বাগেরহাটে ঘুঘু পাখি গণহত্যার বিচার চাই
৩ মে ২০২১ ১৪:৫২
ঘুঘু দেশের সবচেয়ে পরিচিত পাখিদের একটি। পৃথিবীতে প্রায় ৩৬ জাতের ঘুঘুর ভেতর দেশে মিলে প্রায় ৬টি। দেশে বেশি দেখা যায় তিলা ঘুঘু। ঘুঘুর প্রজননকাল গ্রীষ্মকাল। আর এ সময়েই দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বিষটোপ দিয়ে ঘুঘু হত্যা করা হয়। কেবল ঘুঘু নয়, দেশের প্রতিটি উপকূলীয় জেলায় নির্দয় পাখি শিকার ও হত্যার ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে। ২০২১ সালের পয়লা মে গুগল সার্চ করে ২০১৪ থেকে উপকূলে পাখি শিকারের অজস্র খবর পাওয়া গেল। বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, পিরোজপুর, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী কেউ নির্বিচার পাখি হত্যায় পিছিয়ে নেই। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উপকূলে পাখি হত্যা রোধে প্রশাসন এখনও সক্রিয় নয়। এমনকি নানা সময়ে পাখিহত্যা নিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া প্রশাসনের ভাষ্যেও এই ‘নিষ্ক্রিয়তা’ স্পষ্ট হয়। সম্প্রতি করোনা মহামারিকালে তীব্র তাপদাহের ভেতর বাগেহাটের মোরেলগঞ্জে আবারও এক নির্মম ঘুঘু পাখি গণহত্যা হয়েছে।
উপজেলার সরালিয়া গ্রামের সেলিম শেখের বোরো মওসুমের জমির ধান কাটার পর সেই জমিতে বিষটোপ দেয় পাখিহত্যাকারীরা। ২০২১ সনের ২৯ এপ্রিল থেকে একে একে মারা যায় প্রায় চারশো ঘুঘু। ঘটনাটি হয়তো এখানেই গণমাধ্যমে এক নির্বিকার খবর হয়েই থাকতো। কিন্তু কেবল ঘুঘু নয়, বিষটোপের কারণে মারা গেছে সেলিম শেখের পালিত ৬০টি কবুতরও। ক্ষতিগ্রস্ত সেলিম শেখ দাবি করেন, এতে তার প্রায় এক লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে। তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। প্রশাসন গ্রামে আসে, আসে ফায়ার সার্ভিস। তারা বিষটোপ দেওয়া জমিতে পানি দিয়ে জমিকে বিষমুক্ত করার চেষ্টা করেন। নিদারুণভাবে কবুতরদের মৃত্যু না হলে, সেলিম শেখের মতো কেউ ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়ে অভিযোগ না জানালে হয়তো ঘুঘু পাখি গণহত্যার এ খবরও প্রশাসনের কাছে ‘অজানাই’ থেকে যেত। দেশের বিস্তীর্ণ উপকূল অঞ্চল দেশি, পরিযায়ীসহ নানা পাখির বিচরণস্থল। দুনিয়ায় বিরল এমন অনেক পাখিদের কেবল এখানেই দেখা যায়। আর দেশের এই অঞ্চল দিনে দিনে পাখিদের জন্য বিপদজনক হয়ে ওঠছে। এভাবে চলতে থাকলে উপকূল অঞ্চল একসময় পাখিশূণ্য হয়ে যাবে। সাম্প্রতিক ঘুঘু গণহত্যার তদন্ত হোক। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আওতায় আনা হোক। উপকূলের প্রতিটি অঞ্চলে নির্বিচার পাখি হত্যা রোধে প্রশাসনকে সত্যিকারঅর্থে সক্রিয় ও সজাগ হওয়া জরুরি। পাখিসচেতনতা বাড়াতে উপকূলীয় অঞ্চলে জনতৎপরতা গড়তে পরিবেশবাদী নাগরিক আওয়াজ আরও সোচ্চার হতে হবে।
উপকূলে পাখিহত্যার নজির
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও বাগেরহাটে পাখি হত্যার বহু খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৬ সনের জুন মাসে জেলার কচুয়া উপজেলার বাধাল বাজারে আবদুল জলিলের বাড়ি থেকে তিন হাজারেরও বেশি বুনো পাখি উদ্ধার করে বনবিভাগের বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংলক্ষণ বিভাগের কর্মীরা। সুন্দরবন থেকে এসব পাখি ধরা হয়েছিল। কেবল বাগেরহাট নয়, উপকূলের প্রতিটি জেলায় পাখিহত্যার এমন চিত্র বহুদিনের। বিশেষ করে বিষটোপ দিয়ে পাখি ধরা। ২০১৪ সনের ৮ নভেম্বর কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের শীলেরছড়া গ্রাম থেকে বনকর্মীরা ৩৪টি বকপাখি উদ্ধার করেন। সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের গোয়ালপোতা বিল, খড়িয়াডাঙ্গা বি, ধূলিহরের কোমরপুর বিল ও এল্লাচর এলাকায় পাখি শিকার চলে। আশাশুনি, তালা, কলারোয়া ও শ্যামনগর উপজেলায়ও নির্বিচার পাখি ধরা বন্ধ হয়নি। তালার নওয়াপাড়া, ধলবাড়িয়া, কলিয়া ও লক্ষণপুর গ্রামের বাগেরবিলে এবং খেশরা ইউনিয়নের পাখিমারা মধুখালি বিলে কারেন্টজাল দিয়েও পাখিহত্যা হয়। ২০২০ সনের ৬ জানুয়ারি সাতক্ষীরার দেবহাটার বসন্তপুর থেকে পাখিসহ তিন হত্যাকারীকে আটক করে পুলিশ। ২০২০ সনের ১৭ ডিসেম্বর সদরের ফিংড়ি ইউনিয়নের জর্জিয়া থেকে বন্দুকসহ দুই পাখিহত্যাকারীকে আটক করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)। খুলনার তেরখাদা উপজেলায় কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না পাখিহত্যা। উপজেলার জলাবদ্ধ ভূতিয়ারবিল, নাচুনিয়া, ইন্দুহাটি, পাখিমারা, নৌকাডুবি, আড়কান্দি, কোলা, নলামারা, হাড়িখালি বিলে বিষটোপ দিয়ে পাখহত্যার খবর গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। এমনকি ‘বাঁশির নকল সুর’ বাজিয়ে পাখিকে ধরার এক নিদারুণ কায়দাও এখানে আছে। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণের চর ও জলাভূমিতে শীতের মৌসুমে পাখিহত্যা হয় বেশি। ভোলার দৌলতখানের মদনপুর, চরফ্যাশনের তারুয়া, কুকরী-মুকরী, ঢালচর, চরপাতিলায় পাখিহত্যার নির্মম উদাহরণ আছে। ফেনীর সোনাগাজীতে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুহুরি সেচপ্রকল্প এলাকাতেও পাখিরা নিরাপদ নয়। এমনকি মুহুরি প্রকল্প এলাকার খাবার দোকানগুলোতেও সিলেটের হরিপুরের পাখি হত্যাকারী হোটেলের মতো মিলে পাখির লাশের তরকারি। চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর বড়উঠান এলাকা একসময় ছিল সাদাবকের ঐতিহাসিক বিচরণস্থল। কিন্তু বিচারহীন পাখিহত্যার ফলে এই এলাকাটি বকশূণ্য হতে চলেছে। বরিশালের মুলাদীতে ২০২১ সনের এপ্রিলে পাখিহত্যাকারীদের পুলিশে ধরিয়ে দেন স্থানীয় কিছু পাখিপ্রেমী মানুষ। ২০২০ সনের ৯ জুন সন্ধ্যায় বরগুনার তালতলীর কামরুজ্জামান ফারুক কোটর থেকে মা পাখির মাথা কেটে হত্যা করে ডিমগুলোও উচ্ছেদ করে। পাখি হত্যার এই ছবি তিনিই ফেসবুকে দেন।
এরকম সহস্র পাখিহত্যা প্রতিদিন ঘটছে উপকূল অঞ্চলে। বিশেষ করে বিষটোপ দিয়ে পাখিহত্যা। আর এই বিচারহীন পাখিহত্যা জনমনস্তত্ত্বে এক ‘সহ্য করার মতো স্বাভাবিক’ হয়ে দাঁড়িয়েছে যেন। সম্প্রতি চৈত্র মাসে ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের বাবুইপাখি গণহত্যার মাধ্যমে পাখিহত্যার বিষয়ে কিছুটা পাবলিক সাড়া লক্ষ্য করা গেছে। ২০২১ সনের ৯ এপ্রিল ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামের জালাল সিকদার নামের এক দোকানি লম্বা বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে তালগাছ থেকে বাবুই পাখির বাসা আছড়ে ফেলে এক নির্মম গণহত্যা ঘটান। পিরোজপুরের ইন্দুরকানির সদর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় বোরো মওসুমের ক্ষেতের ধান খাওয়ার অপরাধে শত শত বাবুই পাখির বাসা ভেঙেচুরে পাখিদের হত্যা করেন লুৎফর রহমান মোল্লা। উপকূলীয় অঞ্চলে পাখিহত্যার এমনসব সাক্ষ্য প্রমাণ করে দেশের বিস্তীর্ণ উপকূল অঞ্চলে পাখি সুরক্ষায় দৃঢ় নীতি ও সক্রিয় পদক্ষেপ না নিলে এই অঞ্চল অচিরেই হয়তো নিদারুণভাবে পাখিশূণ্য হবে।
প্রশাসন কী পাখিপ্রেমী?
প্রশাসন পাখিপ্রেমী কী পাখির প্রতি বিরাগভাজন এটি কোনো প্রশ্ন নয়। প্রশাসনের দায়িত্ব তার অঞ্চলের মানুষসহ সকল প্রাণসত্তার জানমালের নিরাপত্তা সুরক্ষিত করা। উপকূল অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসন কী পাখিদের সেই নিরাপত্তা সুরক্ষিত রাখতে পারছেন? বাগেরহাটের সাম্প্রতিক ঘুঘু গণহত্যার বিষয়টিকে গণমাধ্যমের কাছে ‘নৃশংস’ দাবি করে, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন (দ্য ডেইলি স্টার, ১/৫/২০২১)। এমনকি প্রশাসন ফায়ার সার্ভিসকে জমিতে নিয়ে গেছেন। ফায়ার সার্ভিস পরম মমতায় জমিতে পানি ছিটিয় জমি বিষমুক্ত করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সকল প্রশাসন কি পাখিদের টানে এভাবে ছুটে যান? সকল ইউএনওর কাছে কি পাখিহত্যা ‘নৃশংস’ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ? ঝালকাঠির বাবুইপাখি গণহত্যাকে নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদারের কাছে ‘ক্ষমার যোগ্য’ মনে হওয়ায় তিনি হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। অথচ দেশে পাখিহত্যায় বিচার ও দণ্ড প্রদানের বিধি আছে। উপকূল অঞ্চলে পাখিহত্যা বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন আমরা বিশ্লেষণ করব। এসব প্রতিবেদনে পাখিহত্যা স্থানীয় প্রশাসন কী বলেন সেটি বোঝা জরুরি। এর সঠিক বিশ্লেষণ করে পাখিদের সুরক্ষায় আমরা কেমন প্রশাসন চাই সে বিষয়ে নতুন পরিকল্পনা গ্রহণও জরুরি। পাখিহত্যা নিয়ে খুলনার তেরখাদা ইউএনও গণমাধ্যমে জানান, পাখিনিধন দণ্ডনীয় অপরাধ, যারা পাখি নিধন করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে (দৈনিক যুগান্তর, ১৮/১/২০১৯)। কিন্তু তিনি তার অঙ্গীকার রাখেননি, কারণ ২০২০ সনেও তেরখাদায় পাখিহত্যার বহু খবর গণমাধ্যমে এসেছে। এমনকি গণমাধ্যম বলছে, পাখি শিকার রোধে স্থানীয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না বলে অভিযোগ রয়েছে (ইউএনবি,১৮/১১/২০২০)।
পাখি শিকারের অভিযোগের বিষয়ে সাতক্ষীরা সদরের ইউএনও দেবাশীষ চৌধুরী জানান, বিভিন্ন স্থানে অতিথি পাখি শিকারের অভিযোগ পেয়েছি, ইতোপূর্বে পাখি শিকার না করতে আহ্বান জানানো হয়েছিল, এরপরও যারা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ১০/১২/২০১৯)। কিন্তু ২০২০ সনে সাতক্ষীরা সদরে চলমান পাখি শিকারের বহু খবর আবারো গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের ইউএনও মো. ফয়সাল আহমেদ পাখিহত্যা বিষয়ে জানান, এ বিষয়ে আমি অবগত নই, তবে অতিথি পাখি শিকারের সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে (বার্তা২৪ডটকম, ১৫/১২/২০১৯)। পাখি শিকার বিষয়ে ভোলা কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট খালিদ জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে (বাংলানিউজ২৪ডটকম, ৭/২/২০১৬)। ফেনীর সোনাগাজীর ইউএনও জানান, অতিথি পাখি শিকার বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে (১৭/২/২০১৯)। পাখিহত্যা নিয়ে প্রকাশিত এসব প্রতিবেদনে প্রশাসনের ভাষ্য বরাবরই ‘নির্বিকার’ এবং স্পষ্টত প্রমাণিত হয় তাদের ভূমিকা নিষ্ক্রিয়। প্রশাসনের এই নিষ্ক্রিয়তার সামগ্রিক বিশ্লেষণ জরুরি। কারণ এটি কেবল দেশের প্রাণ-প্রকৃতি সুরক্ষার প্রশ্ন নয়, এর সাথে জড়িয়ে আছে দেশের নিরাপত্তা এবং দায়িত্বশীলতার খতিয়ান।
লোভের মনস্তত্ত্ব পাল্টাতে হবে
পাখিহত্যা নিয়ে দেশে একটা পুরুষতান্ত্রিক মিথ্যাচার প্রচলিত আছে। ‘চড়ুই পাখির মাংস’ খেলে পুরুষের যৌনশক্তি বাড়ে। আর এ কারণেই চোখের নিমিষে জান যায় কত চড়ুইয়ের। মধ্যপ্রাচ্যেও প্রচলিত আছে, ‘হুবারা পাখির মাংস’ পুরুষের যৌনশক্তি বাড়ায়। আর এ কারণেই পাকিস্তানে নির্বিচারে খুন হয় এই পাখি। অনেকে বলেন, ‘পাখি মাংস’ খেতে খুব ভালো, শীতকালে খুব একটা তেল আর ঘ্রাণ হয়। বুনোপাখির আবার ‘মাংস’ কী? রাষ্ট্রীয় আইনে এই হত্যা নিষিদ্ধ। হত্যাকারীর কাছে যা ‘পাখির মাংস’, রাষ্ট্রের আইনে তার নাম ‘নিষিদ্ধ ট্রফি’। আর এই ট্রফি কারো কাছে পাওয়া গেলে ‘বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ অনুযায়ী বিচার ও দণ্ড প্রদানের নির্দেশনা আছে। একটা পাখি দেখলে কার জিভে পানি আসে? আজ আমাদের নিজেদের জিভকে এই প্রশ্ন করতে হবে। যদি জিভে পানি আসে বুঝতে হবে, আমি অসুস্থ। ভয়ানক এক বিপদের দিকে আমার ভবিষ্যত। আর প্রত্যেকের নিজের কাছেই আছে এই সুস্থতার কবিরাজি। টালমাটাল বাহাদুরি লোভের পানি আটকাতে হবে। লোভের মনস্তত্ত্ব পাল্টাতে হবে। পাখি না থাকলে খুব বেশি দিন মানুষও টিকবে না এই দুনিয়ায়। কেবল আইন নয়, জনতৎপরতা জাগিয়ে আসুন পাখিদের জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত রাখে উপকূল।