Wednesday 27 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বঙ্গবন্ধুর বদৌলতে মামুনুল প্রাণে রক্ষা পাচ্ছে


৭ এপ্রিল ২০২১ ১৭:২৪

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে যে ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান এবং আইনি ব্যবস্থা প্রণয়ন করেছিলেন, তার কারণেই মামুনুল হক ইসলামিক শরিয়া আইন অনুযায়ী ব্যভিচারের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড থেকে রক্ষা পাচ্ছে। হেফাজতসহ কিছু উগ্রপন্থী ধর্মভিত্তিক সংগঠন বাংলাদেশে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত করে ইসলামিক শারিয়া আইন ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার ঘোষণা দিয়ে আসছে। ইসলামিক শারিয়া আইন বহাল থাকলে আজ ব্যভিচারের অপরাধে মামুনুল হকের মৃত্যুদণ্ড হতো। স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু বাস্তবিক কারণেই একটি ধর্মনিরপেক্ষ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিলেন। রাষ্ট্রীয় আইনি ব্যবস্থার (লিগ্যাল সিস্টেম) শ্রেণীকরণ/ক্লাসিফিকেশন কয়েক রকমের। একটি মৌলিক শ্রেণীকরণ হচ্ছে, ধর্মভিত্তিক বা প্রাকৃতিক আইন ব্যবস্থা (Divine Law or Natural Law) এবং মানব সৃষ্ট আইন (Positive Law) বা ধর্মনিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা। ভারতীয় উপমহাদেশের কয়েকশ বছরের আইন ব্যবস্থা সমূহ পর্যালোচনা ক্রমে বাস্তবিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে জাতির পিতা মানব সৃষ্ট আইন বা পজিটিভ ল’ ভিত্তিক আইন ব্যবস্থাকে (যা ধর্ম নিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা হিসেবেও পরিচিত) স্বাধীন বাংলাদেশের আইন ব্যবস্থা হিসেবে গ্রহণ করেন। জনগণের সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের কল্যাণই এই আইন ব্যবস্থার মুল ভিত্তি।

বিজ্ঞাপন

জাতির পিতা উপলব্ধি করেছিলেন, পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী ধর্মের দোহাই দিয়েই আমাদের উপর তাদের অন্যায় অত্যাচার চাপিয়ে দিয়েছিল। ধর্মকেই তারা তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিল। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের সময় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এই বিষয়ে জাতীয় ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এছাড়া, ব্রিটিশ শাসন পূর্ববর্তী সময়ে মুঘল শাসনামলে ভারতবর্ষে যতটুকু ইসলামিক শারিয়া আইন চালু ছিল, সেটি নানা দিক থেকে ত্রুটিপূর্ণ ছিল। তাতে ইসলামের অনুশাসন বাস্তবায়িত হয়নি। মধ্যযুগে ইউরোপে ধর্মভিত্তিক যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা ছিল, সেটিও মানুষের কল্যাণের পরিবর্তে অকল্যাণেই ব্যবহৃত হয়েছে। আমাদের মতো আর্থ-সামাজিক-সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন দেশগুলোতে ইসলামিক অপরাধ আইন বা ইসলামিক ক্রিমিনাল জাস্টিস বাস্তবিক অবস্থার কারণেই সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করা যায়নি। এই সকল কারণে জাতির পিতার নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের গণপরিষদ ইসলামিক আইনকে বাংলাদেশে পার্সোনাল আইন ( Personal Law) হিসেবে গ্রহণ করেন। এই আইনের মাধ্যমে সম্পত্তির উত্তরাধিকার, বিবাহ, ভরণপোষণ, বিবাহ বিচ্ছেদ, দেন-মোহর, শিশুর অভিভাবকত্ব, দান, ট্রাস্ট ও ট্রাস্ট সম্পত্তি, ওয়াকফ সম্পর্কিত এবং অপরাপর ব্যক্তিগত বিষয় সমূহ ইসলামিক শারিয়া আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। পৃথিবীর অনেক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রে এই ধরণের ব্যবস্থা রয়েছে। জাতির পিতা এদেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার ভিত্তিক যে শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছিলেন, সেটি ইসলামিক জুরিসপ্রুডেন্সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

বিজ্ঞাপন

হেফাজতসহ কিছু উগ্রপন্থী সংগঠনের নেতারা বাংলাদেশের সকল ক্ষেত্রে শারিয়া আইন বাস্তবায়ন করতে চায়। এই লক্ষ্যে তারা এদেশে ইসলামী বিপ্লব সংঘটিত করতে চায়। মামুনুল হকসহ এই সকল মিথ্যাবাদী ও ভণ্ড ব্যক্তিবর্গের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে। নিজেরা ব্যক্তি জীবনে সকল ধরণের অনৈতিক, অপরাধমূলক ও ইসলাম পরিপন্থী কাজ করছে, অথচ তারা ইসলাম ধর্মের নামে এদেশের ধর্মভীরু মানুষ ও কোমলমতি শিশুদের প্রতিনিয়ত ধর্মের ভয় দেখিয়ে প্রতারিত করছে। তারা সমাজে নিজেদের ইসলামের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থাপন করছে। কথায় কথায় তারা ধর্মকে বিক্রি করছে; শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থে তারা সমাজে ধর্মান্ধতার বিষবাস্প ছড়াচ্ছে। মামুনুল হক যে কাজটি করেছে, এটি ইসলামিক শারিয়া আইন অনুযায়ী ব্যভিচার, যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশেই এই ইসলামিক শারিয়া আইন চালু রয়েছে। অধিকাংশ দেশেই পাথর নিক্ষেপ করে ব্যভিচারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। জাতির পিতা সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে যদি Positive Law (জুরিসপ্রুডেন্সের ভাষায়) বা ধর্মনিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থা চালু না করে ইসলামিক আইন চালু করতেন, তাহলে মামুনুল হককে ব্যভিচারের অপরাধে পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো। আবার, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যদি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা না করতেন অর্থাৎ বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানের অংশ হিসেবে থাকতো, যেটি মামুনুল হকের বাবাসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী কিছু ব্যক্তি চেয়েছিল, তাহলে পাকিস্তানে পরবর্তীকালে জারীকৃত ও বর্তমানে প্রচলিত শারিয়া ভিত্তিক আইন Hudood Ordinances বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হতো। এই Hudood প্যাকেজ আইনের আওতায় ১৯৭৯ সালে পাকিস্তানে The Offence of Zina (Enforcement Of Hudood) Ordinance (যা জিনা অর্ডিন্যান্স হিসেবে বহুল পরিচিত) জারী করা হয়। এই আইনের ধারা ৫ অনুযায়ী কোনো বিবাহিত মুসলিম ব্যভিচারের অপরাধ করলে তাকে জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার বিধান রয়েছে। অপরাধী অমুসলিম হলে তাকে জনসম্মুখে একশো বেত্রাঘাতের বিধান রয়েছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সৃষ্টি না করলে আজ এই আইনেই জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করে মামুনুল হকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো। এই মামুনুলরাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী; এরা এখনও পাকিস্তানের জন্য মায়াকান্না করে।

মামুনুল হকের ব্যভিচার প্রমাণিত। কারণ সে নিজেই ব্যভিচারের কথা স্বীকার করেছে। প্রথমত, তার সাথে সোনারগাঁওয়ের রিসোর্টে থাকা নারীর পরিচয় হিসেবে লিখেছে তার নিজের স্ত্রীর নাম। ঐ নারী তার স্ত্রী হলে ঐ নারীর নামই রেজিস্টার খাতায় লিখতো। দ্বিতীয়ত, মামুনুল তার নিজের স্ত্রীকে টেলিফোনে বলেছিল, ঐ নারী জনৈক শহিদুলের স্ত্রী। স্ত্রীকে বলেছিল, কেবলমাত্র পরিস্থিতির কারণে সে ঐ নারীকে নিজের দ্বিতীয় স্ত্রী বলেছিল। সে তার স্ত্রীকে অনুরোধ করেছিল, সে যেনো এই কথাই সবাইকে বলে। মামুনুল যদি তার সাথে হোটেলে থাকা ঐ নারীকে সত্যিই বিয়ে করতো, তাহলে ঐ বিশেষ পরিস্থিতিতে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অবশ্যই তার স্ত্রীকে আসল ঘটনা বলতো। তৃতীয়ত, মামুনুলের বোন টেলিফোনে মামুনুলের স্ত্রীকে অনুরোধ করেছিল, সে যেন অন্য কাউকে তাদের শেখানো কথার বাইরে কথা না বলে। মামুনুলের স্ত্রীকে অনুরোধ করলো, সে যেন এটি বলে যে, মামুনুলের দ্বিতীয় বিয়ের কথা সে জানতো। তখন মামুনুলের স্ত্রী তার স্বামীর বোনকে জিজ্ঞেস করেছিল, মামুনুল আসলে বিয়ে করেছে কিনা। তার বোন তখন বলেছিল, বিয়ের কথা সত্যি নয়। মামুনুল কে বাঁচানোর জন্যই তারা এ কথা বলছে; মামুনুলের স্ত্রী যেন এই নিয়ে কোনো চিন্তা না করে। মামুনুলের স্ত্রীর কথোপকথন শুনে মনে হয়নি যে মামুনুল বা তার ভাইবোনেরা তার স্ত্রীর ভয়ে কোনো কিছু লুকিয়ে রাখছে। বরং মনে হয়েছে, মামুনুলের স্ত্রী নিরীহ প্রকৃতির এক সহজ সরল নারী যার উপর যে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া যায়। তাই মামুনুলের স্ত্রীকে মিথ্যা বলার কোনো কারণ নেই। চতুর্থত, সাংবাদিকগণের জেরার মুখে মামুনুল বলেছিল, তার সাথে থাকা নারী তার বিবাহিত দ্বিতীয় স্ত্রী। কিন্তু আজও ঐ কথিত বিয়ের কাবিননামা দেখাতে পারেনি। পঞ্চমত, ঘটনার পরবর্তী সময়ে ঐ নারী টেলিফোনে মামুনুল হকের এক লোকের কাছে বার বার জিজ্ঞেস করছিল, বিয়ের স্থান ও তারিখ সম্পর্কে কেউ জিজ্ঞেস করলে সে কী উত্তর দেবে। ঐ নারীকে মামুনুল বিয়ে করে থাকলে সে সহজেই এই তথ্য দিতে পারতো। এই তথ্য জানার জন্য তৃতীয় ব্যক্তিকে তার জিজ্ঞেস করতে হতো না। ষষ্ঠত, ঐ নারীর নিজের ছেলে এক ভিডিও সাক্ষাৎকারে মামুনুলের ব্যভিচারের ঘটনা সমূহ প্রকাশ করে এবং রাষ্ট্রের কাছে মামুনুলের বিচার দাবি করে।

এটি লক্ষণীয়, ধর্ম ব্যবসায়ী মামুনুল যা যা বলেছে এবং যা যা করেছে, তার প্রত্যেকটিই ইসলামিক আইন এবং এমনকি বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী অপরাধমুলক কাজ। কোনো কর্তৃপক্ষ কারও কাছে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানতে চাইলে সে সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিলে সেটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কাউকে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিলে সেটিও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তর্কের খাতিরে বলছি (যদিও এটি সত্য নয়), এই ব্যক্তি স্ত্রীকে না জানিয়ে গোপনে স্ত্রীর সম্মতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করে থাকলে সেটিও বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই সম্পর্কিত আইন The Muslim Family Laws Ordinance, 1961 এর বিধান অনুযায়ী (ধারা ৬) শুধু স্ত্রীর সম্মতি থাকলেই চলবে না; এই আইনের অধীন গঠিত আরবিট্রেশন কাউন্সিলের লিখিত আদেশ ছাড়া বহুবিবাহ করা যায় না। এই আইন লঙ্ঘনের শাস্তি এক বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড।

জাতীয় সংসদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যে বক্তব্য রেখেছেন, এই মামুনুল হক ডিজিটাল মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার বিরুদ্ধে বিশোদগার করেছিল। এটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া, এই ধরণের বক্তব্য বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭৮ এ সংসদ ও সংসদ সদস্যদের বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত বিধানের লঙ্ঘন। এই ধরণের কর্মকাণ্ড আমাদের জাতীয় সংসদ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতার প্রতি অবমাননা যা দেশের প্রচলিত আইনের আওতায় একটি অপরাধ।

মামুনুল হকের মতো কিছু ব্যক্তি এদেশে কিছু ধর্মভিত্তিক সংগঠন পরিচালনা করে আসছে। এই সকল সংগঠন বাংলাদেশকে মধ্যযুগে নিয়ে যেতে চায় । বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্ব, তার নানামুখী সাহসী পদক্ষেপ এবং তার কঠোর পরিশ্রমের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে এক আদর্শ রাষ্ট্র। এই মধ্যযুগীয় গোষ্ঠী বাংলাদেশের সকল অর্জনকে নস্যাৎ করতে চায়। অনেকেই এই ধরণের ব্যক্তিদেরকে ধর্মান্ধ হিসেবে অবিহিত করে থাকে। আসলে এরা ধর্মান্ধ নয়। এরা ধর্মের লেবাস পরিহিত চিহ্নিত কিছু অপরাধী; প্রকৃত অর্থে এরা ধর্ম বিরোধী। কারণ তাদের প্রতিটি কথায় ও কাজে তারা ধর্মীয় অনুশাসন লঙ্ঘন করছে। ধর্মকে ব্যবহার করে এদেশের ধর্মভীরু মানুষকে বোকা বানিয়ে এই অপরাধী চক্র তাদের সকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ আইন ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছিলেন বলেই মামুনুলরা আজ ইসলামিক শারিয়া আইন অনুযায়ী ব্যভিচারের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড থেকে রক্ষা পাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সৃষ্টি না করলে আজ পাকিস্তানে প্রচলিত Hudood Ordinance (‘জিনা অর্ডিন্যান্স’) বাংলাদেশে প্রযোজ্য হতো এবং এই শারিয়া আইনের আওতায় জনসম্মুখে পাথর নিক্ষেপ করে মামুনুল হকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো। এই কৃতঘ্ন গোষ্ঠী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে আঘাত করেছে। প্রকৃত অর্থে এই আঘাত হানা হয়েছে বাংলাদেশের উপর। আজ প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। জাতি এই মধ্যযুগীয় তাণ্ডবের উপযুক্ত জবাব দেবে ইনশাল্লাহ।

লেখক: তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর