শিশুদের পেন্সিলে, ক্যানভাসে, রংতুলিতেই ফুটে থাক বঙ্গবন্ধু
১৬ মার্চ ২০১৮ ২১:৪৪
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন দর্শন, রাজনীতির বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন সময়ে তার দেওয়া ভাষণ বক্তব্য, মন্তব্য, এগুলো কিন্তু শুধু বাংলাদেশে নয়, আজ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই মূল্যায়িত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে একাডেমিক জগতে গবেষণাও হয়েছে, হচ্ছে। তবে আরও গবেষণার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। স্বীকার করে নিতেই হবে, আমরা খুব বেশি গবেষণার দিকে এখনও যেতে পারিনি। নানা কারণেই হয়ত সেটি এখনও হয়ে উঠেনি। কিন্তু ইদানীংকালে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কথা হচ্ছে দেশে, বিদেশে, আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে।
আসলে বাঙালির জীবনাচারেও মিশে আছেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতার মহান এই স্থপতি তার অবর্তমানেও থেকে গেছেন বাঙালির জীবনে। প্রতিটি সংগ্রামে, প্রচেষ্টায়, আর আজকের যে অগ্রগতি তারও প্রতিটি সোপানে রয়েছেন বঙ্গবন্ধু। তার শারীরিক উপস্থিতি বাঙালির জন্য প্রয়োজন নয়, যে চেতনার বীজ তিনি বাঙালি জাতির জন্য বপণ করে গেছেন তাই বাঙালির প্রেরণা হয়ে কাজ করে।
https://www.youtube.com/watch?v=2UJkUXzy4rA
এই যে, বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিলেন একাত্তরের ৭ই মার্চ, এরপর ২৬শে মার্চে তিনি গ্রেফতার হলেন এবং পাকিস্তানে কারাগারে তাকে স্থানান্তরিত করা হলো, কিন্তু বাংলাদেশে আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশের জন্য বিজয় ছিনিয়ে আনলাম, তখন তাঁর অবস্থান কারাগারে থাকলেও আমাদের সাথে বঙ্গবন্ধু ছিলেন তাঁর ভাষণের মাধ্যমে। তার দিয়ে যাওয়া ৭ই মার্চের ভাষণই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র।
আবার বিজয় যখন এলো তখন একটি স্বাধীন বাংলাদেশেও মানুষের মধ্যে বিজয়ের চেতনা কিংবা বোধ ততদিন শক্ত করে প্রোথিত হয়নি, বাংলাদেশের মানুষ মনেই করেনি যে দেশের বিজয় অর্জিত হয়েছে, তাদের মনেই হয়নি যে স্বাধীনতা পরিপূর্ণ হয়েছে, যতদিন না স্বাধীনতার মূল নির্মাতা, স্বাধীনতার যিনি ঘোষক, যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের মূলমন্ত্র দিয়ে গিয়েছিলেন ৭ই মার্চে তিনি আমাদের মাঝে ফিরে এলেন।
সবারই প্রশ্ন বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া আমাদের বিজয় পরিপূর্ণ হয় কিভাবে? অতএব ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ থেকে ১০ই জানুয়ারি ১৯৭২ এই পুরোটা সময় ছিল আমাদের বিজয় অর্জন পরিপূর্ণতা লাভের অপেক্ষার দিন। ১০ই জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে এসে যখন রেসকোর্সে আবার ভাষণ দিলেন, যেই একই জায়গায়, যেখানে তিনি ৭ই মার্চে ভাষণ দিয়েছিলেন, তখন মনে হলো যে আমাদের স্বাধীনতা পরিপূর্ণ হয়েছে।
তো একজন ব্যাক্তি, একজন মানুষ এবং তাঁর সাথে সাড়ে সাত কোটি মানুষের ভাগ্য এবং একটা দেশের স্বাধীনতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ এমনভাবে প্রোথিত, এমনভাবে যুক্ত যে এখানে বহু বিষয় আছে যেগুলো এখনও গবেষণা করে আমাদের আত্মস্থ করা উপলব্ধী করার প্রয়োজন রয়েছে।
বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা, যারা ১৯৭১ সালের পরে তো বটেই, এমনকি ১৯৭৫ সালের পরে যাদের জন্ম তারা বঙ্গবন্ধুকে দেখার সুযোগ পায়নি, বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠস্বর সরাসরি শোনার সুযোগ পায়নি। তাদের সামনে আজকে বঙ্গবন্ধুকে উপস্থাপন করা আমাদের যেমন দায়িত্ব, ঠিক একইভাবে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি প্রজন্মের কাছে নব নব রূপে উপস্থাপন করা, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, জীবনদর্শন সেগুলোকে নতুন নতুন ব্যাখ্যার মাধ্যমে উপস্থাপন করা এটিও আজকে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
আমার মনে হয় যে আমরা বঙ্গবন্ধুর এই জন্মদিনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি যেমন শ্রদ্ধা নিবেদন করব, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্য যারা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন তাঁদের প্রতিও আমাদের শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা জানাব, কিন্তু একইসাথে আমরা বঙ্গবন্ধুর এই হত্যাকাণ্ডে যে বঙ্গবন্ধু হারিয়ে যাননি বরঞ্চ বঙ্গবন্ধু আরও শক্তিশালী আরও শক্তভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপিত হয়েছেন সেটিও আজকে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করতে হবে।
আমাদের নিজেদেরও উপলব্ধী করার প্রয়োজন রয়েছে, যারা হত্যাকারী তারা হয়ত মনে করেছিল, যে ব্যক্তি শেখ মুজিবকে হত্যা করলে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যাবে। কিন্তু হত্যাকারীরা বুঝতেই পারেনি যে মুজিব মৃত্যুঞ্জয়ী। মুজিবের কোনো মৃত্যু হতে পারে না। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হতে পারে না। ব্যক্তি মুজিব হয়ত পৃথিবী থেকে চলে গেছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে। যদি হত্যাকাণ্ড না হতো স্বাভাবিকভাবেই মানুষের অনিবার্য পরিণতির মতো বঙ্গবন্ধু একসময় আমাদের ছেড়ে চলেই যেতেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মতো মানুষ কখনও মৃত্যুবরণ করে না, তারা প্রতিটি প্রজন্মের সাথে যুক্ত থাকে সেটি কিন্তু বঙ্গবন্ধু নিজেই প্রমাণ করে গেছেন তাঁর জীবদ্দশায়।
৭ই মার্চের ভাষণ দিয়ে ২৬শে মার্চে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার। বললেন, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। এবং তাঁর পরে তাকে পাকিস্তানের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হলো। কিন্তু পুরো যুদ্ধটা হলো বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায়, বঙ্গবন্ধুরই পরামর্শে। যে কথাগুলো তিনি ৭ই মার্চে বললেন, ‘আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি’ অর্থাৎ তিনি বুঝতে পারছেন, তিনি হুকুম হয়ত দিতে পারবেন না, সামনের দিনে কী ঘটবে সেটি উনি দূরদৃষ্টিতে দেখেছেন এবং সেই কারণে বলছেন ‘আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি তোমরা যার যা কিছু আছে তা নিয়ে প্রস্তুত থাকো’। এই কথাগুলো কেমনভাবে বেদবাক্যের মতো প্রত্যেকের হৃদয় স্পর্শ করেছিল এবং তারা মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে ২৬শে মার্চে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার সাথে সাথে তারা একসাথে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। অতএব দেখা যায় বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায়ই বঙ্গবন্ধু দূরে পাকিস্তানের কারাগারে অন্তরীণ আছেন কিন্তু যুদ্ধ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে। ঠিক একইভাবে আজকে বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু বঙ্গবন্ধু আছেন আমাদের নিঃশ্বাসে-প্রশ্বাসে আমাদের অস্তিত্বে আমাদের সাথেই আছেন। তো আমার মনে হয় বঙ্গবন্ধুকে উপলব্ধি করা, বঙ্গবন্ধুর জীবন দর্শনকে উপলব্ধী করা অনুধাবন করা এটা আমাদের নিজেদের স্বার্থেই প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু আজকে আমাদের সবার থেকে দূরে আছেন বঙ্গবন্ধু সবকিছুর ঊর্ধ্বে আছেন এখন। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের স্বার্থে, বাঙ্গালির স্বার্থে, বাঙ্গালি জাতিসত্ত্বার স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকে আমাদের সবসময় প্রয়োজন।
আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন। আমরা তা নানা আয়োজনে উদযাপন করছি। একটি স্মৃতির কথা এখানে তুলে ধরতে চাই বঙ্গবন্ধু ১৯৭১ সালের সেই অগ্নিঝরা মার্চে যখন জন্মদিন এসেছিল ১৭ই মার্চ তারিখে তখন সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, ‘আজ আপনার জন্মদিন, আপনি কি করবেন? জন্মদিনে কি আয়োজন আছে?’ বঙ্গবন্ধু তখন বললেন, ‘আমার জন্মদিন আমি সাধারণ মানুষের মাঝে থাকি, আমার জন্মদিন কী আর মৃত্যুদিনই কী’।
এই যে কথাটা বললেন, এতে বোঝা যায় যে উনি নিজে কিন্তু কখন নিজের জন্মদিন পালন করেননি। বঙ্গবন্ধুর জীবদ্দশায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ঘটা করে পালন করা হয়েছে এমন ঘটনা বিরল, কিংবা নেইই বলা চলে। এই বিষয়গুলো একেবারেই বঙ্গবন্ধুর জীবনে ছিল না, আমি বলব দরকারও ছিল না। কারণ তিনি ছিলেন এমন একটি মানুষ তার জীবদ্দশায়, প্রতিটি দিবসই ছিল গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি দিনই ছিল হয় উদযাপনের নয় বেদনার। পরে বঙ্গবন্ধু যখন সরকার প্রধানের দায়িত্ব নিলেন রাষ্ট্রপ্রধান হলেন তখন এই জন্মদিনের তারিখটি গুরুত্বপূর্ণভাবে পালন করার বিষয়টি এলো। তখনও ঠিক জন্মদিন উদযাপন তিনি করতে চাইলেন না। দিনটিকে তিনি শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করলেন। আর এই দিনটিতে তিনি শিশুদের সাথে কাটানোর চেষ্টা করতেন।
এটি ছিল বঙ্গবন্ধুর আরেকটি সুদূরপ্রসারী চিন্তার ফসল। এই শিশুরাই কিন্তু আগামী দিনের বাংলাদেশ শাসন করবে, তারাই পরবরর্তী প্রজন্ম। এই শিশুরা যদি বঙ্গবন্ধুর মতো একজন বিশাল ব্যক্তিত্বের, একজন বিশাল হৃদয়ের মানুষের কাছাকাছি আসে তার যে অভিজ্ঞতা তা তাদের মন-মানসিকতাকে পরিপূর্ণ করে গড়ে তুলবে। বঙ্গবন্ধু সেই চিন্তা ভাবনা করে শিশুদের সাথে কাটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। সুতরাং আজকের দিনটি আমাদের জন্য বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন হয়ে স্রেফ থাকল না, তিনি আমাদের জন্য দিয়ে গেলেন আরেকটি দিন। যা জাতীয় শিশু দিবস। তবে আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উদযাপন করব, আনন্দ করব সেটাই স্বাভাবিক। আজ আমরা এখন বাংলাদেশের মানুষ, আমরা মনে করি যে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালন করার অর্থ হচ্ছে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো। এবং বঙ্গবন্ধুর মতো মানুষদের স্মরণ করা পৃথিবীর বড় বড় বিভিন্ন ক্ষেত্রে যার আবদান রেখে গেছেন তাঁদের স্মরণ করার অর্থই হচ্ছে যে মানবসভ্যতায় তারা যে অবদান রেখে গেছেন তাকে স্মরণ করা। এই সে স্টিফেন হকিং একজন বিশ্বসেরা তাত্ত্বিক পদার্থবিদ, উনি মারা গেলেন। তাতে পৃথিবীর বিজ্ঞানের যে ক্ষতি হলো তা পুরণ করার নয়। কিন্ত তার এই মৃত্যুর দিনগুলোতে আমরা স্মরণ করব। জন্ম কিংবা মৃত্যুদিবস একটি উপলক্ষ মাত্র। কিন্তু বঙ্গবন্ধু প্রাতঃস্মরণীয়। যাকে আমরা স্মরণ করি প্রতিটি দিন। আগেই বলেছি বঙ্গবন্ধু বাঙালির প্রতিটি পদক্ষেপের অংশ।
কেবল দেশেই নয়, বিশ্ব পরিমণ্ডলেও তিনি একজন স্মরণীয় বরণীয় ব্যক্তিত্ব। বঙ্গবন্ধু, মহাত্মা গান্ধী, আব্রাহাম লিঙ্কন, নেলসন ম্যান্ডেলা এরকম বহু বিশ্বনেতার নাম বলা যাবে যাদেরকে আমরা মানব সভ্যতায় তাদের অবদানের কারণে স্মরণ করব। বঙ্গবন্ধুকেও আজকে সারা পৃথিবী স্মরণ করছে। জাতিসংঘের মতো বিশ্বসংস্থা তারই বিশেষায়িত সংস্থা ইউনেস্কো ৭ই মার্চের ভাষণকে এখন মানবসভ্যতার অকাট্য প্রামাণ্য দলিল হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বীকৃতি দিয়েছে। তাকে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলে আমরা মানছি। তিনিই আমাদের চেতনা। তিনিই আমাদের প্রেরণা।
আরেকটি কথা বলতে চাই, বঙ্গবন্ধু শিশুদের যেহেতু ভালবাসতেন এবং আমরা জানি যে, শিশুরাও বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে। আজকে বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার উপস্থিতি আমরা দেখতে পাই শিশুদের হাতে লেখা রচনায়, তাদের আঁকা ছবিতে।
আমরা দেখি যে শিশুরা বঙ্গবন্ধুকে কখনো দেখেনি, বঙ্গবন্ধুর সাথে পরিচয়টিও ছিল না, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে তাদেরকে আমরা তেমন জানাতেও পারিনি, তারা তাদের পেন্সিলে, তাদের ক্যানভাসে, তাদের রংতুলিতে বঙ্গবন্ধুকে ফুটিয়ে তোলে। এ এক আশ্চর্য বিষয়।
মহান মুক্তিযুদ্ধের ছবি আঁকতে গেলে সেখানেও শিশুরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আসে। বঙ্গবন্ধুকে যখন তারা আঁকে তখন সেখানে মুক্তিযুদ্ধের ছবি নিয়ে আসে। তো যেভাবেই আমি দেখি না কেন এই যে শিশুরা বঙ্গবন্ধুকে হৃদয়ে ধারণ করে আছে, বঙ্গবন্ধু তাদের হৃদয়ে আছে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এই কথাটিই আমি বেশি করে বলতে চাই যে, বঙ্গবন্ধুকে আমাদের শিশুদের আরও বেশি করে জানাতে হবে। আমরা হয়ত অনেক সময় ওদের জানাতেও পারিনি। আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসকে যতটা বিকৃত করা যায়, তথ্য যত বিকৃত করা যায় সেই চেষ্টাই কিন্তু করা হয়েছে। তারপরেও যে শিশুরা, নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বঙ্গবন্ধুর সাথে এতটা ঘনিষ্ঠতা অনুভব করে উপলব্ধী করে এটা কিন্তু একটা আশ্চর্যের বিষয়। তাদের চেতনার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে সর্বত্র যেন বঙ্গবন্ধু ছড়িয়ে থাকেন সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।
সারাবাংলা/এমএম