Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার এপিঠ ওপিঠ


২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ১৬:৩৭

জীবনের সেরা সময় বিশ্ববিদ্যালয় জীবন। স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সবচেয়ে বড় বাধা হচ্ছে এডমিশন টেস্ট বা ভর্তি পরীক্ষা। প্রতি বছর এই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে চলে নানা জল্পনা-কল্পনা। আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে একজন শিক্ষার্থীকে অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হতো। এতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির শেষ ছিলো না। শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দুর্ভোগ কমাতে কয়েক বছর ধরেই সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে সমন্বিত পরীক্ষার চেষ্টা করছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসি। কিন্তু বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আপত্তিতে তা সম্ভব না হওয়ায় গত বছর ইউজিসি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে নেয়। মহামারির এই সময়ে ভর্তিচ্ছুদের দুর্ভোগ এড়াতে ২০২০-২১ ‍শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অনেকটা সমন্বয় আনা হয়েছে। এটিই মূলত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বা জিএসটি (জেনারেল, সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি) নামে পরিচিত পেয়েছে। আর এই গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের মনে যেনো জল্পনা-কল্পনার কোনো শেষই নেই।

বিজ্ঞাপন

মহামারির কারণে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় এবার জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এইচএসসির ফল মূল্যায়ন করা হবে। এতে ১৩ লাখ ৬৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর সবাই পাস করবেন; যাদের ফল ডিসেম্বরেই প্রকাশের কথা রয়েছে। এই শিক্ষার্থীরা ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬০ হাজার আসনে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির যুদ্ধে নামবেন। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু বাংলাদেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকের দুর্ভোগ লাঘবের একটি অনন্য চেষ্টা এই গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশের ১৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় (সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি) একত্রিত হয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম নির্ধারণ করেছে। এ পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ওপর ভিত্তি করে প্রণীত প্রশ্নপত্র দিয়ে মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান তিনটি ইউনিটে গুচ্ছ পদ্ধতিতে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আর ভর্তি পরীক্ষা একযোগে বিভাগীয় স্থানে অনুষ্ঠিত হবে। এতে পূর্ববর্তী বছরগুলোর মতো প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা আলাদা জায়গায় গিয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না। এতে শিক্ষার্থীদের সময় ও শ্রম দু’টোই লাঘব হবে।

বিজ্ঞাপন

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছ— এতে সেকেন্ড টাইমাররাও অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। থাকছে না কোনো ফেইল। ফলে ফ্রেশারদের সঙ্গে তাদের বৈষম্য দূর হবে। ১০০ নম্বরের এই পরীক্ষার প্রশ্ন হবে এমসিকিউ পদ্ধতিতে— তিনটি বিভাগের জন্য তিনটি পরীক্ষা হবে। অর্থাৎ পূর্বে প্রচলিত ‘ডি’ ইউনিটটি এই তিনটি বিভাগের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। একজন বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী যদি মানবিক বা বাণিজ্য বিভাগের বিষয়ও পেতে চায় তাহলে তাকে বিজ্ঞান বিভাগেই পরীক্ষা দিতে হবে। তেমনি বাণিজ্য শাখার কেউ যদি মানবিকের বিষয় পেতে চায় তাহলে তাকে বাণিজ্য বিভাগেই পরীক্ষা দিতে হবে। অর্থাৎ বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক শাখার পরীক্ষার্থীরা নিজ নিজ গ্রুপে পরীক্ষা দিয়েই বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে। এতে করে প্রকৃত মেধা যাচাই হবে। কেননা অনেকে দুই বছর পড়াশোনা না করে ভর্তি পরীক্ষার পূর্বে দুই-তিন মাস বাংলা, ইংরেজি, সাধারণ জ্ঞান পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য মানবিকের ভালো বিষয় পেয়ে যায়। আবার অনেকে বিজ্ঞান শাখায় পড়েও বিজ্ঞানের কোনো বিষয় পায় না। ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় ন্যূনতম মোট জিপিএ -৬ থাকতে হবে। তবে যে কোনাে পরীক্ষায় জিপিএ -৩-এর কম হলে চলবে না। বাণিজ্যে বিভাগের জন্য ওই দুই পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ- ৬ দশমিক ৫ থাকতে হবে। এখানেও কোনাে পরীক্ষায় জিপিএ -৩ এর নিচে থাকলে চলবে না। আর বিজ্ঞানে দুই পরীক্ষায় ন্যূনতম মােট জিপিএ -৭ থাকতে হবে। এখানেও কোনো পরীক্ষায় জিপিএ – ৩-এর নিচে থাকলে আবেদন করা যাবে না— যা প্রায় সব শিক্ষার্থীরই রয়েছে। যেখানে দেখা যেতো— অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মোট জিপিএ সহ বিষয়ভিত্তিক আলাদা করে অনেক শর্ত দেওয়া থাকে। এদিক থেকে শিক্ষার্থীরা অনেকটা সুবিধা পাবে। সুতরাং গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য পয়েন্ট তেমন একটা বাঁধা সৃষ্টি করবে না।

করোনা মহামারিতে এইচএসসি পরীক্ষা না হওয়ায় উচ্চ মাধ্যমিকের বই থেকে মান-বণ্টন করায় প্রকৃত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহজেই যাচাই করা যাবে। মানবিক বিভাগের পরীক্ষা হবে বাংলা, ইংরেজি এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ের ওপর। এর মধ্যে বাংলায় ৪০, ইংরেজিতে ৩৫ এবং আইসিটিতে ২৫ নম্বরের পরীক্ষা হবে। ব্যবসা শিক্ষায় (বাণিজ্য) হিসাববিজ্ঞান (২৫ নম্বর), ব্যবস্থাপনা (২৫ নম্বর), ভাষা (২৫ নম্বরের মধ্যে বাংলায় ১৩ ও ইংরেজিতে ১২ নম্বর) এবং আইসিটি (২৫ নম্বর) বিষয়ে পরীক্ষা হবে। আর বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের ভাষা (২০ নম্বরের মধ্যে বাংলায় ১০ ও ইংরেজিতে ১০ নম্বর), রসায়ন (২০ নম্বর), পদার্থ (২০ নম্বর) এবং আইসিটি, গণিত ও জীববিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। এর মধ্যে আইসিটি, গণিত ও জীববিজ্ঞানের মধ্যে যে কোনাে দু’টি বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে— যার প্রতিটির নম্বর হবে ২০ করে। সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পর ১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও উপাচার্যদের এক সভায় এবার আরও ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ব-শরীরে ভর্তি পরীক্ষা দেবে, তবে সেটা করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে। এদিক থেকে অনলাইনে পরীক্ষা দেওয়ার ঝামেলা মুক্তি মিলবে শিক্ষার্থীদের।

১০০ নম্বরের এমসিকিউ প্রশ্নে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় থাকবে না লিখিত পরীক্ষা। তবে বিভিন্ন সেটে প্রশ্ন থাকবে এতে করে প্রশ্নফাঁসের শঙ্কা অনেকটা কম থাকবে। গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা কমিটি শুধু পরীক্ষাটা নেবে। পরীক্ষার ফল দেওয়ার পর কোন বিশ্ববিদ্যালয় কিভাবে ভর্তি নেবে সেটা স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএ’র কত মার্ক যোগ করা হবে, গ্রুপ পরিবর্তন ইত্যাদি সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপরে নির্ভর করবে। গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক ছাত্র-ছাত্রীরা অংশ নিতে পারবে। তবে তাদের ভর্তির বিষয়টি ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের একটি স্কোর দেওয়া হবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কারা ভর্তি হতে পারবে আর কারা পারবে না সেটি জানিয়ে দেবে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যদি সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা দেওয়াদের ভর্তি নিতে না চায়— সেটি তাদের নিজস্ব ব্যাপার। এতে করে সবাই সমান সুযোগ সুবিধা পাবে বলে আশা করা যায়।

ভর্তি পরীক্ষা গুচ্ছ পদ্ধতিতে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে গুচ্ছভুক্ত সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এতে পরীক্ষার পরিবেশ বজায় থাকবে। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর)-এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুনাজ আহমেদ নূর এর নেতৃত্বে ‘টেকনিক্যাল সাব কমিটি’ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ এর নেতৃত্বে ‘অর্থ-কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। যাতে করে ভর্তি পরীক্ষার সকল বিষয়বস্তু ও কার্যক্রম স্বচ্ছ হয়। গুচ্ছ-ভিত্তিতে ভর্তির সিদ্ধান্তে এবছর নতুন করে ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয় যুক্ত হয়েছে। সেগুলো হলো— ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশাের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও যুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। এতে করে যাতায়াতে বাস-ট্রেনের টিকিট না পাওয়া, ট্রেনে ভিড় করা এমনকি ছাদে ভ্রমণ করা— অতিরিক্ত ভিড়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া থেকে রক্ষা পাবে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের সমস্যা দূর হবে। এমনকি অর্থ ও সময় দু’টোই বাঁচবে। শিক্ষার্থী আর অভিভাবকরাও অনেকটা স্বস্তিতে ফিরবে।

তবে ভর্তি ও আবেদনের প্রক্রিয়ায় মূলত তিনটি শর্তের কারণে ঝরে পড়বেন অনেক শিক্ষার্থী। বিশেষ করে ন্যূনতম জিপিএর বাধ্যবাধকতা থাকায় অনেক শিক্ষার্থী গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষায় অংশই নিতে পারছেন না। আবার গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চাহিদা ও পছন্দমতো আরও একাধিক পরীক্ষা নেওয়ার সুযোগ থাকায় দুর্ভোগ ও আর্থিক দিক দিয়েও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সীমাহীন কষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় সেকেন্ড টাইমার শিক্ষার্থীকে না নেওয়ার ঘোষণায় বহু শিক্ষার্থী ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন। উপাচার্যরা বলছেন, পূর্বে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষা হবে। তবে নেগেটিভ মার্কিং-এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত না আসায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থী। সর্বোপরি, গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি অবশ্যই শিক্ষার্থীর জন্য ইতিবাচক। তবে করোনা মহামারির এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শেষ পর্যায়ে এসে মান-বণ্টন পরিবর্তনের কারণে গুচ্ছ পদ্ধতির পরীক্ষা কিছুটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠতে পারে। তবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষাকে শিক্ষার্থী-বান্ধব ও বলা চলে। কেননা এই পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের পরিশ্রম অনেকটা কমে যাবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের শারীরিক মানসিক শান্তি ও আসবে। যদিও ঢাবি, রাবি, জাবি, চবি আসেনি— তবুও বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক হওয়ায় শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ঝামেলা অনেকটা কমে যাবে বলে আশা করা যায়।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর