Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নেপালে বাংলাদেশ মেডিকেল টিম ও ছোট্ট দুটি কফিনের গল্প


২২ মার্চ ২০১৮ ১৭:৪৯

১২মার্চ ২০১৮। কর্মচঞ্চল নগরী ঢাকার সূর্যটা বোধকরি সবার জন্য একইভাবে উঠেছিল। সাত সকালে উঠে তৈরি হয়ে নিয়ে অন্যান্য দিনের মতো আমিও দ্রুতই পৌঁছে যাই নিজের র্কমস্থল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। বার্ন ইউনিটের আউটডোরে সেদিন রাজ্যের রোগী, তাই সময় নষ্ট না করে চোখ-কান বন্ধ করে নেমে পড়লাম কাজে। আমরা যখন কাজ করছিলাম আমাদের কর্মস্থলে, ঢাকায় হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরটিও সেদিন ছিলো সমান ব্যস্ততায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন বয়সী কিছু মানুষ জমা হয়েছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে তারা যাবে নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে। ফ্লাইটের নম্বর পড়লো বিএস-২১১। নিজেদের মতো করে মোবাইলে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আপডেট দিচ্ছিলেন, জানান দিচ্ছিলেন- যাচ্ছেন কয়েকটা দিনের জন্য হারিয়ে যেতে হিমালয়কন্যার দেশে…। আমরা আমাদের কাজ করছি। তারা তাদের কাজে কিংবা বেড়াতে যাচ্ছে। এই দুইয়ে কোনো সম্পর্ক তো ছিলো না। কিন্তু এক মর্মান্তিক ঘটনা যে এক করে দিলো আমাদের। কিভাবে সেটাই বলছি-

বিজ্ঞাপন

‘বাংলা স্টার ২১১ নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণের সময়ে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়েছে, ব্যাপক প্রাণহানীর আশংকা…’ টিভি স্ক্রলে এ ব্রেকিং নিউজ দেখে এক সহকর্মী হন্তদন্ত হয়ে খবরটি পৌঁছে দিল আমার কাছে। একমুর্হূতের জন্য বাকরুদ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইলাম সবার মুখের দিকে, চকিতে উঠে দৌড়ে গেলাম টিভির সামনে। বিমান থেকে উঠে যাওয়া ধোঁয়া দেখে বুঝতে পারলাম বিধ্বস্ত বিমান থেকে যাত্রীদের বেচেঁ আসার সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ। শেষবিকালে সর্বশেষ আপডেট নিয়ে যখন বাড়ি ফেরার গাড়িতে উঠেছি তখনই ডা. সামন্ত লাল সেন স্যারের ফোন। স্যারের গলায় প্রবল উৎকণ্ঠা। জানালেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ সরকার জরুরি চিকিৎসা সেবা দিতে নেপালে একটি মেডিকেল টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেখানে বার্ন ইউনিট থেকে আমি এবং আমার অপর এক সহকর্মী ডা. মনছুরকে যেতে হবে। স্যার বেশি প্রশ্নে না গিয়ে যে কোনো সময়ে ঢাকা ত্যাগের বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বললেন।

বিজ্ঞাপন

 

 

একে তো প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ, তার সঙ্গে এই বিপদের ক্ষণে দেশের জন্য কিছু করার সুযোগ সব মিলিয়ে শঙ্কাগুলোকে সব দূরে ঠেলে দিয়ে মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে পরিবারকে জানালাম। যাত্রার সব প্রস্তুতি শেষ করে জিও (সরকারি আদেশ) হাতে নিয়ে অপেক্ষায় রইলাম। মেডিকেল টিমের জন্য নেপালের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি পাবার পর ১৫ মার্চ ২০১৮ বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. লুৎফর কাদের লেলিনের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পুলিশের ২ জন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞসহ ৯ সদস্যের মেডিকেল টিম বিমানে বিজি ০৭১-এ চেপে দুপুর ১১.৪০ মিনিটে কাঠমাণ্ডুর উদ্দেশ্যে রওনা হই। একই বিমানে চেপে কাঠমাণ্ডু যাচ্ছিল আমার খুবই ঘনিষ্ট কিছু বন্ধু। সবার মনেই ছিল অজানা শঙ্কা। শঙ্কাটুকু আরেকটু বাড়িয়ে দিয়ে কাঠমাণ্ডুর কাছাকাছি পৌঁছাতেই পাইলট যখন প্রতিকূল আবহাওয়ার আশংকার কথা জানিয়ে সিট বেল্ট বাধঁতে বললেন অজান্তে নিজের শিরদাড়া দিয়ে একটি শীতল স্রোত বয়ে যাওয়া টের পেলাম। শেষ পর্যন্ত অবশ্য পাইলটের দক্ষ অবতরণে আমরা পৌঁছে গেলাম সেই ত্রিভূবন আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে। ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমরা সরাসরি চলে যাই নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসে। সেখানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শাম্স প্রথমেই রুদ্ধদার বৈঠকে আমাদেরকে পুরো পরিস্থিতি ব্রিফ করেন। মিটিংয়ে পরিস্থিতি বিবেচনায় দ্রুত কার্যক্রম শেষ করতে মেডিকেল টিম দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়। ডা. লুৎফর কাদের লেলিনের নেতৃত্বে আমরা ছয় জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আহত রোগীদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য একটি টিম এবং নিহত ব্যক্তিদের শনাক্তকরণ এবং ডিএনএ পরীক্ষার জন্য ডা. সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে আরেকটি টিম গঠন করা হয়। দূতাবাসে দুপুরে খাবার খেয়ে আমরা সরাসরি চলে যাই কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেখানে তখন সাত জন রোগী ভর্তি ছিল। সব রোগীর প্রাথমিক পরিক্ষা নিরীক্ষা এবং তথ্য সংগ্রহের পর আমরা সংশ্লিষ্ট মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা এবং স্বজনদের নিয়ে পরদিন ১৬ মার্চ ২০১৮ সকালে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত নেই। এই হাসপাতালে এমরানা কবির হাসি, কবির হোসেন এবং শাহীন ব্যাপারী ছাড়া অন্য রোগীরা কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও রোগী এবং স্বজনদের সবাই ছিলেন মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তাদের সবাইকে মানসিকভাবে কিছুটা স্থিতিশীল করে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করা এবং সেই সিদ্ধান্ত দ্রুততম সময়ে কার্যকর করানোর প্রক্রিয়াটা ছিল আমাদের টিমের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজটি ত্রিভূবন আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে মাত্র কয়েক মিনিটের পথ। দূর্ঘটনার পরপরই তাই আহত এবং নিহতের প্রায় সকলকেই এই হাসপাতালে আনা হয়। এই ধরনের জরুরি পরিস্থিতিতে এই হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স এবং কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব বিবেচনায় আলাদা আলাদাভাবে প্রতিটি রোগীদের যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন তা এককথায় অভূতপূর্ব। সম্পদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতায় তারা আহত রোগী ও তাদের স্বজনদের মন জয় করেছেন। বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং দেশের জনগণের পক্ষে থেকে আমরা নেপালের সরকার, জনগণ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সন্ধ্যায় আমরা যাই নরভিক হাসপাতালে, যেখানে ইয়াকুব আলী নামে আরো একজন বাংলাদেশি রোগী আইসিইউ-তে ভর্তি ছিলেন। মাথায় গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত ইয়াকুব আলীর চিকিৎসা কার্যক্রম নিয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সাথে আলোচনা করে আরও কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেই। রাত ১০ টায় হোটেলে চেক ইন করে আমাদের দুই টিম নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে দ্রুত আহত রোগীদের বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য দেশে এবং দেশের বাইরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেই। পাশাপাশি নেপালের পুলিশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলে নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করে দ্রুততম সময়ে স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেই।

 

 

পরদিন ১৬ মার্চ ২০১৮ সকাল ৯টায় আমরা চলে আসি কাঠমাণ্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে আগেই থেকে ছিলেন ডা. রাজীব রাজসহ মেডিকেল বোডের্র অন্য পাঁচ সদস্য এবং হাসপাতালের সিইও। তারা আমাদের নিয়ে গ্র্যান্ড রাউন্ডের আয়োজন করেন। রাউন্ড শেষে বোর্ডরুমে আমরা প্রত্যেক রোগীর স্বজনদের সাথে আলাদাভাবে কথা বলি। ঔ মিটিংয়ে মেহেদী, স্বর্ণা এবং স্বামী সন্তান হারানো অ্যানীকে একই দিনে বিমানের ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরিয়ে নিয়ে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত হয়। রুবাইয়াৎ রশীদকে পরদিন অর্থাৎ ১৭ র্মাচ বার্ন ইউনিটে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। শাহীন ব্যাপারীর কোন নিকট স্বজন না থাকায় বিমানের বিশেষ সিট আয়োজনের স্বাপেক্ষে আমাদের টিম এর একজন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে ঢাকা ফিরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কবির হোসেনের দুই পা ভেঙে যাওয়ায় তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে নিতে ইউএস বাংলাকে বিমানে বিশেষ স্ট্রেচারের ব্যবস্থা করতে বলি। এমরানা কবির এবং ইয়াকুব আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর বা দিল্লিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত আমরা রাত পর্যন্ত নিতে ব্যর্থ হই। পরদিন অর্থাৎ ১৮ মার্চ আমরা এমরানা কবিরের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করে দ্রুত এয়ার অ্যাম্বুলেন্স যোগে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে দূতাবাস এবং ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষকে জানাই। একই সাথে ইয়াকুব আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিল্লির এ্যাপোলো হাসপাতালের নিউরোসার্জারী বিভাগে ভর্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ১৮ তারিখ সারাদিন প্রাপ্তির অনিশ্চয়তা কাটিয়ে ১৯মার্চ রাত ১.৩০মিনিট এয়ার অ্যাম্বুলেন্স এমরানা কবিরকে নিয়ে এবং একই দিন সকাল ৯.০০টায় আরেকটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ইয়াকুব আলীকে নিয়ে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। জটিলতা তৈরি হয় শাহীন ব্যাপারী এবং কবির হোসেনকে নিয়ে। বিমানের সিট সংক্রান্ত জটিলতায় শাহীন ব্যাপারীর ঢাকায় ফেরত যাওয়ার অনিশ্চয়তা তৈরি হলে এগিয়ে এলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তার স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেয়া বিজনেস ক্লাসের একটি সিটকে বিশেষ ব্যবস্থায় যাওয়ার উপযোগী করে মেডিকেল টিমের সদস্য ডা. মামুনের তত্ত্বাবধানে শাহীন ব্যাপারীকে ১৮তারিখ ঢাকায় পাঠিয়ে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে বিমানে স্পেশাল স্ট্রেচারের ব্যবস্থা করতে ৭২ ঘন্টা সময় লাগায় কবির হোসেনের ঢাকা ফেরায় ফের অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। অবশেষে রাষ্ট্রদূতের হস্তক্ষেপে ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ বিমান করে স্ট্রেচার ব্যবস্থা করায় কবির হোসেনসহ অন্যান্য স্বজনদের ১৯ মার্চ ঢাকায় ফেরানোর ব্যবস্থা হয়। এরই মধ্যে আমাদের অন্য মেডিকেল টিম ডাঃ সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে ১৮মার্চ রাত নাগাদ ২৩টি মৃতদেহ সনাক্তকরণ সম্পন্ন করে। বাকি ৩টি মরদেহ সনাক্তকরণের জন্য ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়।

১৮মার্চ দুটি টিম তাদের কার্যক্রম শেষ করে রাত ১.০০ টায় সিদ্ধান্ত নেয় ১৯ মার্চ দেশে ফেরত যাবার। সেক্ষেত্রে প্রথমদিকে কিছুটা দ্বিধা কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত রোগীদের সাথে ইউএস বাংলার বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফিরে আসতে একমত হই সবাই। টিমের পুলিশের দুই জন সদস্যের বিশেষ প্রয়োজনে থেকে যাবার সিদ্ধান্ত হয়।

১৯ মার্চ ২০১৮, ইয়াকুব আলীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদায় দেবার পর আমরা পুরো টিম যাই বাংলাদেশ দূতাবাসে। উদ্দেশ্য দুর্ঘটনায় নিহতদের জানাজায় অংশ নেওয়া। জীবনে এই প্রথমবার একসাথে ২৩টি শবদেহের মিছিল দেখলাম। মিছিলের একটি কোণায় পড়ে ছিল ছোট দুটি কফিন। বাচ্চা দুটির কফিন দেখে নিজেকে সংবরণ করতে পারিনি। ৪ দিনের আগলে রাখা পেশাদারিত্বের দেয়াল চোখের পানিতে ধুয়ে গেল নিমিষেই। জানাজা শেষে হঠাৎ চোখ গেল দূতাবাসের জাতীয় পতাকাটির দিকে। এতদিন নেপালের ঠান্ডা বাতাসে পতপত করে উড়তে থাকা পতাকাটি যেন শোকে পাথর হয়ে ঠায় দাড়িয়ে আছে। স্বজনদের নিদ্রাহীন বাষ্পরুদ্ধ চোখ আর নীরব আহাজারির মাঝে মৃত্যুর মিছিলে সামিল ২৩টি কফিনের যাত্রা শুরু হয় ত্রিভূবন বিমানবন্দরের দিকে সেখানে অপেক্ষা করছে বিমানবাহিনীর বি-১৩০ কার্গো বিমান, নিজ দেশের অন্তিম যাত্রার বাহন হয়ে।

কবির হোসেন সহ মালদ্বীপের আরেকজন আহত রোগীকে বিশেষ স্ট্রেচারের শুইয়ে দিয়ে ইউ এস বাংলা বিশেষ বিমান বাংলা স্টার ২১২ তে আসন নিলাম। সঙ্গী মেডিকেল টিমের অপর ছয় সদস্য, নিহতদের স্বজন আর এয়ারলাইন্স র্কতৃপক্ষ। জানালা দিয়ে পাশে তাকাতেই দেখলাম সি ১৩০ তে বোর্ডিং চলছে- ২৩টি কফিনের।

রানওয়ে ধরে এগিয়ে চলছে বিএস ২১২। পেছনে ফেলে রেখে বিএস ২১১ এর ধংসস্তুপ। আর হিমালয় কন্যা দেশে চিরতরে হারিয়ে যাওয়া আমাদের ২৩ টি প্রাণ।

সারাবাংলা/এমএম

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর