থেকে সভামঞ্চ লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করা হয়। ২০০০ সালের ২০ জুলাই শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে জঙ্গিরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয় মাঠের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখে। উল্লেখ্য, ২২শে জুলাই সেখানে শেখ হাসিনার জনসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। ২০০১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে শেখ হাসিনা নির্বাচনী জনসভা করতে সিলেটে গেলে সেখানে বোমা পুঁতে রেখে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা। পরের হত্যাচেষ্টা হয় ২০০১ সালের ৩০ মে। ২০০২ সালের ৪ মার্চ নওগাঁয় বিএমসি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। ২০০২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা সাতক্ষীরার কলারোয়ার রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে শেখ হাসিনার ওপর হামলা চালায়।
২০০৩ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিএনপি অফিসের সামনে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। ২০০৪ সালের ২ এপ্রিল বরিশালের গৌরনদীতে তার গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ করে দুর্বৃত্তরা। এসব হামলার মধ্যে বোমা ও গুলিবর্ষণের ১৪টি ঘটনা রয়েছে। তবে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ও ন্যক্কারজনক গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে রাখা হয়েছিল জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় স্থাপিত বিশেষ সাবজেলে। সেই সময় খাবারে ক্রমাগত বিষ মিশিয়ে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। ২০১১ সালে শ্রীলংকার একটি সন্ত্রাসবাদী গ্রুপের সঙ্গে বাংলাদেশের শত্রুরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র সুইসাইড স্কোয়াড গঠন করে শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য চুক্তি করে এবং সে জন্য আগাম টাকাও প্রদান করা হয়।
ওই বছরের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করার লক্ষ্যে একটি সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যা পরে ব্যর্থ হয়ে যায়।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার সময়ে কাওরান বাজারে তার গাড়িবহরে বোমা হামলার চেষ্টা চালায় জেএমবি। এতকিছুর পরেও নিজেকে উৎসর্গ করে এই দেশের মানুষেরই সেবা করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।
১৯৮৬ সালের নির্বাচনে তিনি সংসদে প্রথমবারের মতো সদস্য নির্বাচিত হন। বসেন বিরোধীদলীয় নেত্রীর আসনে। জনস্বার্থে ১৯৮৮ সালে পদত্যাগ করলেন। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হয়ে দেশে ফিরে আসার পর থেকে ১৯৮৩, ১৯৮৫, ১৯৯০ ও সর্বশেষ ২০০৭ সালে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। শেখ হাসিনার চলার পথটা সহজ ছিল না কোনোদিনই। কবিগুরুর ভাষায়, মানুষের দায় মহামানবের দায়, কোথাও সীমা নেই। অন্তহীন সাধনার ক্ষেত্রে তার বাস।
১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন্নেসার ঘরে জন্ম নেওয়া বড় সন্তান আমাদের আশার বাতিঘর শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের দীর্ঘস্থায়ী নারী সরকার প্রধান আমাদের এই দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বিশ্বের সৎ নেতৃত্বের তালিকায় এই বাতিঘরের অবস্থান এখন ৩য়। বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স’ এর গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছিল গত বছর।
পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স, বিশ্বের ৫ জন সরকার রাষ্ট্রপ্রধানকে চিহ্নিত করেছেন, যাদের দুর্নীতি স্পর্শ করেনি, বিদেশে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, উল্লেখ করার মতো কোনো সম্পদও নেই। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ এই পাঁচজন সরকার প্রধানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স ১৭৩টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করেছে। এই গবেষণায় সংস্থাটি এরকম মাত্র ১৭জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছেন যারা শতকরা ৫০ ভাগ দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৭৩ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে ৮৭ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্সের গবেষণায় দেখা গেছে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। সংস্থাটি গবেষণায় দেখেছে, বেতন ছাড়া শেখ হাসিনার সম্পদের স্থিতিতে কোনো সংযুক্তি নেই। শেখ হাসিনার কোনো গোপন সম্পদ নেই বলে নিশ্চিত হয়েছে পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ৭৮ ভাগ মানুষ মনে করেন সৎ এবং ব্যক্তিগত লোভ লালসার ঊর্ধ্বে।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িক ফোর্বসের বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান হচ্ছে ৩০তম। ২০১৮ সালে টাইম ম্যগাজিনের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় নাম এসেছে আমাদের শেখ হাসিনার (লিডার্স ক্যাটাগরিতে ২৭ জন ব্যক্তির মধ্যে আমাদের শেখ হাসিনা ২১তম)।
শেখ হাসিনা রাজনীতিতে পরিপক্ব, প্রশাসনে অসাধারণ অভিজ্ঞ, রাষ্ট্র পরিচালনায় সুদক্ষ রাষ্ট্রনায়ক, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে আসীন এবং বাঙালি জাতির জন্য ভালোবাসার এক অনন্য উদাহরণে অধিষ্ঠিত একজন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। তিনি বঙ্গবন্ধুর রক্ত ও আদর্শের উত্তরাধিকার। বাংলাদেশকে আজকে অনন্য উচ্চতায় যিনি নিয়ে এসেছেন, তিনি আমাদের কাছে মহামানবী। তিনিই শেখ হাসিনা।
লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট