সম্ভাবনার ভাসমান কৃষি
১৬ জুন ২০২১ ২০:১০
বাংলাদেশ ভাটির দেশ। গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-যমুনাবিধৌত বদ্বীপ। বঙ্গোপসাগরের কোলজুড়ে জোয়ার-ভাটায় সিক্ত কৃষি-কন্যা। ‘জো’ আসা জমিন জোয়ান কৃষকের যুদ্ধতুল্য কর্ষণক্ষেত্র। জলমগ্নতার ভৌগলিক পরিচয়। জল-কাদার জিন্দেগানি। পানি সরলে চেনা ফসলের আবাদ। তাও বছরে এক-আধবার। আর না সরলে ফসলহীনতার ফ্যাকাশে দিন। ঘোলা জলের ঘুরপাকের অনিশ্চিত সংসার। অভাবের সঙ্গে বসবাস। কত শত বছর হয়তো এমন বিরূপ তরঙ্গের দোলায় ভেসেছে দরিয়াপাড়ের মানুষ। নদী-খাল-বিল-বাওড়ের জনজীবন।
কে জানে— কবে, কোন এক শুভলগ্নে কোন মগ্ন সাধক, ধ্যানী কৃষক এমন জলজ জনপদে এনেছিলেন নবকৌশলের কৃষি। ভিন্ন জাগরণ। ফসলের সওগাত। নাম না জানা সেই অনাদিকালের কৃষক, ধরে নেই তারা সেসময়ের লুঙ্গি-গামছাপরা একেকজন বিজ্ঞানী নিউটন, খেয়াল করলেন— জলে জন্মে বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রাকৃতিক অদ্ভুত সব উদ্ভিদরাজি। জলে বাস করেও দাদের নেই তেমন কোনো দুর্যোগ-কুমিরের ভয়। দিব্যি হেসে খেলে জলেই বেড়ে ওঠে। জলের দোলনায় দুলতে দুলতে ক্রমে ঠাসবুনোন সবুজ আস্তরণে ঢেকে দেয় জলের জমিন। তাদের কারও নাম কচুরিপানা, কারও টোপা পানা, কারও ক্ষুদে পানা। কেউ আবার দুলালি লতা, নল ঘাস।
এদের সবার মধ্যেই রয়েছে ভেসে থাকার বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এসব জলজ উদ্ভিদ স্তূপ করে পচিয়ে ফেললেও ভাসমান স্বভাবের বদল হয় না। মাটির বিকল্প এমন ভাসমান জৈবভিত্তি একদিন সেখানে আবাদের সবুজ আলো জ্বেলে দিয়েছিল। ভাসমান জৈবভূমিতে ফেলেছিল আশার বীজ। আর অবাক বিস্ময়ে একদিন সেই বীজ থেকে কৃষকের ঘরে উঠেছিলআহারের আনাজ-পাতি, স্বাস্থ্যকর শাক-সবজি। সেদিন নিশ্চয়ই খুব উৎসব হয়েছিল জলে-ডাঙ্গায়। যৌথ আয়োজনে আহার সেরেছিলেন আমাদের পূর্বপুরুষেরা— কিংবদন্তী, ক্ষণজন্মা খনার আত্মীয়েরা।
এতটা কাব্য করে বলার চেষ্টা করছি দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ভাসমান কৃষির কথা। ভাবনার সূত্রপাত এ সংক্রান্ত একটি জাতীয় সেমিনারে অংশগ্রহণের সুবাদে। ভাসমান বেডে সবজি ও মসলার চাষ নিয়ে গবেষণা, চাষ সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করে তোলার প্রকল্পের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েই এ লেখার অঙ্কুরোদগম। কৃষকের অনেক কষ্টঘনিষ্ঠ এই ভাসমান কৃষি। আবার পরিবর্তিত জলবায়ুর অভিঘাত সয়ে আমাদের ভবিষ্যতের বাঁচার উপায়ও হতে পারে এই ভিন্ন কৃষি— ভাসমান কৃষি। আজ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার স্বীকৃতিতে সমুজ্জ্বল এই ভিন্ন কৃষি বিশ্ব কৃষি ঐতিহ্যে বাংলাদেশ স্মারক, জলবায়ু অভিযোজনে ‘ক্লাইমেট সেলিব্রেটি’।
হিসাব মতে, বাংলাদেশে প্রায় ৩০ লাখ হেক্টর নিচু বা অতি নিচু জমি আছে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওড় এলাকাগুলোতেই মূলত বিস্তৃতি এসব জমির। বিশেষ করে বলতে হবে গোপালগঞ্জ, বরিশাল, পিরোজপুর, নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জ, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর জেলার প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট নিম্নভূমির কথাও। এছাড়া বৃহত্তর চলনবিলসহ সারাদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে স্থানীয় জলাভূমি।
বর্ষা মৌসুমসহ বছরের প্রায় পাঁচ থেকে ছয় মাস এসব এলাকা জলাবদ্ধ থাকে। এ সময়ে কচুরিপানা ও অন্যান্য জলজ আগাছায় ঢাকা থাকে বিস্তীর্ণ অঞ্চল। কচুরিপানা এককালে নিছক আগাছা ও অভিশাপ হলেও ভাসমান কৃষির কল্যাণে তা আজ আশীর্বাদে পরিণত হয়েছে। কারণ জলমগ্ন এসব এলাকায় কচুরিপানাসহ অন্যান্য উদ্ভিদ জোগান দিয়ে প্রয়োজনীয় মাপের ভেলার মতো করেই তৈরি করা হয় বেড বা ফসল আবাদের ভূমি।
স্থানীয় ভাষায় এরকম বেডের অনেক ডাকনাম রয়েছে। যেমন— ধাপ, গাউতা, কান্ধি। বেড বা ধাপ তৈরির কিছুদিন পর উপযুক্ত হলে মাটির বিকল্প এসব ভাসমান জৈব বেডেই আবাদ করা হয় সবজি, মশলাসহ যুৎসই অন্য কোনো শস্য। শাকের মধ্যে লাল শাক, গিমা কলমি, পালং, পুঁই শাক; সবজি হিসেবে টমেটো, বেগুন, ওলকপি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকলি, শিম, বরবটি, ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা, কুমড়া, লাউ, করলা, শসা; মশলা হিসেবে মরিচ, রসুন, আদা, হলুদ— এর সবই ভাসমান বেডে আবাদ করা সম্ভব। এমনকি বাঙ্গি, নালিম, স্ট্রবেরির মতো ফলও আবাদযোগ্য ভাসমান বেডে।
এই পদ্ধতিতে আবাদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বাড়তি সুবিধাও আছে। ফসল আবাদে দরকার পড়ে না বাড়তি রাসায়নিক সারের। জৈব পদার্থ আর পানিই এর জোগানদাতা। বালাইনাশক— তাও তৈরি হয় গাছ-গাছড়া দিয়ে। কারণ বিশাল জলরাশির মাছের মুখের দিকে তাকিয়ে এখানে কেউ রাসায়নিক বালাইনাশক ব্যবহার করে না। তাই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাঙ্ক্ষিত যে নিরাপদ নিত্যপ্রয়োজনীয় ফসল— ভাসমান বেডে আবাদ মানে যেন তারই নিশ্চয়তা। আবার পানি সরে গেলে জৈব বেডের সারাংশ মিশিয়ে দেওয়া হয় জমিতে। এত বাড়ে মাটির স্বাস্থ্য। ডাঙ্গার জমিতে কম রাসায়নিক সার ব্যবহার করেও মেলে বাম্পার ফলন। জলে ভাসমান জমি ব্যবহার করেই ফসল ফলানোর এ এক অবাক কৌশল। আমাদের মতো জমি টানাটানির দেশে এ হতে পারে এক আশীর্বাদ।
তবে কৃষিকে ঘিরে সেই চিরায়ত কষ্টের বেষ্টনী রয়েছে এখানেও। জমি ও জলাশয় হাতছাড়া হচ্ছে কৃষকের। কোথাও বাড়ছে লবণাক্ততা। ফসলের বাজার আর ন্যায্য মূল্যের অনিশ্চয়তা তো আছেই। ডাঙ্গার কৃষির চেয়ে জলের কৃষিতে খাটুনিও বেশি। জলে নামলে গা চুলকায়। জোঁক চুষে খায় রক্ত। বেশিক্ষণ থাকলে হাত-পায়ের নখের মাঝে ঘা হয়। ওষুধ বলতে সেই তুঁতে। কৃষকের স্বাস্থ্যসেবার সহজ উপায় আমরা এখনো করতে পারিনি। ভাসমান কৃষির ফসলযোদ্ধা পরিচয় দিলে তারা কি চিকিৎসায় অগ্রাধিকার পাবে? হোক তা কোনো কমিউনিটি ক্লিনিক অথবা হাসপাতালে? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজাও জরুরি।
জনমিতি অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর যোগ হচ্ছে প্রায় ২০ লাখ নতুন মুখ। জমি কমছে প্রায় ১ শতাংশ হারে। সে হিসাবে আগামী ১০০ বছর পরে বঙ্গবন্ধুর দ্বিশততম জন্মবার্ষিকীতে আবাদি জমি পৌঁছাবে প্রায় শূন্যের কোঠায়। ভাবা যায়! তাই কৃষি জমি বেহাত হওয়া জরুরিভিত্তিতে বন্ধ করতে হবে। উৎপাদনশীল জমির যথেচ্ছা ব্যবহারের লাগাম টেনে ধরার এখনই সময়। এর সঙ্গে জলের প্রাধান্য যেসব এলাকায়, সেখানে আবাদ অযোগ্য জমিকে ভাসমান কৃষিতে সাজিয়ে করতে হবে পয়মন্ত।
এবার আগের ভাবনাটাকে যদি যুক্ত করা হয় জলবায়ূ পরিবর্তনের অভিঘাতের সঙ্গে, তাহলে কী দাঁড়ায়? জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের অভিমত, আগামী ২০৮০ সালে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে প্রায় ৩৮ সেন্টিমিটার, অর্থাৎ একফুটেরও বেশি। এতে প্লাবিত হবে উপকূলবর্তী প্রায় ২২ শতাংশ এলাকা। জলবায়ু উদ্বাস্তু হবে লাখো-কোটি মানুষ। তখন ভাসমান কৃষিকৌশল ছাড়া জলনিমগ্ন এলাকায় আশার তরী ভাসবে কি? তাই কালবিলম্ব না করে এখনই দরকার ভাসমান কৃষি নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন গবেষণা কার্যক্রম ও খাপ খাওয়ানোর প্রযুক্তিতে যুক্তির জোর সংযোজন; গবেষণায় কৃষকের অংশগ্রহণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে তাদের আচরিত বিদ্যমান জ্ঞানের সংমিশ্রণ ঘটানো। ভাসমান কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয় করতে নেওয়া উচিত বৃহত্তর কর্মসূচিম, যার জন্য প্রযোজ্য বা যে স্থানে প্রযোজ্য— সেসব এলাকা অন্তর্ভুক্ত করে নিতে হবে বৃহত্তম প্রকল্প-প্রচেষ্টা।
জলবায়ুর অভিঘাতজনিত ভবিষ্যত সমস্যার গতিপ্রকৃতি, প্রভাব ও তীব্রতার মাত্রা কেমন হবে তা বর্তমান গাণিতিক মডেল ব্যবহার করে বের করা সম্ভব। অর্থাৎ কেমন হবে জলনিমগ্নতার ব্যাপকতা, গভীরতা, স্থায়ীত্ব, স্রোতজ প্রবণতা; কিংবা কেমন হবে সামুদ্রিক বায়ুপ্রবাহ, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস; কতটুকু জুড়ে কেবল স্বাদু পানিতে লবণাক্ততার আগ্রাসন হবে, কী মাত্রায় হবে লবণাক্ততার মাত্রা— সব তথ্য-উপাত্ত ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে এসব প্রশ্নের প্রায় প্রতিটিরই স্থির উত্তর পৌঁছানো সম্ভব। আর এসব উত্তর পেলে এ সিদ্ধান্তেও পৌঁছানো সম্ভব— ভবিষ্যতের কোন সময়ে আমাদের কোন মানের, কোন জাতের ফসল দরকার হবে এবং কোন ধরনের সমর্থনসেবা পরিবর্তিত কৃষির সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হবে। আর সেক্ষেত্রেই ভাসমান কৃষি বেরিয়ে আসতে পারে অপার সম্ভাবনাময় হিসেবে।
বৈজ্ঞানিক সৃজনশীলতা দিয়ে ভাসমান কৃষি সম্ভাবনার ‘এ টু জেড’ তথা আদ্যোপান্ত তাই আমাদের আয়ত্তে আনা দরকার। পাশাপাশি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের বহুমুখী সুযোগ অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য গাইডলাইন হিসেবে অবশ্য অনুসরণীয় হওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত শতবর্ষের ডেল্টা প্ল্যান। প্রধানমন্ত্রী নিজেও ভাসমান কৃষি পরিবেশে বড় হয়েছেন। আপাতভিন্ন এ কৃষির বর্ণ-বৈভব,আভিজাত্য, সৌন্দর্য তার দেখা। এর রঙ-রূপ-রস-স্বাদ-গন্ধ তিনি ভালো চেনেন ও বোঝেন। নদী, বিল পাড়ি দেওয়ার পথে ছৈয়া নৌকার সম্মুখে বসে বঙ্গবন্ধু নিশ্চয়ই দেখতেন হাওয়ায় আন্দোলিত জলিধান। উপভোগ করতেন ভাসমান কৃষির সবুজ উৎসব।
ভাসমান কৃষি আবার পর্যটন দিগন্তে রঙধনুর মতো বর্ণিল ও সম্ভাবনাময়। কারণ বাংলার বনেদি ও আসল সৌন্দর্য এমনিতেই জলকেন্দ্রিক। তার ওপর জলে যদি থাকে থরে থরে সাজানো শস্যের সাজ, তবে তো সোনায় সোহাগা। জলের প্রচ্ছদপটে রোদ, বৃষ্টি, মেঘমালার তুলির আঁচড়ে শিল্পীর রঙ ও রেখাবিন্যাসে নকশিকাঁথার মতো ফসলবৈচিত্র্যের হাসি কার না ভালো লাগে! বিশ্ব পর্যটন শিল্পের অনেক দেশেই অ্যাগ্রো-ট্যুরিজম একটি প্রতিষ্ঠিত অনুষঙ্গ। ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনামসহ বহু দেশ এ ক্ষেত্রে অনেক এগিয়ে। আমাদের দেশের নীতিনির্ধারক থেকে শুরু করে সৌখিন পর্যটক পর্যন্ত অনেকেরই তা দেখা হয়ে থাকবে। কিন্তু আমরা কি পারছি চা বাগানকেন্দ্রিক, পাহাড়ি কৃষিকেন্দ্রিক কিংবা রাজশাহীর আমকেন্দ্রিক কৃষি পর্যটনে মানুষকে টানতে? পর্যটন করপোরেশন বা ট্যুর ইভেন্ট ব্যবস্থাপনায় সম্পৃক্ত বেসরকারি সংগঠন এ ক্ষেত্রে কতটা তৎপর? এমন তো না যে বাংলার মানুষ ঘরকুনো। বরং প্রচলিত আছে যে তাদের পায়ের নিচে সরষে বিছানো। অর্থাৎ তারা বেড়াতে ভালোবাসে। ছুটি পেলেই ছোটে নতুন গন্তব্যে। এমনকি শাপলা ফোটা একটা বিলের ছবি বা শিমুলরাঙা প্রান্তরের ছবি পত্রিকার পাতায় ছাপা হলে সেখানেও উপচে পড়ে ভ্রমণপিপাসু মানুষের ভিড়। তাই ভাসমান কৃষির অনিন্দ্য সৌন্দর্যও যে মানুষকে টানবে, ভাসমান কৃষিও হবে পর্যটন গন্তব্য— তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন পরিকল্পনামাফিক ন্যূনতম ভাসমান অবকাঠামো, যাতায়াত সুবিধা আর নিরাপত্তার সুযোগ। কে না চাইবে-নিরিবিলি নৌকায় ভাসমান সবুজদ্বীপের পাশে একটি বেলা কাটিয়ে দিতে? আর যদি সেখানে বন্দোবস্ত থাকে ভাসমান বেডের নিরাপদ সবজি, সালাদসহ সে জলের রুপালি শস্য, টাটকা রান্না দেশি মাছের সঙ্গে এক থালা গরম ভাতের— তবে তো কথাই নেই।
কৃষি সমৃদ্ধির উৎকর্ষে আসে খাদ্য নিরাপত্তার স্বস্তি। ফসলের ভরা মাঠে দাঁড়িয়েই কৃষক ঈদ-আনন্দ-চাঁন্দের দেখা পায়। সরকারের দেখা হয় মেগা প্রকল্পের সঙ্গে। তাই তো উন্নয়নের মহাসড়কে উঠে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলা করে অদূর ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত; পুষ্টিপ্রাচুর্য ও নিরাপদ খাদ্যের ঠিকানা হবে আমাদের সোনার বাংলা— ভাসমান কৃষি তারই সবুজ সংকেত। আমাদের বিদ্যমান কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তরের অভিযাত্রায় প্রয়োজন হবে সরকারের নীতি-সহায়তা ও প্রণোদনা; সেই সঙ্গে কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণের বিষয়গুলো সম্পৃক্ত কৃত্যপেশার অনুকূলেই থাকা আবশ্যক। আর কৃষি ভাবনার ভরকেন্দ্রে থাকা দরকার কৃষকের প্রতি পক্ষপাতিত্ব। ‘জলে ভাসা পদ্ম আমি, শুধুই পেলাম ছলনা…’— কৃষকদের জন্য এমন যেন না হয়।
লেখক: মহাসচিব, বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশন
সারাবাংলা/টিআর
কৃষির সম্ভাবনা জলবায়ু পরিবর্তন ড. কাজী আফজাল হোসেন ভাসমান কৃষি