Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল; চা ও পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা

মো. নজরুল ইসলাম নোবু
২৯ জানুয়ারি ২০২১ ১৭:৫৬

চা আমাদের দেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পানীয়। চা পান করে না এমন লোক পাওয়া কষ্টসাধ্য। বর্তমান বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ এই পানীয় পান করে থাকে। বাংলাদেশে অসংখ্য লোক রয়েছে যাদের দিনটিই শুরু হয় চা পান করে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে চা চাষের সুদীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সবার আগে চট্টগ্রামের ক্লাব পাড়ায় ১৮৪০ সালে চা বাগান করা হলেও তা বিলুপ্ত হয়ে যায়। এরপর লর্ড হার্ডসন ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনিছড়ায় ১৫০০ একর জায়গার ওপর বাণিজ্যিকভাবে প্রথম চা চাষ শুরু করেন। সময়ের পরিক্রমায় চা চাষ শ্রমঘন কৃষি ভিত্তিক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তবে এ শিল্পকে বেশ চড়াই উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিস্মরণীয় অবদান রয়েছে। ১৯৫৭-১৯৫৮ সালে তিনি তৎকালীন চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় চা বাগানসমূহ প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই শিল্পকে টেকসই খাতের উপর দাঁড় করানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি স্বাধীনতার পর “বাংলাদেশ টি ইন্ডাস্ট্রিজ ম্যানেজমেন্ট কমিটি (BTIMC)” গঠন করে যুদ্ধোত্তর মালিকানাবিহীন/পরিত্যাক্ত ৩৯টি চা বাগান পুনর্বাসন করার পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এছাড়াও যুদ্ধে বিধ্বস্ত ৮টি পরিত্যক্ত বাগান ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বাগান মালিকদের নিকট পুনরায় হস্তান্তর করেন। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ধ্বংসপ্রাপ্ত চা কারখানাগুলো পুনর্বাসনের জন্য “ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া” থেকে ৩০ লাখ ভারতীয় মুদ্রা ঋণ গ্রহণ করতঃ চা শিল্পের যন্ত্রপাতি আমদানি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। চা শিল্পের অস্তিত্ব রক্ষায় বঙ্গবন্ধুর সরকার চা উৎপাদনকারীদের নগদ ভর্তুকি প্রদান করার পাশাপাশি ভর্তুকি মূল্যে সার সরবরাহের ব্যবস্থা করেন। উক্ত সার সরবরাহ কার্যক্রম এখনও অব্যাহত আছে। তিনি চা শ্রমিকদের শ্রমকল্যাণ নিশ্চিত করেন যেমন-বিনামূল্যে বাসস্থান, সুপেয় পানি, বেবি কেয়ার সেন্টার, প্রাথমিক শিক্ষা এবং রেশন প্রাপ্তি নিশ্চিত করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ খ্রিস্টাব্দে চা বাগান মালিকদেরকে ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকানা সংরক্ষণের বিষয়ে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। তিনি ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ টি রিসার্চ স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটে উন্নীত করেন। বর্তমানে তা বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (BTRI) নামে পরিচিত। (তথ্যসূত্র: বাংলাদেশ চা বোর্ডের ওয়েবসাইট )

বিজ্ঞাপন

বর্তমানে চা বাংলাদেশের দ্বিতীয় অর্থকরী ফসল। বাংলাদেশ চা বোর্ডের তথ্যানুসারে বর্তমানে হেক্টরপ্রতি চা এবং জাতীয় গড় উৎপাদন ১২৭০ কেজি এবং চা চাষে জমির গড় ব্যবহার মাত্র ৫১ দশমিক ৪২ শতাংশ। বাংলাদেশে চায়ের উৎপাদন বছরে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন কেজি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে প্রতি বছর ৫০ লাখ কেজি চা রফতানি হয়ে থাকে। এছাড়া চা বাগানগুলোতে বর্তমানে স্থায়ীভাবে কর্মরত শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় ৯০ হাজার। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশ নারী শ্রমিক। অস্থায়ীভাবে নিয়োজিত আছে আরও ৩০ হাজার শ্রমিক। তবে চা-শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে সাড়ে ৩ লাখ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৭ লাখ মানুষ জড়িত।

বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপের কারণে চা শিল্পের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। ১৯৭০ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশে চা বাগানের সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫০ টি যা বর্তমানে ১৬৭ টি। এছাড়াও ২০০২ খ্রিস্টাব্দ থেকে চা বোর্ড কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় পঞ্চগড়, লালমনিরহাট, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, দিনাজপুর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলায় ক্ষুদ্রায়তনে চা আবাদ শুরু হয়েছে যা ব্যাপক সফলতা লাভ করেছে। উপরোক্ত জেলাগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড় চা চাষে সফলতার দ্বার উন্মোচন করেছে। বাংলাদেশ চা বোর্ড ও চা-শ্রমিক ইউনিয়নের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ১৬৭টি নিবন্ধিত চা-বাগান আছে। এরমধ্যে পঞ্চগড়ে ৮ টি, নীলফামারী ও ঠাকুরগাঁও- এ একটি করে চা বাগান রয়েছে। এছাড়া ব্যক্তিগত ও ক্ষুদ্র পর্যায়ে ছোট বড় অসংখ্য চা বাগান রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে বিশেষ করে, পঞ্চগড়ে ব্যাপকভাবে চা চাষ হচ্ছে।

১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম পঞ্চগড়ে চা চাষের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয় এবং ২০০০ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ শুরু হয়। দিনদিন এ অঞ্চলে চা চাষ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে এ অঞ্চলের মানুষের যেমন দারিদ্র বিমোচন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে তেমনি ২০ হাজার মানুষের স্থায়ী কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম অর্গানিক চা এই পঞ্চগড়েই উৎপাদিত হয়। কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের পরিবর্তে জৈব সার ব্যবহার করে অর্গানিক চা উৎপাদন করা হয়। চা চাষের জন্য পাহাড়ি ঢালু ও বৃষ্টিপাত সমৃদ্ধ অঞ্চল উপযোগী হলেও উত্তরবঙ্গের এসব জেলাগুলোর সমতল ভূমিতে চা চাষ করে সফলতা দৃশ্যমান হয়েছে।

পঞ্চগড় আঞ্চলিক চা বোর্ড থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়, ২০২০ সালে উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলার ১০১৭০.৫৭ একর জমির ২৭ টি চা বাগান এবং সাত হাজার ৩১০ টি ক্ষুদ্রায়তন চা বাগান থেকে এক কোটি তিন লাখ বা ১০.৩০ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যেখানে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৫ লাখ কেজি। বিগত বছরের তুলনায় সাত লাখ ১১ হাজার কেজি বেশি উৎপাদনের মাধ্যমে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। আলোচ্য সময়ে এসব বাগান থেকে পাঁচ কোটি ১২ লাখ ৮৩ হাজার ৩৮৬ কেজি সবুজ কাঁচা চা পাতা উত্তোলন করা হয়। যা পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ের চলমান ১৮ টি কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে এক কোটি তিন লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এই উৎপাদন জাতীয় উৎপাদনের ১১ দশমিক ৯২ শতাংশ।

চা বোর্ড আরও জানিয়েছে, ২০১৯ সালে এ অঞ্চলে চা আবাদের পরিমাণ ছিল আট হাজার ৬৮০ দশমিক ৮৬ একর এবং উৎপাদন হয়েছিল ৯৫ লাখ ৯৯ হাজার কেজি। সেই তুলনায় ২০২০ সালে এক হাজার ৪৮৯ দশমিক ৮৯ একর আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং উৎপাদনও বেড়েছে সাত লাখ ১১ হাজার কেজি।কোভিড পরিস্থিতিতেও উৎপাদনের এ ধারাবাহিকতা থেকে বুঝা যায় যে, যেকোন প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও দেশের চা শিল্প উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর ভূমিকা অনস্বীকার্য। সমতল ভূমিতে চা চাষের জন্য পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, দিনাজপুর ও নীলফামারী জেলা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়।

পর্যটন শিল্প
প্রাকৃতিক নৈঃসর্গের লীলাভূমিখ্যাত বাংলাদেশে আরেকটি অপার সম্ভাবনাময় খাত হল পর্যটন শিল্প। অপরিমেয় সৌন্দর্য বিস্তৃত এই দেশে যুগ যুগ ধরে বিদেশি পর্যটকদের পাশাপাশি দেশীয় পর্যটকদের মন কেড়েছে। যা দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব রাখছে।

ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের (WTTC) এক গবেষণা অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ১০০ কোটি। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা ২০০ কোটি ছাড়িয়ে যাবে। বিপুল সংখ্যক পর্যটকের প্রায় ৭৫ শতাংশ ভ্রমণ করবেন এশিয়ার দেশগুলোতে। বর্তমানে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল কয়েকটি পর্যটন মার্কেটের মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশ যদি এ বিশাল বাজারে টিকে থাকতে পারে, তাহলে পর্যটনের হাত ধরেই বদলে যেতে পারে দেশের অর্থনীতির রূপরেখা।

পর্যটনের অপার সম্ভাবনায় বাংলাদেশ। এখন প্রতিবছর প্রায় ৯০ থেকে ৯৫ লাখ পর্যটক দেশের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমণ করে থাকেন। জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের ফলে সাধারণ মানুষের কাছে ভ্রমণপিপাসা অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে বিধায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে অনন্য অবদান রাখছে। বাংলাদেশে পর্যটন খাতে সরাসরি কর্মরত আছেন প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। এ ছাড়া পরোক্ষভাবে আছেন ২৩ লাখ। অর্থাৎ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৪০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে, যার আর্থিক মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা।

অপূর্ব সৌন্দর্যের আধার বাংলাদেশ যার প্রাকৃতিক রূপবৈচিত্র্যের কোনো জুড়ি নেই। বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন, পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার, পার্বত্য চট্টগ্রামের অকৃত্রিম সৌন্দর্য, সিলেটের চা বাগান ও সবুজ অরণ্যসহ আরও অনেক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। কিন্তু বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল পর্যটন শিল্পের দিক দিয়ে বেশ পিছিয়ে রয়েছে।

এক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড়, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী এবং লালমনিরহাটের মত জেলাগুলোতে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও প্রসার ঘটাতে পারলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে নবদিগন্তের সূচনা হবে। এসব জেলার মধ্যে বিশেষ করে পঞ্চগড় অপেক্ষাকৃত বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশের সর্ব উত্তরের জেলা হওয়ায় মানুষের মনে স্বাভাবিকভাবেই একটা আগ্রহের জায়গায় রয়েছে। এছাড়া ভৌগোলিকভাবেও পঞ্চগড় জেলাটি বহুল তাৎপর্য বহন করে। আমরা জানি পঞ্চগড় জেলার সীমানা ঘিরে রয়েছে ভারতের অংশ। এছাড়া পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা হতে নেপালের দূরত্ব ৬১ কি. মি., এভারেস্ট চূড়া ৭৫ কি.মি., ভূটান ৬৪ কি. মি., চীন ২০০ কি. মি., ভারতের দার্জিলিং ৫৪ কি. মি., ভারতের শিলিগুড়ি ৮ কি. মি., ভারতের কাঞ্চনজঙ্ঘা ১১ কি. মি.। যে কারণে এ এলাকায় যদি আন্তর্জাতিক মানের কিছু পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা যায় তাহলে দেশীয় পর্যটকদের পাশাপাশি ভারত, চীন, নেপাল ও ভুটানের মতো প্রতিবেশী দেশগুলোকে আকৃষ্ট করা সহজ হত। এখানকার চা বাগানগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠতে পারে বিভিন্ন পর্যটন ও পিকনিক স্পট। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে পঞ্চগড় থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দর্শনকে কেন্দ্র করে নতুনভাবে এই জেলাটি আলোচনা ও আকর্ষণে এসেছে। অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে মেঘমুক্ত আকাশে শরতের শুভ্রতায় মাঝেমধ্যেই দেখা মেলে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়া। অসংখ্য লোক এই পাহাড় চূড়া দেখতে দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসে। এছাড়া বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী বেষ্টিত এই জেলায় ভিতরগড়, মিরগড়, রাজনগড়, হোসেনগড় ও দেবনগড় নামক পাঁচটি ঐতিহাসিক গড় রয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরুপ লীলাভূমি এই পঞ্চগড় জেলায় বেড়ানোর জন্য আরও অনেক জায়গা রয়েছে যেমন- মহারাজার দিঘী, বদেশ্বরী মহাপীঠ মন্দির, মির্জাপুর শাহী মসজিদ, বার আউলিয়া মাজার শরীফ, গোলকধাম মন্দির, তেঁতুলিয়া ডাক-বাংলো, তেঁতুলিয়া পিকনিক কর্ণার, বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট ও বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর, রকস্ মিউজিয়াম, মহারাণী বাঁধ, মহানন্দা নদী ও করতোয়া নদী, দেবীগঞ্জের ময়নামতির চর, খয়ের বাগান ইত্যাদি। পাশাপাশি দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির, রাম সাগর, এবং নীলফামারীর নীলসাগর পর্যটন প্রেমীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।

বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের এসব জেলাগুলো কিছুটা মঙ্গাপ্রবণ। তবে সরকারের নানামুখী পরিকল্পনায় এসব এলাকা মঙ্গাবস্থা থেকে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে। তাই সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় এসব এলাকায় যদি চা শিল্পের বৃহদাকারে সম্প্রসারণ ও অগ্রগতি অব্যাহত রেখে পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটানো যায় তাহলে দারিদ্র্য বিমোচনের পাশাপাশি অসংখ্য লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যা সন্দেহাতীতভাবে বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে।

লেখক- কলাম লেখক ও  প্রাক্তন শিক্ষার্থী, লোক প্রশাসন বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

সারাবাংলা/আরএফ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর