Wednesday 27 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বার্গম্যান ও খলিল— বিপরীত মেরুর দুই ব্যক্তি একজোট কেন?

তন্ময় আহমেদ
২৭ আগস্ট ২০২১ ১৬:২৯

২০০৭ সালের ১১ মে। বাংলাদেশে তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শাসন চলছিল। বিদেশিদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে সুরক্ষা বাহিনীর হাতে আটক হন তাসনিম খলিল। সাংবাদিকতার ছদ্মবেশে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার এজেন্ট হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের সার্বভৌমত্ব নষ্টের ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়। অবশ্য ভবিষ্যতে দেশদ্রোহী কাজে যুক্ত না থাকার মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। এর অল্প কিছুদিন পর, ৬ জুন, দেশ ত্যাগ করেন তিনি। তারপর থেকে অ্যাসাইলাম নিয়ে সুইডেনে অবস্থান করছেন দেশদ্রোহীতার অভিযোগে আটক এই ব্যক্তি। পরবর্তীতে খলিল নিজের লেখায় জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাকে নির্যাতন করেছিল গোয়েন্দা সদস্যরা। তাই দেশের সুরক্ষা বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর ক্ষুব্ধ তিনি।

বিজ্ঞাপন

যদিও ততদিনে দেশের সরকার বদলে গেছে। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের নির্বাচনের সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। কিন্তু ইউরোপে বসে উন্নত জীবনের প্রলোভন ছেড়ে আর দেশে ফেরেননি খলিল। উল্টো দেশের সরকার ও সেনাবাহিনী নিয়ে নিয়মিত কুৎসা রটনায় লিপ্ত হন। পরবর্তীতে ডেভিড বার্গম্যানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ২০১৯ সালে নেত্রনিউজ নামে একটি ওয়েবসাইট খোলেন। এ বছরের এপ্রিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফাহমিদুল হককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খলিল জানান, মূলত আমেরিকার বেসরকারি সংস্থা এনইডি-এর অর্থায়নে এই ওয়েবসাইটটি খুলেছে। উন্নত গণতন্ত্রের পক্ষে প্রচারণার জন্য এনইডি অর্থায়নের কথা বললেও, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সাবেক কর্মকর্তাদের লেখা বই থেকে জানা যায়— এনইডি মূলত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ডা বাস্তবায়নে অর্থ লগ্নি করে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে নেত্রনিউজ এবং খলিলদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি, সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর নামে কুৎসা রচনা এবং গুজব ছড়াতেই ব্যস্ত তারা। এখানে এসে আরো প্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে ডেভিড বার্গম্যানের উপস্থিতি।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বার্গম্যান নিজেকে একজন সাংবাদিক ও বাংলাদেশ বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করেন। কিন্তু বাস্তবতা বলে ভিন্ন কথা। বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় জোটের সমন্বয়ক ও ধনকুবের ড. কামাল হোসেনের মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেনকে বিয়ে করে ঘরজামাই হিসেবে বাংলাদেশে এসেছিলেন ব্রিটিশ নাগরিক ডেভিড বার্গম্যান। এরপর শ্বশুরের প্রভাবে গণমাধ্যমে কাজ জোগাড় করে নিজের বেকারত্বের অবসান ঘটান তিনি। কিন্তু সাংবাদিকতার নৈতিকতা পরিপন্থী কার্যক্রমে যুক্ত থাকার দায়ে দুটি অফিস থেকে চাকরিচ্যুত হতে হয় তাকে। তাকে অপসারণের কারণ হিসেবে এ বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি তার সাবেক বস এবং বিডিনিউজের সম্পাদক তৌফিক ইমরোজ খালিদী তার ব্যাপারে একটি মন্তব্য করেছেন। বার্গম্যান সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘২০১০ সালে ছয় মাসের আমার অফিসে ছিল সে। তবে ডেভিডের এক ধরনের এজেন্ডা আছে, সেটা বোঝা যায় তার সাথে কাজ করলে। সাংবাদিকতার চেয়ে অ্যাক্টিভিজম বেশি’।

এদিকে ২০১০ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার শুরু হয় বাংলাদেশে। এই বিচারপ্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করতে নিয়মিত ব্লগিং শুরু করেন বার্গম্যান। এমনকি বার্গম্যানের বিতর্কিত মন্তব্য ও তার সরবরাহ করা তথ্য থেকে লিপিবদ্ধ একটি বইকে (ডেড রেকনিং) যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে সাফাই হিসেবে উপস্থাপন করে উগ্রবাদী দল বিএনপি-জামায়াতের আইনজীবীরা। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বিকৃত মন্তব্যের কারণে ২০১৪ সালে আদালত কর্তৃক সাজা ঘোষণা করা হয় বার্গম্যানের নামে। এরপর বাংলাদেশ ত্যাগ করেন ব্রিটিশ জাত্যভিমানী বার্গম্যান। কিন্তু ততদিনে স্ত্রী সারা হোসেনের মাধ্যমে বিএনপি চেয়ারপার্সনের ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে তার সখ্যতা তৈরি হয়। বিএনপি-জামায়াতের লবিস্ট হিসেবে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারকে বানচালের জন্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বিতর্কিত লেখালেখির কাজ পান তিনি।

বার্গম্যান এখন নেত্রনিউজ নামক ওয়েবপোর্টালের সম্পাদক হিসেবে নিজেকে দাবি করেন। কিন্তু এর আগে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিবাদে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের সঙ্গে বিক্ষোভ করতেও দেখা গেছে তাকে। এমনকি নিজেও তাদের পক্ষে এজেন্ডাভিত্তিক সংবাদ সরবরাহ করতেন দুটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। তিনি খুন ও ধর্ষণের দায়ে দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের বিশ্বগণমাধ্যমে ইসলামিক লিডার হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টায় ব্যস্ত ছিলেন তখন। এখনো দেশে সেই বিচারপ্রক্রিয়া চলছে। কিন্তু এটি নিয়ে আর সোচ্চার নন বার্গম্যান। কারণ যেসব অভিযুক্ত তার শ্বশুরের রাজনৈতিক মিত্রদের তথা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল, তাদের বিচার শেষ হয়ে গেছে। এরপর থেকে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী, সরকার ও বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতির পেছনে লেগেছেন ড. কামালের বেকার জামাই বার্গম্যান। উল্লেখ্য যে, ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বার্গম্যানের শ্বশুর ড. কামাল হোসেন যুদ্ধাপরাধীদের দলকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যজোট গঠন করেছিলেন এবং জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হয় তারা।

এরপরই শেখ হাসিনার প্রতি প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে বার্গম্যান-খলিলকে দিয়ে খোলানো হয় নেত্রনিউজ নামক একটি পোর্টাল। খলিলের প্রয়োজন সুইডেনে বসে বিলাসী জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত টাকা। আর বার্গম্যানের উদ্দেশ্য ড. কামালের পরামর্শ মতো ‘ইউক্রেন স্টাইলে’ সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব ছড়িয়ে হঠকারিতার মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটানো। কিন্তু নিখুঁত সাংবাদিকতার বিষয়ে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ঘাটতি থাকায়, তারা সফলভাবে প্রোপাগান্ডা ছড়াতেও ব্যর্থ হয়। উল্টো নিজেদের ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে আক্রমণাত্মক লেখালেখি করায় দাতাদের কাছেও তাদের যোগ্যতা ও কর্মক্ষমতা নিয়ে ঘাটতি দেখা দেয়। কিন্তু টাকায় টান পড়ার আগেই বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে দেড়শ কোটি টাকার প্রকল্প পেয়ে যায় তারা। দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের এই টাকার জোগান দেন। ব্যারিস্টার সারা হোসেনের মধ্যস্থতায় তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক হয় তাদের। জামায়াত নেতাদের পরামর্শে বার্গম্যান ও খলিলকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশবিরোধী গ্রাউন্ড তৈরির দায়িত্ব দেন তারেক রহমান। এরপর থেকে সেই মিশন বাস্তবায়নের জন্য একজোট হয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই দুই ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকটিভিজম বাড়াতে তারা নিজেদের সঙ্গে নিয়েছে আরও কয়েকজনকে। ফলে নিজেদের এখনও অনুসন্ধানী সাংবাদিক বলে দাবি করলেও, বিএনপি-জামায়াতের হয়ে তাদের অ্যাকটিভিজম প্রকাশ্য হয়ে পড়েছে।

১ ডিসেম্বর, ২০১৮। বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা দলগুলোকে নিয়ে জোট গঠনের ঘোষণা দেন ড. কামাল হোসেন। উদ্দেশ্য, ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তন করা। কিন্তু ব্যর্থ হয় তারা। এরপরই আওয়ামী লীগ সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কুৎসা রটানোর এজেন্ডা হাতে নেওয়া হয়।

মূলত এই জোট গঠনের পেছনে লিয়াজোঁ হিসেবে কাজ করেছেন ড. কামালের মেয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন। নিজের স্বামী ডেভিড বার্গম্যানের সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানের সংযোগ ঘটান তিনি। এরপরই ড. কামালকে প্রধান করে বিএনপি ও জামায়াতকে নিয়ে সরকারবিরোধী জোট গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ডেভিড বার্গম্যান।

তবে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্রিটিশ নাগরিক বার্গম্যানের অনধিকার চর্চা এবারই প্রথম নয়। এর আগে, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির কারণে, ২০১৪ সালের ২ ডিসেম্বর, আদালতে দণ্ডিত হয়েছেন। এছাড়াও খুন ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের দায়ে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হলে, তা বিতর্কিত করতে ব্লগিং শুরু করেন বার্গম্যান। এমনকি কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে কিছু বিদেশি গণমাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইনে নামেন।

নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন এই বার্গম্যান। কিন্তু সাংবাদিকতার নৈতিকতার অবক্ষয়ের দায়ে বাংলাদেশের দুটি গণমাধ্যম থেকে চাকরিচ্যুত হতে হয়েছে তাকে।

৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, এক টেলিভিশন টকশোতে বার্গম্যানের সাবেক সহকর্মী ও দেশের শীর্ষ অনলাইন বিডিনিউজের সম্পাদক বলেন, ‘বার্গম্যানের কাজে ‘সাংবাদিকতার চেয়ে অ্যাক্টিভিজম বেশি। ডেভিডের এক ধরনের এজেন্ডা আছে, সেটা বোঝা যায় তার সাথে কাজ করলে বোঝা যায়’।

একপর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে চলে যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ নেগোশিয়েটর ব্যারিস্টার সারা হোসেনের স্বামী বার্গম্যান। এরপর লন্ডনে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সামনে প্রকাশ্যে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিপক্ষে আন্দোলনে দেখা যায় তাকে। তারেক রহমানের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধের দায়ে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের এই চক্রটিকে কোটি কোটি টাকা দিচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেছে।

এমনকি ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে, বার্গম্যানের শ্বশুর ড. কামালের নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের পরাজয়ের পর, ২০১৯ সালে নিজেই ‘নেত্রনিউজ’ নামে একটি অনলাইনপোর্টাল খোলেন বার্গম্যান। সঙ্গে নেন পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের দায়ে অভিযুক্ত তাসনিম খলিলকে। এরপর সেই নেত্রনিউজকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এই চক্রটি। মার্কিন সংস্থা এনইডি-এর মাধ্যমে এই নেত্রনিউজের ফান্ডিং দিচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দারা। এর প্রধান সম্পাদক তাসনিম এক সাক্ষাৎকারে নিজেই এই তথ্য জানিয়েছেন।

এ বছরের ২ জুন, আবারো বাংলাদেশের রক্তস্নাত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা এক গ্রন্থের পক্ষে প্রচারণায় নামে নেত্রনিউজ। একারণে আবারো ফিরতে হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রসঙ্গে।

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ধর্ষণ ও গণহত্যায় জড়িতদের বিচারের জন্য ২০১০ সালে ওয়ার ক্রাইমস ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সরকার। এরপরে, ২০১১ সালে, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর অর্থায়নে একটি বিকৃত গ্রন্থ প্রকাশ করেন মার্কিন নাগরিক শর্মিলা বসু। বইটিতে তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাপরাধ হয়নি। পাকিস্তানের সেনারা কোনো ধর্ষণ বা খুনের ঘটনা ঘটায়নি। এমনকি যেসব নারী ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন, তাদের ‘অশিক্ষিত’ বলে অভিহিত করেছেন শর্মিলা বসু। এমনকি বইটিতে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন পাকিস্তানি জেনারেলদের। এসব তথ্যের সোর্স হিসেবে তিনি ব্যবহার করেছেন ডেভিড বার্গম্যানকে।

মূলত করোনা মহামারির মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মিডিয়া ক্যু ঘটানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় এই চক্রটি। করোনা ছড়িয়ে পড়ার শুরুতেই বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করায় তারা। ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল আলজাজিরার একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনার প্রভাবে বাংলাদেশে ২০ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে। ৬ জুন ইকোনোমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকায় সাড়ে সাত লাখ করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছে। ১১ জুন, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। ১০ জুন ডয়চেভেলে জানায়, করোনার কারণে ভেঙে পড়েছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব সংবাদে বাংলাদেশের প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন ইউরোপ-প্রবাসী দুই বাংলাদেশি পিনাকী ভট্টাচার্য ও নেত্রনিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল। এরা মূলত বাংলাদেশের আইন অনুসারে বিভিন্ন অপরাধে দণ্ডিত ও দেশ থেকে পালিয়ে বিদেশে অবস্থান করছে। সারা হোসেন ও বার্গম্যানের মধ্যস্থতায়, কিন্তু হুম্মাম কাদেরের টাকায় তারেক রহমানের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন।

শুধু তাই নয়, ব্যক্তিগত সামাজিক মাধ্যমেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, তার পরিবার এবং দেশের ইতিহাস নিয়ে বিকৃত তথ্য পরিবেশন করে যাচ্ছে তাসনিম খলিল ও বার্গম্যান গং।

লেখক: রাজনৈতিক বিশ্লেষক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর