Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হাওরের সর্বনাশ ঠেকাতে হবে

রাজন ভট্টাচার্য
২৩ মার্চ ২০২২ ১৭:৩৩

বেহুলা লক্ষিন্দরের পৌরাণিক কাহিনীতে উল্লেখ্য, চাঁদ সওদাগর বাণিজ্য করার উদ্দেশ্যে লৌহিত সাগর পাড়ি দিয়ে চম্পকনগর হয়ে উজানিনগর যেত। প্রায় ৪ হাজার বছর আগে হাওরাঞ্চলেই ছিল লৌহিত সাগরের বিশাল জলরাশি। দক্ষিণদিক থেকে উত্তর দিকে আছড়িয়ে পড়ত লৌহিত সাগরের উত্তাল ঊর্মীমালা।

সাগর সংস্কৃত শব্দ, বিবর্তিত শব্দ সায়র। সায়র থেকে কালের বিবর্তনে হাওর শব্দের উৎপত্তি। আক্ষরিক অর্থে হাওর হচ্ছে এক বিস্তৃত জলমগ্ন কিংবা জলশূন্য ভূমি কিংবা নিন্ম জলাভূমি। যা মৌসুমে সাগরের মতো মনে হয় এবং কোন মৌসুমে শুধু ফসলের মাঠ। বড় বড় হাওরে সূর্য ওঠে ও অস্ত যায়।

হাওরাঞ্চলের নয়নাভিরাম দৃশ্য ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে নানা রূপ ধারণ করে। বর্ষাকালে সাগরের মতো চারদিকে পানি আর পানি। গ্রামগুলো ডুবু ডুবু থাকে। জনপদগুলোকে ছোট ছোট দ্বীপের মতো মনে হয়। এই অঞ্চলের জীবনচিত্র একেবারেই ভিন্ন। যা দেশের অন্য সব অঞ্চল থেকে একেবারেই আলাদা। যেখানে মাটি, প্রকৃতির সঙ্গে জীবনের সম্পর্ক একেবারেই নিবিড়।

সময়ের কারণে সবকিছুতেই ছন্দপতন ঘটেছে, আগের মতো এখন হাওর অঞ্চলেও প্রকৃতি তার অপরুপ সৌন্দর্য দেখাতে পারে না। দেশে হাওর অধ্যুষিত জেলা সাতটি। উপমহাদেশের বৃহত্তর হাওর অঞ্চল হিসেবে উত্তর পূর্বাঞ্চলের এসব জেলা পরিচিত। প্রকৃতির বিশেষ আশির্বাদ রয়েছে এই অঞ্চল ঘিরে। সাত জেলায় ৪২৩টি ছোট বড় হাওর রয়েছে। মোট ভূমির ৭০ ভাগই কৃষিজমি। বেশি হাওর থাকায় সুনামগঞ্জকে বলা হয় হাওরের ‘মা’।

‘বর্ষায় নাও-আর হেমন্তে পাও’- এটি হাওরের বহুল প্রচলিত প্রাচীন শব্দ। অর্থাৎ বর্ষায় এ অঞ্চলে নৌকায় চলাচল করা ছাড়া কোন উপায় নেই। আর অন্য কোন যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় শুকনো মৌসুমে পায়ে হেঁটে চলাচল করে এলাকার মানুষ। যদিও এখন শুকনো মৌসুমে যানবাহন চলে। সময়ের কারণে এখন কি আগের মতো হাওরের পরিবেশ আছে? কতোটুকুই বা পরিবর্তন এসেছে গোটা অঞ্চলজুড়ে।

দেশের কৃষি ও মৎস্য অর্থনীতি, জীব বৈচিত্র-পরিবেশ রক্ষা, নৌযোগাযোগসহ বিভিন্ন দিক থেকে আগের মতো হাওরের জেলাগুলো অবদান রাখতে পারছে না। সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাওরের এই অঞ্চল এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি উন্নত, সমৃদ্ধ। স্বাস্থ্যখাতের অগ্রগতি ছাড়া কম-বেশি উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে সবখানেই। কোন কোন ক্ষেত্রে অপরিকল্পিত উন্নয়ন হাওরের প্রকৃত চরিত্র নষ্ট করছে।

ভৌগোলিক অবস্থান অনুসারে হাওরাঞ্চলকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। পাহাড় নিকটবর্তী অঞ্চল যেমন- সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার হাওরগুলো। প্লাবন ভূমির হাওর- নেত্রকোনা, কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার হাওরসমূহ। গভীর পানিতে নিমজ্জিত হাওর যেমন- সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা জেলার কয়েকটি হাওর ও কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও নিকলী উপজেলার সব হাওরগুলোর ধরণ সুনামগঞ্জের মতোই।

দেশের মৎস্য ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত এসব জেলা। হাওরের মিঠা পানিতে রয়েছে প্রায় সব প্রজাতির মাছ। অনেক অঞ্চলে যে মাছ পাওয়া যায় না হাওর সে মাছ যোগায়। সেই সঙ্গে বছরে একবার এক ফসলি জমির ধান যদি ঘরে তোলা যায়, তবে গোটা দেশে খাদ্যের চাহিদা পূরণে বিরাট ভূমিকা রাখে।

২০১৮ সালে হাওর ডুবির ঘটনা আবারো সবাইকে স্মরণ করিয়েছে, দেশে খাদ্য উৎপাদনে হাওর অঞ্চলগুলোর ভূমিকা কতোটুকু জরুরি। তেমনি হাওরের উপর নির্ভরশীল এ অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষের জীবন-জীবিকা। বর্ষায় মাছ ধরা, শুকনো মৌসুমে ধান চাষ করে সংসার চলে বেশিরভাগ পরিবারগুলোর।

প্রকৃতিও এ অঞ্চলজুড়ে অনেক বড় ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় মানুষের জ্বালানীর চাহিদা পূরণ করছে, অবদান রাখছে নৌ যোগাযোগেও। শীত মৌসুমে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অতিথি পাখি আসে হাওরে। জীব বৈচিত্রের দিক থেকেও এ অঞ্চল অনেক সমৃদ্ধ।

গত কয়েক বছর ধরে হাওর অধ্যুষিত সাত জেলা থেকে যেসব সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসছে তা সত্যিই উদ্বেগের। প্রকৃতির নিজ হাতে গড়া আশির্বাদের এ অঞ্চলে; এখন তেমন একটা ভালো খবর নেই। ভালো নেই হাওর, ভালো নেই মানুষও।

হাওর ধ্বংসে প্রকৃতি আর মানুষে মিলে দুই ধরণের প্রতিযোগিতা চলে বছরজুড়ে। অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টির ফলে তাপমাত্রার পরিবর্তন, পলির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় বিরুপ প্রভাব পরছে পুরো এলাকাজুড়ে। এছাড়া মানুষের দখল-দূষণ, অবাধে পশু-পাখি-মৎস্য শিকার, গাছ কাটা, জীববৈচিত্র নষ্ট করা, অপরিকল্পিক বাঁধ নির্মাণ, ইচ্ছেমত উন্নয়ন, হাওর ও নদীর খনন না করা, ইজারা প্রথা, মাছের অভয়ারণ্য নির্ধারণ করে তদারকি না করা সহ নানা কারণে বদলে যাচ্ছে হাওরগুলোর পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য। অনেকেই বলেন এখন হাওরে আর আগের মতো উত্তাল ঢেউ ওঠে না। পানির গভীরতা কমছে দিন দিন। সমুদ্রের মতো বিশাল নীল জলরাশি দেখা এখন অনেকটাই ভাগ্যের। অর্থাত ইতোমধ্যে বিরুপ প্রভাব স্পষ্ট।

সিলেট ও মৌলভীবাজার মিলে ১৮ হাজার ১১৫ হেক্টর আয়তনের দেশের সবচে বড় হাওর হাকালুকি। আর ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত টাংগুয়ার হাওর। এর বাইরে শনির হাওরসহ বেশ কয়েকটি বড় বড় হাওর রয়েছে অঞ্চলজুড়ে। জীবিকার থাবায় বড় সবকটি হাওরের অবস্থা দিন দিন সংকটাপন্ন।

এটা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। এভাবে চলতে থাকলে হয়ত আগামী ৫০ বছরের মধ্যে দেশের বেশিরভাগ ছোট হাওরের বিলুপ্তি ঘটবে। যার বিরূপ প্রভাব প্রকৃতি থেকে শুরু করে সামাজিক, অর্থনীতি সব সেক্টরের পড়বে।

গত ১০ বছরে হাওরাঞ্চলে মাছ কমেছে ৩০ ভাগের বেশি। মাছের বংশবিস্তারে তাপমাত্রা একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। তাপমাত্রার ওপর নির্ভর করে মাছের ডিম ছাড়ার সময়। ফলে কোনো একটির তারতম্য হলেও মাছের বংশ বিস্তারে ব্যাপক প্রভাব পড়ে। এছাড়া মাছ ধরতে কারেন্ট জালের ব্যবহার, অতিরিক্ত মাছ আহরণ ও মাছচাষে ক্ষতিকারক কীটনাশক ব্যবহার কারণ হিসেবে উঠে এসেছে নানা গবেষণায়।

হাওর অঞ্চলের সবকটি জলাভূমি ভরাট হয়ে ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে মাছের বিচরণস্থল। পলিতে খাল-বিলগুলো ক্রমেই ভরাট হচ্ছে। অনেক ছড়া অস্তিত্ব হারিয়েছে। ইজারাদাররা নির্বিচারে মাছ ধরায়, আগের মতো মাছ মিলছে না। আগে শুকনো মৌসুমে হাওরের মূল অংশে পানি থাকত। যেসব জলাধার মাছের অভয়াশ্রম হিসেবে পরিচিত সেগুলো সেচ দিয়ে শুকিয়ে এখন বোরো আবাদ হচ্ছে। কাদা মাটিতে থাকা মাছগুলোও ধরা হচ্ছে নির্বিচারে। সব মিলিয়ে মিঠা পানির মাছ কমছে।

দেশের প্রধান চারটি মাদার ফিশারিজ এলাকার অন্যতম হাকালুকি হাওর। বিভিন্ন আকারের ২৭৬টি আন্তঃসংযুক্ত বিল নিয়ে গড়ে উঠেছে হাওরটি। এছাড়া বিভিন্ন ছড়া ও খাল মিলিয়ে হাওরসংশ্লিষ্ট জলাধারের মোট সংখ্যা প্রায় ৩০০টি। হাওরের বিশাল জলরাশির মূল প্রবাহ ১০টি ছোট-বড় নদী।

গত দুই দশকে এ হাওরে পাখির বিচরণ কমেছে ৪৫ ভাগ। ১৫০ প্রজাতির মিঠা পানির মাছের মধ্যে বর্তমানে ১১২টি টিকে আছে। ১২০ প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ ও সরীসৃপ বিলুপ্তপ্রায়। প্রতি বছর শীতকালে হাওরে প্রচুর বিরল প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসত। কিন্তু বিচরণস্থল কমে যাওয়ার পাশাপাশি চোরাশিকারির দৌরাত্ম্যে সে পাখির বিচরণও এখন খুব কম। এ চিত্র কমবেশি গোটা অঞ্চলের।

হাওরের বিশাল জায়গাজুড়ে রয়েছে জলজ বন। বিভিন্ন ধরনের জলজ ভাসমান উদ্ভিদ, শেকড়ধারী উদ্ভিদ, ওষুধি উদ্ভিদ ও অতিরিক্ত জলসহিষ্ণু উদ্ভিদও প্রচুর জন্মে। এ অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য উদ্ভিদ প্রজাতির মধ্যে রয়েছে হিজল, করচ, বরুণ, বনতুলসী, নলখাগড়া, পানিফল, হেলেঞ্চা, বলুয়া, চালিয়া প্রভৃতি। এছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির নানা ওষুধিসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ ছোট ছোট বিভিন্ন প্রজাতির জলজ গাছ। সঠিক পরিকল্পনার অভাব এবং গরু-মহিষের অবাধ বিচরণ ও হাওর-বনের গাছপালা কেটে নেওয়ায় ঝুঁকির মুখে পড়েছে বনের জীববৈচিত্রও।

পুরো হাওরাঞ্চলে বিভিন্ন প্রজাতির শীতকালীন পরিযায়ী পাখিসহ ৫৫৮ প্রজাতির বন্যপ্রাণী শনাক্ত করা হয়েছে। এসব বন্যপ্রাণীর মধ্যে স্তন্যপায়ী, পাখি, উভচর ও সরীসৃপ উল্লেখযোগ্য। বন্যপ্রাণীর মধ্যে মেছোবাঘ, শিয়াল, গন্ধগোকুল এখন আর খুব একটা চোখে পরে না। বিরল প্রজাতির প্যালাসেস ঈগল ও বড় আকারের গ্রে কিংস্টর্কসহ বালিহাঁস, লেঞ্জা হাঁস, বেগুনি কালেম, পাতি কুট, মরিচা ভুতিহাঁস, পিয়ংহাস, পান্তামুখী, লালচে মাথা ভুতি হাঁস, লালশির, ডুবুরি, পানকৌড়ি, ডাহুক, সাদাবক, মাছরাঙা, বাংলা শকুন, সারস, শঙ্খচিলও কমছে। শুকনো মৌসুমে ছোট ছোট বনে শিকারীদের অত্যাচারে পাখির সংখ্যা কমেছে। এক হাজারেরও বেশি অমেরুদণ্ডি প্রাণীর আবাস থাকলেও তা হ্রাস পাচ্ছে।

এক সময় নানা প্রজাতির জলজ উদ্ভিদ ও গুল্মলতায় ভরাট ছিল প্রতিটি বিল। শীতকালে বিলে সিংরা, পানিফল, এরালী, শ্যাওলা ইত্যাদি নানা প্রজাতির গুল্মলতায় ভরপুর থাকতো। ছোট-বড় শামুক, ঝিনুক, গুগাইল, ফোটকোনাসহ নাম না জানা অসংখ্য কীটপতঙ্গ এক সময় হাওরে দেখা গেলেও এখন কমছে।

হাওরের উন্নয়নে ‘হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড’ গঠন করা হয়েছে। এই বোর্ডের কথা হাওরের মানুষ নয়, সচেতন নাগরিকদের অনেকেই জানেন না। বোর্ডের ওয়েবসাইটে গেলে দেখা যায় হাওরের উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হয়ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে হতে হাওরের সর্বনাশ হয়ে যাবে। তবে কয়েকটি জরুরী পদক্ষেপ যদি তড়িৎ গতিতে গ্রহণ করা যায় তাহলে হয়ত প্রকৃতির এই আশির্বাদ ধরে রাখা সম্ভব হবে।

এর মধ্যে প্রথমেই যে পদক্ষেপ জরুরী তা হলো- এই অঞ্চলের নদ-নদী ও হাওর খনন শুরু করা। বন্ধ করা উচিত অপরিকল্পিত উন্নয়ন। কাজ দেখানোর নামে যেখানে সেখানে বাঁধ নির্মাণ করা যাবে না। সারাবছর যেন নৌ-যোগাযোগ সচল থাকে তা নিশ্চিত করা জরুরী। অলওয়েদার সড়ক নির্মাণ যেন কোন ভাবেই হাওরাঞ্চলে বিরুপ প্রভাব ফেলতে না পারে তা মনে রাখা উচিত। এ অঞ্চলের পতিত ভূমি খুবই উর্বর। এসব ভূমি অসহায় মানুষদের বরাদ্দ দিয়ে মৌসুমভিত্তিক সবজি, শস্য ফলানো সম্ভব। হাওর উপযোগী গাছাপালা সরকারি উদ্যোগে লাগাতে হবে। পাখি শিকারীদের থামানো জরুরী।

প্রাকৃতিক সম্পদ ও জীববৈচিত্র্য নষ্ট হয় এমন কীটনাশকের ব্যবহার হাওর অঞ্চলে নিষিদ্ধ করতে হবে। জলাধার কোন অবস্থাতেই ইজারা দেওয়া যাবে না। মাছের অভয়ারণ্য ঘোষণা করে তা যথাযথ সংরক্ষণ ও মাছের প্রজাতি ধ্বংস করে এমন জালগুলো নিষিদ্ধ করার বিকল্প নেই। দেশী প্রজাতির মাছ বাঁচাতে প্রয়োজনে গবেষণাগারে এসব মাছের ডিম ফুটিয়ে হাওরে ছাড়া উচিত। অবাধে গাছকাটা, বন্যপ্রাণি, পাখ-পাখালি ধরা বন্ধ করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। পানিতে উৎপাদন হয় এমন ধানচাষের গবেষণা জরুরী। প্রতি বর্ষায় আবারও আগের মতো প্রাণ ফিরে পাক হাওররাঞ্চল। বিশাল নীল জলারাশিতে উঠুক আগের ঢেউ।

লেখক: সাংবাদিক ও কলাম লেখক

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

মত-দ্বিমত রাজন ভট্টাচার্য হাওরের সর্বনাশ ঠেকাতে হবে


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর