মেধাস্বত্ত্ব, বাণিজ্য ও রাজনীতি
২৮ এপ্রিল ২০২১ ১৫:৫২
মেধা, চিন্তা, বুদ্ধি ও সৃজনশীলতা সবকিছু মিলিয়েই বাংলার জ্ঞানপ্রবাহ। এ জ্ঞানপ্রবাহের দর্শন বহুমাত্রিকতার স্বরূপে বিরাজিত। চিন্তার ইতিহাসে এখানে বাণিজ্যিক মালিকানার সংঘর্ষ নেই। লক্ষীদীঘা, কাজললতা, খইয়ামটর, মিমিদ্দিম, পোড়াবিনি, খবরক, গ্যাল্লং, নেতপাশা, ভাওয়াইলা, বিশবাইশ, খেজুরছড়ি, সমুদ্রফেনা, কাচালত, জামাইসোহাগী, দাদখানি, বীরপালা, লোহাটাং এভাবেই কাল থেকে কালে জুম থেকে জমিনের চর্চায় নাম পেয়েছে হাজারো জাতের ধান। কেউ কি ধানের নাম বা জাতের একক মালিকানা দাবি করেছে কখনো? কোনো কৃষক বা জুমিয়া কি ধানের মেধাস্বত্ব নিয়ে আদালতে হাজির হয়েছে? যমুনা, খোয়াই, পিআইন, সুতাং, তিস্তা, ধলেশ্বরী, সিমসাং, কর্ণফুলী, হালদা, মগড়া এমনতর বহু নদীধারা নিয়েই বাংলাদেশ। কেউ কি কখনো নদীর মালিকানা বা স্বত্ব দাবি করেছে? কেউ কি বলেছে এই গ্রামের নাম আমি দিয়েছি বা এই জংগলের কপিরাইট আমার। খনার বচন, রাধামন-ধনপুদি, মৈমনসিং গীতিকা, শেরানজিং পালা, গাজন, ধামাইল, মণিপুরী নটপালা, রয়ানি, আজিয়া, রে-রে এসব গীত ও আখ্যানের কি কোনো একক মেধাস্বত্ত্ব হতে পারে? মাটির টেপা পুতুল, শিল পাটা, শোলার সামগ্রি, নকশিকাঁথা, মাটির চুলা, কাসুন্দি, বগুড়ার দই, মুক্তাগাছার মন্ডা, সিলেটের সাতকড়া-নাগামরিচের আচার বা গাজীরপটের কপিরাইট কেউ কি দাবি করেছে? করেনি। সমতল থেকে পাহাড় গ্রামবাংলার নিম্নবর্গ কখনোই প্রাণসত্তা থেকে জ্ঞানপ্রবাহ কোনোকিছুর স্বত্ব বা মালিকানা দাবি করেনি। মেধাকে ঘিরে স্বত্ত্ব ও মালিকানার তর্কটি খোদ পশ্চিমের। এর সাথে কর্পোরেট বাণিজ্যের মারদাঙ্গা পণ্য-বাহাদুরি জড়িত।
বুদ্ধিজাত সম্পদ ও স্বত্ত্ব ঘিরে বাংলাদেশে কিছু সরাসরি আইন আছে। ট্রেডমার্ক আইন ২০০৯, দ্য পেটেন্ট এন্ড ডিজাইন অ্যাক্ট ২০০৩ (১৯১১ সনের আইন), কপিরাইট আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০০৫) এবং ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য নিবন্ধন ও সুরক্ষা আইন ২০১৩, উদ্ভিদজাত সুরক্ষা আইন ২০১৯। এছাড়াও নিদারুণভাবে ‘বায়োডাইভার্সিটি এন্ড কমিউনিটি নলেজ প্রটেকশন অ্যাক্ট’ নামে একটি আইনের খসড়া ১৯৯৮ সন থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের দিন গুণছে। মেধাস্বত্ত্ব ও বুদ্ধিজাত সম্পদের সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে জাতিসংঘের ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থা (ডাব্লিউ আই পি ও)’। বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রসমূহ ২০০০ সনে ২৬ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব মেধাসম্পদ অধিকার দিবস’ হিসেবে নির্ধারণ করে। বাংলাদেশ ১৯৮৫ সনে বিশ্ব মেধাসম্পদ সংস্থার সদস্য হয়। প্রতিবছরই বিশ্ব মেধাসম্পদ অধিকার দিবসের একটি প্রতিপাদ্য থাকে। ২০০১ সনে পয়লা প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়, ‘আগামীর নির্মাণ আজকেই’। ২০০২ সৃজনশীলতাকে সহযোগিতা, ২০০৩ আপনার কাজে মেধাসম্পদ তৈরি করুন, ২০০৪ অর্থনীতি-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে মেধাসম্পদের ভূমিকা, ২০০৫ চিন্তা-কল্পনা ও নির্মাণ, ২০০৬ একটা চিন্তা থেকেই মেধাসম্পদের শুরু, ২০০৭ মেধাসম্পদ ও সৃজনশীলতার সম্পর্ক, ২০০৮ বরণীয় উদ্ভাবন ও মান্য মেধাসম্পদ, ২০০৯ সুরক্ষিত আগামীর জন্য তরুণ প্রজন্মের উদ্ভাবনীকে গুরুত্ব দিতে হবে, ২০১০ উদ্ভাবনের বিশ্বসংযোগ, ২০১১ ভবিষ্যত নির্মাণের কারিগরি, ২০১৩ উত্তরপ্রজন্মের সৃজনশীলতা, ২০১৪ সচলচ্চিত্র, ২০১৫ সঙ্গীত, ২০১৬ ডিজিটাল সৃজনশীলতা, ২০১৭ উদ্ভাবন-জীবনযাত্রার উন্নয়ন, ২০১৮ সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনে নারী, ২০১৯ খেলাধূলা। করোনা মহামারিকালে ২০২০ সনের বিশ্ব মেধাস্বত্ত্ব দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল ‘সবুজ আগামীর জন্য উদ্ভাবন’। চলতি ২০২১ সনের প্রতিপাদ্য ‘ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের চিন্তা ও বাজারের সংযোগ’। তো ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ও তাদের অভিনব সব উদ্ভাবনের সুরক্ষাপ্রশ্নটি কেমন হবে? এ তর্ক কেবল প্রযুক্তি, কপিরাইট আর পাইরেসিতে আটকে থাকবে কী? গ্রামগঞ্জে হাজার বছর ধরে নারীরা প্রতিদিন কত রকমের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ নেন, এমনকি জলবায়ুজনিত বিপর্যয়ের কারণে প্রতিদিন নানাধরণের অভিযোজন চর্চা উদ্ভাবন করেন। সুন্দরবনের আশেপাশের বনজীবী নারীরা স্থানীয় কেওড়া ফল ও সুন্দরবনের মধু-মোম দিয়ে গৃহভিত্তিক আচার ও খাদ্যদ্রব্য তৈরির নানা ক্ষুদ্র উদ্যোগ নিয়েছেন। এসব দ্রব্যের গুণগত মান পরীক্ষা, সরকারি অনুমোদন, ট্রেড লাইসেন্স, বড় পুঁজি ও বিনিয়োগের অভাব সব মিলিয়ে বড় বাজারে বিক্রির ক্ষেত্রে সবসময় তারা এক জটিল সমস্যার মুখোমুখি। এসব অনুমোদন হয়তো এমন ক্ষুদ্র উদ্যোগ ও উদ্ভাবনকে আরো লাভজনক করতে পারে কিন্তু এসব উদ্ভাবন আর উদ্যোগের মেধাস্বত্ত্ব সুরক্ষা কীভাবে হবে? কারণ এসব উদ্ভাবন কেবল একক কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে বিকশিত হয় না, সামাজিকভাবে দিনে দিনে এসব ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্ভাবন একটি চূড়ান্ত রূপ পায়।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা নিয়ন্ত্রিত কর্পোরেট বিশ্বায়নের দুনিয়ায় মানুষের সম্পদ, সম্ভাবনা, জ্ঞান, মেধা সবই একতরফা দখল ও মালিকানাধীন করার বৈধতা তৈরি করেছে বহুজাতিক কোম্পানিরা। গবেষণা ও উন্নয়নের নামে জনগণের মেধা ও বুদ্ধিজাত সম্পদের একতরফা ছিনতাই ও ডাকাতি হচ্ছে। এক্ষেত্রে লোকায়ত জ্ঞান ও প্রাণসম্পদ হচ্ছে কর্পোরেট বাণিজ্যের অব্যর্থ নিশানা। জনগণের লোকায়ত ঔষধি জ্ঞান ও প্রাকৃতিক উৎসের উপরেই দাঁড়িয়েছে কর্পোরেট ঔষধ বাণিজ্য। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার ২৩টি অসম চুক্তির একটি হচ্ছে “বাণিজ্য সম্পর্কিত মেধাস্বত্ত্ব চুক্তি (Agreement on trade related aspects of Intellectual Properly rights/TRIPS)। ট্রিপস চুক্তির ২৭.৩ (খ) অনুচ্ছেদে প্রাণসম্পদ, জ্ঞান, প্রযুক্তির উপর পেটেন্টের অধিকারের রাখা হয়েছে। চুক্তিবদ্ধ পক্ষ রাষ্ট্রসমূহ তাদের নিজ দেশের জ্ঞান ও সম্পদ সুরক্ষায় একটি কার্যকর আইন তৈরির কথাও বলা হয়েছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার অসম ময়দানে বাংলাদেশের মতো ক্ষমতাহীন একটি গরিব দেশ তার নিজ মেধাসম্পদ সুরক্ষায় যে আইন কাঠামোই তৈরি করুক না কেন তা উত্তরের ধনী দেশের বাহাদুরির কাছে কখনোই ‘কার্যকর’ হিসেবে ঠেকে না। তাই দেখা যায় আমেরিকার ডব্লিউ আর গ্রেস কোম্পানি আমাদের নিমগাছকে একতরফাভাবে পেটেন্ট করতে চেয়েছে। মিসিসিপি মেডিক্যাল সেন্টার ইউনিভার্সিটি হলুদ, ক্রোমাক রিসার্চ ইনকর্পোরেশন করলা ও কালোজাম, রাইসটেক ইনকর্পোরেশন বাঁশমতি ধান পেটেন্ট করার জন্য সারাদুনিয়া তছনছ করে ফেলেছে।
দেশে কপিরাইট অফিসটি সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন। পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক এবং ভৌগলিক নির্দেশক পণ্য সবই শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন। ১৯৮৯ সনে বাংলা সফটওয়্যার হিসেবে বিজয় কিবোর্ড-এর নকশা কপিরাইট করে আনন্দ কম্পিউটার। ২০০৪ সনে এর দ্বিতীয় সংস্করণকে পেটেন্ট করে তারা। ‘বিজয়’ নামটিকে পণ্যের ট্রেডমার্ক হিসেবে আনন্দ কম্পিউটার সংরক্ষণ করে। এর স্বত্ত্বাধিকারী সম্মানিত মোস্তফা জব্বারের বুদ্ধিজাত সম্পদ হিসেবে একে গণ্য করা হয়। কিংবা ২০২১ সনে ময়মনসিংহের শিল্পী নয়ন রাজা ২০০৩ সনে বেহাত হওয়া তার গানের মেধাস্বত্ত্ব পেয়েছেন। বিদ্যমান মেধাস্বত্ত্ব আইনের মাধ্যমে শুধুমাত্র একক ব্যক্তি বা সংস্থার কোনো রচনা, শিল্পকর্ম, প্রযুক্তি, উদ্ভাবনের কিছুটা আইনি অধিকার রক্ষা করা যায়। কিন্তু সামাজিক জ্ঞানপ্রবাহের মেধাসম্পদের সুরক্ষা কোনোভাবেই এসব আইনি পরিসরে সমুন্নত রাখা কী সম্ভব? এমনকি ভারত যখন একতরফাভাবে জামদানি, নকশীকাঁথা ও ফজলীআমকে তাদের ভৌগলিক পণ্য হিসেবে নিবন্ধন করছে তখনও রাষ্ট্র নিশ্চুপ।
টাঙ্গাইলের কালিহাতির আরতী নন্দীর পরিবার বংশপরম্পরায় কাসুন্দি তৈরি করেন। কাসুন্দি বানানো এক জটিল দীর্ঘ কারিগরি। এর সাথে জড়িয়ে আছে নানা সামাজিক, পরিবেশগত ও সাংস্কৃতিক ট্যাবু। আরতী নন্দীর ছেলে নিধি নন্দী ঘুরে ঘুরে কাসুন্দি বিক্রি করতেন। কিন্তু বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির বোতলজাত কাসুন্দি চলে আসায় এখন তাদের মতো অনেক কাসুন্দি কারিগর পরিবার অন্য পেশায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। তো এখন প্রশ্ন ওঠা জরুরি এই কাসুন্দি কার আবিষ্কার, কার উদ্ভাবন? হাজার বছরের অনুশীলনের গ্রামীণ নারীরা এই কাসুন্দি উদ্ভাবন করেন। এটি বংশগতভাবে কিছু পরিবারের মেধাস্বত্ত্ব। তাহলে কোনো কোম্পানি যখন একে বাণিজ্যিকভাবে বাজারজাত করছে তখন কাসুন্দির মেধাস্বত্ত্ব কীভাবে কার জন্য সুরক্ষিত হবে? কাসুন্দি তো এক ক্ষুদ্র ও মাঝারি গ্রামীণ উদ্যোগ। তো কেবল কাসুন্দি নয়, অনলাইনে অধুনা শুরু হওয়া নানা ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ আর কোনো একক ব্যক্তির বিশেষ উদ্ভাবন হিসেবে থাকছে না। এটি কপি হচ্ছে, নানাজনে নানাভাবে সেটি করছেন এবং একটা ছোটখাট বাজার ও ভোক্তাও তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে মেধাস্বত্ত্ব ব্যবস্থাপনা কী হতে পারে? এসব নিয়ে দীর্ঘ আলাপ দরকার। এটি কোনোভাবেই অস্বীকার করা যাবে না, মেধাস্বত্ত্বের চলমান তর্কের তলটি দখল করেছে কর্পোরেট বাণিজ্য মনস্তত্ত্ব। এখানে চিন্তার স্বাধীনতা কি জ্ঞানপ্রবাহের অসীম বিস্তারের দর্শনকে ধাক্কা মেরে মেধা, সৃজনশীলতা ও প্রাণসত্তার জটিল সম্পর্ককে বাজারি দরদামের ভেতর আটকে ফেলা হয়েছে। যেন একটি গান এত দামে এত বছরের জন্য এই এই ভাবে বেচাবিক্রি করা যাবে। উড়ন্ত ঘুরির নকশাখানি এই এই কোম্পানি ছাড়া অন্য কেউ বেচাবিক্রি করতে পারবে না। বাংলাদেশের গ্রামীণ নিম্নবর্গ স্পষ্টত বলেছে, প্রাণের উপর কোনো পেটেন্ট নয়। গীতবাদ্য, নকশা, বুনন, রন্ধনশৈলী, পুঁথি, পাঁচালি, বয়ন, প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বীজদানা কোনোকিছুই একতরফা বাণিজ্যিক পেটেন্টের বিষয় হতে পারে না। কারণ এসব কোনোভাবেই কোনো একক ব্যাক্তির উদ্ভাবন বা মালিকানা নয়। নিম্নবর্গের বিরাজিত জ্ঞানপ্রবাহ ও প্রাণসম্পদের কোনো রাষ্ট্রীয় সুরক্ষাবলয় নাই। তাই যে যেভাবে পারছে, যেমনভাবে পারছে নিম্নবর্গের এসব সৃষ্টিকর্ম ও সৃজনশীলতা নিয়ে অন্যায় বাহাদুরি করে চলেছে। আর লুটেপুটে নিচ্ছে নানা কিসিমের বাণিজ্যিক মুনাফা। বুঝে না বুঝে এক সুর অন্যখানে তালি মেরে, এক নকশা অন্য জায়গায় জুড়ে দিয়ে যাচ্ছেতাই বাণিজ্যিক মারদাঙ্গা চালিয়ে যাচ্ছে অনেকেই। অনেকে আবার এসব অন্যায় ‘শখের ব্যবসার’ নাম দিয়েছে ‘গ্রাম বাংলার হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্য পুনরুদ্ধার’। এই পুনরুদ্ধার-বাহাদুরি এমনই বর্ণবাদী যে, পায়ে পরার জন্য তুলসীমালার পায়েল বানিয়ে বিক্রি হচ্ছে। আদিবাসীদের ফং ও রাও নামের পানীয় পাত্র দিয়ে তৈরি হচ্ছে বাতির ঢাকনা। একটি গান, সুর, বাদ্য, রান্না, বীজ, তৈজস সমাজে কি কায়দায় জন্ম ও বিস্তারের ব্যাকরণ মেনে চলছে তা জানাবোঝার একরত্তি শ্রদ্ধাবোধও নেই এসব ‘সংস্কৃতি পুনরুদ্ধার ফেরিওয়ালাদের’। শুধু শুধু মনসা পূজার করন্ডির চিত্র বা লক্ষীসরা দেয়ালে ঝুলিয়ে দেয়া যায় না। কারণ এই করন্ডি ও সরা হাজার বছরের এক ইতিহাস টেনে নিয়ে চলছে। দুম করে রিকশাচিত্র বা পটচিত্রকে কাপড় বা কাঠের আলমিরাতে তুলে ফেলা যায় না। এই বাহাদুরি নিম্নবর্গের জ্ঞানপ্রবাহের ব্যাকরণকে অস্বীকার করে। আজ যখন আমরা মেধাস্বত্ত্ব নিয়ে আলাপ করবো তখন শুধুমাত্র বহুজাতিক একতরফা প্রাণডাকাতি বা পেটেন্ট নিয়েই নয়, আলাপে টানতে হবে চারদিকের ছোট বড় নানামাপের বাহাদুরিকেই। নিম্নবর্গের জ্ঞানপ্রবাহের দুনিয়ায় মেধাসম্পদকে কিভাবে বিবেচনা করা হয় তা জানতে ও বুঝতে হবে রাষ্ট্রকে। দেশের জনগণের মেধা ও মননের সম্পদ ও সীমানার সুরক্ষায় রাষ্ট্র রাজনৈতিকভাবে টানটান হবে আশা করি।
সারাবাংলা/এসবিডিই/আরএফ