Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভ্যাকসিন বৃত্তান্ত ও কতিপয় অপপ্রচারের জবাব


১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২২:১২

জেগে জেগে যারা ঘুমায় তাদেরকে জাগানো যেমন কোনোভাবেই সম্ভব নয়, ঠিক তেমনি ভ্যাকসিন নিয়ে উদ্দেশ্য-প্রণোদিতভাবে যারা প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে, অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদেরকেও বুঝানো সম্ভব নয়। তাছাড়া গুগলের এই জামানায় কয়েকটি ক্লিক করেই যখন হালনাগাদ সকল তথ্য হাতের মুঠোয় পাওয়া যায়, সেখানে তথ্যের ঘাটতির জন্য কিংবা জানার অভাবে মানুষ ভুল বকছে এমনটা হওয়ার নয়। তারপরও আসলেই যারা না জেনে দ্বিধান্বিত রয়েছেন তাদের জন্য সহজ ভাষায় কয়েকটা ব্যাপার তুলে ধরতে চাই।

বিজ্ঞাপন

কোভিড মহামারি শুরুর প্রথম থেকেই তা মোকাবেলা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর নানাবিধ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি কোভিডের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন প্রাপ্তির বিষয়েও কার্যক্রম শুরু করে। বিশ্বব্যাপী যেসব দেশ কিংবা প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে গবেষণা শুরু করে সেগুলোর প্রতিটির ব্যাপারেই নিয়মিত হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ করার কাজ চলে। লক্ষ্য ছিল একটাই, দ্রুততম সময়ে বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ উপযোগী ও কার্যকর কোভিড ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করা। আর এই কাজে সরকার যে শতভাগ সফল তার প্রমাণ হলো আমাদের হাতে ইতিমধ্যেই ভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে এবং ভবিষ্যতে প্রয়োজনীয় ভ্যাকসিনের সংস্থানও নিশ্চিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রথমেই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌড়ে এগিয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ভ্যাকসিন এবং তাদের ক্রাইটেরিয়াগুলো জেনে নেওয়া যাক। মোটামুটিভাবে সাতটি প্রতিষ্ঠান এ পর্যন্ত কোভিড ভ্যাকসিন আবিষ্কারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এগুলো হলো—যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না ও জনসন এন্ড জনসন; যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকা, চীনের সাইনোফার্ম ও সাইনোভ্যাক এবং রাশিয়ার গ্যামালিয়া। এর মাঝে ফাইজার, মডার্না এবং অক্সফোর্ড-এই তিনটি ভ্যাকসিনই সায়েন্টিফিক রিসার্চের সকল মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়ে স্বীকৃত সকল অথোরাইজেশন অথোরিটি থেকে চূড়ান্ত অনুমতি পেয়েছে। চায়না এবং রাশিয়া তাদের দেশের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনগুলোকে সফল দাবি করলেও এগুলোর তৃতীয় পর্যায়ের রিসার্চ ডাটা পাবলিকলি প্রকাশ করা হয়নি। যদিও জরুরি অনুমতি নিয়ে বেশ কিছু দেশে এ সকল ভ্যাকসিন ব্যবহার করে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর বাইরে ‘জনসন এন্ড জনসন’ কোম্পানির ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলমান রয়েছে এবং সিঙ্গেল ডোজের এই ভ্যাকসিনের ব্যাপারে বিজ্ঞানীরা বেশ আশাবাদী।

এবার আসা যাক ভ্যাকসিনের দাম এবং স্টোরেজ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। ফাইজার এবং মডার্না আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন দুটির দাম যথাক্রমে প্রতি ডোজ প্রায় ৩০ ডলার ও ২০ ডলার। আরএনএ টাইপ ভ্যাকসিন হওয়ায় এই দুটি ভ্যাকসিনই অনেক কম তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। মডার্নার স্টোরেজের ক্ষেত্রে এই তাপমাত্রা -২০ ডিগ্রি হলেও ফাইজারের ক্ষেত্রে এই তাপমাত্রা মাইনাস ৭০ ডিগ্রি। দাম ও স্টোরেজ কন্ডিশন বিবেচনায় এই দুটি ভ্যাকসিনের একটিও বাংলাদেশে গণ- টিকা কর্মসূচির জন্য ততটা উপযোগী নয়। উপরন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় এই ভ্যাকসিন কবে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে রফতানি হবে তার নিশ্চয়তা ছিল না এবং এখনও নেই। বাকি পাঁচটি ভ্যাকসিনই নিষ্ক্রিয় কিংবা ভাইরাল ভেক্টর টাইপ ভ্যাকসিন হওয়ায় সেগুলো মেডিক্যাল গ্রেড সাধারণ তাপমাত্রায় (২-৮ ডিগ্রি) সংরক্ষণ করা যায়। তবে চায়নার সাইনোফার্ম এবং সাইনোভ্যাক আবিষ্কৃত দুটি ভ্যাকসিনের প্রতি ডোজের আনুমানিক দাম যথাক্রমে ৭০ ডলার এবং ৩০ ডলার। এছাড়া রাশিয়ার গ্যামালিয়া কোম্পানির স্পুটনিক-৫ এবং জনসন এন্ড জনসন কর্তৃক আবিষ্কৃত ভ্যাকসিনের আনুমানিক সম্ভাব্য দাম প্রতি ডোজ ১৫-২০ ডলার হতে পারে।

সকল ভ্যাকসিন সম্পর্কিত হালনাগাদ তথ্যাদির বিষয়ে সম্যক অবগত ছিলো বলেই সরকার বুঝতে পারে সকল দিক বিবেচনায় বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ উপযোগী হচ্ছে অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিড ভ্যাকসিন ‘কোভিশিল্ড’। আর এ কারণেই উক্ত ভ্যাকসিন তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে থাকা অবস্থাতেই সরকার বেক্সিমকো কোম্পানির মাধ্যমে ভারতের সিরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি ভ্যাকসিন প্রাপ্তির জন্য ক্রয়চুক্তি সম্পন্ন করে। এতে প্রতি ডোজ ভ্যাকসিনের দাম পড়েছে মাত্র ৪ ডলার। ক্রয়চুক্তিতে এটাও উল্লেখ রয়েছে যে, সিরাম ইন্সটিটিউট যদি ভারত সরকারের কাছে এর থেকেও কম দামে ভ্যাকসিন বিক্রি করে তাহলে বাংলাদেশকেও সেই কম দামেই ভ্যাকসিন দিতে হবে। কিন্তু ভারতের কাছে এই ভ্যাকসিন এর চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করা হলে আমাদের থেকে বেশি অর্থ দাবি করা যাবে না। উল্লেখ্য, অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকা তাদের আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য সিরাম ইন্সটিটিউটসহ বিশ্বের মোট সাতটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছে। সিরাম ইন্সটিটিউট বিশ্বের বৃহৎ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এবং ভ্যাকসিন উৎপাদনে তাদের দক্ষতা সারা বিশ্বে স্বীকৃত।

সরকার যদি আগেভাগেই এই চুক্তি না করতো তাহলে কোনোভাবেই এত দ্রুত সময়ে ভ্যাকসিন আমাদের হাতে এসে পৌঁছাত না। কারণ সিরাম ইন্সটিটিউট উন্নয়নশীল বিশ্বে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য গ্যাভি-কোভেক্স ফ্যাসিলিটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। এছাড়াও বিশ্বের অনেক দেশ ভ্যাকসিনের জন্য তাদের কাছে চাহিদা দিয়ে রেখেছে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই এখন পর্যন্ত কোভিড ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি। কোভিড ভ্যাকসিন বিশ্বব্যাপী এখন কতটা মহার্ঘ্য বস্তু তা বুঝা যায় যখন মাথাপিছু প্রায় ১৬০০০ ডলার গড় আয়ের দেশ হাঙ্গেরি আমাদের কাছে পাঁচ হাজার ভ্যাকসিন চায়। অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে সরকারের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কেনা তিন কোটি ভ্যাকসিনের পাশাপাশি গ্যাভি-কোভেক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে আরও সাত কোটি অর্থাৎ সর্বমোট দশ কোটি ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছে।

এবার আসা যাক বেক্সিমকো প্রসঙ্গে। সরকার কেন ক্রয় প্রক্রিয়ায় বেক্সিমকোকে সম্পৃক্ত করলো—এটি এখন সমালোচকদের একটি রসালো প্রশ্ন। মেডিকেল সামগ্রী সংক্রান্ত সরকারি ক্রয়নীতি সম্পর্কে ন্যূনতম জানা থাকলে সরকার কেন সরাসরি কিনল না, এই প্রশ্নই আসত না। তবুও সহজভাবে এটারও ব্যাখ্যা দেই। বেক্সিমকো দেশের অন্যতম শীর্ষ ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি যারা পৃথিবীর ষাটেরও অধিক দেশে ওষুধ রফতানি করে। বেক্সিমকো অক্সফোর্ড আবিষ্কৃত কোভিড ভ্যাকসিন দেশেই উৎপাদন কিংবা এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরশিপ প্রাপ্তির সম্ভাব্যতার বিষয়ে এস্ট্রাজেনেকা কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে। এস্ট্রাজেনেকা উৎপাদনের বিষয়ে রাজি না হলেও ডিস্ট্রিবিউটরশিপের বিষয়ে সিরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেয়। সে অনুযায়ী বেক্সিমকো সিরাম ইন্সটিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং আট মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার শর্তে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার ডিস্ট্রিবিউটরশিপ লাভ করে। সরকার যখন অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ক্রয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয় তখন দেশে সেই ভ্যাকসিনের একমাত্র ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে বেক্সিমকো সেই ক্রয় প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হয়।

পুরো প্রক্রিয়াটিই দিবালোকের মতো স্বচ্ছ। বেক্সিমকো না হয়ে অন্য কোনো কোম্পানি নয় কেন? কারণ অন্য কোনো কোম্পানি কোভিড ভ্যাকসিনের ডিস্ট্রিবিউটরশিপ প্রাপ্তির বিষয়ে উদ্যোগী হয়নি কিংবা হলেও সফল হয়নি। বেক্সিমকো অক্সফোর্ড আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন চূড়ান্তভাবে সফল হওয়ার আগেই সিরাম ইন্সটিটিউটে বিনিয়োগ করার রিস্ক নিয়েছিল, তাই তারা ডিস্ট্রিবিউটরশিপ পেয়েছে। এখনও বিশ্বব্যাপী অনেক প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিন ট্রায়াল পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশের যে কোনো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি চাইলেই সেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে ডিস্ট্রিবিউটরশিপ নিতে পারে। পরবর্তীতে যদি সেই ভ্যাকসিন সফল হয় এবং সরকার যদি সেই ভ্যাকসিন ক্রয় করতে চায়, তাহলে সেই ক্রয়চুক্তিতে ডিস্ট্রিবিউটরশিপ প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানই সম্পৃক্ত হবে।

সর্বশেষ ‘কম্পালসারি লাইসেন্স’ প্রসঙ্গে একটু বলতে চাই। জনৈক বুদ্ধিজীবী সাম্প্রতিক একটি টকশোতে দাবি করেছেন সরকার চাইলে কম্পালসারি লাইসেন্স প্রদানের মাধ্যমে দেশেই এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে পারতো। এটা ডাহা মিথ্যা। কম্পালসারি লাইসেন্সের বিষয় তখনই আসবে যখন এই ভ্যাকসিনের ফর্মুলা দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে থাকবে। কিন্তু অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলা কি দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে আছে? এই বিজনেস সিক্রেট কি তারা কখনও প্রকাশ করবে? শুধু অক্সফোর্ড-এস্ট্রাজেনেকা কেন, অন্য কোনো কোভিড ভ্যাকসিনের ফর্মুলাই বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে নেই। যদি থাকতো এবং সেই ফর্মুলার আলোকে উৎপাদনের সক্ষমতা দেশের কোনো প্রতিষ্ঠানের থাকতো তাহলেই না কেবল কম্পালসারি লাইসেন্সের ইস্যু আসত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি ডিপার্টমেন্টের প্রথম ব্যাচের একজন গ্র্যাজুয়েট কম্পালসারি লাইসেন্স সম্পর্কে জানেন না এমন হওয়ার কথা নয়। অর্থাৎ, দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য তিনি জেনেশুনেই এই মিথ্যাচার করেছেন। যেমনটি তিনি আল জাজিরার বরাত দিয়ে বলেছেন যে, শুধুমাত্র প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন ফ্রি দেওয়া হবে, পরের ডোজ কিনতে হবে। অথচ আল জাজিরাতে এমন কোনো রিপোর্ট নেই। এটা সম্পূর্ণভাবেই মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য তার নির্লজ্জ মিথ্যাচার। সরকারি ব্যবস্থাপনায় সকল ভ্যাকসিন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হবে এই বিষয়ে সরকারের তরফ থেকেও অনেকবার নিশ্চিত করা হয়েছে।

এবার ঠাণ্ডা মাথায় একটি বিষয় ভাবেন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে করোনার রাহুগ্রাস থেকে চূড়ান্তভাবে মুক্ত করার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদী আগাম পরিকল্পনা মাধ্যমে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে কোভিড ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পরেও যখন এই ধরনের অপপ্রচার দেখেন, তখন প্রধানমন্ত্রীর কেমন লাগে? একটিবার একটু নিজেকে সেই জায়গায় বসিয়ে ভাবুন?  আমার তো রাগে গা কাঁপে, সহ্য হয় না। আমি জানি প্রধানমন্ত্রীর এরূপ বোধ হয় না। কেননা উনি বঙ্গবন্ধুকন্যা, উনি সর্বংসহা। দেশের প্রতিটি মানুষকে উনি নিজের পরিবারের সদস্য ভাবেন, যেমনটি জাতির পিতা ভাবতেন। নীলকন্ঠীর মতো সকল সমালোচনার বিষ হজম করেও তিনি দিনরাত এই দেশের জন্য, দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, কাজ করে যাবেন।

শেষ করবো এই বলে যে, কোভিড মহামারিকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করার জন্য ভ্যাকসিনের কোনো বিকল্প নেই। অদূর ভবিষ্যতে এমন সময় আসতে যাচ্ছে যখন কোভিড ভ্যাকসিনেশন কার্ড ছাড়া বিদেশ ভ্রমণসহ অনেক কাজেই প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হবে। তাই অন্যের রাজনৈতিক দাবার ঘুঁটি না হয়ে নিজের ভালোটা নিজে বুঝুন। সুযোগ পাওয়া মাত্রই সরকার প্রদত্ত ভ্যাকসিন বিনামূল্যে গ্রহণ করুন।

আমি কোভিড ভ্যাকসিন নেব, আপনি নিচ্ছেন তো?

অক্সফোর্ড করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন ফাইজার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর