রেশম পথে বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়ন
১ ডিসেম্বর ২০২০ ১৪:৫৩
বেল্ট এন্ড রোড (বিআরআই) বা এক অঞ্চল এক পথ চীনের খুব বড় ধরণের আন্তর্জাতিক সহযোগিতার একটি কৌশলপত্র যার মাধ্যমে ২০১৩ সাল থেকে চীন তার বিভিন্ন বন্ধু রাষ্ট্র ও উন্নয়নশীল দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ও জোরদার করার চেষ্টা করে চলেছে। বিআরআই- এর মৌলিক বা বেসিক পরিকল্পনায় ছয়টি করিডোর অন্তর্ভুক্ত। চীন একটি বৃহৎ দেশ হলেও বাস্তবে এই দেশ অর্থনৈতিক কাঠামোতে দুই অংশে বিভক্ত। একটি ধনী বা উচ্চবিত্ত চীন এবং অন্যটি নিম্নবিত্ত চীন। এই দেশটি গত দশ বছরে প্রায় ৮০০ মিলিয়ন মানুষকে দারিদ্রসীমার নিচ থেকে বের করে নিয়ে এসেছে যারা সমুদ্র কূলবর্তী অঞ্চলে বসবাস করে। আমরা চীনের বড় যে কোনো শহরের নাম যদি নেই, দেখা যাবে সেসব শহর সমুদ্র তীর ঘেঁষে গড়ে উঠা। যেমন সাংহাই, গুয়াংজু ও শেনজেন (গুয়াংদং), ডালিয়ান, ফুজিয়ান, নিংবো (নিমবো) । এ অঞ্চলগুলোতে দারিদ্র বিমোচন খুব দ্রুত হয়েছে। উদাহরণ হিসেবে যদি আমরা জেজিয়াকে ধরি— তবে দেখা যাচ্ছে এর গড় জিডিপি সমগ্র জাপানের জিডিপি’র চেয়েও বেশি, যা সাধারণ চীনের চেয়ে অনেক উন্নত বা বেশি। তাছাড়া চীনের কিছু কিছু শহর রয়েছে যা এশিয়ান মানদণ্ডে খুবই উন্নত। এখন যে সমস্যাটি চীন মোকাবেলা করছে তা হলো— সমুদ্র থেকে দূরবর্তী অঞ্চলগুলো নিয়ে, যেখানে বন্দর সুবিধাদি নাই; ফলশ্রুতিতে চীনের নেতাগণ আশঙ্কা করছেন, সেসব অঞ্চলে একটা অসমতা দেখা দিতে পারে। বিভিন্ন বিশ্ব মিডিয়া, বিশেষত পশ্চিমা মিডিয়া চীনের মুসলিম নিপীড়নের কথা ফলাও করে প্রচার করে থাকে; বিশেষত যে সকল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ পশ্চিমা গণমাধ্যমের উপর নির্ভরশীল।
হ্যাঁ; আমি শিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর সম্প্রদায়ের কথা বলছি। আদতে এই অঞ্চলটি ভৌগলিক কারণে দরিদ্রপীড়িত ,আর তাই এখানকার জনগণের অপরাধ প্রবণতাও একটু বেশি। স্বভাবতই যেখানে অপরাধ সেখানে সরকারের অ্যাকশন বা কঠোরতাও বেশি। উদাহরণ হিসেবে চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বত ও ইউনান প্রদেশের কথা আনা যায়। এই অঞ্চল দুটিও তুলনামূলক দরিদ্র, অনগ্রসর এবং অপরাধপ্রবণ অঞ্চল। যদিও এসব অঞ্চলের অধিবাসীরা অমুসলিম। ভৌগলিক কারণে আয়-ব্যয় ও লাভ-ক্ষতির বিবেচনায় অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসকল অঞ্চলকে নিজ দেশের সমুদ্র বন্দরের সাথে সংযুক্ত করা প্রায় অসম্ভব চীনের পক্ষে । তাই ক্ষমতাশীল চীনা কমিউনিস্ট পার্টি চাইছে এসব অঞ্চল সমূহকে বিআরআই মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্থলবন্দরের সাথে সংযুক্ত করা যায় কিনা।
বিসিআইএম ইকোনোমিক করিডোর
চীনের ইউনান প্রদেশ ও তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল বাংলাদেশের খুব নিকটবর্তী এবং অর্থনৈতিকভাবে অনগ্রসর। এ দুটি এলাকাকে যদি মিয়ানমার হয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে সংযুক্ত করা হয়, তবে যে তারা শুধু বন্দরের সুবিধা পাবে তা নয়, এর সাথে তারা একটি বড় মার্কেট প্লেসও পাবে যা ভারত-বাংলাদেশ-মিয়ানমার জুড়ে বিস্তৃত হবে। এই করিডোর চীন-মিয়ানমার-বাংলাদেশ-ভারত পর্যন্ত বিস্তৃত হলেও ভারতের অংশগ্রহণ এখানে আপেক্ষিক। কারণ বন্দর সুবিধা এক্ষেত্রে বাংলাদেশও দিতে পারে, ভারতও দিতে পারে অথবা এককভাবে মিয়ানমারও দিতে পারে। কিন্তু ভারত এই বিআরআই-তে কার্যকরভাবে অংশ না নেওয়ায় এ করিডোরটি বর্তমানে প্রায় মৃত। তবে এই করিডোরটিতে বাংলাদেশের গুরুত্ব অপরিসীম যা One Belt One Road এর ঘোষণাপত্রেও লেখা রয়েছে।
কথা হচ্ছে এই করিডোরের সব দেশেই বন্দরের সুবিধা রয়েছে। মিয়ানমার যদি একা বন্দরের সুবিধা দেয়ও; মিয়ানমারের মানুষের পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি (পিপিপি) খুবই কম, তাই শুধুমাত্র মিয়ানমারকে নিয়ে এই করিডোর কার্যকর করাটা চীনের জন্য লাভজনক হবে না এবং এটি চীন করবে না। আবার যেহেতু ভারতকেও এই করিডোরে কার্যত সংযুক্ত করা যাচ্ছে না (আপাতত) সেহেতু কোনো পক্ষই ভারতের জন্য বসে থাকবে না। তাহলে একটি পথই বাকী থাকে, আর তা হলো— বাংলাদেশ-চীন-মিয়ানমারকে নিয়ে এই করিডোরটি কার্যকর করা বা ভারতকে শুধুমাত্র কাগজে-কলমে রেখে বাংলাদেশ-চীন-মিয়ানমার ভিত্তিক উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়া। অর্থাৎ, পূর্বে পরিকল্পনায় যা ছিল বাংলাদেশ-চায়না-ইন্ডিয়া-মিয়ানমার তা এখন হবে বাংলাদেশ-চায়না-মিয়ানমার এবং বাস্তবিকে উন্নয়ন পরিকল্পনা সমূহ বিসিএম-কে ভিত্তি করেই এগোচ্ছে। মজার বিষয় হচ্ছে, বিসিএম হলেও এটির খুব একটা বেশি যায় আসে না। কারণ বাংলাদেশই এই করিডোরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার একটি দেশ, মিয়ানমার নয়। কেন? কারণ এখানে টার্গেট মার্কেট হচ্ছে ভারত। মিয়ানমার থেকে ভারতে পণ্য রফতানি করার তেমন কোনো সুযোগ ও সুবিধা নাই, এবং মিয়ানমার থেকে অন্য দেশেও পণ্য রফতানি করতে বাধা রয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিয়মের কারণে। মানে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় মিয়ানমারে উৎপাদিত পণ্যের রফতানিতে বিশেষ সুবিধাদি নেই যা বাংলাদেশের রয়েছে। তাছাড়া মিয়ানমারের ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ বাংলাদেশের মতো নয়। তাদের ছোটখাটো কিছু শিল্প রয়েছে বটে। তাছাড়া মিয়ানমার স্থিতিশীল দেশ নয়। এই একটি দেশের ভিতর প্রায় চৌদ্দটিরও বেশি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল এখনো সক্রিয়। এসব দিক বিবেচনায় ‘বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভে বাংলাদেশ কার্যত গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ।
ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড-এর সমুদ্র পথ।
এই বিআরআই প্রেক্ষাপটের উপর ২০১৩ সাল হতে এই বিষয়টি যতটুকু এগিয়েছে বা পিছিয়েছে; দুঃখের বিষয় আদতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ততোটা গুরুত্ব সহকারে এগোয়নি। অথবা উপরোক্ত বিষয়সমূহ তেমন গুরুত্ব সহকারে বাংলাদেশের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে ( পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়/বিডা/বেপজা ইত্যাদি) ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড- এর উদ্যোক্তা চীনের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কেউ কার্যকর ও ফলপ্রসূ আলোচনা করেনি। এই বিষয়ে বাংলাদেশের হয়ে কাজ করার জন্য প্রয়োজন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক যিনি ভৌগলিক অর্থনীতি ও ভৌগলিক রাজনীতি নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা রাখেন এবং আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে কার্যসম্পাদন করতে সচেষ্ট থাকবেন। মনে করা হয়ে থাকে, পূর্বে যতটুকু বৈদেশিক বিনিয়োগ বাংলাদেশে এসেছে তা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে যা অনেকটা “ঝড়ে বক মরার কারণে ফকিরের কেরামতি বেড়ে যাওয়ার মতো”। একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের আর ফকিরের কেরামতির উপর নির্ভর করার সুযোগ নেই। কারণ এক ভিয়েতনামই ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’-এর মাধ্যমে তা কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে।
প্রচার রয়েছে, আদর্শগতভাবে বিএনপি’কে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি পছন্দ করে, কিন্তু বাস্তবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর সাথে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির তাত্ত্বিক মিল রয়েছে প্রায় শতভাগ। দুটি দলই সমাজতান্ত্রিক ভাবাপন্ন। যদিও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর সাথে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সহযোগিতামূলক দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। মূল বিষয়টি হচ্ছে সমাজতান্ত্রিক ভাবাপন্ন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর সাথে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার করতে হবে শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে।
চীনের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল সমূহে অর্থনীতির ব্যাপক উন্নয়নের কারণে চীনের অন্যান্য ল্যান্ডলক অঞ্চলের সাথে অর্থনৈতিক একটি অসাম্যের সৃষ্টি হয়েছে যা দূরীকরণে চীন সরকার এবং নীতিনির্ধারকগণ খুবই তৎপর। তাছাড়া চীনের উন্নত প্রদেশ সমূহে শ্রমের মূল্য মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানকার ইন্ডাস্ট্রি সমূহ, বিশেষ করে, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো নিজেদেরকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে। কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারিকে বাহানা বানিয়ে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া সহ খোদ চীনের মাল্টিন্যাশনাল অনেক কোম্পানি চীন থেকে নিজেদের গুটিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আর এই ব্যাপারটি বাংলাদেশের জন্য বৈদেশিক বিনিয়োগ ঘরে নিয়ে আসার সুযোগ উন্মুক্ত করে দিয়েছে। এতে বিসিএম করিডোরকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ও চীন উভয়ই অর্থনৈতিকভাবে দ্বিপাক্ষিক উন্নয়নে একে অপরের সহযোগী হতে পারে।
এক আলোচনায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর উপ-দপ্তর সম্পাদক জনাব সায়েম খান এই বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন “বাংলাদেশ যেসকল পণ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ সে সকল পণ্য উৎপাদনকারী বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে এনে লাভ কী? বরং দেশি কোম্পানিগুলোরই ক্ষতি হবে।” সেক্ষেত্রে উত্তর হলো— রিসার্চ ও ফিল্টারিং করে পণ্য ভেদে উৎপাদনমুখী বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে আকৃষ্ট করতে বিডাকে যথাযথ পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করতে হবে। বিভিন্ন আলোচনা ও আড্ডায় খেয়াল করা যায়, বাংলাদেশের অনেক রাজনীতিবিদ এবং আমলাগণ এখনো বৈদেশিক বিনিয়োগ এর ব্যাপারে রক্ষণশীল মতামত দেন। তাদের দেখা উচিত, খোদ চীনই সফলতার একটি উদাহরণ। সোশ্যালিস্ট চীন প্রতিষ্ঠার ৩০-৪০ বছরেও যখন অর্থনীতির চাকা তেমন একটা সচল হয়নি তখন চীন শুধুমাত্র দেশের অর্থনীতির স্বার্থে দেশকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। ফলাফল: আজ চীন পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। ঠিক একিইভাবে এখনি বাংলাদেশের সুবর্ণ সুযোগ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য দেশকে দ্রুত সময়ে আরো যথাযথভাবে তৈরি করা। এতে দেশের জনগণের কর্মসংস্থান হবে, আর কর্মসংস্থানের ফলে মানুষ তথা দেশের আয় বাড়বে। বাংলাদেশ সরকারের উচিত এখনি যুগোপযোগী গাইডলাইন তৈরি করে স্পষ্ট করা যে, কোন কোন খাতে কোন কোন ধরণের পণ্যের উৎপাদনমুখী বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে পারবে। প্রয়োজনে চীনের পার্ল রিভার ডেল্টা মেট্রোপলিটনে বিডা- এর একটি কার্যকর শাখা অফিস স্থাপন করে চৌকস পেশাদার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া যেতে পারে যাতে করে পার্ল রিভার ডেল্টা মেট্রোপলিটান থেকে নিজেদের কারখানা স্থানান্তর করতে যাওয়া মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সর্বোচ্চ সুবিধাসমূহ অবগত করে বাংলাদেশে তাদের উৎপাদনমুখী কারখানা স্থাপনে সম্মতি আদায় করে নিতে পারে। এক্ষেত্রে ভিয়েতনামের মতো ‘ওয়ান স্টপ সার্ভিস’ চালু করা এবং চীনে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের আরো কর্মমুখী করা গেলে বৈদেশিক কোম্পানিগুলো ভিয়েতনাম বা অন্য দেশমুখী না হয়ে বাংলাদেশমুখী হবে বলে আমার বিশ্বাস। কারণ উৎপাদনমুখী বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ যে পরিমাণ ট্যারিফ সুবিধা, বিভিন্ন প্রণোদনা ও নিম্ন বেতনের শ্রমিক সরবরাহ করতে পারবে তা অন্য কোন দেশ একিই সাথে দিতে পারবে না।
তথ্য গ্যাপ একটি বড় সমস্যা। ভুল তথ্যের কারণে বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভ্রান্ত এবং বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নিতে ইতস্তত থাকে। নিয়মিত তথ্যের হালনাগাদ করে তা ফলাও করে প্রচারে উদ্যোগী ভূমিকা রাখতে হবে সরকার, আমলা এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে চীন থেকে উৎপাদন গুটিয়ে নেওয়া কোম্পানিগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত বরাদ্দের নিশ্চয়তা দিতে পারলেই বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আরো গতিশীল হবে।
কিছুদিন আগে চীনের সাথে আসিয়ান ভুক্ত দেশসমূহের পণ্যের অবাধ প্রবাহের যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে, তা নিয়ে আমাদের দেশের কিছু অর্থনীতিবিদ হা হুতাশ শুরু করেছিলেন। এই বিষয়ে বেল্ট এন্ড রোড গবেষক এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ডক্টর মোস্তাক আহমেদ গালিব বলেন, “ চীনের সাথে আসিয়ান দেশ সমূহের ট্রিটি-এর চেয়েও ভালো সুবিধা চীন বাংলাদেশকে দিয়ে রেখেছে অনেক আগেই। এমনকি বাংলাদেশের বহু পণ্য শূন্য শুল্কে চীনে প্রবেশ বা চীনের অনেক পণ্য (কাঁচামাল) শূন্য শুল্কে বাংলাদেশে আনতে পারে যা আসিয়ান ভুক্ত এসব দেশ এখনো পারেনা।” আর আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনৈতিক চাপের বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা “সবার সাথে বন্ধুত্ব” নীতিতে অটল আছেন এবং বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেই দিয়েছেন “ভারতের সঙ্গে আমাদের রক্তের সম্পর্ক এবং চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক”। কথায় আছে ‘পেটে খেলে পিঠে সয়’ এবং ‘ধনীর বন্ধুর অভাব হয় না’। আরো অধিক বিনিয়োগ নিয়ে আসাই হোক শেখ হাসিনা সরকারের অগ্রাধিকার।
সম্পর্ক স্থাপন:
1. One Belt & One Road: Between Cooperation and Geopolitics in the Silk Road: Ivan Diaz C.
2.China’s ‘One Belt, One Road’ Initiative How Bangladesh can be benefitted : Md. Shariful Islam
3. One Belt, One Road : Professor George Reiff, D. Lit.
4. Chine new Geopolitics – One Belt – One Road:
ওয়েবসাইট:
1. http://english.www.gov.cn/beltAndRoad/
2. https://www.un.org/sustainabledevelopment/blog/tag/one-belt-one-road/
3. https://www.un.org/development/desa/dpad/tag/belt-and-road-initiative/
4. http://defesanacional.org/
5. http://baidu.com
সাক্ষাৎকার:
১। ড. মোস্তাক আহমেদ গালিব: Research Fellow: Belt and Road Initiative: Wuhan University of Technology, China.
২। সায়েম খান: উপ-দপ্তর সম্পাদক: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
লেখক: বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ গবেষক; সাবেক ছাত্রনেতা