ঘটনাক্রমে ৭১: আরশ আলীর রক্তে রাঙা ‘বাইবনা’
২৬ মার্চ ২০২১ ১৪:৪০
ব্রজগোপাল সরকার একজন মুক্তিযোদ্ধা। ব্রজগোপাল সরকার ৫ নম্বর সেক্টরে ৫ নম্বর সাব-সেক্টরের অধীনে যুদ্ধ করেছিলেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে নিজের নিরাপদ অবস্থানকে উপেক্ষা করে বাবা-মা ও অন্যান্য ঘনিষ্ঠদের থেকে পালিয়ে চলে যান মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখসমরে। ১৯৭১ সালের এপ্রিলের মাঝামাঝি ব্রজগোপাল সরকার, তার বড় ভাই যতীন্দ্র সরকার, ছোট ভাই প্রসেন ভৌমিক, মামা অখিল ভৌমিক ভারতে যান ট্রেনিং নিতে। এরপর দেশে ফিরে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন যুদ্ধে অংশ নেন। তার গৌরবময় যুদ্ধজীবনের কিছু ঘটনা প্রকাশ করলাম আজ। ঘটনার প্রতিটি শব্দ ব্রজগোপাল সরকারের আমি শুধুমাত্র লিপিকার এর দায়িত্বে। সম্পর্কে তিনি আমার বাবা।
ব্রজগোপাল সরকার: আমরা ৩০ জনের মুক্তিযুদ্ধের একটি দল দিরাই থানার (সুনামগঞ্জ জেলার অন্তর্গত) ভাটিপাড়া হাই স্কুলে ক্যাম্প করে আছি। টেকেরঘাট হেডকোয়ার্টার থেকে নির্দেশ অনুযায়ী আমরা দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সুনামগঞ্জ সদর থানার জয়কলস থেকে দিরাই নদী পথে পাকসেনাদের চলাচলের সময় সুযোগ বুঝে আক্রমণ করি।
১৪ সেপ্টেম্বর আমরা ১৫ জনের একটি দল দু’টি ছৈওয়ালা ও একটি খোলা নৌকা নিয়ে জয়কলস বাজারের কাছে দিয়ে প্রবাহিত কালনী নদীর দিকে রওনা দিলাম। জয়কলস বাজার সুনামগঞ্জ বাজার থেকে আনুমানিক ১৫ কিলোমিটার দূরে। কালনী নদী দিয়ে গিয়েই পাকসেনারা জেলার গুরুত্বপূর্ণ থানা সদর দিরাই আক্রমণ করে শক্ত ঘাঁটি তৈরি করে এবং এখান থেকেই হাওর এলাকার গ্রাম, হাটবাজারে সাধারণ মানুষের উপর আক্রমণ চালায় ও জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়।
কিছুদূর যাওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধা আরেকটি দলের সঙ্গে আমাদের দেখা হয়। একসাথে ট্রেনিং নেওয়ায় অনেকেই পূর্বপরিচিত। ওই দলের একজন আরশ আলী, জানতে পারল যে আমরা তার বাড়ির কাছেই যাব। অনুরোধের সঙ্গে আরশ জানায়, মাস তিনেক আগে বাবা-মাকে না জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিতে ভারতে গিয়েছিল সে। আমাদের সাথে সেও যাবে, বাবা-মাকে একনজর দেখবে। কমান্ডারের অনুমতি নিয়ে খুশি মনে আমাদের সঙ্গে নৌকায় উঠল। সন্ধ্যায় কালনী নদীর কাছাকাছি পৌঁছে খোলা নৌকায় আমরা ১০ জন একটি খাল দিয়ে নদীতে ঢুকে মাইল দুয়েক উজান বেয়ে অন্য খাল দিয়ে হাওরে ফিরে আসি। এরপর রাত কাটাতে দশগাঁও গ্রামে যাই। গ্রামে ছনের দু-একটি ঘর ছাড়া আর কিছুই ছিল না। এ গ্রামের সকলেই হিন্দু। বর্ষার শুরুতে জয়কলস বাজারে মিলিটারি আক্রমণের পর প্রাণভয়ে সব ফেলে তারা ভারতের বালাট শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়। রাজাকাররা গ্রামবাসীর ফেলে যাওয়া সকল সম্পদ, গরুবাছুর লুট করে। রাতে কোনোরকমে ভাত আর আলুর ঝোল রান্না করে খাবার সারলাম। ওই রাতে দুজন করে পালাক্রমে সকলেই পাহারা দেই। আরশ আলী আর আমি একসঙ্গে পাহারায় ছিলাম। সারাক্ষণ সে বাড়ির গল্প করছিল। আমরা তাকে সঙ্গে এনেছি এ কৃতজ্ঞতায় বলছিল— দাদা আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন আমি একাই পাহারা দেব। স্বাভাবিক, আমি দায়িত্বটা বাদ দেইনি।
সূর্য উঠার আগেই আমরা পুনরায় কালনী নদীর পাড় থেকে আনুমানিক আধা কিলোমিটার দূরে ‘বাইবনা’ নামক গ্রামে পৌঁছাই। মাঝখানে একটি খাল, দুই পাড়ে দুই পাড়া। খালের পূর্ব পাড়ে মুসলিম ও পশ্চিমে হিন্দু পাড়া। খালে নৌকাগুলি রেখে হিন্দু পাড়ায় উঠলাম। পাড়াটি ছিল জনশূন্য, মিলিটারির ভয়ে সব কিছু ফেলে ভারতে চলে গিয়েছে। ওই পাড়ায়ও দু-একটি ঘর ছাড়া আর কিছুই নাই। আমরা একটি ঘরে ঢুকে খিচুড়ি রান্না করে সকালের খাবার সেরে নৌকায় গিয়ে বিশ্রাম নিলাম। আমরা এখানে পৌঁছে যা দেখলাম সকলের বাড়িতেই পাকিস্তানের পতাকা টাঙ্গানো। ছোট ছোট নৌকা পাকিস্তানের পতাকা টাঙ্গিয়ে এদিক থেকে ওদিক যাচ্ছে। একটি নৌকা পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে আমাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নৌকার লোকটিকে ডেকে পতাকা নামিয়ে দিলাম এবং বুঝিয়ে দিলাম এটা পাকিস্তান নয়, এটা বাংলাদেশ!
সকাল গড়িয়ে বিকেল। আমরা যখন অন্যত্র যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি, এমন সময় একটি নৌকায় মুন্সি ধরনের একজন লোক একটি বাচ্চাসহ আমাদের কাছে এসে গল্প শুরু করল। আমাদের বারবার তার বাড়িতে যেতে অনুরোধ করতে লাগল। ঠিক তখন মুসলিম পাড়া থেকে একজন লোক চিৎকার করে বলছিল ‘আপনারা গল্প করতাছেন, আর এইদিকে মিলিটারি আইয়া পড়ছে’। শুধু চিৎকার শুনলাম, লোকটাকে দেখলাম না। সাথে সাথেই গুলি আর ব্রাশফায়ার। তাৎক্ষনিক যে যেভাবে পারে নৌকা থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল। ওই মুন্সি গোলাগুলির শুরুতেই কেটে পড়েছিল। কমান্ডার আব্দুল মজিদ এল এম জি নিয়ে পানিতে পড়লেন। আমি এল এম জি’র দুইটি গুলিভর্তি ৬টি ম্যাগাজিনসহ একটি কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে দ্রুত নৌকা থেকে পানিতে পড়ে কোনোরকমে হিন্দু পাড়ায় উঠলাম। তখন আমি শুধু কমান্ডার ছাড়া কে কোনদিকে গেছে জানি না। পাড়ায় উঠেই আমরা একটি মাটির ভিটাকে আড়াল করে শুয়ে পজিশন নিলাম। কমান্ডারের হাতে একটি করে ম্যাগাজিন দিলাম আর উনি শুয়ে ব্রাশফায়ার করলেন। পাকসেনারাও ব্রাশফায়ার করছিল। দু’পক্ষের ব্রাশফায়ারে ১০-১২ মিনিট গুলির শব্দ ছাড়া আর কিছুই শোনা যায়নি।
আমাদের ৬টি ম্যাগাজিনের গুলি শেষ হওয়ার পরও অন্যপার থেকে গুলি আসতেই থাকে। আমরা দুইজন তখন কিংকর্তব্যবিমুঢ় হয়ে পড়লাম। চারদিকে জল। মাঝে মাঝে কচুরিপানা। আমাদের নৌকায় অনেক গোলাবারুদ, অটোমেটিক রাইফেল থাকা সত্ত্বেও আমরা অসহায়। নৌকা থেকে হাতিয়ার ও গুলি নিয়ে আসা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। নৌকাগুলো পাকিস্তানি সেনাদের আওতার মধ্যে। একপর্যায়ে কমান্ডার পাকসেনাদের কাছে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব দিলো। আমি বললাম, ‘দেশ স্বাধীন করার জন্য জীবনকে উৎসর্গ করেই যুদ্ধ করতে এসেছি। মরবো তবুও আত্মসমর্পণ করবো না’। তখন তিনি আমাকে নৌকা থেকে গুলির বাক্স আনতে বললেন। আমি নৌকায় গুলি আনতে যাব, ঠিক তখনই আমাদের দলের একজন সাহসী মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রসূল, যাকে আমি রসূলদা বলে ডাকতাম, ক্রলিং করে খালি হাতে আমাদের কাছে উপস্থিত হয়ে বললেন হাতিয়ার আনতে আমিও নৌকায় যাব। উনার কথায় আমার সাহস অনেক বেড়ে গেল। আমি দ্রুত ও সতর্কতার সঙ্গে পানিতে নেমে নৌকার দিকে এগিয়ে গেলাম। আমি নৌকায় উঠে পড়লাম, রসূলদা নৌকায় উঠার চেষ্টা করতেই মিলিটারি তাকে লক্ষ্য করে গুলি করল। তার বামহাতে গুলি লাগলো, মারাত্মকভাবে তিনি আহত হন। ওই অবস্থায় আমি একটি গ্রেনেডের বাক্স উনার হাতে দিলাম। উনি একহাতে গ্রেনেডের বাক্স নিয়ে আহত অবস্থায় আর আমি এক হাজার গুলির একটি বাক্স নিয়ে অক্ষত অবস্থায় নৌকা থেকে নেমে সাঁতরে এবং কাঁদার মধ্যে গড়িয়ে কোনোরকমে পারে উঠলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য—মেশিনগান আর ম্যাগাজিনে কাঁদা লেগে ওগুলো নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। গুলি বের হচ্ছিল না। কোনো অবস্থাতেই শত্রুরা যেন আমাদের অবস্থান বুঝতে না পারে এজন্য আমরা ক্রলিং করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাচ্ছি। উপায় না পেয়ে আমরা তিনজন যখন সরে পড়ার সিদ্ধান্ত নিলাম তখনই আমাদের দলের অখিল ভৌমিক ও রশিদ ভাই একটি করে এস এল আর হাতে এবং আরশ আলী ও তৈবা সিং খালি হাতে আমাদের কাছে আসলেন এবং বললেন পালিয়ে যাওয়ার কোনো পথ নেই, সামনে মিলিটারি আর তিনদিকে পানি। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম অন্ধকার হওয়া পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাব। আমরা একটি উঁচু ভিটার মাটিকে আড়াল করে কাঁদার মধ্যে বসে পজিশন নিলাম। আমি আর আরশ আলী দলে সবচেয়ে ছোট বলে কমান্ডারের কথায় ম্যাগাজিনে গুলি ভরে তাদের সাহায্য করছিলাম। আরশ আলী আমার বাম পাশে বসেছিল, আমাদের অন্য দু’জন দু’টি এস এল আর দিয়ে একটানা গুলি করছিল। ওই পক্ষ থেকেও ব্রাশফায়ার হচ্ছিল। তৈবা সিং আড়াল ছেড়ে একটু এগিয়ে গিয়ে মিলিটারিদের লক্ষ্য করে একটি গ্রেনেড ছুড়ে মারল। হঠাৎ গড়গড় আওয়াজ, আরশ আলী মাটিতে ঢলে পড়ল। পাকসেনাদের একটি গুলি তার বুক ভেদ করে চলে গেছে। বুকের বাম পাশ থেকে রক্ত বের হচ্ছে, রক্তে আমার গা ভিজে যাচ্ছে। আরশ আলী একটি কথাও আর বলতে পারল না। তার মৃত্যু দেখে কিছুক্ষণের জন্য সবাই থমকে গেলাম। পর মুহূর্তে আরও দৃঢ়তা নিয়ে যুদ্ধ শুরু করলাম। শপথ নিলাম, পাকসেনাদের আমরা পরাজিত করবোই।
হঠাৎ প্রচণ্ড বাতাস আর তুমুল বৃষ্টি শুরু হলো, যেনো আরশ আলীর মৃত্যুতে প্রকৃতি ও অভিমান ও রাগ করেছে। অন্ধকার ঘনিয়ে এল, মাঝে মাঝে বৃষ্টি চমকাচ্ছিল। লক্ষ্য করলাম পাকসেনারা বিরতি দিয়ে গুলি ছুড়ছে। এমন সময় বিজলীর আলোতে দেখলাম হামাগুড়ি দিয়ে একজন লোক আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। আমরা প্রায় সকলেই তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়লাম এবং গামছা দিয়ে তাকে বেঁধে ফেললাম। তখন সে আমাদের অনুরোধ করে বলতে লাগলো, ‘আমাকে আপনারা মারবেন না। আমি কালা মিয়া। আমিই আপনাদের সতর্ক করে কইছিলাম মিলিটারিরা আইয়া পড়ছে। অহন কইতাছি শালারা ভাগতাসে, আগাইয়া গেলে ধরন যাইবো’! ইতিমধ্যে মিলিটারিরা গুলি করা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা কালা মিয়াকে বিশ্বাস করলাম না, আরও আধা ঘণ্টা গুলি ছুঁড়লাম। বৃষ্টি থেমে গেলে প্রচণ্ড বাতাস বইছিল। ঘোর অন্ধকার, রাত আনুমানিক ৯টা। আরশ আলীর লাশ নৌকায় তুলে ভাঁটিপাড়ার দিকে রওনা দিলাম। কালা মিয়াকে সঙ্গে করে নিয়ে আসলাম। রাত আনুমানিক ১২টায় ভাঁটিপাড়ায় পৌঁছলাম। গ্রামের লোকজন নিয়ে রাতেই আরশ আলীকে কবর দিলাম।
কালা মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করলাম। জানালো, যে মুন্সি আমাদের নৌকার কাছে গিয়েছিল, সেই মুন্সি এই এলাকার বড় দালাল। যে লোকটার নৌকা থেকে পাকিস্তানি পতাকা নামিয়ে দিয়েছিলাম, সে মুন্সির ভাতিজা। মুন্সি তার ভাতিজার কাছ থেকে আমাদের কথা জেনে জয়কলস থেকে মিলিটারিদের খবর দিয়ে এনে আমাদের ধরিয়ে দিতে চেয়েছিল। কালা মিয়ার কথা শুনে ওই রাতের শেষ প্রহরে কালা মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে আমরা আরও দু’জনে দালাল মুন্সিকে ধরতে ‘বাইব্না’ গ্রামে তার বাড়িতে গেলাম। কিন্তু তাকে পেলাম না।
পরের দিন ভাঁটিপাড়া হাইস্কুলে আমরা সকলে একত্রিত হলাম। স্কুলের বারান্দায় বসে গল্প করছিলাম আমরা। একজন বয়স্ক লোক একটি কিশোর ছেলেকে নিয়ে আমাদের কাছে আসলেন সেসময়। জানালেন, আরশ আলী নামে তার ছেলে আছে একজন। প্রায় তিন মাস আগে বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং নিতে ভারতে যায়। গতকাল সন্ধ্যায় গুলাগুলির আওয়াজ শুনে ভাবলেন আশেপাশে কোথাও মুক্তিবাহিনীর লোক আছে। তাদের কাছে গেলে আরশ আলীর খবর পাওয়া যাবেই। ভদ্রলোকের কথা শুনে আমরা অনেকেই কেঁদে ফেললাম। তিনি বললেন, বাবারা তোমরা কাঁদছ কেন? তখন কমান্ডার আব্দুল মজিদ সবকিছু খুলে বললেন। কিশোর বালকটি তখন ভাই ভাই বলে কাঁদতে লাগলো। আরশ আলীর বাবা কাঁদলেন না, গর্ব ভরে তিনি বলতে লাগলেন, ‘আমার আরশ দেশ স্বাধীন করার জন্য শহিদ হয়েছে। আমি বাড়ি গিয়ে আরশের মাকে বলবো এক আরশকে খুঁজতে গিয়ে অনেক আরশকে খুঁজে পেয়েছি। আমাদের আরশ মরেনাই। তার রক্তে এই দেশ স্বাধীন হবে। দেশের অনেক উন্নতি হবে। তখন সবাই আরশ আলীর কথা বলবে। মুক্তিযোদ্ধা আরশ আলীর মাকে মা বলবে। এর চেয়ে বড় কী আছে? এর চাইতে বড় পাওনা কি কিছু আছে?
ওই দিন আরশ আলীর বাবা আর ভাই আমাদের সঙ্গে থেকে গেলেন। পরের দিন বিদায়বেলা আরশ আলীর বাবা বারবার আমাদের বললেন, দেশ স্বাধীন করার পর আমরা যেন আরশ আলীর মাকে দেখতে যাই।
আমরা কথা দিয়েছিলাম শহিদ আরশ আলীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবো। আরশ আলীর বাবা চেয়েছিলেন দেশ স্বাধীন হবে। আরশের কথা মনে রাখবে সকলে। দেশ স্বাধীন হয়েছে চার দশকেরও বেশি সময়। অন্য অনেক প্রতিশ্রুতির মতো আরশ আলীর মাকে দেখতে যাওয়াও ভুলে গেছি।
শ্রুতিলিখন: সুশোভন অর্ক