Saturday 12 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনা, সারাবিশ্বের বিস্ময়


২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৬:১৪ | আপডেট: ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:৪৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কয়েক বছর আগেও শুনতাম বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ একটি বন্যা, মঙ্গা ও দারিদ্র্যের দেশ হিসেবে পরিচিত। দেশের এরকম একটি চেহারা তখন ইচ্ছে করেই দেখানো হতো যাতে বিদেশি দাতারা দান-খয়রাত করেন। আমরা তখন দরিদ্র দেশ ছিলাম এ কথা সত্য। তবে যারা দেশকে ছোট করে দেখাতেন তাদের উদ্দেশ্য এই নয় যে, অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়, বরং দেশকে ছোট করে দেখানোর অর্থ হলো আমরা নিতান্তই নিরীহ।

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির দিকে নজর দিলে দেখা যায় তিনি কখনই বাংলাদেশকে দুর্বল, নিরীহ দেশ হিসেবে উপস্থাপন করেননি। তবে আমরা শান্তিপূর্ণ, শান্তিকামী ও শক্তিমত্তার প্রতিযোগিতায় বিশ্বাসী নই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দ্বিবার্ষিক অধিবেশনে ১৯৭৪ সালের ১৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে বলেন, ‘…যখন চীনের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে ভেটো দেওয়া হতো তখন এই বাংলার মানুষই বিক্ষোভ করত। আমি নিজে ঐ ভেটোর বিরুদ্ধে বহুবার কথা বলেছি। যে ভেটোর জন্য চীন ২৫ বত্সর জাতিসংঘে যেতে পারে নাই, দুঃখের বিষয়, সেই চীন ভেটো ‘পাওয়ার’ পেয়ে প্রথম ভেটো দিল আমার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। তবুও আমি কামনা করি তাদের বন্ধুত্ব। অনেক বড় দেশ। দুশমনি করতে চাই না। বন্ধুত্ব কামনা করি। কারণ আমি সবার বন্ধুত্ব চাই; কিন্তু জানি না, আমার এই কামনায়, আমার এই প্রার্থনায় তারা সাড়া দিবেন কি না। যদি না দেন কিছু এসে যায় না। ভুলে গেলে চলবে না যে, আমরা এত ছোট দেশ নই। বাংলাদেশ এতটুকু নয়। পপুলেশনের ভিত্তিতে বাংলাদেশ দুনিয়ার অষ্টম বৃহত্তম রাষ্ট্র।’

বিজ্ঞাপন

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর যে শক্তি ক্ষমতায় আসে তারা পুরোপুরি নতজানু ও তাঁবেদারি পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করে। শুধু মাত্র পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে গিয়ে অন্য অনেকের সঙ্গে আর সম্পর্কই গড়ে উঠেনি। পাকিস্তান তখন বাংলাদেশের প্রভু রাষ্ট্র। আর মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী কিছু দেশ আমাদের অন্য প্রভু। তবে শেখ হাসিনা দেশের দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশকে তাঁবেদারি পররাষ্ট্রনীতি থেকে বের করে এনে অন্য দেশের সঙ্গে সমঅংশীদারিত্বের পররাষ্ট্রনীতি কায়েম করেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছেন বলেই আজ বিশ্বে শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে বাংলাদেশ। কারো প্রতি মুখাপেক্ষী বা কারো প্রতি নির্ভরশীল নয়।

১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্ম শেখ হাসিনার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসার প্রথম সন্তান তিনি। তার শৈশব কেটেছে টুঙ্গিপাড়াতে। ৫৪-এর নির্বাচনের পর পরিবারের সঙ্গে চলে আসেন ঢাকায়। ১৯৫৬ সালে তিনি টিকাটুলির নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬১ সালের ১ অক্টোবর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে থাকা শুরু করেন। স্কুল কলেজে পাঠ শেষে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রজীবনেই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতির সঙ্গে।

শেখ হাসিনা ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা অবস্থায় ১৯৬৭ সালে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে তার বিয়ে হয়।  ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জার্মানিতে থাকা অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার খবর প্রথম জানতে পারেন শেখ হাসিনা। সেদিন মা-বাবা সহ পুরো পরিবার হারান শেখ হাসিনা। ছোট বোন শেখ রেহানা ও শেখ হাসিনা বিদেশ থাকায় প্রাণে বেঁচে যান।

১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। ছয় বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে লিপ্ত হওয়ার পরপরই তিনি শাসকগোষ্ঠীর রোষানলে পড়েন।

১৯৯৬ সালে ভোটারবিহীন নির্বাচনের বিরুদ্ধে তিনি গণআন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের মুখে ৩০ মার্চ তৎকালীন খালেদা জিয়ার সরকার পদত্যাগে বাধ্য হয়। ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে ২৩ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ২০০১ সালে তার দল বিরোধীদলে গেলে তিনি তৎকালীন জোট সরকারের দুর্নীতি ও সরকারি মদদে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেন। তার উপর সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা হয় ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট। ঐদিন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিন্যুয়ে এক জনসভায় বক্তব্য শেষ করার পরপরই তাকে লক্ষ করে এক ডজনেরও বেশি আর্জেস গ্রেনেড ছোঁড়া হয়। লোমহর্ষক সেই হামলায় শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও আইভি রহমানসহ তার দলের বহু নেতাকর্মী নিহত ও আহত হন। শেখ হাসিনা নিজেও কানে আঘাত পান।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ তিনি। এর পরের দুই সাধারণ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। টানা তিনবার ও সব মিলিয়ে চারবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে এক বৈরী পরিবেশে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে ফিরেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সেদিন যদি শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন তবে তিনি হয়ত প্রবাসে অনেক নিরাপদ, নির্ঝঞ্ঝাট দিন কাটাতে পারতেন তবে বাংলাদেশের সর্বনাশ হয়ে যেত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে যে পাকিস্তানিকরণ শুরু হয়েছিলো তাতে একসময় আবার বাংলাদেশ পাকিস্তানের সঙ্গে কনফেডারেশনও গড়ে ফেলতে পারত সেই আশঙ্কা করলে মোটেও ভুল হবে না। কারণ ১৯৭৫ সালের পর যারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে তারা মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। বাংলাদেশকে পুরোপুরি একটি কট্টর মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করে। যদি শেখ হাসিনা দেশে ফিরে না আসতেন তবে বিশ্বে বাংলাদেশ হতো পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় আজ্ঞাবাহক, ধর্মান্ধ, তাবেদার রাষ্ট্র।

শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বাংলাদেশে যে গণতন্ত্রের সংগ্রাম শুরু করেন তাতেই নিহিত ছিলো বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও হাজারের বছরের বাঙালি সংস্কৃতি পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতিতে ফিরিয়ে আনেন শেখ হাসিনা। আর এতেই পাকিস্তানি ভাবাদর্শ ছুঁড়ে ফেলে দিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।

শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের পথচলা পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, তিনি যেমন দিন দিন রাজনীতিতে পরিপক্ব হয়েছেন তেমনই বাংলাদেশকেও বিশ্ব মঞ্চে শক্তিশালী করেছেন। আশির দশকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ছিলো নতজানু। সেসময় মাত্র একটি দেশের সঙ্গে মিলিয়ে অন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক গড়া হতো। অর্থাৎ পাকিস্তানের বন্ধু যারা তারাই হতো বাংলাদেশের বন্ধু।  সৌদি আরব, চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তাঁবেদারি করলেও নিজে কোনো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র ছিলো না বাংলাদেশ। জাপান, ভারত, রাশিয়ার মতো বন্ধু রাষ্ট্রের সঙ্গে খুব একটা ভালো সম্পর্ক গড়তে পারেনি ঐসব সরকার। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারে এসে বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্রনীতির মূলনীতি গ্রহণ করেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়’। এর মাধ্যমেই বিশ্ব দরবারে একে একে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরাশক্তির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে বাংলাদেশ। জাপান, চীন, ভারত, রাশিয়া বাংলাদেশে অন্যতম অর্থনৈতিক অংশীদার হয়ে ওঠে। শেখ হাসিনার পররাষ্ট্রনীতিতে কেউ আর একক প্রভু হিসেবে বাংলাদেশের মাথার উপর ছড়ি ঘুরাতে পারেনা।

শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় এসে ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি করেন। যা তার কূটনৈতিক সাফল্যে অন্যতম একটি পালক। পরে ভারত ও মিয়ানমার থেকে জলসীমা অর্জন করা ও ভারতের সাথে ছিটমহল চুক্তি করে সাফল্যের চূড়ায় উঠেন শেখ হাসিনা। এছাড়া চীন, ভারতের মতো দুই পরস্পর বৈরী দেশের সঙ্গেই অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক চমৎকার সম্পর্ক বজায় রেখে দেশকে লাভবান করাও শেখ হাসিনার সাফল্য। জাপান ও রাশিয়ার বিশাল অংকের বিনিয়োগ রয়েছে বাংলাদেশে। সব মিলিয়ে বিশ্ব অর্থনৈতিক পরাশক্তি কোনো দেশের দিকেই এককভাবে হেলে যায়নি বাংলাদেশ। বাংলাদেশ কারো তাবেদারে পরিণত না হয়ে সবার বন্ধু রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। একক কোনো দেশ বা বলয়ের তাবেদার হলে নিশ্চয়ই জাপান, চীন, ভারত, রাশিয়া সবাই এখানে বিনিয়োগ ও কূটনৈতিক সুসম্পর্ক বজায় রাখত না।

শেখ হাসিনার আরেক সাফল্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে চমৎকার সম্পর্ক। সৌদি আরব, আরব আমিরাত, ইরান, কাতার দুই আলাদা আলাদা ব্লকে বিভক্ত হওয়ায় উভয়ের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা বেশিরভাগ দেশের জন্যই কঠিন হয়ে পড়েছে সত্য, তবে শেখ হাসিনা সৌদি ও ইরান ব্লক উভয়ের সঙ্গেই সমান সম্পর্ক বজায় রাখতে সমর্থ হয়েছেন। সৌদি, কাতার, আরব আমিরাত বাংলাদেশের শ্রম শক্তির বড় বাজার। ভুলে গেলে চলবে না, পাকিস্তানের সাথে সুসম্পর্ক না থাকলে এসব দেশের সাথে সম্পর্কের উন্নতি হবে না বলেও একসময় ভাবা হতো। তবে শেখ হাসিনার আরব বিশ্বের সাথে যে দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করেছেন তা আগের তাঁবেদারি সম্পর্ক নয়।

আন্তর্জাতিক মহলে শেখ হাসিনার বড় সাফল্য এসেছে পরিবেশ-জলবায়ু সংকটে ভুক্তভোগী দেশগুলোকে নেতৃত্ব দিয়ে। তিনি বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে ভুক্তভোগী দেশগুলোর পক্ষে এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর। তার নেতৃত্বে জলবায়ু সংকট মোকাবিলার বৈশ্বিক আন্দোলন বেগবান হয়েছে। প্রত্যেকটি জলবায়ু সম্মেলনে শেখ হাসিনার বক্তব্যের ভুয়েসি প্রশংসা করে থাকেন ভুক্তভোগী দেশগুলোর নেতৃবৃন্দ। পরিবেশ ও জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় অবদান রাখায় জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ প্রদান করা হয় শেখ হাসিনাকে।

এছাড়া বিশ্ব মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে শেখ হাসিনার অবদান ও নেতৃত্ব প্রশংসনীয়। বাংলাদেশে মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে শেখ হাসিনার সাফল্য অন্যান্যদের জন্য অনুকরণীয় হিসেবে গণ্য করা হয়। বিশেষত দারিদ্র বিমোচনে অসামান্য অবদান রাখায় দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন (আইওএসএসসি) অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয় শেখ হাসিনাকে।

এই অঞ্চলে বড় এক সংকট সৃষ্টি করেছে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সংকট। শেখ হাসিনার অত্যন্ত সাহসের সঙ্গে এই রোহিঙ্গাদের জায়গা দিয়েছেন বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা এই মানবিকতা ও সাহস প্রদর্শন করায় এ অঞ্চলে বড় কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। এখন  এইসব রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ করছে বাংলাদেশ। যদিও এই সংকট সমাধানে ভারত ও চীনের মতো আঞ্চলিক শক্তি খুব একটা আগ্রহী নয় তবে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বৈশ্বিক শক্তি বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষনা দিয়েছে। গত ১১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে টেলিফোন করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ড. মার্ক টি এসপার রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে থাকার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। আশা করি যুক্তরাষ্ট্র উদ্যোগ নিলে আঞ্চলিক শক্তিগুলোও এ ব্যাপারে নড়েচড়ে বসবে।

লেখক: পরিচালক, রেডিও ঢোল

শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর