Saturday 17 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আঞ্চলিক শক্তি দেখাতে শুরু করেছে বাংলাদেশ

মো. আসাদ উল্লাহ তুষার
১৮ জুলাই ২০২১ ২১:৫১

নিবন্ধের শিরোনামটি অস্ট্রেলিয়ার একজন স্বনামধন্য গবেষক ডেভিড ব্রিউস্টারের। তিনি সম্প্রতি তার একটি লেখা এই শিরোনামে দিয়ে লিখেছেন। মি. ডেভিড ব্রিউস্টার নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গ বা সহযোগী কোনো সংগঠনের দেশ বা বিদেশ শাখার কোনো কর্মী বা নেতা নন। এমনকি তিনি ‘ভারতের’ কোনো লেখক বা বুদ্ধিজীবীও নন। তিনি অস্ট্রেলিয়ার নামকরা অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কলেজের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো। পৃথিবীর উদীয়মান অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ নিয়ে গবেষণা করেন। মাসখানেক আগে সেই ব্রিউস্টারের ওপরের ওই শিরোনামের নিবন্ধটি ইন্টারপ্রিটারে প্রকাশিত হয়েছে। নিবন্ধে ডেভিড ব্রিউস্টার লিখেছেন, “সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তামূলক ঋণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। একটি দরিদ্র সাহায্য প্রার্থী দেশ থেকে আঞ্চলিক প্রভাবশালী দেশ হওয়ার পথে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ‘টার্নিং পয়েন্ট’।”

বিজ্ঞাপন

ব্রিউস্টার বলছেন, এটি বাংলাদেশের ধারাবাহিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে অন্যতম খেলোয়াড় হয়ে ওঠার কারণে সম্ভব হয়েছে। নিবন্ধে ডেভিড ব্রিউস্টার লিখেছেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জনের সময় বাংলাদেশ ছিল ‘আপাত সম্ভাবনাহীন’ পৃথিবীর দরিদ্রতম একটি দেশ, যাকে হেনরি কিসিঞ্জার ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তবে আজকের বাংলাদেশ ১৬ কোটি মানুষের আত্মবিশ্বাসী একটি জাতি, যাদের রয়েছে রফতানিনির্ভর উদীয়মান এক অর্থনীতি, যা গত দুই দশক ধরে ৬ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে।

বিজ্ঞাপন

২০২০ সালে কোভিড-১৯-এর কারণে প্রবৃদ্ধির হার ৫ দশমিক ২ শতাংশে নেমে এলেও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলছে, ২০২১ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ এবং ২০২২ সালে এটা দাঁড়াবে ৭ দশমিক ২ শতাংশে। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার, যা প্রতিবেশী ভারত (১ হাজার ৯৪৭ ডলার) ও পাকিস্তানের (১ হাজার ৫৪৩ ডলার) চেয়ে ঢের বেশি। স্বাস্থ্য, গড় আয়ু, জন্মহার ও নারীর ক্ষমতায়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক সুরক্ষা নির্দেশকগুলোর ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের চেয়ে এগিয়ে আছে। ব্রিউস্টার বলছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য এই অঞ্চলে তার ভূমিকায় কেমন প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা না হলেও অনেক ‘আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়’ ঢাকার দৃষ্টি আকর্ষণে লড়ে যাচ্ছে।

এই যে ভিনদেশী অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী একটি দেশের প্রসিদ্ধ একজন গবেষকের বাংলাদেশকে নিয়ে এই মূল্যায়ন নাগরিক হিসেবে আমাদেরকে উজ্জীবিত করে, মাথা উঁচু করে বেঁচে থাকার সাহস জোগায়। বাংলাদেশের এই অবস্থায় আসতে হয়তো অর্ধশতাব্দী সময় লেগেছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা না করলে হয়তো আমাদের এই অর্জন আরও এক দশক আগেই সম্ভব হতো। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে জাতির পিতাকে হত্যা করার পরে আমরা যে পেছনের দিকে হাঁটতে শুরু করেছিলাম, বিশেষ করে সত্তর দশকের মধ্যবর্তী সময়ে থেকে নব্বই পর্যন্ত অবৈধ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলদার সামরিক শাসকদের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে আমরা যেভাবে পিছিয়ে পড়েছিলাম, সেখান থেকে উঠে আসতেই এই বেশি সময়টা লেগেছে।

এটাও হয়তো সম্ভব হতো না যদি না জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত না হতেন। নানা চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে ১৯৯৬ সালে প্রথমবার এবং তারপরে ২০০৯ সাল থেকে টানা তৃতীয়বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকার কারণেই বাংলাদেশে আজ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে এসে পৌঁছেছে। এই যে অদম্য গতিতে দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাওয়া এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও সৃজনশীল নেতৃত্বের কারণে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বহু লড়াই-সংগ্রাম, জেল-জুলুম নির্যাতন সহ্য করে বাঙালিকে একসূত্রে গেঁথে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশকে স্বাধীন করে গিয়েছেন। কিন্তু তার স্বপ্ন অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনের আগেই ঘাতকেরা তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেই কারণে তিনি যে অর্থনৈতিক মুক্তির ডাক দিয়েছিলেন, সেটা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তার যে সংগ্রাম শুরু করে গিয়েছিলেন, মাঝখানে দুই দশকের বেশি সময় বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি বিরাট বাধার সম্মুখীন হয়েছিল সামরিক শাসনের কারণে। তারপরে বঙ্গবন্ধুকন্যা যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন তখন সেই বাধা অতিক্রম করে বাংলাদেশকে আজ বিশ্বের বুকে এক শক্তিশালী অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, নারী স্বাধীনতা ও অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হিসেবে চিত্রিত করতে পেরেছেন। এই অর্জন এমনি এমনি অর্জিত হয়নি। এর জন্য সাহস, শক্তি, দেশপ্রেম, সততা, সর্বোপরি নেতৃত্ব দেওয়ার যে গুণাবলী থাকা দরকার, তা শেখ হাসিনার দৃঢ়ভাবে দেখিয়েছেন। সে জন্যই সম্ভব হয়েছে এই উন্নয়ন-উন্নতি, যার প্রশংসা আজকের দেশ বিদেশের অর্থনীতিবিদ, শিক্ষক, গবেষক এবং রাজনীতিবিদরা করে চলেছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে এটিই বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ অর্জন।

বাংলাদেশে আজ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ আমেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মতো দেশ বিনিয়োগ করতে ছুটে আসছে। রাশিয়া, চীনসহ বন্ধুপ্রতিম অনেক দেশের বড় বড় বিনিয়োগ চলমান। দক্ষিণ এশিয়ায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ। এটি এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান যখন বলেন, সুইডেনের আদলে উন্নয়ন ঘটাবেন পাকিস্তানের, তখন ওই দেশেরই বিখ্যাত সাংবাদিক-কলামিস্ট জাইঘাম খান প্রত্যুত্তরে বলেন, ‘খোদা কি ওয়াস্তে হামে বাংলাদেশ বানা দো।’ এটাই বাস্তবতা। এরই নাম বাংলাদেশ, তারা আজ বাংলাদেশের মতো হতে চায়। কিছুদিনের মধ্যে হয়তো অন্য আরও দেশ বাংলাদেশের মতো হতে চাইবে।

এর সবই সম্ভব হচ্ছে রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সুদক্ষ, সুদৃঢ়, সাহসী নেতৃত্বের কারণে। ৭৮৬ কোটি টাকা দিয়ে শুরু করা বাজেট আজ ছয় লাখ কোটি টাকার ওপরে। উন্নয়নে, প্রযুক্তিতে যা একদশক আগে ছিল অলীক কল্পনা তা আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আজ স্বপ্ন নয়, বাস্তব। বড় বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, ১০০টি ইকোনোমিক জোন, সারাদেশে সড়ক ও রেল যোগাযোগের প্রভূত উন্নয়ন— এসব মোটা দাগের উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে চলমান অনেক অনেক উন্নয়ন বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের দেশগুলোর কাছে  নতুন শক্তি রূপে চিত্রিত করছে।

এই যে বাংলাদেশ তার শক্তিমত্তার জানান দিচ্ছে, তার পেছনে আছে সঠিক ও যুগোপযোগী নেতৃত্ব। আর এই নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বড় গুণ সততা ও সাহস, যা তিনি তার পিতা বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে পেয়েছেন। এই শক্তি, সাহসকে পুঁজি করেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে একটি উন্নত মর্যাদাশীল, আধুনিক-প্রগতিশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। ৫০ বছর আগে মুক্তিযুদ্ধের সময় যেসব দেশ আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে এবং তারপরও তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছে, আজ তারা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী বন্ধু দেশ। এটি বাংলাদেশের অর্জন। আজকের এই অর্জনের স্বপ্নই দেখেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। জাতির পিতা যা দেখে যেতে পারেননি, তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা।

এই করতে শেখ হাসিনাকেও পিতার মতো অনেক দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলা করতে হয়েছে। নিশ্চিত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন বারবার। কিন্তু পিছু হটেননি। পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে গিয়ে নিজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিসর্জন দিয়েছেন। দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে চার দশক ধরে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, যা আজ বিদেশি স্কলারদের কাছ থেকে প্রশংসা আনছে। এটি দেশের জন্য নিঃসন্দেহে বিরাট সম্মানের, গর্বের।

দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, একাত্তর ও পঁচাত্তরের ঘাতকদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসা, সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় গরিব মানুষদেরকে নানা ধরনের সহায়তা প্রদান বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে শক্তিশালী দেশ হিসেবে পরিগণিত করছে, যা শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে অর্জিত হয়েছে। ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ, জেলায় জেলায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি ও উপবৃত্তি দিয়ে সরাসরি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে নগদ অর্থ পৌঁছে দেওয়া শিক্ষা ক্ষেত্রে যুগান্তকারী সফলতা এনে দিয়েছে। শিক্ষা সুযোগ নয়, অধিকার— সেই অধিকার দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, ডিজিটাল সুযোগ-সুবিধা প্রান্তিক মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া, সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় বিধবা ভাতা,স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ গরিব মানুষকে বিভিন্নভাবে আর্থিক সাহায্য করা, ভূমিহীন মানুষদের জমিসহ বসবাসের জন্য পাকা বাড়ি করে দেওয়াসহ নানা ধরনের কাজে সরকার অভাবনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে, যা প্রান্তিক মানুষের জীবনমানে উন্নতি ঘটাচ্ছে।

এসবই সরকারের ধারাবাহিকতার ফল ও সক্ষমতা, যা বিদেশিরা বলছে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে সরকারের দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে যথাযথ ভূমিকা রাখবে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রকোপে সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপ ভাইরাস মোকাবিলায় অনেকটা কার্যকর ভূমিকা নিয়েছে। নানা বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে সব মানুষকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে, আশা করা যায় তুলনামূলক অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের একটি বয়স পর্যন্ত মানুষ বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের আওতায় আসবে। হয়তো একদিন দেশের কোনো মানুষই টিকা থেকে বাদ যাবে না। যুদ্ধ-বিগ্রহের জন্য মারণাস্ত্র নয়, পারমাণবিক বোমা তৈরি করে না খেয়ে থাকার গোয়ার্তুমি নয়, আধুনিক সময়ে জন্য শিক্ষিত, অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল, তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ, জ্ঞান-বিজ্ঞানে অগ্রগামী, উন্নত মর্যাদাসম্পন্ন মর্যাদাসম্পন্ন আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে শুধু আঞ্চলিক শক্তি না, বিশ্বশক্তি দেখাবে ৩০ লাখ শহিদ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ। শুধু আঞ্চলিক শক্তি না, বাংলাদেশ একদিন পরাশক্তিতে পরিণত হবে।

লেখক: কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ

সারাবাংলা/টিআর

বিজ্ঞাপন

আইএসপিএবি’র ভোট শুরু
১৭ মে ২০২৫ ১০:৪৭

আরো

সম্পর্কিত খবর