Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সাতই মার্চের ভাষণ, মুক্তির চিরন্তন আখ্যান

অরুণ কুমার গোস্বামী
৬ মার্চ ২০২২ ১৯:০০

শোষণ থেকে ‘মুক্তি’ এবং ধর্মীয় ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র পাকিস্তানের শাসনের শৃঙ্খল থেকে ‘স্বাধীনতার’ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর চিরন্তন আহ্বান সমৃদ্ধ ৭ মার্চ। এখন থেকে ৫১ বছর আগে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ আবহমান বাংলার মানুষের অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পাকিস্তানের ধর্মীয় ঔপনিবেশিক শাসকরূপী শোষকদের বিরুদ্ধে ‘মুক্তি’ ও ‘স্বাধীনতা’ যুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। এজন্য তিনি প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলা এবং যার যা কিছু নিয়ে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তারপর অনেক ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল এবং রক্তক্ষয়ী ঘটনাটি একাত্তরের ৭ মার্চের পর চরম পরিণতির দিকে এগিয়ে গিয়েছিল। তখন ১৯৭১-এ বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালিদের মুক্তি ও স্বাধীনতা যুদ্ধের যে ইতিহাস রচিত হচ্ছিল তার প্রতি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া, এশিয়া তথা সমগ্র বিশ্বের দৃষ্টি নিবদ্ধ ছিল। তখন ‘একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠ স্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি আকাশে বাতাসে’ ছড়িয়ে যেতে যেতে ‘বাংলাদেশ বাংলাদেশ’ আওয়াজে সমগ্র বিশ্ব মুখরিত হয়ে উঠেছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এবং বাংলাদেশ ছাড়া তখন আর কোনো শব্দ বিশ্বে আলোচিত হত না। তখন ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ ছিল ‘টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড’।

বিজ্ঞাপন

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রমনা রেসকোর্স ময়দানে (যেটি বর্তমানের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) শোষিত, বঞ্চিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত ও অবহেলিত মানুষের ‘মুক্তি’ ও স্ব-দেশের ‘স্বাধীনতা’র জন্য যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, যে কোনো মানদণ্ডে মানবতার মুক্তির জন্য তা ছিল সর্বকালের বিশ্বজনীন একটি ভাষণ। তার কাছ থেকেই বাঙালিরা স্বাধীনতা শব্দটির অর্থ এবং নিজেদের জন্য এর প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করতে পেরেছিল। বঙ্গবন্ধু ১৯৪৭ সাল থেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতার চিন্তা শুরু করেছিলেন। বাঙালিদের জন্য একটি স্বাধীন আবাসভূমি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জনগণকে সংগঠিত করার জন্য তিনি প্রথমে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তারপরে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরবর্তীকালে তারই নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল সংগঠন।

বিজ্ঞাপন

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যখন তৎকালীন পূর্ব বাঙালিরা ধর্মীয় ঔপনিবেশিক পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিল তখন, ১৯৬৮ সালে সুইডিশ অর্থনীতিবিদ গুনার মিরডাল-এর ‘এশিয়ান ড্রামা: অ্যান ইনকোয়ারি ইন টু দ্য পোভার্টি অব ন্যাশনস’ শীর্ষক বইটি প্রকাশিত হয়েছিল। লেখক গুনার মিরডাল তার এই ম্যাগনাম ওপাস লেখার কাজটি শুরু করার সময় দক্ষিণ এশিয়ার ঘটনাবলীর ধারণাকে প্রকাশ করার জন্য ‘এশিয়ান ড্রামা’ শিরোনামটি পছন্দ করেছিলেন এবং গবেষণা এগিয়ে চলার সাথে সাথে এই ধারনার প্রাসঙ্গিকতা আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছিল। সকল প্রকার জটিলতা এবং বৈসাদৃশ্যের পেছনে মিরডাল ‘সংঘাত এবং নাটকীয়তার একটি সাধারণ বিষয়বস্তু দেখতে পেয়েছিলেন।’ তার কথায়, “The action in this drama is speeding toward a climax. Tension is mounting: economically, socially, and politically.” [এই নাটকের ক্রিয়া একটি চরম অবস্থার দিকে দ্রুত ধাবিত হচ্ছিল। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছিল।’ (মিরডাল ১৯৬৮, পৃষ্ঠা ৩৫)] একজন ভবিষ্যতদ্রষ্টার মতো তিনি মন্তব্য করেছিলেন, “To some degree all of us are participants in this drama. It is as if the stage, set for South Asia, were enlarged and drew onto itself the entire world, so that no one could be merely a spectator.” [‘কিছু মাত্রায় আমরা সবাই এই নাটকের অংশ। এটি এমন যে মনে হচ্ছে মঞ্চ দক্ষিণ এশিয়ায় সাজানো হয়েছে, সম্প্রসারিত হয়েছে এবং এটি সমস্ত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে, যাতে কেউ শুধু দর্শক হয়ে থাকতে পারবে না। (পৃ. ৩৫)] এই ‘চরম অবস্থা (ক্লাইমেক্স)’ মিরডাল দেখতে পেলেও তখনো তা সাধারণ্যে দৃশ্যমান হয়ে না উঠলেও, ‘উত্থিত’ উত্তেজনা কিছুতেই স্তিমিত হচ্ছিল না। আর এর মাত্র তিন বছরের মধ্যে, সর্বাধিক নাটকীয় বা আমরা বলতে পারি পীড়াদায়ক অথচ বাঙালি জাতির গৌরবোজ্জ্বল স্মরণীয় ঘটনাটি দক্ষিণ এশিয়ায় ঘটেছিল।

সবচেয়ে খারাপ গণহত্যা ও রক্তপাতের মাধ্যমে ধর্মীয় উপনিবেশ পাকিস্তান থেকে বের হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে পাকিস্তানের মৃত্যু-গহ্বর থেকে বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত শত্রুমুক্ত ও স্বাধীন স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি। তখন থেকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি কুচক্রী মহল খোন্দকার মোশতাক আহমদ গং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পূর্ব পর্যন্ত নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মাত্র তিন বছর সাত মাস দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এসময় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া দেশকে তিনি ধীরে অথচ দৃঢ়তা ও আত্মপ্রত্যয়ের সাথে আকাঙ্ক্ষিত পুনর্গঠন ও উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। ১৯৭৩ সালের মে মাসে ঢাকায় দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এশিয়ান পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি কনফারেন্স উপলক্ষে ২৩ মে জাতীয় সংসদের উত্তর প্লাজায় উন্মুক্ত চত্বরে মনোরমভাবে সুসজ্জিত প্যান্ডেলে বিশ্ব শান্তি পরিষদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক কূটনীতিকদের বিশাল সমাবেশে বিশ্ব শান্তি পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব রমেশ চন্দ বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদক পরিয়ে দিয়ে বলেন, ‘শেখ মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধু নন, আজ থেকে তিনি বিশ্ববন্ধুও বটে (সরকার ২০১৮, ৬৫৯)।’

স্বাধীনতার পর ১৯৭২, ১৯৭৩, ১৯৭৪ এবং ১৯৭৫ এর ৭ মার্চগুলোতে বঙ্গবন্ধু ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া তার প্রিয় স্বদেশ মাতৃভূমি বাংলাদেশকে নিজের স্বপ্নের মতো করে গড়ে তোলার ব্রতে মগ্ন হয়েছিলেন। এরপরই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো মুক্তিযুদ্ধবিরোধীগোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালির প্রাণের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ঠিক এসময়েই ১৯৭৬ সাল থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার এবং খুনিদের ফাঁসির দাবীতে পুলিশের বাধার মুখে মিছিল মিটিং করেছি। পুলিশের লাঠিচার্জের শিকার হয়েছি। আটক হওয়ার ভয়ে প্রায়ই আমাকে এবং আমার অনেক সহযোদ্ধাদের পালিয়ে থাকতে হয়েছে। তবে সেই দুঃসময়ে প্রতি বছর যখন ৭ মার্চ আসতো, তখন নীলক্ষেত থেকে মাইক ভাড়া করে রাত ১২ টা থেকে ৭ মার্চের ভাষণ বাজাতাম এবং আলোচনা সভার আয়োজন করতাম। এজন্য যা খরচ হতো তা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিতাম। কখনো কখনো সিনিয়র নেতারা সহযোগিতা করতেন। জেনারেল জিয়া, জেনারেল এরশাদ এবং বেগম খালেদা জিয়ার সরকার বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণই শুধু নয়, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের সত্যিকার ইতিহাস নিষিদ্ধ করে রেখেছিল। কিন্তু এসব সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে বাংলার মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে পারেনি।

বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের প্রধান প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘স্বাধীনতা’ ও ‘মুক্তি’। ‘স্বাধীনতা’ ও ‘মুক্তি’ অর্জনের জন্য বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পরাজয় ও আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে দেশ শত্রুমুক্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অন্যতম উপায় হচ্ছে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিচার বন্ধের জন্য, অর্থাৎ আইনের শাসনকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য খুনিদের সহায়তাকারী অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী মোশতাক-জিয়া সরকার ইনডেমনিটি আইন জারি করেছিল। পরবর্তীকালে এরশাদ সরকার তা বহাল রেখেছে। এমনকি বেগম জিয়ার সরকারও ইনডেমনিটি আইন বহাল রেখেছে। এই সরকারগুলো একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারও বন্ধ করে দিয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা স্তব্ধ করে দিয়েছিল।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণের উপর অসংখ্য প্রবন্ধ ও গ্রন্থ রচিত হয়েছে। এই ধারা অব্যাহত আছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সম্পর্কে লিখিত এসব প্রবন্ধ ও গ্রন্থ অনেক খ্যাতি অর্জন করেছে। আবার এর বিপরীতটিও দেখা যায়। বাংলা বাজারের একজন প্রকাশক একবার আমাকে এ সম্পর্কে বলছিলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বা বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে লিখিত অনেক লেখা আছে যেগুলোর মৌলিকত্ব নেই। এমনও ঘটনা আছে যে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গ্রেড প্রাপ্ত এক প্রভাবশালী প্রফেসর পুরোপুরি নকল করে, প্লেজারিজম বা চুরি করে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে অর্টিকেল লিখেছেন।

লন্ডনের প্রকাশনা সংস্থা মাইকেল ওমিয়ারা কর্তৃক প্রকাশিত এবং জ্যাকব এফ ফিল্ড (২০১৩) কর্তৃক সংকলিত বই ‘উই শ্যাল ফাইট অন দ্য বিচেস: দ্য স্পিচেস দ্যাট ইনস্পায়ার্ড হিস্টরি’ এর ২০১ থেকে ২২৩ পৃষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ‘দিস টাইম দ্য স্ট্রাগল ইজ ফর আওয়ার ফ্রিডম’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। এই বইটিতে সিসেরো থেকে উইনস্টন চার্চিল, আব্রাহাম লিঙ্কন থেকে মাও সে তুং পর্যন্ত বিগত দুই হাজার পাঁচশ’ বছরে সর্বাধিক উদ্দীপনা ও উৎসাহব্যঞ্জক যুদ্ধকালীন বক্তৃতা স্থান পেয়েছে। এরপর ২০১৭ সালের ৩০ শে অক্টোবর জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) ৭ মার্চের ভাষণকে ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত করেছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি অনেক বড় সম্মান। এছাড়া ইউনেস্কো বঙ্গবন্ধুর নামে পুরস্কার প্রবর্তন করেছে। ২০২০ সালের ২-১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইউনেস্কোর ২১০তম কার্যনির্বাহী বোর্ডের ভার্চুয়াল সভায় সৃজনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রবর্তনের জন্য সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে ইউনেস্কোর কার্যনির্বাহী বোর্ড। এর মাধ্যমে সৃজনশীল অর্থনীতির ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী তরুণদের উদ্যোগকে পুরস্কৃত করা হবে। একাত্তরের ৭ মার্চ-এর পর ২০২২ সালের ৭ মার্চ পর্যন্ত একান্ন বছরে মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য বঙ্গবন্ধুর আহ্বান ক্রমান্বয়ে শাশ্বত ও ধ্রুপদীরূপ লাভ করছে।

লেখক: ‘ইনস্টিটিউশনালাইজেশন অব ডেমোক্র্যাসি ইন বাংলাদেশ’ গ্রন্থের লেখক
ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এবং চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

অরুণ কুমার গোস্বামী মত-দ্বিমত সাতই মার্চের ভাষণ- মুক্তির চিরন্তন আখ্যান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর