ধর্ষণের শিকার নারীকে পাশ কাটিয়ে ধর্ষকের বিচার দাবির যৌক্তিকতা
১০ অক্টোবর ২০২০ ১৪:৫৬
বর্বরতা থেকে হোমো স্যাপিয়েন্স তথা জ্ঞানী মানুষের আবির্ভাব দুই লক্ষ বছর আগে হলেও মানব সভ্যতার গোঁড়াপত্তন হয়েছে আজ থেকে মাত্র পাঁচ হাজার বছর আগে। অভিধানের ভাষায়, সভ্য জাতির জীবনযাত্রা নির্বাহের পদ্ধতি, সাহিত্য, শিল্প, বিজ্ঞান, দর্শন, ধর্ম ও বিদ্যার অনুশীলনহেতু মন-মগজের উৎকর্ষ সাধন করাই হচ্ছে সভ্যতা। আর মানুষের মন-মগজে কী হচ্ছে-এটি দৃশ্যমান নয়, তবে গবেষণার বিষয়। এই মানুষ তার সকল কাজ সম্পাদন করে থাকে মন-মগজের নির্দেশনা থেকেই।
সম্প্রতি গণমাধ্যমে কয়েকটি ধর্ষণের প্রতিবেদন পড়েছি, ব্যক্তিগত উদ্যোগেও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করেছি। তবে সিলেট এমসি কলেজ ধর্ষণকান্ড আমাকে ভেতর থেকে যেন হত্যা করেছে, ভেতরেও রক্তক্ষরণ হয়েছে যেমন, তেমনিভাবে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বর্বরতার নিকৃষ্ট বিবস্ত্র ভাইরালকৃত ভিডিও চিত্রে আধুনিক সভ্যতার নিকৃষ্টতম কতিপয় হায়েনার উগ্রতার প্রতিচ্ছবিও অবলোকনও করেছি।
বিবস্ত্রের ভিডিওটি হাতে আসার সাথে-সাথে কর্তা-কর্মকর্তাসহ অনেকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। একটি বেসরকারি টেলিভিশনের বার্তা প্রধানসহ একটি বেসরকারি সংবাদ সংস্থার প্রধান প্রতিবেদকের সাহায্যের প্রার্থনায়, সম্ভব হলে তাদের স্থানীয় প্রতিনিধি পাঠিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতে, আমাদের জানাতে অনুরোধ করেছিলাম।
সিলেটে স্বামীর কাছ থেকে তার স্ত্রীকে ছিনতাই করে গণধর্ষণ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে যেখানে ‘শিক্ষা গ্রহণ করে’ ‘সেবার জন্য বেরিয়ে পড়ার’ মন্ত্র শেখানো হয়, সেখানকার কতিপয় বখাটে দুর্বৃত্ত এভাবেই জাতির সামনে তাদের মূল ধর্ষক-সত্তা তুলে ধরবে, আবার তথাকথিত ‘জেনা’র অপবাদ নিয়ে বানানো ইসলামী মূল্যবোধ আর সামাজিক মর্যাদার রক্ষা নামে নারীকে বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে ঔদ্ধত্য-উল্লাস করবে-এটি সভ্যতার পরিপন্থী, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
আর তাই ন্যায় বিচারের প্রার্থনায় যে যার অবস্থান থেকে আওয়াজ তুলেছে-সভ্যতার যুগে অসভ্য-বর্বদের কঠোর ও দৃষ্টান্ত শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। মাঠে-ময়দানে আন্দোলন। রাজধানীর সাথে-সাথে জেলা পর্যায়েও ধর্ষকের বিচারের দাবিতে আন্দোলনের ছবি মিডিয়া-সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতীয়মান হয়েছে। যদিও ন্যায় বিচার কী? ধর্ষকের ফাঁসি দিয়েই একমাত্র ধর্ষণরোধ করা সম্ভব? নাকি অন্য কিছু— এটা নিয়ে আমার মত-দ্বিমত আছে যা অন্য লেখায় তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
তবে ন্যায় বিচারের নামে বৈষম্য, ধর্ষকের বিচারের নামে সরকার পতনের নীল নকশা প্রণয়ন এবং সরকার প্রধান শেখ হাসিনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে স্লোগান দেওয়া, অশ্লীল ভাষায় প্ল্যাকার্ড প্রদর্শনসহ ধর্ষণের শিকার নারীদের বীরাঙ্গনার সাথে তুলনা করার মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম বিনাশের দুই লক্ষেরও বেশি নারী মুক্তিযোদ্ধাকে বিতর্কিত করার কর্মকাণ্ড; শুধু আন্দোলনের উদ্দেশ্যকেই প্রশ্নবিদ্ধ করেনি বরং ন্যায় বিচারের নামে ‘কে’ ‘কাকে’ বাঁচানোর উদ্দেশ্যে মাঠে নেমেছে-এটিও সচেতন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হতে দেখেছি। কারণ, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের বর্বর ঘটনায় ওই নারী ভীত হয়ে নীরব থেকেছেন। অপ্রকাশিত অন্যান্য যৌন-ধর্ষণ নির্যাতনের শিকার নারীর মতোই যেন সয়ে যাওয়ার কৌশল নিয়েছেন। কিন্তু নির্যাতনকারী ধর্ষক হায়েনাদের পশুত্ব প্রকাশ পেয়েছে ভিডিও ভাইরাল করার মাধ্যমে। আর তখনই আমরাও জেগে উঠেছি, বিচার চেয়েছি। অন্যদিকে নীরবতা নয়, বরং আট-দশটা মেয়ের মত সয়ে না যাওয়ার কৌশল ভেঙ্গে নিজে বেরিয়ে এসে ‘নিজ ধর্ষণের বিচারের দাবি’ তুলেছেন, ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। তার পক্ষেও না দাঁড়িয়ে, তার ধর্ষকের বিরুদ্ধে কথা না বলে বরং তাকে একশ্রেণী রীতিমত ‘পতিতা’ বানানোর ষড়যন্ত্রে নেমেছে। সে আওয়াজ তুলেছে বলে? মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়াতে ধর্ষণের কথা জানিয়েছেন বলে? কতিপয় ভদ্রলোকের মুখ ও মুখোশ তুলে ধরেছেন বলে? ওইসব হায়েনাদের পশুত্ব প্রকাশ করাই ওই ধর্ষিতার অপরাধ?
সেদিন (২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০) জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রবেশ করার সময় দেখি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে মামলা দায়েরকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী সাংবাদিকদের সামনে এসে ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এখনও আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি কেন (?) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ওই ছাত্রী রাষ্ট্রযন্ত্র পুলিশ প্রশাসনের কাছে সাংবাদিকের মাধ্যমে এটি জানতে চেয়েছেন। আবার ভিপি নুরুল হক নুরের দুই সহযোগীর ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে নাকি নানাভাবে হয়রানিও করা হচ্ছে, হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগগুলো তুলে ধরছেন সংবাদকর্মীদের সামনে।
ধর্ষকের পরিচয় ‘ধর্ষক’ যারা সমাজ-রাষ্ট্রের ঘৃণিত অপরাধী। তার অন্য কোনো পরিচয় এখানে মুখ্য বিষয় নয়। রাজনৈতিক অন্য কোনো পরিচয়কেও সংবিধান ও আইন গুরুত্ব দেয় না, ব্যক্তি কিংবা অবস্থানের পরিচয়কে মূল্যায়ন করতে পারে না।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, রাষ্ট্রযন্ত্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ প্রশাসন সিলেট এমসি কলেজ ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ধর্ষকদের দ্রুততার সঙ্গে গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও কোনো এক অজানা কারণে ভিপি নুরুল হক নুরের দুই সহযোগী ধর্ষকদের গ্রেফতার করেনি, করছে না (এই লেখার আগ পর্যন্ত)। এটি ধর্ষণরোধ ও ধর্ষকের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচারের পরিপন্থী ভূমিকা। যার সুযোগ পেয়ে ধর্ষকদের রক্ষার্থে এখানেও শুরু হয়েছে গুজব। ওই ছাত্রীর চরিত্রহনন করতে একদল মাঠে নেমে পড়েছে, আরেকদল সোশ্যাল মিডিয়াতে অপপ্রচার ভাইরাল করছে। ধর্ষিতাকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে যার দায়ভার রাষ্ট্রযন্ত্র ও রাষ্ট্র এড়াতে পারে না, পারবে না।
রাষ্ট্রযন্ত্র পুলিশ প্রশাসনের কাছে ধর্ষক একজন অভিযুক্ত এবং তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। কতিপয় ধর্ষক-আন্দোলনকারীর (ধর্ষক বাঁচানোর) সাথে-সাথে রাষ্ট্রযন্ত্রের পুলিশ প্রশাসনের বৈষম্যও ন্যায় বিচারের পথে প্রশ্ন তৈরি করেছে।
আর এ বৈষম্য ধর্ষকের বিচারের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে অনেকে বলেছেন, বলবেনও হয়তো-মেয়েটা এতদিন কী করেছে? কখন কোথায় ধর্ষণ হয়েছে? কে দেখেছে? তার ধর্ষণের কোনো ভিডিও নেই কেন? ভিডিও ভাইরাল হয়নি কেন? ধর্ষণের প্রমাণ কী?
তবে ধর্ষণের প্রমাণ নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে কয়েকটি গবেষণা নিয়ে স্টাডি করলে দেখবেন, ধর্ষণের পেছনে মূলত কিছু মিলন-কৌশল থাকে, স্থান-কাল থাকে যা প্রায় পুরুষের মনেই একান্তভাবে গাঁথা। ধর্ষকদের ক্ষেত্রে ধর্ষণ করার পেছনে যে মানসিকতা তার উপর ভিত্তি করে এই কৌশল নির্ণয় হয়ে থাকে, যেমন-সুবিধাবঞ্চিত পুরুষ-যার কাছে ধর্ষণ একটা অবলম্বন- সাম্প্রতিক ভণ্ড পীর বাবা তার মেয়েকে ঘরে আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। বিশেষায়িত ধর্ষক, যারা শুধুমাত্র আগ্রাসী যৌনকর্মের মাধ্যমেই যৌন উত্তেজনা পায়, যেমন-নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ঘটনা। সুযোগসন্ধানী ধর্ষক, যারা সবদিক বিবেচনা করে যদি দেখে ক্ষতির কোনো আশঙ্কা নেই তখনই ধর্ষণ করে, যেমন-সিলেট এমসি কলেজ ধর্ষণের ঘটনা। ওই নারীর স্বামী সিগারেট নিতে বাইরে গেলে সুযোগ পেয়ে বসে ধর্ষকরা। মিলনের তীব্র চাহিদা সম্পন্ন পুরুষ-যারা কর্তৃত্বপরায়ণ এবং মনোবিকারগ্রস্ত, যেমন-রাজধানীর কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা। ফুটপাত ধরে হাঁটা শিক্ষার্থী কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে টেনে হিঁচড়ে ঝোপের আড়ালে নিয়ে যায় ধর্ষক মজনু। চিৎকার চেঁচামেচি এবং ধস্তাধস্তি করেও ওই শিক্ষার্থী নিজেকে শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেনি।
মূলত, মন-মগজ দ্বারা পরিচালিত ধর্ষণ প্রবণতা ব্যক্তিবিশেষের উপর নির্ভর করে ধর্ষণের প্রকারভেদ। কখনো কখনো প্রতিশোধ পরায়ণ, যেমন-মহান মুক্তিযুদ্ধে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে এদেশের স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর পরিকল্পিত ধর্ষণ ঘটনা। আবার কখনো নিজেই কৌশল নির্ণয় করে ধর্ষণের মত বর্বরতা করে থাকে, যেমন-কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের অভিযুক্ত দুই নেতা হাসান আল মামুন ও নাজমুল হাসান সোহাগ নিজেরাই ‘কৌশল নির্ণয়’ করে (১) ‘প্রেমের ফাঁদ’ ও (২) ‘সহযোগিতার আশ্বাস’ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রীর ওপর ধর্ষণের মত বর্বর কর্মকাণ্ড চালিয়েছেন।
অন্যদিকে (২০ সেপ্টেম্বর) সিপিবির কার্যালয়ের অফিসের ফ্লোরে মাদুর বিছিয়ে শুয়ে ছিলেন জলি তালুকদার। তার মাথার পাশে দুইটি প্ল্যাকার্ডে লেখা- ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে ঢাকা কমিটি নিপীড়কের পক্ষ নিয়ে আমার প্রতি যে অন্যায় ট্রায়াল চালিয়েছে, তার বিচার চাই। নিপীড়কের বিচার না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক জলি তালুকদার তার লিখিত অভিযোগে বলেন, ‘গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমাবেশে যোগ দিতে মুক্তি ভবন থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের দিকে যাওয়ার সময় পার্টির মিছিলে জাহিদ হোসেন খান আমার সঙ্গে যে ন্যক্কারজনক নিপীড়নের ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্টভাবে আমি আমার বক্তব্য সেই মিছিলে উপস্থিত কমরেড আবদুল্লাহ কাফী রতনকে আনুষ্ঠানিকভাবেই অবহিত করেছি। সেই সঙ্গে আমি তাকে অনুরোধ করেছিলাম— এই নিপীড়ন বিষয়ে আমাকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে নিজেরা যেন কোনো অসুস্থ চর্চা না করেন এবং আমাকেও নির্যাতনের মধ্যে না ফেলেন। কিন্তু আমি স্তম্ভিত, মর্মাহত এবং উদ্বিগ্ন এই দেখে যে, কেউ কেউ এই ঘটনাটাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে ভয়ঙ্কর নোংরামিতে লিপ্ত হয়েছে’।
আমাদের মনে থাকার কথা, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও মি’টু আন্দোলন দৃশ্যমান হয়েছিল। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌন নির্যাতনের শিকার মানুষগুলো নিজেদের মনভরা ঘৃণা আর বুকভরা কষ্টগুলোর অশ্রুভেজা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তখনও হোয়াইটকালার ভদ্রলোক-যৌন নিপীড়কের পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকের বিচরণ দেখেছি, এখানেও কোটাবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত দুই নেতা হাসান আল মামুন ও নাজমুল হাসান সোহাগের পক্ষে শুধু সোশ্যাল মিডিয়াতে নয়, মাঠেও মিছিল-মিটিং করতে দেখা গিয়েছে। আবার সিবিপি’র জলি তালুকদার লিখিতভাবে নিপীড়নের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে উল্টো তার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর নোংরামিতে নেমেছে তারই কতিপয় সহযোদ্ধা, যা নিপীড়ক-ধর্ষক বিরোধী আন্দোলন নিয়ে জনমনে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
সিলেট এমসি কলেজ ও নোয়াখালী বেগমগঞ্জ ধর্ষকদের পাশাপাশি সিপিবির’র জলি তালুকদার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্রীর নিপীড়ক-ধর্ষকদের বিচারের দাবিও জোরালোভাবে করতে হবে, দ্রুত গ্রেফতারের দাবি তুলতে হবে। কিছু সিলেক্টিভ-তালিকার অপরাধ-ধর্ষণ ও ধর্ষকের বিচারের দাবি, আন্দোলন ও কতিপয় আন্দোলনকারীর উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিতর্কিত হয়ে আন্দোলনের গতিপথ হারিয়ে যায়। যে ধর্ষণের শিকার ছাত্রী দেশ ও জাতির সামনে তার ধর্ষণের বিবরণ তুলে ধরে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় আইনের দরজায় দাঁড়িয়ে দেশের বিচার ও নির্বাহী বিভাগের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন, তাকে পাশ কাটিয়ে ধর্ষকের ন্যায় বিচারের দাবি-কতটুকু যৌক্তিক, ন্যায়সঙ্গত ও নিরপেক্ষ-এটি বিচার-বিশ্লেষণ ও বিবেচনার দাবি রাখে।
লেখক : সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ)